নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেলাওয়ার জাহান। সাধারন পাবলিকের একজন। ভাব বা ভেটকিবাজি পছন্দ করি না।

দেলাওয়ার জাহান

পড়ি। লিখতে চাই। মরতে চাই না।

দেলাওয়ার জাহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষকের নুনু কেটে দেয়া ও অন্যান্য প্যাঁচাল

১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩

ইংল্যান্ডের টোরি দলের সাবেক মেয়র বারবারা ড্রাইভার এক সভায় বলেছিলেন, হোয়েন রেপ ইজ ইনএভিটাবল, লাই ব্যাক এন্ড এনজয় ইট। এর আগে একই ধরনের কথা নিয়ে ভারতেও তোলপাড় হয়। ভারতীয় পুলিশের একজন সবোর্চ্চ কর্মকর্তা রণজিৎ সিনহা। ছিলেন সিবিআই প্রধান। তিনি ভারতীয় নারীদের পরামর্শ দিয়েছিলেন, ইফ ইউ ক্যান নট প্রিভেন্ট রেপ, এনজয় ইট। তার এই বক্তব্য এমন একটি প্রেক্ষাপটে ছিল, ভারতে তখন গ্যাং রেপ মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়ে। রিপোর্ট সিবিআই প্রধানের অনুকূলে। ধর্ষণে শীর্ষ দশে চার নাম্বার পজিসানে ভারত।

গত কয়েকদিন যাবৎ ধর্ষণের ঘটনাগুলো নিয়ে মানসিক অস্থিরতায় আছি। আপন জুয়েলারসের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুক খুব গরম। অভিযোগ, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে। মামলার এজাহার বলছে, তাদের পুরোনো এক বন্ধু প্রধান আসামির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। পরিচয়ের সপ্তাহ দুয়েক পর তাদের দুজনকে আসামি তার জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত করে। পার্টিতে তাদের সে বন্ধুও ছিলো। অনুষ্ঠান শেষে তাদের ফেলে সে চলে যায়। ধর্ষিতা ৪০ দিন পর অভিযোগ করলো কেন, এ নিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে।

শালা মাগির দালাল- তাদের সে বন্ধুটিকে কেউ কেউ এভাবেই দেখছেন। মেয়ে দুটিও “মাগি” হিসেবে ট্যাগ হয়ে যাচ্ছে।

সাধারণত ২৪ ঘণ্টার পরে ধর্ষণের আলামত মুছে যায়। আদৌ ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে চিকিৎসকরা সংশয় প্রকাশ করেছে। আলামত না পেলে ছেলেরা সোনার মেডেল পাবে! দুঃখ লাগে যে ধর্ষণের জন্য পুরুষ মানুষটির তেমন কিছু আসে যায় না। সমাজে তার অবস্থানের তেমন পরিবর্তন হয় না।

বাংলাদেশের নারীরা নাকি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেপরোয়াভাবে, বেপর্দায় চলাফেরার কারণে ধর্ষণের শিকার হন বলে একটি মার্কিন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের একজন পুলিশ কর্মকর্তা! সুনামগঞ্জের ছাতক থানার ওই কর্মকর্তা এক প্রশ্নের জবাবে বলছেনঃ “অবৈধ মেলামেশা এবং প্রেমের কারণে নারী ধর্ষণের শিকার হন৷ তারা অধিকাংশ সময়ই সমঝোতার ভিত্তিতেই মিলিত হন৷ পরে জানাজানি হয়ে গেলে সামাজিক কারণে মামলা করেন৷।”

যে মেয়েটি ধর্ষণের মত এমন মর্মান্তিক ঘটনার মধ্যে দিয়ে যায়, তার প্রতি সহানুভুতি না দেখিয়ে বরং তার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ পোষণ করি। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মেয়েরা বিচারের দাবিতে থানায় যেতে ভয় পায়- হয় লোকলজ্জার ভয়ে না হয় পুলিশের ভয়ে।

