নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেলাওয়ার জাহান। সাধারন পাবলিকের একজন। ভাব বা ভেটকিবাজি পছন্দ করি না।

দেলাওয়ার জাহান

পড়ি। লিখতে চাই। মরতে চাই না।

দেলাওয়ার জাহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাস্কর্যের রাজনীতিঃ দেশ ভেসে যাচ্ছে যাক ক্ষমতার চেয়ারটা যেন বাঁচে

২৬ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

আমাদের এলাকায় বকরি-পাড়া নামে একটা পাড়া ছিলো। আব্দুল্লা বকরি আমার ক্লাসমেট। নামকরণের শানে নুযূল এতক্ষণে পাঠকের বুঝে ফেলার কথা! রিউমারঃ এ পাড়ার এক লোক বকরি চরাতে গিয়ে নিজেই পাঁঠার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলো। অবাক হচ্ছেন? বিস্টিয়ালিটি বলে একটা টার্ম আছে। পর্ণ সাইটেও এরকম একটা ক্যাটাগরি আছে। ইয়োরোপের লোকজনের কুত্তা পোষা নিয়া বহুত মুখরোচক গল্প আগে বিশ্বাস হতো না। এখন অস্বীকার করি না।

একটা ভিডিও ছিলো এরকমঃ শো-রুমে সাজিয়ে রাখা প্লাস্টিকের মডেল/ডলের বুকে পাছায় হাত বুলাচ্ছে এক যুবক! ইদানিং বহুত প্রাঙ্ক বের হয়। ইউটিউবে সার্চ দিনঃ টাচিং ১০০ গার্লস বুবস ইন পাবলিক। গ্রিক দেবীর সুডৌল বুক। হেফাজতের ওজু নষ্ট হলে দোষ তো বাংলাদেশের!

সিনিয়র আলী ভাইয়ের কাছে গোঞ্জা মিয়ার গল্পটা শুনেছিলাম।
গোঞ্জা মিয়া ইমাম সাহেবকে জিজ্ঞেস করলোঃ ওজু ভেঙ্গে গেলে কী করবো? হুজুর বললেন, ক্যান আবার ওজু করবা। গোঞ্জা মিয়া জিজ্ঞেস করলোঃ ধরেন নামাজে দাঁড়িয়ে ওজু ভেঙ্গে গেলো। হুজুর বললেন, আবার ওজু করে নামাজে দাঁড়াবে। গোঞ্জা মিয়া ফের প্রশ্ন করলোঃ মনে করেন দু’রাকাত হয়ে যাওয়ার পর ফের নষ্ট হয়ে গেলো। আবার কি ওজু বানানি লাগবে? হুজুর বিরক্ত হয়ে বললো, গোঞ্জা মিয়া! তোমার নামাজ পড়া লাগবেনানে, তুমি পাইদ্যাই বেড়াও!

গ্রিক দেবীর অমন বুক আর লদলদে পাছা দেখে হেফাজত কতবার ওজু নষ্ট করবে আর কতবার রিনিউ করবে? তার চেয়ে “মূর্তি” সরানোই ভালো। পানি বাঁচে। কাপড়ও বাঁচে।

মূর্তি অপবাদ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্থাপিত গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলা হলো। খোদার কসম, মূর্তি ট্যাগ দিয়া রাতের আঁধারে ভাস্কর্য অপসারন দেশের পুটকি মারার পথ অবারিত করবে। “তুই মুসলমানের বাচ্চা, তোর পুটকি ফাটে কেন?”- বলতে চাচ্ছেন তো? ভবিষ্যতে জাতির জনকের ভাস্কর্য মূর্তি বলে অপসারণের ষড়যন্ত্র হলে জাতি হিসেবে মুখ দেখানো সম্ভব হবে না। আইন দিয়ে সন্ত্রাস কিংবা ষড়যন্ত্র ঠেকানো যায় না। আইন বড়জোর ভয় দেখাতে পারে। আইনের উদ্দেশ্যও তাই। শর্ষে ভূত থাকলে সে ভিন্ন আয়োজন- ওঝার নয়।

