নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দ আর নৈশব্দ্য...

s

মেহেদী আনডিফাইন্ড

শব্দ আর নৈঃশব্দ্য দুটোই পছন্দের....

মেহেদী আনডিফাইন্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

তীরন্দাজে প্রকাশিতব্য সাহিত্য আড্ডার জন্য পোষ্ট

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫



বিষয়ঃ উত্তরাধুনিকতা এবং বাংলা কবিতা



ভুমিকাঃ

সাহিত্যপত্র তীরন্দাজে সাহিত্য আড্ডা নিয়ে একটা বিভাগ স্থির হয়েছে। প্রতি সংখ্যায় সেই বিভাগে আলোচনা হবে সাহিত্য সম্পর্কিত একটি সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে। তীরন্দাজ যেহেতু আমাদের সকলের পত্রিকা, আলোচনাটা আমরা করবো সবাইকে নিয়েই। আর সবার সাথে আলোচনার জন্যেই এই উন্মুক্ত মঞ্চে বিষয়টি পেশ করা। সবাই নিশ্চিন্তে মন্তব্য করুন। বাছাই মন্তব্যগুলো ছাপা হবে আমাদের তীরন্দাজের সাহিত্য আড্ডা বিভাগে।





আজকাল বাংলা কবিতা নিয়ে আলোচনা করতে বসলে সবার আগে যে বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হয় সেটা হল উত্তরাধুনিকতা।

বাংলা কবিতায় উত্তরাধুনিকতা আসলে কি?



আধুনিক বাংলা কবিতা অমিয় চক্রবর্তী, বিষ্ণূ দে, জীবনানন্দ, সুধীন্দ্রনাথ আর বুদ্ধদেব প্রমুখের হাত ধরে শুরু হয়ে আজ কোথায়, কোন ফর্মে এসে দাঁড়িয়েছে? আজকের আলোচনার যে ফলাফল প্রত্যাশা করছি, ওখানেই তার একটা জবাব হয়তো আমরা খুঁজে পাবো। কিংবা জবাব খুজে বের করার একটা প্রয়াস সেখানে ফুটে উঠবে।



সবার আগেই আমাদের বুঝতে হবে, আধুনিকতা বলতে কি বোঝায়? আজকে যা আধুনিক, দু-বছর পরেই তো সেটা প্রাচীন হবার আশংকায় ভোগে। তাহলে ধরে নিতে হচ্ছে, আধুনিকতা স্থায়ী কোন ব্যাপার নয়। এটি সময়ের সাথে আবশ্যিক ভাবে পরিবর্তিত হবে। কবিতার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি কি একইভাবে প্রযোজ্য?



প্রতি যুগেই সাহিত্য বলি, কবিতা বলি, তার দুটি ধারা দুই সহোদর ভ্রাতার মত পাশাপাশি চলে। সে দুটি হল আধুনিকতা এবং উত্তরাধুনিকতা। কবিতায় পোস্ট মর্ডানিজম ব্যাপারটি নতুন কিছু নয়। সম্ভবত উত্তরাধুনিক কবিতার মূল বস্তুটি হল দুর্বোধ্যতা। এ নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ ছিলনা কখনো। এপার কি ওপার বাংলায়। সে তর্ক এখন মীমাংসাহীন অথচ নিভু নিভু অবস্থায় থাকলেও, একেবারে ফুরিয়ে যায়নি।



উত্তরাধুনিক কবিদের একদল মনে করেন, কবিতায় কোন অর্থময়তা থাকা চলবেনা। কবিতা হবে শব্দের ব্যঞ্জনায় ভরপুর একটি রুপকল্প। কয়েকটি স্তবকে সেটি ভাগ হয়ে যেতে পারে। আবার কেবল মাত্র একটি লাইনেও একটি কবিতা শেষ হয়ে যেতে পারে। এখানে তুমুল একটা প্রশ্ন থেকে যায়- দুর্বোধ্য ব্যাপার বলতে কি বোঝাচ্ছেন তারা? কবিতার উদ্দেশ্য তাহলে কোথায়? এখানেও তাদের জবাব তৈরি আছে। এই দলের মতে, পাঠক শব্দের ধুম্রজালে দিশা হারিয়ে ঘুরপাক খেতে থাকবে, সেখানেই উত্তরাধুনিক কবিতার স্বার্থকতা!



