নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুরন্ত ভাবে ছুটে চলা এক পথিকের গল্প।

ছুটে চলার শেষ নেই ।

দুরন্ত-পথিক

আমি দুরন্ত- পথিক

দুরন্ত-পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

উন্নয়নশীল বাংলাদেশের সরকার আসলেই ( জনসংখ্যা কমানোর এক অভিনব প্রথা ) অনেক দুসাশাহসী !

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

উন্নয়নশীল বাংলাদেশের সরকার আসলেই ( জনসংখ্যা কমানোর এক অভিনব প্রথা ) অনেক দুসাশাহসী ! কারন হিসেবে বিয়ে সংক্রান্ত নতুন আইন । জনসম্পদ কে কিভাবে ধ্বংস করা যায় তারই বিভিন্ন নমুনা । এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর পর ই নকল ও প্রশ্ন ফাঁস এর হিড়িক লেগেছিল যা এখন ও বহাল তবীয়তে অব্যাহত আছে, আর এখন করা হল ছেলেদের ১৮ বছরে বিয়ে করার অনুমোদন !! গত কয়েক বছর ধরেই শিক্ষিত বেকার দের সংখ্যা বাড়ছে তো বাড়ছে ই । যারা এর হিসাব রাখার দরকার বলে মনে করেন না তাদের ই একটা নিউজ দেই যা শুনে আঁতকে উঠবেন অনেকেই । যেমন গেল বছর ৩৪তম বিসিএস এর প্রায় ২১৫০টি বিভিন্ন ক্যাডার এর নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল দুই লাখ বিশ হাজার ছাত্রছাত্রী । এমনিতেই বাংলাদেশে তেমন কোন বেসরকারি বা পার টাইম এর কাজের সুযোগ না থাকায় খুব কম জনই বিভিন্ন চাকুরীতে যোগদান করতে পারে। বেশীরভাগ বাংলাদেশী পরিবার নিম্নমদ্ধ্যবিত্ত হওয়াতে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার পাঠ চুকাতেই তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে, তাই লেখাপড়া শেষে ব্যাক্তিগত ভাবে বিজনেস দাড় করাটাও তাদের জন্য অকল্পনীয় । তাই অপেক্ষায় থাকতে হয় সরকারী চাকুরীর । আরেক টি উদারহন দেই সেটা হল গত মাসেই হয়ে যাওয়া সোনালি বাংক এর তিনটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা যেখানে তিনটি পদের জন্য ( ক্যাশ,জুনিয়র অফিসার,সিনিওর অফিসার) প্রায় ১৫০০ পদের জন্য পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ২লাখ ! কথা হল যে বাংলাদেশে যেখানে ইন্ডাস্ট্রি, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর সংখ্যা কম যার বেশীর ভাগ ই হল ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক, সেখানে একজন ১৮ বছর বয়সী ছেলে লেখাপড়ার পাঠ চুকাতে না চুকাতেই , কৈশোর পার সবেমাত্র পার হয়ে যৌবনে প্রবেশ করতে না করতেই কিভাবে সে বিয়ে করে তার পরিবার এর আর্থিক দায়দায়িত্ব নেবে ? না কি যারা যারা ১৮ বছরে বিয়ে করবে তাদের সকল ভরন পোষণ এর দায়িত্ব সরকার নেবে ? বাংলাদেশ তো শুধু ঢাকা আর চট্টগ্রাম নিয়ে নয় । আরও আছে ৬২ টি জেলা ! তাহলে আর্থিক নিশ্চয়তা থাকুক আর না ই থাকুক বিয়ে করে বাচ্চা উৎপাদন করার জন্য ই কি এই আইন ? না কি এই বয়সে যারা বিয়ে করবে তাদের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণ এর ও বিশেষ আইন থাকবে যে আগামী ৫-১০বছর বাচ্চা উৎপাদন করা যাবেনা ? একটা ছেলে র মানসিক ও শারীরিক পরিপক্কতা অর্জনেই লাগে প্রায় ২৫ বছর । সেখানে ১৮বছর বয়সের একটা ছেলের একমাত্র সক্ষমতা অর্জন হতে পারে সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা, তাছাড়া আমি আর তেমন কোন ক্ষমতা দেখছিনা । অবশ্যই স্বল্প আয় করার ক্ষমতা অর্জন বিশেষ কোন গুরুত্ব বহন করে , আর যারা কোন মতে উপার্জন করার প্রয়াস কেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তাহলে বাংলাদেশকে অচিরেই সোমালিয়া যা দুর্ভিক্ষ কবলিত দেশ , শিক্ষার হার অনেক নিম্ন যেখানে সে রকম দেশ বানানোর খায়েস পূর্ণ করতে পারেন ।প্রায় প্রতিটি দেশের শিক্ষায় বরাদ্দ থাকে প্রতিরক্ষা খাতের থেকে সামান্য কম (প্রতিরক্ষা খাত কে অনেক গুরুত্ব দিয়ে অনেক বেশি আর্থিক বরাদ্দ রাখা হয়, তার পর পর ই শিক্ষা খাত ) । একমাত্র বাংলাদেশেই শিক্ষাখাতে আর্থিক বরাদ্দ থাকে অনেক কম অন্যগুলর তুলনায় । তাহলে মনে হয় সরকার বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে (যেখানে সবাই বেশি উপার্জনক্ষম হয়ে বিয়ে সাদি , সাদ আহ্লাদ পূর্ণ করতে চায় ) সেটা হল সরকার চাচ্ছে কম উপার্জনক্ষম হয়ে আবার অল্প বয়সে উপার্জন করলে তাড়াতাড়ি বিভিন্ন হারগোড় ( সুগঠিত হওয়ার সময় কই, আঠারোতেই যদি সুগঠিত হত তাহলে একজন কর্নেল বা মেজর- যারা মেধাবী, শক্তিশালী ও কৌশলী এই যোগ্যতা অরজনের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হতনা, তখন দেখা যেত যে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ হওয়ার ২-১ বছরের মধ্যেই সরবচ্চো পদ পাওয়া যেত ) ক্ষয় হয়ে তাড়াতাড়ি মরতে পারার এটা বিশেষ উপায়, তাতে নারীদের অতিরিক্ত জন্মদানে মৃত্যু হার বাড়বে পাশাপাশি এই দেশের জনসংখ্যা র হারও কমবে । এটা হল অভিনব প্রথা কৌশলে জনসংখ্যা কমানোর।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.