নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হাবিব।বয়স ২২।বয়স যত বাড়ছে স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার লিস্ট তত বাড়ছে :

এজজিলারেটেড উইন্ড

আমি হাবিব।বয়স ২২।বয়স যত বাড়ছে স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার লিস্ট তত বাড়ছে

এজজিলারেটেড উইন্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

জর্জ ডব্লিও বুশের জন্মদিনে শুভেচ্ছা

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৪০

আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের জন্মদিনে নিরন্তন শুভেচ্ছা।

এক ধনাঢ্য ক্ষমতাপাগল পরিবারে ৭ই জুলাই তিনি জন্ম নেন।


পিতা সিনিয়র বুশও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং সাফল্যের সাথে গালফ ওয়ারে জয়লাভ করেন। একই সময়ে কোল্ড ওয়ারে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভেঙ্গে বিশ্বব্যাপি কমিউনিজমের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিতে জোড়ালো ভূমিকা রাখেন ও অনেকটায় সফল হোন। বুশ পরিবার আদিকাল থেকেই কট্টর রক্ষণশীল রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক।


পিতা সিনিয়র বুশের আদর্শ ফলো করতেই তরুণ জর্জ বুশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন বুনেন এবং ইউএস এয়ারফোর্সে কম্বেট পাইলট হিসেবে সাফল্যের সাথে বিভিন্ন যুদ্ধ পরিচালনা করেন।

জর্জ বুশ ২০০০ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বব্যাপি সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্ক ধংস করার ঘোষণা দেন।

তিনিই প্রথম রাষ্ট্রনেতা যিনি দুনিয়াব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন।তার আহবানে ও অন্যান্য মিত্ররাষ্ট্রের সহায়তায় মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস দমনে শুরু হয় বিখ্যাত "ওয়ার অন টেরর"। এরই ধারাবাহিকতায় আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের উচ্ছেদ ও
আল-কায়েদা দমনে স্থানীয় উত্তরাঞ্চলীয় জোট ও পাকিস্তানের সহায়তায় সামরিক হামলা পরিচালনা করেন। তার আমলে মার্কিন সেনাপ্রধান আবিজাইদ,পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল,প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড,ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শেরনসহ অস্ট্রেলিয়া,ফ্রান্স,ভারত আরব বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্র এযুদ্ধে আমেরিকার পাশে এসে দাঁড়ায়। যুদ্ধের মূল লক্ষ তালেবান নেতা মোল্লা ওমর ও আলকায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে জীবিত অথবা মৃত পাকড়াও করা।যদিও জর্জ বুশের আমলে এদুজনকে ধরা সম্ভব হয় নি তবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এযুদ্ধ ২০০৩ সালের মার্চে আফগানিস্তান ছাড়িয়ে ইরাকে পৌছে যায়।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জর্জ বুশ ইরাক আক্রমণ করেন।প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন বন্দি হন এবং ২০০৬ সালে তাঁর ফাসি কার্যকর হয়।

পরবর্তীতে সন্ত্রাসবিরোধীযুদ্ধে জোড়ালো ভূমিকা রাখায় মার্কিন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য বুশ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন হন।তবে সন্ত্রাসবিরোধীযুদ্ধের সবচেয়ে বড় ভূমিকাটি রাখের তার পরবর্তি রাষ্ট্রপ্রধান বারাক হোসেন ওবামা।ওবামার অধীনে মার্কিন বাহিনী পাকিস্তানে পলাতক ওসামা বিন লাদেনকে নিরাপদে হত্যা করে লাশ আফগানিস্তানে উড়িয়ে নিয়ে আসে। যদিও সন্ত্রাসবাদবিরোধী দীর্ঘ এই লড়াই এখনও বিদ্যমান কিন্তু গত ২ বছরে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন আতঙ্ক আইএস(ইসলামিক এস্টেট অফ ইরাক এন্ড সিরিয়া) এবং আইএসএল(ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক,সিরিয়া এন্ড লিবিয়া) এর আগমন ঘটায় মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ভবিষ্যত নিয়ে অনেক উদ্বেগ ও উৎকনঠা দেখা দিয়েছে।



ব্যক্তিজীবনে বুশ দুই কন্যার জনক।এই ক্ষমতাবান পরিবারের আরও একজন সদস্যকে ভবিষ্যতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:২৯

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
অভিশপ্ত বুশ পড়িবার বিলীন হোক কামনা করি।

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:৩০

এজজিলারেটেড উইন্ড বলেছেন: অভিশাপ দিছে কে?

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

এহসান সাবির বলেছেন: বুশ ভাইকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা......!!!!

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:৩৩

এজজিলারেটেড উইন্ড বলেছেন: শফিকুর রেহমানের পক্ষ থেকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

েবনিটগ বলেছেন: জারজ বুশ খায় ঘুশ

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:৩২

এজজিলারেটেড উইন্ড বলেছেন: সোর্স?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.