একদল আছেন, তাদের মতে কবিতা প্রতিটি যুগের বার্তা বহনকারী। যুগের বার্তা এক যুগ থেকে অন্য যুগে যায় কবিতার বাহনে চড়ে। সুতরাং কবিতায় বার্তা থাকবে। সেই বার্তা পাঠক ধরতে পারবে, পাঠক আপ্লুত হবে।

মজার ব্যাপার প্রথম দলই এই একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাভাষার কবিদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে চলেছেন। তাহলে কি ওখানেই উত্তর? মনে হচ্ছে না। দলে ভারি হলেই সেটি সঠিক হবে, এমনটি গণতন্ত্রে-ভোটাভুটির ক্ষেত্রে চলতে পারে। কবিতা বা সাহিত্যে নয়। “কবিতা তার গায়ে গণতন্ত্রের বস্ত্র চাপাতে পারে। কিন্তু গণতন্ত্র কবিতার মজ্জাগত ব্যাপার না। কবিতার আপন আলয় আছে। সেটা সময় নির্ধারণ করে দেয়।“



উত্তরাধুনিক কবিতা ছন্দেও বিপ্লব এনে হাজির করেছে। সে বলছে- কবিতা গদ্যছন্দেই সর্বাধুনিক। এখানে আশার কথা, ছন্দকে পুরোপুরি বিসর্জন সে দিতে পারছেন না। গদ্যছন্দ চলে এসেছে। গদ্যছন্দেরও একটা প্যাটার্ন আছে। অনেক পোস্ট মর্ডান কবি নিয়তই সেই প্যাটার্ন নিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষা করছেন। ফলে কবিতার বিবর্তন হচ্ছে। এই বিবর্তন বাংলা কবিতাকে কোথায় নিয়ে যাবে?

প্রসঙ্গত, আমাদের মনে রাখতে হবে, জীবনানন্দ জীবদ্দশায় কবিতাভঙ্গির জন্য দারুণ সমালোচিত হলেও তিনি কিন্তু রবীন্দ্রবলয়কে চুড়ান্তভাবেই ভেঙ্গে দিতে পেরেছিলেন। আর আজ জীবনানন্দের অবস্থান বাংলা কবিতা কতটা উচ্চে নির্দিষ্ট করেছে, এটা আমাদের সবার জানা। ঠিক একইভাবে, এখন পোস্ট-মর্ডানিজমের যে ধারা, কবির মাঝে যে শব্দের ধুম্রজাল তৈরীর লিপ্সা, সেটিও কি সময় নির্দিষ্ট করে দেবে?



সমালোচনা ব্যাপারটা বাংলা কবিতা থেকে উঠেই গিয়েছে। তিন-চার দল তিন চার রকম আঙ্গিকের কবিতা আমাদের সামনে হাজির করতে পারছেন না। পরপর দশজনের দশটা কবিতা আপনাকে যদি পড়তে দেয়া হয়, কবির নাম গোপন করে, আপনি আসলে আলাদা করতে পারবেননা কোনটি কার কবিতা! আর আরো আশ্চর্য্যের বিষয় সেটা নিয়ে মনে হয়না, কারো কোন চিন্তা বা দুঃশ্চিন্তামাত্রও আছে! চলতি ধারার উত্তরাধুনিক কবিতা আর কবিদের নিয়ে মূল আশংকাটি এখানেই।





