নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবে প্রেম করে যেজন, সেজন সেবিছে ঈশ্বর

দীপান্বিতা

দীপান্বিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথাচ্ছলে মহাভারত - ১৩৪

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

[পূর্বকথা - পাণ্ডবরা রাজসূয় যজ্ঞ করে পিতাকে রাজা হরিশচন্দ্রের মত ইন্দ্রের স্বর্গে স্থান করে দিতে চায় ......অর্জুন, ভীম নকুল ও সহদেব সে কারণে দ্বিগ্বিজয় যাত্রা করেন......চারদিকে ধন্য ধন্য ধ্বনি উচ্চারিত হয় ......যুধিষ্ঠিরের ভাইরা, মন্ত্রী, সুহৃদ বন্ধুরা সকলে এবার যজ্ঞ শুরুর অনুরোধ করলেন......যুধিষ্ঠির কৃষ্ণের অপেক্ষা করেন ....কৃষ্ণ অনুমতি দিলে যজ্ঞের আয়োজন হয় ....... চারদিকে দূতদের আমন্ত্রণের জন্য পাঠান শুরু হল......]



রাজসূয়-যজ্ঞ আরম্ভঃ

রাজা যুধিষ্ঠিরের আজ্ঞা পেয়ে মদ্রসুতাসুত সহদেব দূত পাঠিয়ে শিল্পীদের আনলেন। নানা রত্ন তাদের হাতে তুলে দেওয়া হল। কোটি কোটি শিল্পীরা অতি যত্নে চারদিক সাজাতে লাগল।
দেবতাদের মন্দির স্বর্ণ রত্নে নির্মিত হল। হেম(সোনা) রত্ন মুক্তায় চারদিক মণ্ডিত হতে লাগল।
এক এক পুরে শত শত রত্ন নির্মিত কক্ষ নির্মাণ করা হল। তাতে বহুতর ভোজ্য পেয়বস্তু রাখা হল।
প্রতি গৃহ আসন, বসন, শয্যা দিয়ে সুন্দর ভাবে সাজান হল।
বাপী(দীঘি) কূপ সুগন্ধযুক্ত জলে পূর্ণ করা হল। চারদিক সুমিষ্ট গন্ধে আমোদিত হতে লাগল।
কনক(সোনা) রজত(রূপা) পাত্রে ভোজনের ব্যবস্থা করা হল। প্রতি পুরে শত শত দূত নিয়োগ করা হল।
এভাবে লক্ষ লক্ষ গৃহ সহ নগর মনোহর স্থলে রূপান্তরিত হল। সব গৃহের বাইরে নানান ফুল ফলের বৃক্ষ যত্নে রোপিত হল।
ধিরে ধিরে চার জাতির মানুষরা এসে সে সব গৃহে বাস করতে লাগল।
চারদিকের অপূর্ব সুন্দর নির্মাণশৈলী দেখে সকলে মোহিত হতে লাগল।

ইন্দ্রসেন প্রমুখেরা ভোজ্য দ্রব্যের ব্যবস্থা সুসংহত ভাবে করতে লাগল। অষ্টদিক থেকে নিরন্তর দ্রব্যসামগ্রী আসতে লাগল। হাতি, উট, বৃষের লক্ষ লক্ষ শকটে(গাড়ি), এমনকি বড় বড় নৌকায় করে ভক্ষ্য দ্রব্য আনা হতে লাগল। দিন-রাত্রি-সায়ং-প্রাত বিশ্রাম নেই-অনুক্ষণ অবিরাম দ্রব্য আসতে লাগল।
ময়দানবের নির্মিত অপূর্ব সভার বাখান(প্রশংসা) সকল সুরাসুর মুনিরা করতে লাগলেন।
দ্বিজ মুনিরা সবাই দিক্ষা করালেন।

কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস স্বয়ং ব্রহ্মত্ব(ব্রহ্মতুল্য পদ) করলেন। সাগম হলেন ধনঞ্জয় তপোধন। হোতা হলেন পৈল ও অন্যান্য দ্বিজ ব্রাহ্মণরা। এছাড়া আরো বিভিন্ন কাছে অন্যান্য মুনিরা নিয়োজিত হলেন।