ভেলকিবাজির শিকার ইসলামের ইমেজ ধ্বংসকারী একটা জনগোষ্ঠীর কথা বলছি। হেফাজতি মুসলমানরা দেশ দেশ করে বটে তাদের সাম্প্রদায়িক চিন্তাটা জাতিগতভাবে লজ্জার। তাদের মামার বাড়ির আবদারে প্রগতিশীল রাজনৈতিক সরকারও বিক্রি হয়ে যায়। সুযোগে দাও মারে বাইরের ষড়যন্ত্র যারা দুনিয়ার রাজনীতিকে এক আঙুলে নাচায়।

প্রধান বিচারপতি বলেছেন, “সুপ্রিম কোর্টের সামনের ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে আমি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা চাই না। এটি সরিয়ে নেওয়া হোক।” “ন্যায় বিচারের প্রতীকী ভাস্কর্য হিসেবে ও সৌন্দর্যবর্ধনের অংশ হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ আমার ভাস্কর্যটি স্থাপন করেন।”- মৃণাল হক বলছিলেন। অবশ্য “ন্যায় বিচারের প্রতীকী ভাস্কর্য” না থাকলেও কিছু আসে যায় না। কোর্টে যাই বা না যাই, আমি সুপ্রিম কোর্টের তালিকাভুক্ত উকিল বটে! আদালতের ঘুষ খাওয়ার গল্প করলে অবমাননার মামলা খাইয়া ফাক হয়ে যাবো।
ভাস্কর্যের বিরোধিতাকারী ওলামাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেনঃ “আমি নিজেও এটা পছন্দ করিনি। বলা হচ্ছে এটা নাকি গ্রিক মূর্তি। আমাদের এখানে গ্রিক মূর্তি আসবে কেন? আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটা এখানে থাকা উচিৎ না। গ্রিকদের পোশাক ছিল এক রকম। এখানে আবার দেখি শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে। এটাও হাস্যকর হয়েছে।” পত্রিকা থেকে কোট করলাম।

শাড়ি পড়াতে নিশ্চয়ই গ্রিক দেবীর ইজ্জত যায়নি। দেশটা দুদিন পর চুড়ি পরে বসে থাকবে, প্রগতির ব্যাচেলররা চুক চুক করে দেবীর মাই চুষবে- তার বেলা?

শুধু মূর্তি না - সমান তালে ভাঙ্গা হচ্ছে ভাস্কর্য। একটারও তদন্ত হয় না।
২০০৮ সালে এয়ারপোর্টে “অচিন পাখী” শিরোনামে লালন ভাস্কর্যটি গুড়িয়ে দেয় বর্বরেরা। একই বছর মতিঝিলের বলাকা ভাস্কর্যটি ভেঙ্গে দেয় মৌলবাদীরা।

২০১২ সালে গুজব রটিয়ে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ মূর্তি ভেঙ্গে-পুড়িয়ে দেয়া হয়। সে বছর ফেব্রুয়ারীতে বনানীর নেভাল হেডকোয়ার্টারের সামনে মৃণাল হকেরই “অতলান্তিকে বসতি” ভাস্কর্যটি কে বা কারা ভেঙ্গে দেয়। তার কিছুদিন আগে নেভির পক্ষ থেকে ভাস্কর্যটিকে মূর্তি হিসেবে উল্লেখ করে সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল শিল্পী মৃণাল হককে!

