নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পজিটিভ ইলেকট্রন

পজিটিভ ইলেকট্রন

খুব অলস একটা মানুষ । প্রযুক্তিকে অনেক ভালবাসি । আবিষ্কার এর নেশা তাড়া করে সবসময় কিন্তু কিছুই আবিষ্কার করতে পারিনি । পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে অনেক ভালবাসি । ঘুরেবেড়াতে অনেক ভাললাগে । ক্রিকেট খেলা অনেক পছন্দের । বাংলাদেশের খেলা থাকলে টিভি সেট এর সামনে থেকে উঠিনা । অহংকারী মানুষ দের অনেক ঘৃণা করি । সপ্ন দেখতে অনেক ভালবাসি কিন্তু হতাশায় নিমজ্জিত

পজিটিভ ইলেকট্রন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাল থাকবেন স্যার, পারলে আমাদের ক্ষমা করে দিয়েন

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩০

১৯৮৪ সালে সোয়া লাখ টাকা বেতনের চাকুরী, কেমব্রিজ ভার্সিটির অধ্যাপক, সম্মানের লেভেলটা বুঝতে পারছেন তো ?
এই চাকুরী অবলীলায় পেছনে রেখে দিয়ে এইদেশে চলে এসেছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়য়ে, মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকার চাকুরীতে। ভাবতে পারছেন? আপনি কিংবা আমি হলে এই লোভনীয় সুযোগ হাতছাড়া করতে পারতাম?

কেন ফিরে এসেছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, আমার বাড়ি চিটাগং, এ জন্য এখানে জয়েন করি। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি,আমি এখান থেকে নিতে আসিনি আমি দিতে এসেছি’।

স্টিফেন হকিংস এর নাম শুনেছেন তো? বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা জীবিত বিজ্ঞানী। যার চরিত্রের উপর তৈরি করা সিনেমা থিওরি অব এভ্রিথিং সমগ্র বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। এই মানুষটা ছিলেন ছাত্র জীবনে স্টিফেন হকিংস এর বন্ধু আর রুমমেট। লেভেল টা বুঝতে পারছেন তো ?

১৯৮৩ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস থেকে প্রকাশ করেন আল্টিমেট ফেইট অব দা ইউনিভার্স। তাবৎ দুনিয়ার রথি মহারথীদের দৃষ্টি একদিকে নিয়ে আসতে পেরেছিলেন এক বই দিয়ে।

তার গবেষণার উপর ভিত্তি করেই পদার্থবিজ্ঞানের নতুন অধ্যায়ের সুচনা হয়। তার অবদানের কথা অকপটে স্বীকার করেন নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী ওয়েইনবারগ। তিনি বলেন, ‘‘we are particularly indebted to Jamal Islam, a physicist colleague now living in Bangladesh. For an early draft of his 1977 paper which started us thinking about the remote future”
ভাবতে পারছেন? কি বড় মাপের মানুষ ছিলেন তিনি?

নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী আব্দুস সালাম বলেছিলেন, এশিয়ার মধ্যে আমার পরে যদি দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি নোবেল পুরস্কার পায়, তবে সে হবে প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম’

এই মানুষটার মৃত্যুবার্ষিকী আজকে। নেই কোন স্মরণ, নেই তার কাজের উপর আলোচনা।
আমরা পারিও বটে।
যে জাতি জ্ঞানীদের সম্মান দিতে জানে না, সেই জাতি খুব দ্রুতই নিশ্চিহ হয়ে যায়।

ও হ্যাঁ, এই মানুষটাই কিন্তু সর্বপ্রথম ১৯৭১ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে বাংলাদেশে পাকিস্তানী বাহিনীর আক্রমণ বন্ধের উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন।

ভাল থাকবেন স্যার, পারলে আমাদের ক্ষমা করে দিয়েন।

(সংগৃহীত)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি উনার নাম আজ প্রথম জানলাম। উনার জন্য সন্মান রলো।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: নাম শুনেছিলাম। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

পজিটিভ ইলেকট্রন বলেছেন: শুভকামনা রইলো :)

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০৬

বাংলার রাবণ বলেছেন: উনার সম্পর্কে জানতাম না.. জেনে ভালো লাগলো...। উনার আত্মার জন্য মাগফেরাত কামনা করলাম..।আমিন...

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

পজিটিভ ইলেকট্রন বলেছেন: আমিন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.