নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হাবিব।বয়স ২২।বয়স যত বাড়ছে স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার লিস্ট তত বাড়ছে
আজ ছিল কারগিল যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির দিন। ১৯৯৮ সালে কারগিল যুদ্ধ হয়।অথচ এখনও স্পষ্ট নয় ভারতের জয়ের দাবী সত্যি কথা নাকি পাকিস্তানের জয়ের খবরই সত্য?
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশারফ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী।
ভারতের পক্ষে দাবী করা হয় পার্লামেন্ট ভবনে হামলার জবাবে ভারত কারগিল যুদ্ধের সূচনা করে এবং ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের অনেকাংশে ঢুকে পড়ে।
পাকিস্তানের পক্ষে দাবী করা হয় ভারত কাশ্মীর দখল করার জন্য পাকিস্তানকে আক্রমণ করে।পাকিস্তান পালটা জবাব হিসেবে ভারত আক্রমণ করে বসে ও ভারতীয় বাহিনী পিছু হটে।
উইকিপিডিয়াতেও স্পষ্ট করে কিছু লেখা নাই কে জিতসে উলটা এখানো দেখানো হয় ভারত নাকি পাকিস্তানের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।
ভারতের শক্তি বেশী না পাকিস্তানের? ভারতীয় মিডিয়ায় খবর অতিরঞ্জিত করা হয় এটা জানা কথায়।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৫১
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: অতিরঞ্জনে কারো কারো মনোরঞ্জন হতে পারে কিন্তু সত্যখন্ডন হয়না
কারগিলের যুদ্ধ চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কাশ্মীরের জনগণ কতটা স্বাধীনতাকামী
১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে এমনকি ভারত অধ্যূষিত কাশ্মীরের জনগণ প্রতিবাদ স্বরূপ পাকিস্তানকে সমর্থন করে স্বাধীণতার দাবীতে।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯
এজজিলারেটেড উইন্ড বলেছেন: আমার প্রশ্ন কে জিতেছে?পাকিস্তানের ভেতরে ভারতের সেনাবাহিনী ঢুকে গিয়েছিল এটা কতটা সত্য
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
এজজিলারেটেড উইন্ড বলেছেন: পাকিস্তানের সামরিক শক্তি বেশী ভারতের চেয়ে।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
এজজিলারেটেড উইন্ড বলেছেন: ভারত কখনই সামরিকভাবে শক্তিশালী ছিল না।
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০
এজজিলারেটেড উইন্ড বলেছেন: পাকিস্তানের সাথে ভারত কখনও পারে নি এবং এখনও পারে না।
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
মাসূদ রানা বলেছেন: আমার প্রশ্ন কে জিতেছে?পাকিস্তানের ভেতরে ভারতের সেনাবাহিনী ঢুকে গিয়েছিল এটা কতটা সত্য
@এজজিলারেটেড উইন্ড, প্রকৃত ঘটনা হলো :
কারগিল যুদ্ধটা শুরু হয়েছিল মুলত কাশ্মীরি স্বাধীনতাকামীদের সাথে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর । পরে ভারতীয় এয়ার ফোর্স কাশ্মীরে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে তাদের বাচাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আর চীন ইনভল্বড হয় এবং ভারতের টাইগার হিল, পয়েন্ট ৫৩৫৩ সহ আরও বেশ কিছু এলাকা দখল করে নেয় । পরবর্তীতে ভারত তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে টাইগার হিল পূনরুদ্ধার করলেও পয়েন্ট ৫৩৫৩ হাতছাড়া করে ।
এমন অবস্থায় কোনঠাসা ভারতীয়রা অবশেষে আম্রিকার কাছে পাক বাহিনীর নামে বিচার দেয় ("পাকিরা আমাদের মারছে !" । পরে আম্রিকার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে পাক বাহিনী যুদ্ধ থেকে সরে আসে। তবে যুদ্ধকালে দখল করে নেয়া ভারতীয় সীমানার ভেতরের পয়েন্ট ৫৩৫৩ এ এখনো তাদের দখল অব্যাহত রেখেছে ।