পুলিশ কর্মকর্তার ওই মন্তব্যকে সুশীল সমাজ আনেক্সপেকটেড বলছেন তবে তার “সমঝোতা” বিষয়ক কথাটি সব সময় উড়িয়ে দেয়া যায় নাঃ
এক ছেলে ও তার নতুন বান্ধবী এক সন্ধ্যায় শহর থেকে একটু দূরে গাড়ী নিয়ে বেড়াতে বের হলো। গাড়ী কিছু দূর যাওয়ার পর একটা নির্জন জায়গা দেখে মেয়েটি গাড়ি থামাতে বলল। মেয়েটি বলল-”আসলে তোমাকে বলা হয়নি যে আমি একজন কল গার্ল এবং আমার রেট ২০০০ টাকা।” ছেলেটি অবাক না হয়ে তার দিকে তাকাল এবং তার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে দুজন মত্ত হলো। দৈহিক প্রশান্তির পর বান্ধবীর পেমেন্ট দিয়ে কিছুটা ক্লান্তি নিয়ে ছেলেটা একটা সিগারেট ধরিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ধোঁয়া ছেড়ে কুন্ডলী পাকাতে লাগল। তার নির্লিপ্ততা দেখে বান্ধবী ছেলেটি কে বলল- “আমরা বসে আছি কেন? চলো ফিরে যাই।” ছেলেটি আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল- “ও তোমাকে আগে বলা হয়নি আমি একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার, এখান থেকে শহরে ফেরার ভাড়া হচ্ছে ২৫০০টাকা।” পাঁচশো টাকা জরিমানা হতে দেখে মেয়ে চিৎকার করা শুরু করলে ছোকরার কপালে নগদ গনধোলাই জুটেছিলো।

ধর্ষণের পর কিছু কমন মন্তব্য শুনতে হয়ঃ “এক হাতে তালি বাজে না!, মাইয়ারা কি দুধে ধোয়া? মাইয়াগো চলন বলনের ঠিক নাই, কাপড় চোপড়ের ঠিক নাই, এমনে চললে তো ধর্ষণ হইবই! আরে মিয়া ধর্ষণের লাইগা তো মাইয়ারাই দায়ী! মাইয়াগো যদি পর্দা ঠিক না থাকে তাইলে তো ধর্ষণ হইবই! মাইয়া মানুষ পর্দা না করলে পুরুষ মানুষের তো নজর লাগতেই পারে ইত্যাদি!'”

একজন লিখেছেনঃ ধর্ষণের জন্য পুরুষ বা নারী নয়, দায়ী একসঙ্গে কয়েকজন- নৈতিকতা, মানবিকতা ও ধর্মীয় চেতনার অভাব।
দিল্লীর মেডিক্যাল ছাত্রী ধর্ষণের পর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেখেছিলামঃ “Do not teach us what to wear, teach your sons not to rape”

এই কথাটির প্রেক্ষিতে করা একটি মন্তব্য দেখুন-
“মিষ্টির দোকানে মিষ্টি ঢেকে না রাখলে তাতে মাছি বসবেই!”
এখন যদি দোকানদার দোকানের কাস্টমার কে বলেন-
“আমাকে বইল না মিষ্টি ঢেকে রাখতে, মাছিকে বল যাতে মিষ্টির উপর না বসে” কি বলবেন?

আরেকজন লিখছেনঃ বাংলাদেশে মেয়েদের অবাধ উগ্র চলাফেরা বা পর্ণগ্রাফি বন্ধের কথা বললেই তাকে মৌলবাদি হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয়। ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিকে যতদিন খাটো করে দেখা হবে ততদিন ধর্ষণ কমবে না।

নারীর পোশাক পুরুষকে ধর্ষণে ইন্ধন যোগায় বলে কেউ কেউ দাবি করছে। কিন্তু একটি শিশুর জন্য পর্দা কতটুকু প্রয়োজন? আপনি বা আপনার মতো মানুষেরা যারা নারী নামের রসগোল্লা খোলা দেখলেই নিজের লালসা সংবরণ করতে পারেন না তাদের কাছে একটি শিশুও কেমন করে সমান যৌন উদ্দীপক হতে পারে?

