নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডাচম্যানের খেরোখাতা

দি ফ্লাইং ডাচম্যান

© দি ফ্লাইং ডাচম্যান এই ব্লগের সব লেখার সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যাতিত কোন লেখার সম্পুর্ণ অথবা অংশ বিশেষ পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন অথবা সম্পাদনা করে কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।ফেবুঃ দি ফ্লাইং ডাচম্যান

দি ফ্লাইং ডাচম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক টুকরো বর্ষাবিষাদ

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৩





ছোটবেলায় আমি পোকা খুব ভয় পেতাম। গুটি গুটি পোকা, লাফিয়ে গায়ে উঠে পড়ত। আম্মুর কাছে সবগুলো পোকারই একটা না একটা নাম ছিলো। গরুপোকা, গান্ধিপোকা, উষ্টিপোকা এইসব... ওদের আসল নাম জানতাম না তেমন। ভয় লাগতো সবচেয়ে বেশি তেলাপোকা! বৃষ্টির দিনগুলোতেই তো পোকার আনাগোণা শুরু হত। টিউব লাইট যেটাকে আমরা তখন রড লাইট বলতাম, তার পাশ ঘেষে সার সার পোকা। সন্ধ্যা রাতে আলো জালতেই একটু একটু করে জড়ো হতো। রাত বাড়লে ওরাও বাড়তো। দরজা লাগিয়ে রেখে জানালার পর্দা টেনে দিয়েও লাভ হতো না, ঠিকই পর্দার ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়ত। জালানা বন্ধ করে দিলে তো বাতাস নেই, গরম! পড়ালেখা অনেক থাকলে বা টিভিতে কোন প্রিয় শো থাকলে আমি মাঝে মাঝে ছাতা ফুটিয়ে বসে থাকতাম যাতে পোকার দল গায়ে এসে না পড়তে পারে। খাওয়াদাওয়া করাও ভীষণ একটা ঝামেলা হয়ে যেত পোকাদের জ্বালায়। মাঝে মাঝে নিরুপায় হয়ে "পোকা ট্রান্সফার" করতাম আমি আর আম্মু। সেটা কীরকম? বেডরুমের লাইট নিভিয়ে দিয়ে লিভিং বা ডাইনিং এর বাতি জ্বালিয়ে দিতাম। তারপর আধাঘন্টা খানেক বসে থাকতে হতো। তারপর বাতি জ্বাললে আর দরজা বন্ধ করে দিলে দু একটা পোকা ফেরত আসতে পারতো, বাকীরা বাইরেই আটকা পড়ত। আর কারেন্ট চলে গেলে শুরু হতো বিভীষিকা! চার্জার লাইটের চারপাশ ঘিরে শুধু পোকা আর পোকা। পড়ালেখা শিকেয় উঠত। বাইরে ঝিঝিপোকা, পুকুরপারে জলের শব্দ আর লাইট নিভিয়ে দিয়ে ঘুটঘুটি অন্ধকারে পোকা থেকে নিস্তার পেতে চাওয়া এসবের মধ্যে দিয়েই বর্ষার বেশ কিছু রাত কেটে যেত। এসব খুনসুটির কারণে বর্ষা আমার খুব প্রিয় একটা ঋতু।

এখন তো মনে হয় এরকম পোকার উৎপাত হয়না। Kill Pest এর আল্ট্রাভায়োলেট আলোর মাঝে আটকে থাকে পরাভুত শৈশব। জানালার থাই গ্লাসে জমে অবুঝ বৃষ্টির অভিমান।

বর্ষা এখন শুধুই নাগরিক টানপোড়েন, অস্বস্তির গান।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

আমি পিন্টু বলেছেন: বেশ ভালো লিখেছেন।


মানবজাতির সব প্রবলেম তো সমাধান হয়েছে দেখুন কোন টেকনোলজি তে চলে সত্যিকারের পৃথিবী কিভাবে এই গ্রহকে বসবাসের উপযুগী করা হয়েছে |
বইটি ডাউনলোড করতে ও বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:১৪

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ!

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমারে ভাই এখনো মাঝে মাঝে পোকা জ্বালাতন করে। ল্যাপটপের স্ক্রিনে এসে ডিস্টার্ব করতে তারা দক্ষ।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৫:১৭

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: হাহাহা :) আপনার ল্যাপটপে জাদু আছে

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

সুমন কর বলেছেন: বর্ষাকাল ভালো লাগে কিন্তু বৃষ্টির মধ্যে বাহিরে বের হওয়াটা বেশ বিরক্তিকর।। তারপর শুরু যানজট এবং মেজাজ খারাপ হয়।

যদিও এখন আর পোকা জ্বালায় না। ছোটবেলা মোমবাতি দিয়ে পড়ার সময় জ্বালাতো। এসব অতীত আজ।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৫:১৭

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: সেটাই :)

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: এসো করো স্নান নবধারা জলে করবে কী আর
রিয়েল এস্টেট বোঝেনা কখনও মেঘমল্লার।

(কবির সুমনের গান)

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৫:১৮

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: শুনেছি ভাইয়া :) ভালো লাগে গানটা!

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

লেখোয়াড়. বলেছেন:
আমি অনেক পোকা চিনি।
আমি ওসব পোকার ভয় পাইনা।

অনেক কিছুই এখন আবেগহীন, হোক সে বৃষ্টি বা চাঁদ।
তবে দেখার চোখকে অন্ধ হতে দেওয়া চলবে না।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৫:১৯

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: অনেক কিছুই এখন আবেগহীন, হোক সে বৃষ্টি বা চাঁদ।
তবে দেখার চোখকে অন্ধ হতে দেওয়া চলবে না।


একদম ঠিক বলেছেন লেখোয়াড়!

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

শায়মা বলেছেন: পোকারা ছিলো আমার এক বিস্ময়

জোনাক পোকা
প্রজাপতি
গুবরে পোকা
কেন্নো পোকা
গঙ্গাফড়িং
ঘাসফড়িং
কত্তকিছু!!!!!!!!!!!!

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৫:২০

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: জোনাক পোকা
প্রজাপতি
গুবরে পোকা
কেন্নো পোকা
গঙ্গাফড়িং
ঘাসফড়িং

সবগুলোই চিনি আপু! :)
এখনকার বাচ্চাদের বিস্ময় কেড়ে নিচ্ছে যান্ত্রিক আবেগ!

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

জেন রসি বলেছেন: আমিও উড়ন্ত তেলাপোকা ভয় পাইতাম।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৫:২০

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: সবচেয়ে বাজে :( ঘেন্না লাগে এখনো!

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

ডি মুন বলেছেন: বর্ষা এখন শুধুই নাগরিক টানপোড়েন, অস্বস্তির গান।

ঠিকই বলেছেন।
নাগরিক জীবনে এটাই সত্য;

+++

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৫:২১

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ডি মুন!
মাঝে মাঝে এসব নাগরিক সত্য অস্বীকার করতে পারলে বেশ হত!

৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বর্ষা হলেই পোকা মাকড় কেচু ব্যাঙের উৎপাত বেড়ে যেত । এখনতো বলতে গেলে বর্ষার দেখা পাইনা ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪০

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: ব্যাং :) মজার প্রাণী! ছোটবেলায় খুব ভয় পেতাম! দেখে না। মনে হত কখন পায়ের তলে ফেলে মেরে ফেলব! সেই কারণে বয়স্কালে জীববিজ্ঞান প্র্যাকটিকাল ক্লাসে ব্যাং কাটা হয়নি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.