নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুখ ফেরানো মুখ

দীপঙ্কর বেরা

আমি ভাষা বাংলা ভালোবাসি

দীপঙ্কর বেরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিরুপায় হৃদয়

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

(অণুগল্প)
ডাঃ মুখার্জির চেম্বারে বসে বিলাসবাবু ছটপট করছেন। সুচরিতা বলল - মনে হচ্ছে অনেক দেরি হবে। তাছাড়া এই জেনারেল ফিজিশিয়ন না দেখিয়ে হার্ট স্পেশালিস্টকে দেখালে ভালো হত।
বিলাসবাবু রাজি নন। সুচরিতা বুঝতে পারল কি না সেই ভয় আছে।
ঘণ্টা খানিক পরে ডাক পড়তে ভিতরে ঢুকলেন বিলাসবাবু। স্ত্রী কণ্যাসহ।
ডাঃ মুখার্জি বিলাসবাবুকে দেখেই চিনতে পারলেন - বছর চার পাঁচেক আগে আপনি এসেছিলেন না? আবার কি হল?
বিলাসবাবু আরও গলার স্বর টেনে টেনে বললেন - হ্যাঁ ডাক্তারবাবু। সেই একই রকম কষ্ট। বুকে ব্যথা।
- ঠিক আছে। শুয়ে পড়ুন। আচ্ছা আপনারা বাইরে অপেক্ষা করুন।
প্রণতি মৃদু প্রতিবাদ করল - আমি ওর স্ত্রী। আমার থাকা দরকার।
বিলাসবাবুর চোখের ইশারায় ডাঃ মুখার্জি বুঝতে পারলেন। তাই অনুমতি দিলেন না। অগত্যা বাইরে।
গতবার এ রকম স্ত্রী ছেলে মেয়েকে বাইরে বের করে দিয়ে উঠে বসে ছেলে বিহগ এর কথা শুনিয়েছিলেন বিলাসবাবু। সারাদিন টো টো করে ঘুরে বেড়ানো। মোবাইল ল্যাপটপ মোটরসাইকেলে সব সময় আঠার মত সেঁটে থাকত। পড়াশুনার কথা বললেই তিরিক্ষি মেজাজ। নিজের বুদ্ধির সম্পূর্ণ কিছুতেই ব্যয় করছে না। বিলাসবাবু কিছু বললেই প্রণতি বিহগের সাইট নিত। তাতে পড়াশুনা ও ক্যারিয়ারের তো ক্ষতি হচ্ছে। তাই বুকে হাত চেপে এসে ডাঃ মুখার্জিকে একান্তে সেসব বলেছিলেন।
বেড রেস্টে ছিলেন পনেরো দিন। মাঝে চেক আপ করিয়াছেন। আর বিহগ সকাল বিকেল পড়তে বসেছে। স্কুলে গেছে নিয়মিত। টিউশন পড়ে ঠিক সময়ে বাড়ি ফিরেছে। প্রণতিও বলেছে - তোর বাবার এ রকম অবস্থা। তোকে তো বড় হতেই হবে।
সেই পনেরো দিনে পাল্টে যাওয়া বিহগ অনেক এগিয়ে। নিজেও ক্যারিয়ার সচেতন হয়েছে।
এখন মেয়ে সুচরিতা প্রেমে পড়েছে। ফলে এই বয়সে নিজের ক্যারিয়ারের ফাটলে নিজে আটকে। ঘরের নানান ছোটখাটো ব্যাপারে খিটিমিটি লেগেই আছে। তাই বিলাসবাবু আবার ডাঃ মুখার্জির স্মরণাপন্ন।
এবার চেক আপ করে ডাঃ মুখার্জি বললেন - না, স্যার। আর কোন বাহানা নয়।
তাই ডাঃ মুখার্জী বাইরে বসা বিলাসবাবুর মেয়ে ও স্ত্রীকে ভেতরে ডাকলেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: এটা কি গল্প?

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: হ্যাঁ স্যার
অণুগল্প
ভাল থাকবেন

২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

স্বচ্ছ দর্পন বলেছেন: মনে হলো গল্পটা অসম্পূর্ন। পাঠকের আরো পড়ার আগ্রহ থাকে গেলো।

আমার ব্লগ ঘুরে আসার অনুরোধ রইলো ।
ভালোবাসার প্রকারভেদ - স্বচ্ছ দর্পন

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: এটা একটা অণুগল্প। অণুগল্পের ক্ষেত্রে এ রকম আড়াল থাকে। যা ভাল করে পড়লে অনুধাবন করা যায়। এখানে বিলাসবাবু তার ছেলে মেয়ে বুঝিয়ে সুঝিয়ে কোন মতেই বাগে আনতে পারছে। টিন এজ বয়সের নষ্ট হওয়া বেসামালকে সামাল দিতে আরও বেশি নিজের পড়াশুনায় মনোযোগ দেওয়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন কিন্তু পারেন নি। ছেলেমেয়েরা আরো বেশি বেপরোয়া। তাই তিনি অসুস্থতার নাটক করেছেন। তাতে ছেলে মেয়ে কিছু বুঝতে পেরেছে বাবা মা কতটা প্রয়োজন। কিন্তু শেষবার তিনি সত্যি সত্যি অসুস্থা। তাই ডাক্তার বললেন আর কোন বাহানা নয়।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

লাবণ্য ২ বলেছেন: ভালো লাগল।

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আবা‌রো পড়‌বো।

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: ধন্যবাদ জানালাম
ভাল থাকবেন

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কিছু কিছু বাক্য সমাপ্ত হয়নি।

অনেকদিন পর দেখছি আপনাকে বেরা দা।

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.