আরেকজন লিখছেনঃ আপাত দৃষ্টিতে প্রত্যক্ষভাবে ধর্ষিতা কোনভাবেই দায়ী নয়। তবে যখন বলা হবে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করা হয়েছে এক্ষেত্রে ধর্ষিতার অপরাধ এড়ানো যায় না।

বনানি ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে সাফাতের বাবা দিলদার সেরকমই দাবি করছেঃ “সেই রাতে যদি কিছু হয়ে থাকে সেটা আপসেও হতে পারে। ধর্ষণ হলে নিশ্চয়ই মামলা করার জন্য ৪০ দিন অপেক্ষা করতো না তারা।” পুলিশ আর আদালতের প্রমাণসাপেক্ষ বিষয়।

খবরে প্রকাশ, ধর্ষণ প্রতিরোধে সক্ষম এক ইলেকট্রিক ব্রা তৈরি করেছে একদল ভারতীয় প্রকৌশলী৷ এই অন্তর্বাস ধর্ষকের দেহ পুড়িয়ে দিতে সক্ষম৷ তবে কবে নাগাদ এটি বাজারে পাওয়া যাবে তা এখনো জানা যায়নি৷ আপনি আন্ডার ওয়ার ছাড়া প্যান্ট পইড়া ঘুরবেন, আর মেয়েদের পরাবেন ইলেকট্রিক ব্রা নয়তো বোরকা। বড়ই সৌন্দর্য! অভাগীরা যুগ যুগ ধরে বুকের আগুনে পুড়ছিলো, এখন ইলেকট্রিক ব্রার আগুনে কবে পুড়ে মরবে।

আজ যারা মেয়েদের বোরকা পরানোর কথা বলছে, তারাই দেশে বোরকা বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় গতকাল আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলো। অনলি হিপোক্রেসি ইজ রিয়াল।

শিক্ষকঃ চরিত্রবান হতে চাও তো এখন থেকে সমস্ত মহিলাদের মা বলে ডাকা শুরু কর।
ছাত্রঃ তাতে আমার চরিত্র তো ঠিক থাকবে, কিন্তু আমার বাবার চরিত্র ?
ঠেকাবেন কাকে? বাপ দিলদারও যা, বেটা সাফাতও তা। কৌতুকের উপরোক্ত ছাত্র-শিক্ষককেই ভরসা কী? পরিমল জাস্ট একটা এক্সাম্পল।

একজনের স্ট্যাটাস দেখলামঃ “শুধু শিয়ালের নয় মুরগিরও দোষ আছে।”
মুরগি প্রসঙ্গ এসেই গেলো। ক্যাম্পাসের কিছু পলিটিক্যাল বন্ধু মেয়েদের মুরগি বলে। পটিয়ে বিছানায় নেয়াকে বলে মুরগি খাওয়া বা মুরগি ধরা।

একটা ফোন বুথে এক ছেলে লিখে রাখছেঃ বিড়াল হইতে সাবধান, দুধ খাবে কিন্তু!
এক মেয়ে সেটা দেখে লিখছেঃ বানর হইতে সাবধান, কলা খাবে কিন্তু!

দুই “কিন্তু” এক হলে আর লাগে কি! বিড়ালমার্কা ছেলেদের সঙ্গে কলাখোর বানরগুলাই মজে। সম্মতি সাপেক্ষে মজামজি আইনে জায়েজ। এদেশের মানুষ কমসে কম জুম্মা পড়ে, ঈদগাহ যায়। আইন দেখিয়ে পার পেয়ে যাবেন এইটা এখানে ভাবতে না যাওয়াই ভালো।

দেখলাম কেউ কেউ ধর্ষকের নুনু কেটে দেবার দাবি করছেন। পাবলিকের হাতে পড়লে সাফাতদের সোনা কেটে লাল হয়ে যেত বটে তাতে বাপের সোনা ব্যবসা লাটে উঠত বলে মনে হয় না। এই দাবি কিছুটা উত্তেজনা তৈরি করে বাট সাউন্ডস ক্রুয়েল। দেশের বিদ্যমান আইন নুনু কাটা সমর্থনও করে না। আবার নুনু কেটে ফেলা বা খোজাকরনের মত শাস্তির ব্যবস্থা করতে গেলে “গেলো গেলো দেশ রসাতলে গেলো, সৌদি আরব হয়ে গেলো” ইত্যাদি বলে পোলটিবাজ জনগণ ফের মাতম শুরু করবে।