২০১৩ সালে সিলেটে জুম্মার নামাজের পর জঙ্গি মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাংচুর ও মাতৃভাষা দিবসে দেয়া ফুলে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছিলো। সে বছর ঝিনাইদহের এক হাইস্কুল প্রাঙ্গনে স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ভাংচুর করা হয়।

মৃণাল হক বলে দিয়েছেন, “সব কিছুকে মূর্তি বলে তা সরানোর দাবি মেনে নেয়াটা হবে আত্মসমর্পণ। এরকম দাবি মেনে নিলে দেশে থাকার মতো পরিবেশ থাকবে না।” মাথামোটা মুসলমানদের খুশি করতে একটা কবিতার জন্যে ১৯৭৪ সালে কবি দাউদ হায়দারকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিলো। দেশ ভেসে যাচ্ছে যাক ক্ষমতার চেয়ারটা যেন বাঁচে।

এইসব আমি বলছি কেন? আমার জানের কি “হেফাজতের” দরকার নাই? নাকি বিনা ভিসায় জার্মানি যাওয়ার ফন্দি? লাথিটা আস্তে মারবেন প্লিজ, আমি ইন্ডিয়া যেতে পেলেই খুশি। ওখানকার পথ ঘাটও কিছুটা জানাশোনা আছে।

# দেলাওয়ার জাহান
ঢাকা, ২৬.০৫.২০১৭

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


কি হচ্ছে, বুঝতে সময় লাগবে!

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: # চাঁদগাজী দেখা যাক। রাজনীতির শেষ বলতে কিছু নাই। ঠিকই বলেছেন।

২| ২৬ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সাওরন বলেছেন: এন্ডিয়ান আবার এন্ডিয়া যাবে কী , বেহায়ার নেই লাজ নেই অপমান, মার পোড়ে না, মাসীর পোড়ে।

২৭ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: মার পুড়ছে বলে মাসি স্থির থাকতে পারে না। ইন্ডিয়া বলতে আপনার লাগছে? আমি দিল্লিতে ছিলাম ২ বছর বোকাচোদা। আপনি তো একটা কথার ছন্দ/ টোন ধরতে পারেন না। আমি ভারতের দালালি করছি? আর আপনিও কি তাহলে পাকিস্তান আর আরবের দালালি করছেন?

৩| ২৬ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সাওরন বলেছেন: মুসলিম নিক নিয়ে ফাতরামি, ইসলাম নিয়ে ইতরামী একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের বন্ধু সেজে এরাই সরকারকে বাঁশ দেয়র তালে আছে, জনমতকে ক্ষেপিয়ে।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: # সাওরন আপনার সাইরেন ঠিক করবেন প্লিজ। আমি মুসলিম নিক ব্যবহার করে লিখছি ক্যান ভাবলেন?

৪| ২৬ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

কানিজ রিনা বলেছেন: প্রধান মন্ত্রীর সিদ্ধাকে শ্রদ্ধা ভরেই নিয়েছি।
তেতুই হুজুরের জিহ্বায় জল আশা বন্ধ হবে
নাকি। নাকি তারা সুই হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে
বেড় হবে। দেশে একাত্তরের পাকিস্তান
হানাদার ইস্টাইলে ধর্ষন শুর হয়েছে। প্রধান
মন্ত্রীর সয্য ধর্য দেখে অবাক হচ্ছি। শিশু
কিশরী যুবতী বৃদ্ধা দেশের কোথাও না কোথায়ও প্রতিদিন ধর্ষন হচ্ছে।

তবে দেশে ৯০ ভাগ মুসলিম এর ভিতর
সচেতন মুসলিম ৬০ ভাগ আর সব গোড়া
মুসলিম। সফি হুজুরের সব চাওয়া পুরন
হবেনা। প্রধান মন্ত্রী শুধু এই সচেতন মুসলিম
একত্রে ডাকলেই হবে।

আর যা নিয়ে প্রশ্ন বিদ্ধ তা সরকারের সিদ্ধান্ত
মেনে নেওয়াই মঙ্গল। ধন্যবাদ,

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: # কানিজ রিনা আপনার অবস্থান ক্লিয়ার নয়। শেখ হাসিনার সব সিধান্ত আপনি ক্যান মেনে নিচ্ছেন? কিং ক্যান ডু নো রং? আপনি তবু সুন্দর করে বলেছেন, ব্যথা কম পাইছি আরকি !!!

৫| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সুন্দর চটি হইছে !

মূর্তি অপসারণের সিদ্ধান্তে পাঁঠাবৃন্দ নিজ নিজ বিচিতে কামড় দিবে ইহা জানা ছিল ! তাই বলিয়া এমন কামড় দিবে যে বিচিতে দাঁত আটকিয়ে যাইবে ইহা ভাবি নাই !