ধর্ম নরপতি যুধিষ্ঠির নকুলকে ডেকে বলেন – তুমি হস্তিনানগরে দ্রুত গিয়ে ভীষ্ম, দ্রোণ, জ্যেষ্ঠতাত ধৃতরাষ্ট্র, বিদুরদের সঙ্গে নিয়ে এসো। সেই সাথে কৃপাচার্য, অশ্বত্থামা, সুহৃৎ দুর্যোধন, বাহ্লীক(মহারাজ শান্তনুর ছোটভাই, সোমদত্তের পিতা ও ভূরিশ্রবার পিতামহ), সঞ্জয়(ধৃতরাষ্ট্রের সৎ পরামর্শদাতা ও সারথি), ভূরিশ্রবা, সোমদত্ত, কর্ণ, দুঃশাসন ও শত ভাই, জয়দ্রথ(ধৃতরাষ্ট্রের জামাই) এবং গান্ধারীসহ সকল রাজপত্নীদের সাদরে এখানে নিয়ে এসো। এরা সকলেই আমায় স্নেহ করেন।

বড়ভাইয়ের আজ্ঞামত বীর নকুল হস্তিনানগরে উপস্থিত হয়ে রাজসূয় যজ্ঞের সংবাদ দিয়ে সকলকে সেখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন। সকলে হৃষ্ট মনে তার সাথে যেতে রাজি হল। কুরুপুরের বাল, বৃদ্ধ, নারী আদি সকলে চলল। হস্তিনানগরের প্রজারা যুধিষ্ঠিরের রাজসূয় যজ্ঞের সংবাদে খুশি হল।
দ্বিজ, ক্ষত্র, বৈশ্য, শূদ্র-সকল প্রজারা দলে দলে হস্তিনা ছেড়ে যজ্ঞ দেখতে চলল।
হাতি, রথ, অশ্ব, পত্তি(পদাতিক সৈন্য) চতুরঙ্গ দলে কুরুরা নকুলের সাথে ইন্দ্রপ্রস্থে প্রবেশ করল। তাদের দেখে আনন্দিত মনে যুধিষ্ঠির সকলের কুশল সংবাদ নিতে লাগলেন।

ধর্মরাজ নিজে এগিয়ে এসে ভীষ্ম, দ্রোণ, বিদুর, বাহ্লীক ও অন্ধরাজা ধৃতরাষ্ট্রকে নিজের কাছে এনে বসালেন।

পার্থ অর্জুন বিনয়ের সাথে সকলকে বলেন –আপনাদের সাহায্য ছাড়া এতবড় যজ্ঞ সুসম্পন্ন করা সম্ভব নয়। আপনাদের আশীর্বাদ আমাদের সাথে যেন থাকে।

ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির পিতামহ ভীষ্মকে বলেন –আপনি সর্ব জেষ্ঠ। আপনি সব বুঝে শুনে আমাদের বিধান দিন। কিভাবে কি কাজ হবে আপনার নির্দেশেই আমরা করতে চাই। কাকে কোথায় নিযুক্ত করতে চান আপনি ঠিক করে দিন।

ভীষ্ম যুধিষ্ঠিরের সাথে অনেক বিচার করে সকলকে কর্মভার ভাগ করে দিলেন।
ভীষ্ম ও দ্রোণ কোন কাজ করা হবে কি হবে না তা স্থির করবেন। দুর্যোধনকে সকল ভান্ডারের ভার দেওয়া হল।
দুঃশাসন পেল ভক্ষ্য ভোজ্যের রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার।
গুরুপুত্র অশ্বত্থামা ব্রাহ্মণদের পূজার ভার পেল।
সঞ্জয় রাজাদের সেবাকাকার্য ভার পেল।
দ্বিজদের দক্ষিণার দায়িত্ব পেলেন কৃপাচার্য।
দানের অধিকারী হলেন কর্ণ।
কৃষ্ণ স্বয়ং সকলের পরিচর্যার ভার নিলেন।
ধৃতরাষ্ট্র, সোমদত্ত, প্রতীকপুত্র বাহ্লীক-এই তিনজন গৃহকর্তা হয়ে সর্বেশ্বর হলেন।