সাফিনাজ আরজু লিখছেনঃ একটা দ্রুত বিচার আইন করা দরকার যেখানে ৩-৪ মাস সময়ের মধ্যে শাস্তি কার্যকর করা হবে আর সর্বনিম্ন শাস্তি হবে যাবজ্জীবন। সৌদির কাটাকুটির আইনের তো গোড়াতেই গলদ, খাঁটি শরিয়া আইন মানলে তো ওখানের একটা শেখেরও বংশদন্ড অক্ষত থাকবে না।

বংশদণ্ড কেটে ফেলার একটা গল্প পেয়ে গেলাম। কৃতিত্ব এক বাংলাদেশির।

বিদেশের এক রেস্টুরেন্ট। তিনজন বাবুর্চি সেখানে কাজ করে। একজন চাইনিজ, একজন জাপানিজ আরেকজন বাংলাদেশি। তিনজনের ভিতর খুব রেষারেষি। একদিন একটা মাছি ঢুকছে কিচেনে। সাথে সাথে চাইনিজটা একটা ছুরি নিয়ে এগিয়ে গেলো। কিছুক্ষন সাইসাই করে চালালো বাতাসে। মাছিটা পরে গেলো চার টুকরা হয়ে। সে বাকি দুইজনের দিকে তাকিয়ে বলল, ” এইভাবে আমরা আমাদের শত্রুদের চার টুকরা করে ফেলি।”

আরেকদিন মাছি ঢুকতেই জাপানিজটা এগিয়ে গেলো। সাইসাই করে ছুরি চালালো। মাছি আট টুকরা হয়ে গেলো। সে বাকি দুইজনের দিকে তাকিয়ে বলল, ” এইভাবেই আমারা আমাদের শত্রুদের আট টুকরা করে ফেলি”

পরেরদিন মাছি ঢুকছে একটা। বাংলাদেশিটা এগিয়ে গেলো। বেচারা অনেকক্ষন ছুরি চালালো। হাপিয়ে গিয়ে এক সময় চলে এলো। বাকি দুইজন বলল, “কি, তোমরা তোমাদের শত্রুদের কিছুই করো না?”

বাংলাদেশিঃ “হুমমমম…তোরা বুঝোস না কিছুই। এমন কাম করছি যে অই মাছি আর কোনোদিন বাপ হইতে পারবো না!”

হিপোক্রেসি সার্বজনীনঃ
-কমিশনার সাহেব বাসায় আছেন? আমার একটা চারিত্রিক সার্টিফিকেট দরকার।
-তিন মাস পরে আসেন, উনি নারীঘটিত কেসে ছয় মাসের জন্য জেলে আছেন।

চলুন আরেকটা পড়িঃ
ব্যাংকে বেশ বড় একটা লাইন। ডেস্কে বসে যে মেয়েটা টাকা ও চেক জমা নিচ্ছে সে কানে হেডফোন লাগিয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছে। ফাকে ফাকে কাজ করছে। লাইনে যারা দাঁড়িয়ে আছে সবাই বিরক্ত। একজনকে দেখে মনে হল তার বিরক্তির সীমা নাই। একটু পরপর বলছে, আর কত দাঁড়িয়ে থাকব? ভালো লাগেনা।

এক পর্যায়ে তার ধৈর্যচ্যুতি ঘটলো। সে লাইন ভেঙ্গে সবার সামনে এসে মেয়েটাকে বলল, তাড়াতাড়ি করেন। আমি সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকতে পারব না।
মেয়েটা হেডফোন সরিয়ে বলল, লাইন ধরেন।
-বালের লাইন ধরব আমি।
-বাজে কথা বলবেন না।
-মাগী তুই আমার চেক নিবি কিনা সেটা বল।
-খবরদার। আপনি বাজে ভাষা ব্যবহার করছেন। আমি ম্যানেজারকে ডাকতে বাধ্য হব।
-কুত্তী! যা তোর ম্যানেজারকে ডাক।

মেয়েটা ম্যানেজারকে ঠিকই ডেকে আনল। ম্যানেজার এসেই বলল, খারাপ ভাষায় কথা বলছেন কেনো? এইখানে সবাই সম্ভ্রান্ত লোক। আজেবাজে লোকদের এই ব্যাংক এ কোন কাজ থাকে না। এখন বলুন আপনার সমস্যা কি?