ভারত আর পাকিস্তানের অফিসিয়াল ডাটা মতে ভারতের প্রায় ৫ শতাধিক ও পাকিস্তানের প্রায় ৩ শতাধিক সেনা নিহত হয় । আনঅফিসয়াল সোর্স মতে ভারতের পাচ সহস্রাধিক ও পাকিস্তানের তিন সহস্রাধিক সেনা ও বেসামরিক মানুষ নিহত হয় ।
রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে ভাবা হয় যুদ্ধ শেষে ভারত বেশী বেনিফিসিয়ারী হয়েছিল । কারন ভারত চাচ্ছিল যুদ্ধ বন্ধ করাতে আর পাকিস্তান চাচ্ছিল যুদ্ধ চালিয়ে যেতে এবং কাশ্মীর পুরোপুরি দখল করে নিতে । ভারত বিভিন্ন কুটনৈতিক ততপরতা চালিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বিচার দিয়ে দিয়ে অনেক কষ্টে পাকিস্তানকে যুদ্ধ থেকে নিবৃত্ত করতে সক্ষম হয় ।
আর ট্যাকনিক্যাল দৃষ্টিকোন থেকে পাকিস্তানই বেশী লাভবান হয়েছিল।
সোর্স : Some “Facts” about Kargil Conflict, 1999
আশা করি পূর্নাংগ ধারনা দিতে সক্ষম হয়েছি । ধন্যবাদ ।
৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০১
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এই যুদ্ধ ছিলো পাকিস্তানী জেনারেলদের চিরায়ত বেকুবগিরির আরেকটা উদাহরন।
পাকিস্তানী সেনারা ছদ্মবেশে কাশ্মীরি জঙ্গীদের সহ লাইন অফ কন্ট্রোল পেরিয়ে ভারতীয় কাশ্মীরে প্রবেশ করে। উদ্দেশ্য ছিলো কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে চাপে ফেলা আর সিয়াচেন গ্লেসিয়ার থেকে ভারতের সোইন্য প্রত্যাহারের দাবী জানানী, এছাড়াও অপারেশন মেঘদুতের বদলা হিসেবেও দেখা হয়।
প্রাথমিক সাফল্যের পর কিছ পয়েন্ট দখল করতে সক্ষম হলেও ভারত পালটা আক্রমন শুরু করে। কিন্তু উচুতে অবস্থানগত সুবিধার কারনে পাকিস্তানী সেনা এবং জঙ্গীদের হটাতে বেগ পেতে হয়। প্রধানত ভারতীয় বিমান আক্রমনের মুখে পাকিস্তানীদের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। আর ভারতীয় সেনারা নীচ থেকে আক্রমনে যাবার কারনে ক্ষতির মুখে পরে। কাদের বেশি ক্ষতি হয়েছে এটা প্রশ্নবিদ্ধ। তবে ভারতীয়রা তিনটী বিমান হারায়।
ভারত প্রায় সব অধিকৃত অঞ্চল আবার দখল করে নেবার পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পাকিস্তানীরা আবার লাইন অফ কন্ট্রোলের আগের অবস্থানে চলে যেতে বাধ্য হয়।
এই যুদ্ধে পাকিস্তানের লাভের লাভ কিছুই হয়নি বরং ভারতীয়রা আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভ করে। এই যুদ্ধের ব্যররথতার ফল হিসেবে নওয়াজ শরীফের সাথে সামরিক বাহিনীর বিরোধ শুরু হয় এবং পারভেজ মুশাররফ ক্ষমতার দখল নেন। আর পাকিস্তানীরা বেশ অনেকদিনের জয় মার্কিন সামরিক সহযগিতা থেকে বঞ্চিতহয়। ।
৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৪৩
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: @ মাসূদ রানা
আপনার তথ্যবহুল কমেন্ট এর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৫
এজজিলারেটেড উইন্ড বলেছেন: এটায় খটকা লাগে @মাসূদ রানা।
বাস্তবেই পাকিস্তানের শক্তি বেশি।
১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৯
সৈয়দ আবদুর রহমান আল ফারুক বলেছেন: বাস্তবেই পাকিস্তানের শক্তি বেশী।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:০৫
ভয়ংকর বিশু বলেছেন: পাকিস্তান কারগিলে জংগী পাঠাইসিল, তারপর তৎকালিন প্রেসিডেন্ট আমেরিকায় গিয়া বৈঠক করে অস্ত্র বিরতি ঘোষনা করে জংগীদের মৃতদেহ গ্রহন করসিল, পরাজয়ের শাস্তি সরূপ ক্ষমতা থেকে নামতে হইসিল। পাকিস্তানের ইতিহাসে জয় বলে কিসু নাই। অশিক্ষিত জংগী দিয়ে আতংক সৃষ্টি করা যায়, যু্দ্বে জিতা যায় না।