সভার পূর্ব দ্বার রক্ষার ভার নিয়োজিত হল মহারথীদের উপর। সহস্র সহস্র রথী তরবারি নিয়ে প্রস্তুত হল।
মহাবীর ইন্দ্রসেন পূর্ব দ্বারে নিযুক্ত হল।
উত্তর দ্বারে অনিরুদ্ধকে(কৃষ্ণের পৌত্র) নিয়োগ করা হল। ষাট সহস্র যোদ্ধা তার সাথে রইল।
সাত্যকি(কৃষ্ণের ভক্ত, যদুবংশীয় বীর, সত্যকের পুত্র ও শিনির পৌত্র) দক্ষিণ দ্বারের ভার নিলেন। বিশ সহস্র রথী তার সাথে থাকল।

পশ্চিম দ্বারের ভার পেল ধৃতরাষ্ট্রের বীরপুত্রেরা। তাদের সাথে অযুত পরিমাণ রথী যুগল রইল। সকলের হাতে নিগড়(বেড়ি) বেত ও নানা অস্ত্র, সেসব নিয়ে তারা দ্বারে রক্ষণ দেয়।

সকলকে দেখার জন্য বৃকোদর ভীম এক লক্ষ রথীকে নিয়ে নিরন্তর ভ্রমণ করতে লাগলেন।
রাজাদের আগমনবার্তা জ্ঞাত করবার অধিকার পরল দুই মাদ্রীকুমার নকুল ও সহদেবের উপর।

এভাবে সবাইকে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত করে ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির যজ্ঞ আরম্ভ করলেন।

দূত মুখে নিমন্ত্রণবার্তা পেয়ে সসৈন্য রাজারা যজ্ঞ স্থানে উপস্থিত হতে লাগল। তাদের সাথে তাদের প্রজারা-দ্বিজ, ক্ষত্র, বৈশ্য, শূদ্র সকলে আনন্দ করতে করতে আসতে লাগল। সকল রাজারা পাণ্ডবদের উপর প্রীত হয়ে সঙ্গে নানাবর্ণের বিভিন্ন রত্ন উপহার আনল।
কেউবা পৌরুষ দেখাবার জন্যেও প্রচুর রত্ন মানিক্য সঙ্গে আনল। কেউ কেউ যজ্ঞের কারণে বহু ধন দান করল। হাতি, উট, বৃষের শকট ভর্তি করে, নৌকা ভরে ভরে বৈদূর্য্য মণি, মরকত, নীলা, প্রবাল, মুক্তা, হীরা, প্রচুর সুবর্ণ যেমন এল, তেমনি বিচিত্র বসন, নানাবর্ণের শাল-সেসব নানাবর্ণের কীটের তৈরী, নানা পশুর লোমের অপূর্ব নির্মাণ। হাতি, ঘোড়া, রথ, পত্তি(পদাতিক সৈন্য), গবী অগণিত এল।

চতুর্দোলায় করে দিব্যসুন্দরী নারীরা আসতে লাগল। তাদের তমাল শ্যামল অঙ্গ, কুরঙ্গ(হরিণ) লোচন। সঙ্গে প্রচুর অগুরু চন্দন কাষ্ঠ, কুঙ্কূম, কস্তূরী। তাদের সাথে খাঁচায় করে এলো তাদের নানাবর্ণের পোষা পাখি।

এভাবে পৃথিবীর সব রাজারা দূত মুখে আমন্ত্রণ পেয়ে সপরিবারে আসতে লাগলো।
উত্তরে হিমাদ্রি পর্বত থেকে দক্ষিণে লঙ্কাদেশ, পশ্চিমে সিন্ধু নদী থেকে পূর্বে সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পথ দিবানিশি মানুষের ঢল। সকলের গন্তব্য রাজসূয় যজ্ঞ স্থল।

