নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুখ ফেরানো মুখ

দীপঙ্কর বেরা

আমি ভাষা বাংলা ভালোবাসি

দীপঙ্কর বেরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজের নিজস্বী

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

প্রত্যেকেই জানে সে কতটা পারে। তবুও সময়ের প্রেক্ষিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে তার চেয়ে আরও বেশিদূর যেতে। আবার কিছুটা উপরে উঠে নীচে যারা আছে তাদেরকে বোকা বানানো সহজ। এ রকম ভাবনাও কাজ করে। ফলে নীচের বোকামিকে বোকা ভেবে উপভোগ করা আর এক সবর্নাশের পিছ পা।
কোন কনসার্নে একটা পদ্ধতি কারো না কারও মাথা থেকে প্রথমে বের হয় তারপর তার রেক্ট্রিফিকেশন হয়। এভাবে সেই ব্যবস্থার নির্ভরশীলতার উপর এগিয়ে চলে সেই ব্যবস্থা। এখানে পরিচালনের জন্য যার উপরে ব্যবস্থা ন্যস্ত থাকে সে বুঝিয়ে ধমক দিয়ে কিংবা হুইপ জারি করে তাকে টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে। অনেক কর্মী সম্বন্বয়ে প্রায় সব পদ্ধতি এভাবে অবলম্বন করতে হয়।
জনমত বা জনমানস কিন্তু সবসময় একটা প্রশয়ে লালিত হতে ভালোবাসে। চটপট কাজটা শেষ করে গাছতলায় বসে জনমানস অন্য প্রশয়ে থাবা বসাতে চায়।
অর্থাৎ ধরুন, জন্ম সার্টিফিকেট দরকার। তার জন্য বাচ্চার জন্মের পর সংশ্লিষ্ট জায়গায় লিখিত জানাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। সেখানের আধিকারিক তা মিলিয়ে দেখবেন। রেজিস্টার্ড করবেন। তারপর ইসু করবেন। এবং সবক্ষেত্রে সঠিক ও নির্ভুল লিখিত দিতে হবে। যা সময় সাপেক্ষ।
এখন এই ব্যাপারটা যদি কিছু গুঁজে দিয়ে মাত্র একবার গিয়েই পেয়ে যাই কিংবা কেউ ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে জন মানস সেদিকেই ছুটবে। এই প্রশয়ের যারা হোতা তারা এক নয় অনেক এবং সিস্টেমে আবদ্ধ। টাকা পয়সা যদি নাও লাগে অন্যাহ্য ব্যাবস্থা করে দেওয়াও প্রশয়ের মধ্যে পড়ে।
এখন এই ব্যবস্থা যদি অনেকদিন চলতে থাকে তাহলে তাকেই জন মানস ঠিক বলে ধরে নেবে। তারপর হয়তো কোনদিন কেউ এল বা সিস্টেম এল, যে যেমন জমা দেবে সে সেভাবেই পাবে। তাহলে জন মানস কি তাকে মেনে নেবে?
বলবে, না তা হতে পারে না। এভাবে হয়, এভাবেই হবে। তার উপর সেই সব না-প্রশয়ী হোতা সঠিক চলেও অচলে লিখিত হয়ে যায়। যদিও সত্যের জয়। কিন্তু এসব ভেঙে আবার নতুনের দিশারি হতে এবং জন মানসকে প্রস্তুত করতে অনেকটা সময় চলে যায়। অনেক সময় নিতে হয়। সে সময় ভাল অনেকে বলে বলবে। কিন্তু তারা কতটা বা কতটুকু তার উপর নির্ভর করে।
ঠিক নয় জানি, অন্যায় জানি, করা উচিত নয় জানি, তাও হাত বাড়াই। আমি আপনি সবাই। যদি পেয়ে যাই, ভালো। না পেলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু পেয়ে যাওয়া ভাগ জেদ বাড়তেই থাকে সেটাই হয়ে যায় চলন। তার বিরুদ্ধে যে রুখে দাঁড়াবে তাকে জন মানস মেনে নেবে কি? সত্য অসত্য ভাল মন্দ কর্মের পদ্ধতিতে পাল্টে যায়।
বিচার বিবেচনার কৌশলে তার রঙ বদল হয়। তাই প্রশয় ভাবনা কি মারাত্মক এবং অনাদায়ী সুদূর প্রসারী তাও অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়।
প্রায়ই শোনা যায় ব্যবহার ঠিক করুন। একই কথা একটু শান্ত ভাষায় বললে অনেক কাজ হয় একথা ঠিক। কিন্তু সেকথা শোনার বা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বোঝার জন্য জন মানস কতটা প্রস্তুত। তাও ভাবা দরকার।
একই মানুষ মদের দোকানে ব্যাঙ্কে সিনেমা হলে ডাক্তার খানায় লাইন দিচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কিন্তু পাড়ার মুদি দোকানে সব্জিওয়ালার কাছে ওষুধের দোকানে রেশনে সরকারী হাসপাতালে বা সরকারী দপ্তরে এক দু মিনিটও দাঁড়াতে রাজি নয়। চোটপাট শুরু করে দেবে। ফলে উপরের বড় বড় ক্ষেত্রে যদি বা লাইন মেনে চলে নীচে সম্ভব নয়। যদি বা কেউ করে তার রেহাই পাওয়া মুশকিল। এবার ব্যবহার খারাপ কেউ ইচ্ছেকৃত করে না। যে নিয়মের সামনে আমি দাঁড়িয়ে তার নিয়ম ফলো করলে যে নিয়ম রক্ষা করছে তার সুবিধা হয়। কাজ ও ব্যবহার সেভাবেই সে প্রস্তুত করে।
কিন্তু আমি যদি সে বাঁকা পথের নিয়মের সামনে দাঁড়িয়ে অন্য আবদার জুড়ে দিই তাহলে নিয়মরক্ষাকারী একটু কটু প্রয়োগ করবেই। তাকেই তখন বলা হয় বাজে লোক। আবার সেখানে যদি বে-নিয়মী কেউ বসে সে তার ফায়দার জন্য মোলায়েম করে লম্বা দেবে। তাকে সবাই বলবে বাহ, দারুণ ছেলে।
আদপে কিন্তু তা নয়। কে ভালো কে মন্দ কে বিনয়ী কে ব্যবহারী বোঝার জন্য কিছু শুদ্ধ জন মানসের প্রয়োজন হয়। এই শুদ্ধ মানসিকতা গড়ে তুলতে হলে পদ্ধতি সিস্টেমে এবং পদক্ষেপ সঠিক নেওয়া প্রয়োজন। কখনই প্রশয় ভাবনা আনা উচিত নয়। আমি যদি ঠিক থাকি তাতেই ধীরে ধীরে সবাই ঠিক পথে এগিয়ে আসবে। প্রশয় নৈব নৈব চ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
কিন্তু এই ঢাকা শহরের যে অবস্থা !!! মানুষ দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: অনেক ভালো হয়েছে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.