-আমি দশ কোটি টাকার এই চেকটা জমা দিতে এসে দেড় ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।
ম্যানেজার চেকটা হাতে নিল। টাকার অঙ্ক দেখল। ছোট্ট একটা শিস দিল। এরপর বলল, আপনি চেক নিয়ে এসেছেন, আর এই মাগী আপনার চেক জমা নিচ্ছে না!

এদেশে মোল্লা-পুরুত, ইউরোপে যাজক। বাংলাদেশে মসজিদে ইমামকর্তৃক ধর্ষণের ঘটনা পুরাতন। শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষিত। ঠাকুরগাঁয়ে মসজিদে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় এলাকাবাসীর বিক্ষোভের পর গত সপ্তাহে মামলা নিয়েছে পুলিশ। কিশোরীকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে ১০ বছরের জেল হয়েছিলো দিল্লির এক ৬৮ বছর বয়সি প্রৌঢ়ের৷ ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়। গতবছর ১৯ বছর বয়সী এক যুবতীকে ধর্ষণের দায়ে বেঙ্গালরুর দূর্গা পরমেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত হরিশচন্দ্ররাও ওরফে অপু ভটকে কর্ণাটক পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিলো। যাবেন কোথায়? কামনা না মানে মক্তব, না টোল না মন্দির। তার ধর্ম কেবল রাগ মোচন। দুর্জন মাস্টার বা হুজুর হলেও পরিত্যাজ্য।

ভারতের শিশু ও নারী অধিকার মন্ত্রনালয়ের ২০১২ সালের রিপোর্টে দেখা যায়, বিভিন্ন আশ্রমে ৫৩% শিশু তাদের ওপর ঘটা যৌন নির্যাতনের ঘটনা স্বীকার করেছে। ইসকন নামক সংগঠনটির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত ব্যাপক শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। দিল্লীর নেহেরু পার্ক সংলগ্ন টেম্পলে কয়েকদিন গেছি। বেঁচে গেছি!

রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রিস্ট ও নানদের হাতে হাজার বছর ধরে বিকৃত ও অমানুষিক উপায়ে শিশু যৌন নির্যাতনের অজস্র গল্প আছে। ১৯৫০ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে মার্কিন রোমান ক্যাথলিক যাজক ফাদার লরেন্স মার্ফির হাতে প্রায় ২০০ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হন!

এক চার্চে পাদ্রি নির্বাচন করা হবে। নির্বাচক মিঃ জন একজন যাজক। তিনজন আবেদন করলো। ঠিক করলেন জাগতিক বিষয়ে যার যত কম আসক্তি তাঁকে নিয়োগ দেয়া হবে। কামনার লেভেল পরীক্ষা করার জন্য তিনজনেরই বিশেষ অঙ্গে একটা ঘণ্টা বেঁধে তাদের সামনে এক সুন্দরীকে আনা হলো। ঘণ্টা বাজলেই আউট। তার বুকের কাপড় খুলতেই একজন বাদ পড়ে গেলো। এরপর তার নিচের কাপড় খোলা হলে আরেকজন বাদ পড়লো। হাতে থাকে এক। এইবার নির্বাচক সুন্দরীকে হাগ করতে শুরু করলেন। শেষ ব্যক্তিও আর ঠিক থাকতে পারলেন না- ঘণ্টা বাজিয়ে বাদ পড়লো। বাকি দৃশ্যে পারফর্ম করতে থাকলেন মহামহিম যাজক।

খোদ পোপরা পর্যন্ত একে একে সবাই ব্যভিচার আর সমকামিতার মতো জঘন্য পাপাচারে লিপ্ত। তবে পোপ শুধু মেরেই পার পায় না, মারাও খায়! পোপের গুয়ামারা খাওয়া নিয়ে ব্লগার কীর্তিনাশা একটি সরস গল্প দিয়েছেঃ