হাতি, ঘোড়া, রথ, পত্তি সঙ্গে নানা বাদ্যযন্ত্র, ধ্বজা, ছত্র, পতাকায় মেদিনী(পৃথিবী) ঢাকল। জল-স্থল, উচ্চ-নীচ ক্ষিতিকে (পৃথিবী) আর দেখাই যায় না। দিবারাত্রি অবিশ্রাম লোকের যাতায়াত চলতে থাকে।

চারদিক থেকে সব রাজা এসে সভার দ্বারে উপস্থিত হলেই ধনঞ্জয় সকলকে সাদরে অভ্যর্থনা করে তাদের গৃহে নিয়ে যান।

তেমনি দিনরাত ধরে আসমুদ্র হিমাদ্রি থেকে কত যে দ্বিজ ব্রাহ্মণ এল গুণে শেষ করা যায় না।

রাজসূয় যজ্ঞের কথা কানে শুনে অনেকেই বিনা আমন্ত্রণে তা দেখতে উপস্থিত হল।
জলবাসী, স্থলবাসী, পর্বতনিবাসী লক্ষ লক্ষ যোগী ও সিদ্ধ ঋষিরাও উপস্থিত হল।
দ্রোণপুত্র অশ্বত্থামা সব ব্রাহ্মণ যোগীদের পূজা করে আসন দেয়।
এক কোটি দ্বিজকে অশ্বত্থামা পূজা করলো অনেক উপহার দিয়ে।
বহু ক্ষত্র, বৈশ্য, শূদ্র উপস্থিত হল। তাদের সেবার ভার দুঃশাসন নিল।
কোটি কোটি সুপকার(পাচক) দিয়ে রন্ধন করিয়ে অন্য বহু সুপকার দিয়ে পরিবেশন করান হতে লাগল।
এমনকি গৃহে গৃহে স্থানে স্থানে গিয়ে সুন্দর ভাবে খাদ্য পরিবেশন করা হতে লাগল।
এই কাজে দুঃশাসন প্রতি মুহূর্তে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে লাগল। তাকে তার অনুচরেরা বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করতে লাগল। পায়স, পিষ্টক, অন্ন, ঘৃত, দুগ্ধ, দধি-এমন পঞ্চাশ ব্যঞ্জন যথাবিধি মত চারি জাতের মানুষজন পৃথক ভাবে সেবা পেতে লাগল।

সুবর্ণ পাত্রে দ্বিজ ও নৃপদের পরিবেশন করা হল। চারিদিকে ‘খাও, খাও’, ‘লও, লও’ ধ্বনি শোনা গেল, আর কোন কথা যেন কেউ বলতে শেখেনি।
এরপর বিচিত্র পালঙ্ক শয্যায় আসন পেতে বসে, কুঙ্কূম-কস্তূরী-মালা গলায় দিয়ে, অগুরু-চন্দন মেখে, কর্পূর-তাম্বুল প্রীত মনে সেবন করতে লাগল। কোথা থেকে কে যে এত কিছু চাওয়া মাত্র উপস্থিত করছে বোঝা গেল না।

এভাবে স্বর্গের ইন্দ্রসহ সকল দেবতারা, পাতালের ভুজঙ্গরাজ, লঙ্কার বিভীষণ –দেব, দৈত্য, দানব, গন্ধর্ব, যক্ষ, রক্ষ, সিদ্ধ, সাধ্য, ভুজঙ্গ, পিশাচ, প্রেতপক্ষ, কিন্নর, বানর, নর যত পৃথিবীতে আছে সবাই দিনরাত যজ্ঞস্থান ঘিরে রইল।
দ্বাপর যুগে এভাবে অবাক করার মত এক যজ্ঞ শুরু হল। এমনটি ক্ষিতি মাঝে আগে আর হয় নি, পরেও আর হবে না।

সময় বুঝে কৃষ্ণ মুনিদের বলেন –রাজ অভিষেক কর্ম শুরু করা হোক!