এত কথা বলার মূল উদ্দেশ্য জবাব খুঁজে বের করা। আমার এই আলোচনা উত্তরাধুনিক কবিতা নিয়ে কোন স্বিদ্ধান্ত নয়। উদ্দেশ্য হল এর গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা লাভ করা। তবে অবস্থা দৃষ্টে বোঝা যায়, ধোঁয়া আরো ধোঁয়াই পাকাতে পারঙ্গম। তারপরেও ধোঁয়া দিয়েই আমাদের সেটি দূর করতে হবে। বিষে বিষক্ষয় যাকে বলে।



পুরো লেখাটায় অজস্র প্রশ্ন আছে। আমার নিজের। যারা পড়বেন, তাদের জন্যেও। সেসব জবাব খোঁজার প্রয়াসে আসুন আলোচনায় নামি। এই আলোচনা বাংলা কবিতার জন্য। মনখুলে সবাই মন্তব্য করুন। এখানে তথ্যপ্রযুক্তি আইনেও ধরা খাবার ভয় নেই, কিংবা এটি কঠিন চেহারার ইনভিজিলেটরের উপস্থিতিতে দিতে থাকা কোন পরীক্ষাও নয়।

আবার বলি, আপনাদের মন্তব্যগুলো থেকে বাছাই করা সেরা মন্তব্য গুলো ছাপা হবে তীরন্দাজের সূচনা সংখ্যায়। তাই আড্ডা চলুক। শুভস্য শিঘ্রম..

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬

আরমানউজ্জামান বলেছেন: আমি প্রথমেই এমন একটি বিষয়কে আলোচনায় নিয়ে আসার জন্য স্বাগত জানাব। কারণ আমার বিশ্বাস আমরা আলোচনা থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারব।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫

মেহেদী আনডিফাইন্ড বলেছেন: অবশ্যই। আলোচনা তো জানার জন্যই

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮

আরমানউজ্জামান বলেছেন: বেশ কিছুদিন আগে আগ্রহের কারণে এ বিষয় নিয়ে পড়তে বসে যে সাম্যক জ্ঞান পেয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

আধুনিকতার যেখানে শেষ উত্তর আধুনিকতা সেখান থেকে শুরু যদি এ রকম একটা ভাবনা আমাদের মনে আসে তাহলে এটা যুক্তি হিসেবে গ্রাহ্য হতে পারে। কিন্তু উত্তর আধুনিকতার সংজ্ঞা হিসেবে গ্রাহ্য হবে না। পোস্ট-মডার্ন শব্দটি বিভিন্ন দশকে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়েছে- কখনো এটা বন্ধনমুক্ত মানুষ, কখনো শিল্প বিপ্লব, কখনো প্রযুক্তির আধিপত্যে সার্বিক সমতা জীবন যাপন আবার কখনো আধুনিকতার মাঝে থেকে চৈতন্যগত কারণে পৃথক একটি ধারা হিসেবে এর ব্যবহার হয়েছে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৭

মেহেদী আনডিফাইন্ড বলেছেন: ভালো বলেছেন, আমিও তাই মনে করি যা জীবনের কথা বলবে এবং সময়োপযোগী সেটাই সেই সময়ের আধুনিক।

কারন, কবিতা হচ্ছে সেই অনুভব যা বিপ্লবে-প্রলয়ে কিংবা অনুভবে-প্রণয়ে কবিতাই মানুষকে জাগিয়েছে ধ্রুব সত্যির মতো। তাই আমি মনে করি কবিতার এই ক্ষমতাকে খর্ব না করে, অর্থাৎ পোষ্ট মর্ডানিজম বলে আমরা যা জানি যে, এখানে দুর্বোধ্যতা থাকতে হবে! আমি এটাকে এড়িয়ে চলার পক্ষপাতি। কবিতা হবে পাঠকের, যা সরল এবং পারঙ্গম দুজনের জন্যই বোধগম্য হবে