এক গে মরে গিয়ে স্বর্গের দ্বারে হাজির হয়েছে। দ্বাররক্ষী সেইন্ট পিটার ভালো করে তাকিয়ে তার আগাপাশতলা খুঁটে খুঁটে দেখার চেষ্টা করলেন। তারপর লোকটার জীবন বৃত্তান্ত দেখলেন ভালো করে। শেষে বললেন - তুমি তো দেখি জীবনে কোন পাপ করোনি। কেবল নিজের যৌন জীবনটাতে একটু ছ্যারাব্যারা বাধিয়ে ফেলেছো। তবে এ ব্যাপারে যেহেতু কিছু বলা নেই তাই আমি তোমাকে স্বর্গেই পাঠাচ্ছি। এখন আমার সাথে চল, তোমাকে স্বর্গে পৌঁছে দিয়ে আসি।

এই বলে পিটার একটা রাস্তা ধরে আগে আগে হাটতে লাগলেন আর গে লোকটা তার পিছে পিছে চলল। একটু পরে পিটারের হাত থেকে স্বর্গের চাবির গোছা রাস্তায় পড়ে গেল। তিনি নিচু হয়ে সেই চাবি তুলতে যেতেই গে লোকটা আর নিজেকে সামলে রাখতে পাড়লো না। এমন সুযোগ কি হাত ছাড়া করা যায়! সে হামলে পড়ে নিমেশে পিটারের পাছা মেরে দিল। এমন ঘটনায় পিটার হতভম্ব হয়ে গেলেন।

যাই হোক, পিটার নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন - দেখ, আমি সহজে উত্তেজিত হই না। তাই এবারের মতো তুমি বেঁচে গেলে। কিন্তু এমন ঘটনা যদি আবার ঘটাও তবে খুব খারাপ হয়ে যাবে বলে দিচ্ছি।

কিছু দূর যাবার পর পিটারের চাবির গোছা আবারও পড়ে গেল। তিনি নিচু হয়ে আবারো তা তুলতে যেতেই গে লোকটা আবারো ঝাপিয়ে পড়ল। আসলে এটা তার রক্তের ভেতর ঢুকে গেছে। তাই সে কিছুতেই নিজেকে ধরে রাখতে পাড়ল না। দ্বিতীয় বার গোয়ামারা খেয়ে পিটার এবার সত্যিই ক্ষেপে গেলেন, বললেন - ব্যাস্ আর আমি সহ্য করতে পারলাম না। তোমার হীন আচরনের জন্য তোমাকে নরকে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছি! এই কে আছিস, এই অসভ্য বর্বরকে নিয়ে এখনি নরকে ছুঁড়ে ফেল!!

মুহুর্তের মধ্যে দু’জন ফেরেশতা এসে গে লোকটার দু’হাত ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে তাকে নরকে ফেলে দিল।

তার বেশ কিছুদিন পর সেইন্ট পিটার রুটিন ভিজিটে নরক দেখতে গেলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি পুরো তাজ্জব হয়ে গেলেন। নরকের একি অবস্থা! যেখানে চারিদিকে দাউ দাউ আগুন জ্বলার কথা সেখানে কোথাও এক বিন্দু আগুনের ছিটে ফোঁটা নেই। নরক তখন এমনই ঠান্ডা মেরে গেছে যে সেখানে তুষারপাত হচ্ছে।

পিটার রেগে গিয়ে শয়তানকে খুঁজতে লাগলেন। দায়িত্বে অবহেলা করে কোথায় লুকিয়েছে ব্যাটা ? খুঁজতে খুঁজতে নরকের এক ঘুপচি জায়গায় তিনি দেখতে পেলেন তাকে। কিন্তু দেখে তো তিনি ভড়কে গেলেন। শয়তান ব্যাটা জবুথবু হয়ে একটা কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে কাঁপছে ঠক ঠক করে। পিটার আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলেন - একি অবস্থা তোর, শয়তান? তুই এখানে শুয়ে কাঁপছিস যে? ওদিকে নরকের আগুন নিভে গিয়ে তুষারপাত হচ্ছে।

শয়তান কঁকিয়ে উঠে বলল - আগুন জ্বালাইতে হইলে জ্বালানী কাঠ লাগে। সেইগুলা কুড়াইতে গিয়া নিচু হইয়া শ’খানেকবার গোয়ামারা খাইয়া খান্ত দিছি। এখন আপনের যদি সাহস থাকে, গিয়া পারলে কাঠ কুড়ানের জন্য নিচু হন!