কৃষ্ণের অনুরোধে মুনিরা অভিষেক শুরু করেন। নানা তীর্থের জল নিয়ে ধৌম্য, দ্বৈপায়ন, অসিত, দেবল, জামদগ্ন্য, পরাশর-আরো অনেক দ্বিজ মুনিরা স্নানমন্ত্র পড়তে থাকেন।
শুভক্ষণ দেখে ব্যাসদেব ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিরকে স্নান করালেন।
অম্লান বসন দিলেন গন্ধর্বরাজ চিত্ররথ(অঙ্গারপর্ণ)।
শিরে ধবল ছত্র সাত্যকি ধরলেন।
চেদিরাজ শিশুপাল পাগড়ি পরাল।
বৃকোদর ও পার্থ ব্যজন(বাতাস) করতে লাগলেন।
দুই মাদ্রীপুত্র নকুল ও সহদেব চামর দুলাতে লাগলেন।
অবন্তীর রাজা বিন্দ-অনুবিন্দ চর্ম পাদুকা দিল।
খড়্গ ছুরি নিয়ে মদ্ররাজ শল্য সামনে দাঁড়ালেন।
চেকিতান(যাদব যোদ্ধা) শর তূণ নিয়ে বামে দাড়াল।
কাশীর ভূপাল ধনুক নিয়ে দক্ষিণে দাঁড়ালেন।

নারদাদি মুনিরা বেদমন্ত্র উচ্চারণ করতে লাগলেন। দ্বিজ ব্রাহ্মণদের স্বস্তি ধ্বনি গগন স্পর্শ করতে লাগল।
গন্ধর্বেরা গীত শুরু করল, অপ্সরারা নৃত্য।

শ্রীহরি পঞ্চজন্য বাজিয়ে চারদিক ধ্বনিত করে তোলেন। সেই শঙ্খের শব্দ গগনভেদ করল। সভার সকলে সেই শব্দে ঢলে পড়ল।
কেবল বাসুদেব, পঞ্চপাণ্ডব, পাঞ্চাল নন্দন ধৃষ্টদ্যুম্ন ও সাত্যকি এই আটজন স্বজ্ঞানে রইলেন।

ধর্মপুত্র শেষে সেই শঙ্খনাদের মোহ নিবারণ করলেন।

দ্বৈপায়ন আদি মুনি সহ ধৌম্য রাজপুরোহিত বেদ অনুসারে যুধিষ্ঠিরের অভিষেক করলেন।

সভাপর্বের সুধারস এই রাজসূয় কথায়, কাশীরাম দাস কহেন এই ভারতের গাঁথা।
......................................
উৎসর্গ: সকল ব্লগার বন্ধুকে
.....................................
আগের পর্ব:

কথাচ্ছলে মহাভারত - ১৩৩ Click This Link

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: অনেক পর্ব পড়া হয় নি।
তাই কিছুটা ছন্দপতন।
:)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, রাতুল_শাহ ! সময় করে পড়ে নিন :)

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪

আরজু পনি বলেছেন: দীপা,
আশাকরি আপনার সব পর্ব মিলে কখনো আপনার নামে বই পড়ার সুযোগ পাবো।
এই যে ধৈর্য ধরে লিখে চলছেন এর কোন তুলনা নেই।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, আরজু পনি!--- আপনাদের এত সুন্দর মন্তব্য মনকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে----আপনাদের আশীর্বাদ হয়ত বইও প্রকাশ হবে(যদি শেষ করে উঠতে পারি )----সাথে থাকবেন :)

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপান্বিতা ,



আগেরটি পড়া হয়নি, দেখেছি শুধু । সহব্লগার আরজু পনির সাথে সহমত ।

জানতে ইচ্ছে করে , ধর্মে চার্থে কামে চ মোক্ষে চ , অর্থাৎ ধর্ম-অর্থ-কাম-মোক্ষ এই চতুর্বর্গ সম্বন্ধে যাবতীয় তত্ত্বের আকর হোল "মহাভারত" ! তাই কি ? নাকি মহান ভরতবংশীয়দের জন্ম ও কীর্তি বর্ণনাই হলো - মহাভারত ?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস! ...... আমারও মনে হয় মহাভারতে সব কিছুই আছে :)

৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

Nayan Singha বলেছেন: আহমেদ জী এস সব কিছুই মহাভারতে আছে!!জ্ঞান, অর্থ কাম মোক্ষ!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

দীপান্বিতা বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.