চালায়া যান ! দেলাময় গুপ্ত হইতে দেরি নাই !

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: # টারজান আপনি ভদ্রভাবে প্রতিবাদ করতেও শেখেননি। আপনি আমার নাম বিকৃত করে রুচি বিকৃতির পরিচয় দিলেন। আপনি ছাগু নাকি?

৬| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

কানিজ রিনা বলেছেন: টারজান ভাষা নগ্নতা ভালনা।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: ভালো থাকুন। সুস্থ্য থাকুন।

৭| ২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:০৬

খরতাপ বলেছেন: হিন্দুরা তাদের মন্দিরে যেসব মূর্তি বানিয়ে পূজা করে, কই হেফাজতিরা তো সেগুলি নিয়ে কোন টু শব্দও কোনদিন করেনি। কারণ মূর্তি না বানালে তাদের পূজাই হবেনা। কিন্তু মোড়ে মোড়ে এখন যেসব ভাস্কর্য টাইটেল ধারী যেসব মূর্তি শোভা পাচ্ছে, সেগুলো না বানালে কার কোন কাজ আটকে থাকবে। মূর্তি দেখলে কোন গ্রুপের যদি অজু ভাঙ্গে, তাহলে মূর্তি বানানোরই বা দরকার কি?

২৭ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩২

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: আপনাদের ওজু এতো ঢিলা ক্যান? ভাস্কর্য শিল্পকলার একটা অংশ। আপনি ক্যান সেগুলারে মূর্তি ট্যাগ দিচ্ছেন ভাই? হেফাজতে ইসলাম মানেই খারাপ সেটা তো বলিনি। তাদের রাজনৈতিক অবস্থান এতো দুর্বল যে সরকার তাদের লগে একটা রাজনৈতিক খেলা খেলল। জিতলো সরকার, হেফাজত ভাবল তারা জিতে গেছে!

৮| ২৭ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:২৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: @ কানিজ রিনা !

"প্রগতির ব্যাচেলররা চুক চুক করে দেবীর মাই চুষবে- তার বেলা?"
"গ্রিক দেবীর অমন বুক আর লদলদে পাছা দেখে হেফাজত কতবার ওজু নষ্ট করবে আর কতবার রিনিউ করবে?"

"খোদার কসম, মূর্তি ট্যাগ দিয়া রাতের আঁধারে ভাস্কর্য অপসারন দেশের পুটকি মারার পথ অবারিত করবে। “তুই মুসলমানের বাচ্চা, তোর পুটকি ফাটে কেন?”

----এগুলো কি বোরখা পড়া মন্তব্য ?

২৭ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: আপনি আমার লেখাটার ভুল ব্যাখ্যা করছেন। একটা সামান্য লেখার রিভিউ করতে গিয়ে তিনটা লাইন উঠিয়ে দিলেন। শুনুন, ব্লগে এসে আজাইরা সমালোচনা না করে গঠনমূলক কথা বলুন। গালিগালাজ কম করুন। মাহে রমজান এসে গেছে- আপনার দাড়ি জুব্বা লম্বা করুন। আমি আপনার জন্য দুয়া করবো। আমিও মুসলমানের ছেলে। তবে গোঁড়া নয়। নিজের সমালোচনা করতে পারি।

৯| ২৭ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

সাওরন বলেছেন: টারজান০০০০৭, কানিজ রিণাও ঐজাতের

১০| ২৭ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: # সাওরন আপনি কানিজ রিনারে ঐ জাতের বলে কি বুঝাতে চান? তাইলে আপনি আর টারজান এক জাতের? আপনাদের পাঁঠা কি একটাই ছিল?