পরকীয়া বেড়েছে। পরকীয়াকে ধর্ষণের একটি কারন হিসেবে দেখা হচ্ছে। একটা পুরনো কৌতুকঃ

বই পড়ে বালক জানতে পারল যে প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্করই অন্তত একটি করে গোপনীয়তা আছে যেটা কোন মূল্যেই প্রকাশ করতে রাজি নয়। সে মনে মনে ভাবল, এটা নিয়ে খানিকটা মজা করা যাক। সে তার মা’র কাছে গিয়ে বলল, মা আসল সত্যটা কিন্তু আমি জানি। মা চমকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ৫০ টাকা দিয়ে বলল, খবরদার সোনামানিক, তোমার বাবাকে বলো না!

তারপর সে আরেকদিন তার বাবাকে বলে বসল, বাবা আসল সত্যটা কিন্তু আমি জানি। বাবা চমকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ১০০ টাকা দিয়ে বলল, খবরদার জাদুসোনা তোমার মাকে বলো না!

বালক এতে দারুণ মজা পেয়ে গেল। তখনই দেখল তাদের বাড়ির সামনে দুধওয়ালা এসেছে দুধ দিতে। সে তার কাছেও দৌড়ে গিয়ে বলল, চাচা আসল সত্যটা আমি জানি।

দুধওয়ালা সে কথা শুনে দু’হাত বাড়িয়ে ছলছল চোখে বলে উঠল-
তবে আয় বাবা আয়, তোর আসল বাপের কোলে আয়!

আর প্রেম, ডেটিং অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। প্রেমে আবার পর্দা কিসের? কাসেম বিন আবুবাকারের হালাল প্রেম? তারে নিয়া বাঙালি বিস্তর হাসাহাসি করলো কয়দিন। নমুনা গল্পঃ

তিন টিনএজ বান্ধবী এক সাথে এক ফ্ল্যাটে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। শুক্রবার তিন বান্ধবী একসাথে ডেটিং এ বের হলো। সারাদিন ডেটিং করার পর কাকতালীয়ভাবে সন্ধ্যায় এক সঙ্গে বাসায় ফিরলো।

প্রথম বান্ধবী উৎফুল্ল ভাবে অপর দুজনকে বলল – রোমাঞ্চকর ডেটিং হচ্ছে বাসায় ফিরে যখন দেখবে তোমার পরিপাটি চুল এবড়ো থেবড়ো, নিজেকে আয়নায় দেখলে পাগলি মনে হবে সেটা।

দ্বিতীয় বান্ধবী উত্তেজিত হয়ে লাফিয়ে উঠে বলল – হলো না, সবচে রোমাঞ্চকর ডেটিং হচ্ছে বাসায় ফিরে যখন দেখবে তোমার সুন্দর মেকাপ নিঃশেষ হয়ে গেছে, ঠোঁটে লিপস্টিকের লেশ মাত্র নেই সেটা।

তৃতীয় বান্ধবী চুপ করে তাদের কথা শুনছিলো। অনেকক্ষণ পর নিজের অন্তর্বাস খুলে দেয়ালের দিকে ছুঁড়ে মেরে বলল – “সব চেয়ে রোমাঞ্চকর ডেটিং হচ্ছে এটা হারিয়ে ফেলা।”

অন্তর্বাস হারাতে পারেন। কিন্তু অন্যেরটা নিয়ে টানাটানির জোগাড় হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশে প্রতিদিন ১০ জন নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, হাজার হাজার ইভটিজিং। ২০১৬ সালে দেশে এক হাজারেরও বেশি নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। বাবা, চাচা, কিংবা ভাইয়ের হাতেও যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে শিশুরা। মানুষের ভেতরের কুকুর অর্থাৎ কুকুরের ভেতরের মানুষটাকে জলাতঙ্কের টিকা দেবে কে?