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

আরমানউজ্জামান বলেছেন: উত্তরাধুনিক কবিতায় সাধারণ পাঠক সমাজে যে দুর্বোধতা ছুঁড়ে দেয়া হয়েছে তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক, সমালোচনার ঝড় এ কাব্যধারার সুচনা লগ্ন থেকে। যদিও নব্যধারার কবিদের এসব সমালোচনায় কিছুই যায় আসে না। কেননা, কবি মনে ভাবনার উদয় হলে তার জন্মনিয়ন্ত্রন করা যায়না! হাজার প্রসববেদনা আলোচনা সমালোচনা যা-ই থাক না কেন কবি তার চেতনায় তুলিতে ভাঙতে চেয়েছেন সাম্যের দেয়াল; এক-ই সাথে প্রাচীর তুলে দিতে চেয়েছেন সমালোচক বোদ্ধাদের নগ্ন বেদিতে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৮

মেহেদী আনডিফাইন্ড বলেছেন: আমার কাছে উত্তরাধুনিকতা হচ্ছে ক্রমে ক্রমে পাঠককে আকৃষ্ট করার নব পন্থা, সেটা সহজিয়াকে গ্রহন করবার এক কঠিন তপস্যা বলতে পারি, যা পাঠককে ছুতে পারলো না, মুষ্টিমেয় মানুষের কাছে সমাদৃত সেটা আর যাই হোক সর্বজনগ্রাহ্য নয়। উত্তরাধুনিকতা হোক এমন কিছু যা পাঠককে দু'বার তিন বার ভাবাবে আর চতুর্থবার সে কবিতা বোঝার আনন্দে সিক্ত হবে

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা সুন্দর কথা বলেছেনঃ পরপর দশজনের দশটা কবিতা আপনাকে যদি পড়তে দেয়া হয়, কবির নাম গোপন করে, আপনি আসলে আলাদা করতে পারবেননা কোনটি কার কবিতা! আমার মনে হয় এ ব্যাপারটা ঘটেছে সব যুগেই। নজরুল-সমসাময়িক কালে সব কবির কবিতাই নজরুলের কবিতা বলে ভ্রম হতো। জীবনানন্দ দাশের ‘ঝরা পালক’-এর গায়ে ‘জীবনানন্দ দাশ’ লেখা না থাকলে মনে হয় সবাই ঐ বইটিকে নজরুলের বই বলেই মনে করে ফেলতো, এবং ভাবতো ‘নজরুলের স্ট্যান্ডার্ড’ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে এ বইয়ে। গত দেড় শ বছরের দেড়শটি কবিতা আপনি এলোমেলো করে সাজিয়ে দিন- খুব সম্ভবত মাইকেল, নজরুল, সুকান্ত আর জসীম উদ্‌দীনের কবিতাকেই আলাদা করা যাবে তাঁদের নিজ নিজ নামে, কারণ, এঁদের রচনারীতির সাথে অন্যান্য কবির রচনারীতির পার্থক্য সুস্পষ্ট। কবিতাকে আধুনিক ফর্মে নিয়ে আসার জন্য বুদ্ধদেব বসুর অবদান অনস্বীকার্য; কিন্তু সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতায়ই সর্বপ্রথম আধুনিক ফর্মের সার্থক রূপায়ন দেখতে পাওয়া যায়। হেলাল হাফিজ, আবুল হাসান, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, প্রমুখের হাতে আধুনিক কবিতার উৎকৃষ্ট রূপ দেখতে পাওয়া যায়।

কবিতার উত্তরাধুনিকতা কবিতার দুর্বোধ্যতার মতোই একটা দুর্জ্ঞেয় বিষয়। উত্তরাধুনিকতা বিষয় বা বোধটি আধুনিকতা থেকে আলাদা করবার মতো কোনো বিষয় বলে আমার মনে হয় না।

