নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যুগে যুগে আসি,আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতু

দিপ্২৪

দেশটাকে ভালবাসি। আর তাই নিজেকে বলতে চাই “আমি দূর্নীতি মুক্ত”। নিমন্ত্রণ আপনাকেও।

দিপ্২৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুনের রাজ্য

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২৭

বলতে পারবনে দেশে সবচাইতে বেশি খুন হয় কার দ্বারা ??? না, এর উত্তরে কোন ব্যাক্তির নাম নয়। এরা হচ্ছে ড্রােইভার। এরা আমাদের প্রিয় জনদের কাছে পৌছে দেওয়ার মত মহৎ কাজটি করে থাকে। আমরা বিশ্বাস করে আমাদের জীবন ও আমাদের মালামাল এদের হাতে তুলে দিই, কিন্তু এরা..................আসুন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে একটি পরিসংখ্যান দেখি-- সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পরিসংখ্যান নিয়ে সরকার, এনজিও এবং বিআরটিএ তিন ধরণের তথ্য দিচ্ছে । প্রকৃতপক্ষে বিআরটিএ, এনজিও এমনকি সরকারের কারো কাছে সঠিক পরিসংখ্যান নেই। সরকারি হিসেব অনুযায়ী প্রতিবছর ৩ থেকে ৪ হাজার, বেসরকারি ভাবে বলা হয় ১০ থেকে ১২ হাজার, অপরদিকে এনজিওদের মতে ২০ হাজারের ও বেশি প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। কিন্তু দেখুন রাজনৈতিক সহিংসতা কিংবা অন্যান্য কারনে প্রতি বছর ১০০০-১২০০ মানুষের মৃত্যু(হত্যা করা) হয়।

সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান এর দেয়া এক তথ্য মতে দেশে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন সাধারণ নাগরিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। সে অনুযায়ী বছরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ হাজার ৮শ’। তবে পুলিশের রেকর্ডে এ সংখ্যা বেশ কম। তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মাত্র। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে বাংলাদেশে বছরে ১২ হাজার আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডঐঙ) মতে ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় সড়ক দুর্ঘটনায়। মৃতদের শতকরা ৬০ ভাগ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অংশ এবং ২০ ভাগের বয়স ১৬ বছরের নিচে। হতাহতের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনায় অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা যা আমাদের জিডিপির দেড় থেকে দুই ভাগের সমান। সড়ক দুর্ঘটনা কমানো গেলে তিন বছরের ক্ষতির টাকা দিয়েই একটা পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব ।

আসুন এবার দেখি এরা কারা
দুই ধরনের ড্রাইভাররা এ ধরনের কাজটি বেশি করে থাকে
১/ বাস ড্রাইভাররা
২/ ট্রাক ড্রাইভাররা

১/ বাস ড্রাইভাররাঃ বাস ড্রাইভারদের ব্যপোরোয় ড্রাইভিং, এই খুনের জন্য উল্লেখ যোগ্য হারে দায়ী। যদিও এদের সময় মত পৌছানো, মালিকের চাপ বিআরটিএ এর দূর্বলতা সহ আন্যান্য কিছু কারনও রয়েছে, তারপরেও..............।
২/ ট্রাক ড্রাইভাররাঃ এরা ঠান্ডা মাথার খুনি। এদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এদের উপর কোন চাপ থাকে না । তার পরেও এদের ব্যপোরোয় ড্রাইভিং ওভারটেকিং সহ বেশ কিছু কারনে এই হত্যা বেড়েই চলেছে। এদের বেশির ভাগের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই কিংবা দুই নাম্বার। কয়েক দিন হেলপার থেকেই এরা ড্রাইভার বনে যায়। আবার বোশর ভাগ ক্ষেত্রেই সন্ত্রাসিক আচরনের কারনে গ্রামে টিকতে নাপেড়ে শহরে এসে হেলপার থেকে ড্রাইভার হয়ে যায় । এই সন্ত্রাসি মন মানসিকতাও এরা ছাড়তে পারে না।আর তাই..................................।
আসুন এই খুনিদের থামাই। এখনই সময়। সচেতন হই এবং সচেতন করি।
(এই পোস্টটি সব ড্রিইভারদের জন্য নয় কিছু ভালও রয়েছে তাদের আধিক্যই আমরা আমরা আশা কারি। )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.