ঈশ্বর চীনের প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চাইলেন তার ইচ্ছা।

চীনের প্রেসিডেন্টঃ স্যার, আমার দেশ কবে অর্থনীতিতে স্বয়ং সমপূর্ণ দেশে পরিণত হবে? ঈশ্বর বললেন- আরও ২০ বছর লাগবে। চীনের প্রেসিডেন্ট চোখ মুছতে মুছতে বলতে লাগলেন হায় আমি বেচে থাকতে তা বুঝি আর দেখে যেতে পারব না।

বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টঃ স্যার আমাদের দেশের সব সমস্যা কবে শেষ হবে?

এবার ঈশ্বর হাউ মাউ করে কাঁদতে শুরু করে দিলেন-হায়রে তোদের সমস্যা যে কবে শেষ হবে তা বুঝি আমি আর দেখে যেতে পারলাম না।

তাহলে কি বাংলাদেশে ধর্ষণ সমস্যার সমাধান হবে না? একজন লিখেছেনঃ সঙ্কটটা কাঠামোয়, সঙ্কট পুরুষতন্ত্রে, সঙ্কট নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠীর মজ্জাগত প্রবণতায়। এটা শিলাখণ্ডের মতো দৃঢ় ও স্থায়ী হয়ে উঠেছে। তাই হঠাৎ করে কোনও একটা ঘটনায় বা দাবিতে মাঠে নামলেই হবে না। ভাঙতে হলে ক্রমাগত আঘাত ও নির্মাণ প্রক্রিয়ার মিথস্ক্রিয়ায় পথ করে নিতে হবে। আর আমাদের দুর্বলতাও বোধ হয় এখানেই। আমরা দীর্ঘমেয়াদে কিছু করতে সহজে রাজি হই না।

ঢাকা, ১৪.০৫.২০১৭

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

এরশাদ বাদশা বলেছেন: এটা কি ধর্ষনের প্রতিবাদ নাকি স্যাটায়ার....বুঝে উঠতে পারছিনা...

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: এই ধরে নিন একটা। এখানে প্রতিবাদ করে কি লাভ? আমরা আমরাই তো। প্রতিবাদ রাস্তায় তো দেখি না। স্যাটায়ার। ভালো থাকুন।

২| ১৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ধর্ষকদের খোঁজা করে দেওয়ার আইন এই এশিয়া মহাদেশের একটি দেশেই আছে। ভারতের একজন মাননীয় বিচারক ধর্ষকদের অন্ডকোষ কেটে দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: আমি জানি না তাদের লিখিত আইনে এটা আছে কিনা। আপনি যেটা বলছেন সেটা কি জুডিশিয়াল রুলিং? রুলিং হলে সেটা পরবর্তীতে ফলো করা যায়। জানাবেন প্লিজ।
#ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: এ নিয়ে একটি পোস্ট দিচ্ছি।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:১০

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম। ভালবাসা :)

৪| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধর্ষকদের অতি দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা গেলে এবং বিচারে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও সর্বনিম্ন শাস্তি আজীবন কারাবাসের বিধান করা গেলে ধর্ষণ হ্রাস পেতে পারে। অন্যথায় অরন্যে রোদন।

১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: অনেক সময় কঠোর আইন করেও অপরাধ কমানো যায় না। দেশে বিদ্যমান আইনগুলো যে শাস্তির প্রভিসান রেখেছে তাও কঠোর। নৈতিকতা, মূল্যবোধ এগুলো না থাকলে হয় না। পজিটিভ ল' দিয়ে আমরা সবকিছু রুখে দিতে পারি না। প্রতিটা রাষ্ট্রের নিজস্ব প্রিন্সিপুলস আছে, কাস্টমস আছে, আচার আছে। ধর্মীয় অনুশাসন আছে।
আপনি যেটা বলছেন সেটাও করা যেতে পারে। ওদিকে মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে জাতিসঙ্ঘ কাজ করছে!

৫| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আপু, লেখাটি পোস্ট করেছি। প্রথম পাতার একসেস নেই বলে আমার ব্লগে গিয়ে পড়তে হবে।

১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: সিয়োর। পড়ে আসছি।
ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.