কবিতায় অর্থময়তা থাকবে কী থাকবে না, বা কবিতা কীভাবে বা কী বিষয়ে লিখতে হবে তা নিয়ম বেঁধে দেয়ার মতো কোনো বস্তু নয়। কোনো কোনো কবি কবিতা লিখে আত্মপ্রসাদ লাভ করেন এই ভেবে যে, তাঁর কবিতাটা এতোই দুর্বোধ্য হয়েছে যে খুব অল্প পাঠকই তার অর্থ উদ্ধারে সমর্থ হবেন। এসব ক্ষেত্রে আমার বদ্ধমূল ধারণা হলো, কবি নিজেও কিছু ভেবেচিন্তে কবিতাটা লিখেন নি, আর যিনি ঐ কবিতাটা পড়ে কিছু বুঝতে পেরেছেন বলে দাবি করবেন, আমি তাঁর ‘বুঝবার’ ব্যাপারটাকে সর্বদাই প্রশ্নবিদ্ধ করে রাখবো। কবিতার পাঠককে এতো বোকা ভাববার কারণ নেই; কবিতার পাঠকদের বেশিরভাগই হয়ে থাকেন কবিরাই; কবিরা যদি অন্য কবিদের কবিতা না বোঝেন তাহলে কবিতার চেয়ে দোষটা কবিদের উপরেই বর্তায়- সকলের জন্য বোধগম্য করে লিখবার কায়দা সবাই জানেন না। অন্যদিকে, ‘সহজ করে যায় না বলা সহজে।’ কবিতা লিখে যাঁরা বিখ্যাত হয়েছেন, তাঁদের কবিতাই বেশিরভাগ পাঠক বুঝতে পেরেছেন। উলটো করে বলা যায়, যাঁদের কবিতা সহজবোধ্য, কবিখ্যাতি জুটেছে তাঁদেরই, বাকিরা হারিয়ে গেছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, কোনো কবিতার ভেতর যদি অর্থ কিছু থেকেই থাকে, তাহলে পাঠকমাত্রই তা বুঝতে সক্ষম হবেন, আর যদি তা অন্তঃসারশূন্য হয়ে থাকে তাহলে তা হবে দুর্বোধ্য, কিছু ‘উন্মাদ’ তা পাঠ করে বলে উঠবেন, ‘বাহ, অসাধারণ কবিতা।’

আপনার পোস্টের বক্তব্য খুব ভালো লাগলো। এটিকে আরো সম্প্রসারণ করতে পারেন।

এ পোস্টটাতে আপনার আগ্রহ ঘনীভূত হবে মনে হয়ঃ উত্তরাধুনিক কবিতার বৈশিষ্ট্য : একটা মনোজ্ঞ বিতর্কালোচনা পরিমার্জিত/রিপোস্টেড


শুভেচ্ছা থাকলো।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৪

মেহেদী আনডিফাইন্ড বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমিও আপনার প্রতিটা লাইন বিশ্বাস করি --

আজকাল অনেকেই পোষ্ট-মর্ডানিজমের নামে উদ্ভট শব্দের সন্মিলনে বাক্য গঠন করে পাঠক গলবিল বরাবর ছুড়ে মারবে, কেউ বুঝতে না পারলে সেটা হবে তার আলোচ্য ব্যাপার। অনেকটা এমন যে, "আমার কবিতা কেউ বোঝে না, আমি কত উচ্চমানের লেখক!" :P :P

বরং সহজ শব্দের সেলাইয়ে কঠিন কিছু বুঝিয়ে দেয়াই হবে কবির কাজ। ব্যাপারটা অনেকটা বাইরে মিষ্টির প্রলেপ দিয়ে তেতো ওষুধ খাওয়ানোর মতো, যেটা আদতে উপকারী

এজন্যই আমি সহজ কথাটা সহজ করেই বলতে চাই, হয়তো এখানে আলাদা প্যাটার্ন থাকবে, থাকবে ভাবের গভীরতা। পাঠককে ধাঁধাঁয় নয়, কবিতা পাঠের তৃপ্তিই যেন হয় আগামীদিনের কবিতার প্রতিপাদ্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.