১১| ২৭ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় দেলাওয়ার জাহান,
বুঝতে পারছি না, আপনি নিজেকে 'মুসলমানের ছেলে' পরিচয় দিলেন, আবার দেখি 'বর্বর', 'মৌলবাদি' ইত্যাদি বলে তথাকথিত আধুনিকতার দাবিদার ধর্মবিদ্ধেষী উগ্রদের মত করে, কথা-কাজে প্রকৃতার্থে যারা মুসলিম তাদের গালিগালাজও করলেন। নিজের পোস্টে আপনি নিজেই তো আত্মঘাতী গালিগালাজের অশুভ সূচনা করে দিলেন! প্লিজ, দয়া করে একটু ভেবে দেখুনতো, এই পোস্টে গালিগালাজ কি আপনিই শুরু করে দেন নি? এবং সেটাকে কোনভাবেই কি আত্মঘাতী না বলে উপায় আছে?

একান্ত অনুরোধ থাকবে, দয়া করে নিচের পয়েন্ট দু'টো মনযোগের সাথে দেখুন। নির্জনে একটু গভীর অনুভূতি নিয়ে চিন্তা করুন। এরপরে যদি মতামত জানান, কৃতজ্ঞতা থাকবে।

১. আপনি যদি ইসলামের মূল আদর্শ আঁকড়ে ধরে থাকেন, অবশ্য্ই আপনি অকপটে নিজেকে একজন মৌলবাদি বলে দাবি করার সতসাহস বুকে পোষন করবেন।

২. অন্যথায়, আদর্শচ্যূত, কাজে-কর্মে ভিন্ন ধর্মের ফলোয়ার, ধর্ম-কর্মহীন নামে মাত্র মুসলিম দাবিদার হলে, কেবলমাত্র তাদের পক্ষেই কোন সত্যিকার মুসলিমকে 'মৌলবাদি' বলে গালি দেয়া সম্ভব। তা্ই নয় কি?

আল্লাহ পাক আপনার প্রতি তার রহমতের দরজাকে খুলে দিন। আমাদের সকলকে তিনি মাফ করুন। ভাল থাকবেন, ভ্রাতা।

২৭ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: মুনশি ভাই, কথা ও কাজে প্রকৃত মুসলমানরা দাবি করেন ইসলামে মূর্তিপূজা হারাম। কিন্ত ভাস্কর্যের কে পূজা করতে যাচ্ছিলো বলুন? যদি ধরে নেই যে ওটা মূর্তি তবু কি কেউ পূজা করছিলো? তাহলে শুধু অপসারনে কি হাসিল হলো? একটু সরিয়ে আবার তো সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণেই রাখা হয়েছে। হেফাজত ভাবছে তারা জিতে গেছে, আসলে জিতেছে সরকার। হেরেছে আওয়ামী লীগ।

আমি মৌলবাদী বা বর্বর বলেছি এ কারণে যে তারা বলেছে দেশের একটাও ভাস্কর্য রাখবো না। তাহলে কি তারা শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙতে পারবে? জাতির জনককে তারা অস্বীকার করে কি? ভাস্কর্য তো শিল্পকর্ম। মুসলিমরা কি ভাস্কর্য বা শিল্পকর্ম শ্রদ্ধা করে না?
আবার হিন্দু ভায়েরা নিজেদের বিশ্বাস মতে মূর্তিপূজা করে। তাদের মন্দিরে হামলা হতে দেখা যায়। ধর্মীয় স্বাধীনতা কোথায় থাকলো তবে? ইসলাম ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নিষিদ্ধ করেছে। তাহলে আমরা ক্যান করবো?

জি আমি একজন মুসলমান বলেই আরেজন মুসলমানের ভুল শুধরানোর কথাই বলেছি। ভাষা কিছুটা অশালীন হয়ে গেছে। আজ মুসলমানদের পতনের কারণ নিজের দোষ না দেখে ধর্মীয় ব্যাপার স্যাপার আর গোঁড়ামি নিয়ে বাড়াবাড়ি। মুনাজাত করা যাবে কি যাবে না এ নিয়েই এরা অস্থির।

আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। সুন্দর ভাষায় মন্তব্য করেছেন। কয়েকজন আমাকে গালি দিয়ে মন্তব্য করেছে। তাদের জন্যও শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.