নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পজিটিভ ইলেকট্রন

পজিটিভ ইলেকট্রন

খুব অলস একটা মানুষ । প্রযুক্তিকে অনেক ভালবাসি । আবিষ্কার এর নেশা তাড়া করে সবসময় কিন্তু কিছুই আবিষ্কার করতে পারিনি । পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে অনেক ভালবাসি । ঘুরেবেড়াতে অনেক ভাললাগে । ক্রিকেট খেলা অনেক পছন্দের । বাংলাদেশের খেলা থাকলে টিভি সেট এর সামনে থেকে উঠিনা । অহংকারী মানুষ দের অনেক ঘৃণা করি । সপ্ন দেখতে অনেক ভালবাসি কিন্তু হতাশায় নিমজ্জিত

পজিটিভ ইলেকট্রন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বোন--- একটা শব্দ না, ভালবাসার প্রতীক

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

যখন আমি ছোট ছিলাম, বাসায় বিদ্যুত ছিলনা
আমি আর আমার আপু দুইজনই হারিকেন এর আলোয় পড়াশোনা করতাম ।
হারিকেন তিন চার ঘন্টা জ্বালিয়ে রাখলে হারিকেন এর কাচের চিমনি তে কালি পরতো এবং অন্ধকার হয়ে যেত । আর এ কারণে প্রতিদিন হারিকেন জ্বালানোর আগে আগের দিন এর কালি মুছতে হতো । সাধারণত বিকেলেই আমি আর আপু চিমনি মোছার কাজ করতাম ।
আমি আর আপুর মধ্যে কে হারিকেন এর চিমনি মুছবে এই নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো এবং শেষ সময় আপুই পরাজয় মেনে নিয়ে চিমনি মুছতো ।
আমি আর আমার বড় আপু এক বিছানায় থাকতাম অনেকদিন , গরমের দিন পরলে বাসায় মোটামুটি গরম পরতো ।
তবে বড় আপুর কাছে থাকার কারণে গরম কি জিনিস এটা আমি বুঝতাম ই না । সারারাত সে হাতপাখা দিয়ে আমাকে বাতাস করত আর আমি ঘুমাতাম। গভীর রাতেও ঘুম থেকে জাগা পেয়ে দেখি আপু বাতাস করছে । সম্ভবত আপুর ঘুমের মধ্যেও হাত চলত এবং বাতাস করত ।
আপুর যেদিন বিয়ে হয়ে যাচ্ছিল এবং আপু চলে যাচ্ছিল সেইদিন ই সম্ভবত আমি সবচেয়ে বেশি কেদেঁছিলাম । আমার ভেতর থেকে কেন জানি মনে হচ্ছিল আপু বোধহয় পর হয়ে যাচ্ছে । আমার কান্না দেখে আপুও অনেক বেশি কেদেঁছিল।
মেয়েদের জীবনের চরম একটা বাস্তবতা হচ্ছে কোনো এক সময় মা-বাবাকে ছেড়ে স্বামীর ঘরে চলে যাওয়া । এবং সব মেয়েকেই এই চরম কঠিন বাস্তবতা মেনে নিতে হয় । আমার আপুকেও এই চরম বাস্তবতা মেনে নিতে হয়েছিল ।
আর মেয়েকে বিদায় দেওয়া বা সপেঁ দেয়ার সময় যদি মা-বাবার নিষ্পাপ মুখের দিকে কেউ চায় তার হৃদয় কেদেঁ ঊঠবে নিঃসন্দেহেই এতে কোনো সন্দেহ নেই ।
আমি দেখেছি আমার ফুফা, আমার খালু এবং আমার বড় মামাকে , মেয়ে বিদায় দেয়ার সময় । এ দৃশ্য গুলো পৃথিবীর সব থেকে যন্ত্রনা দায়ক এবং কষ্টকর আমার মনে হয় । বুকের ভেতর এক চাপা কষ্ট যেন এসে ভর করে ।
এ পৃথিবীর কি এক অদ্ভুত নিয়ম !!!! মেয়ে বড় করে অন্যের হাতে তুলে দেয়া ।
তবে সবচেয়ে আনন্দের কথা এই যে মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পর যদি মেয়ে সুখে থাকে, শ্বশুর শ্বাশুড়ীর সাথে ভালো সম্পর্ক থাকে তবে কিন্তু মেয়ের বাবা-মা ই সবচেয়ে সুখী বলে নিজেকে দাবী করে ।
আল্লাহু সুবাহানুতাআলার অশেষ কৃপায় আমি তেমন কিছু দুলাভাই পেয়েছি যাদের কারণে বোন গুলোকে আজ সুখী দেখতে পাই ।
সত্যি বলতে একজন ভাই হিসেবে বোনদের সুখী দেখার মত আনন্দ বোধ হয় আর কিছু নেই ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: পজিটিভ ইলেকট্রন ,



বোন--- একটা শব্দ না, ভালবাসার প্রতীক, যথার্থই বলেছেন । "বোন" নামের এই মানবীটি আসলেই অফুরান স্নেহ-মমতায় ভরা ।
বোনের প্রতি আপনার এই বোধটুকুকে সম্মান জানাই ।

তবে পোষ্টের শিরোনামটির প্রতি সুবিচার করতে পারেন নি । বোনদের ভালোবাসা , মমতা, সহমর্মিতা নিয়ে আরও খানিকটা লিখলে শিরোনামটি যথার্থ হতে পারতো ।

ভালো থাকুন ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

পজিটিভ ইলেকট্রন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস !!! আসলে মনের সব কথা আমি হয়তবা লিখে প্রকাশ করতে পারিনি । তবে বোন টাকে অনেক দিন থেকে দেখিনা তো তাই আরো খুব বেশি মনে পরছিল ....

আর বোনদের ভালোবাসা , মমতা, সহমর্মিতা নিয়ে ইনশাআল্লাহ আর একদিন লেখার চেষ্টা করবো ..

আপনার প্রতি অনেক শুভ কামনা রইল ।
আপনিও ভাল থাকবেন ..।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন:

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

পজিটিভ ইলেকট্রন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর ভাবে বোনের ইলাবোরেশন করার জন্য ।
ভাল থাকবেন :)

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আবেগটা কম পেলাম।


বোন/আপু শব্দটাই অন্যরকম। এর অনুভূতিই মচৎকার। ;)

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

পজিটিভ ইলেকট্রন বলেছেন: :) :)

সত্যি বোন/আপু শব্দটাই অন্যরকম।

আবেগ কম পেলেও আশা করছি আমার মনের কথা গুলো বুঝতে পেরেছেন ..
ভাল থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.