নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় শিক্ষক হলেও নেশায় লেখক ও পর্যটক। \'\'ভালো আদর মন্দ আদর\'\'(২০১৩) তাঁর প্রকাশিত প্রথম বই

এইযেদুনিয়া

আমার চোখে তো সকলই শোভন/সকলই নবীন,সকলই বিমল/ সুনীল আকাশ,শ্যামল কানন/বিশদ জোছনা,কুসুম কোমল/সকলই আমার মত

এইযেদুনিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমফোর্ট জোন নিয়ে এলোমেলো ভাবনা

১৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৪

পুরো একটা মানব জনম কেটে যায় কমফোর্ট জোন খুঁজতে খুঁজতে কিংবা তৈরি করতে করতে। অথচ মোটিভেশনাল স্পিকাররা খালি জিকির করে,"কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসুন", "কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসুন"! আমার তো মনে হয় না, মানুষ তার একটা জীবনে কমফোর্ট জোনের দেখা পায়। যেটাকে আমরা কমফোর্ট জোন ভাবছি, সেটাও তো সাময়িক সময়ের জন্য। চিরস্থায়ী কিছু তো নেই জগতে। এমন কি কমফোর্ট জোনটাও সব সময় কমফোর্ট জোন নয়, এরও যন্ত্রণা রয়েছে।

তাছাড়া কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এসেই কেন সব সময় সফলতা খুঁজতে হবে? পৃথিবীতে হরেক রকম মানুষ রয়েছে। অনেকেই আছেন, যারা কমফোর্ট জোনের মধ্যেই নিজের সর্বোচ্চ পারফর্মেন্স দেখাতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি অবশ্যই তার নিজস্ব কমফোর্ট জোনের ভেতরেই থাকতে চাইবে। কিন্তু মোটিভেশনাল স্পিকাররা দুনিয়ার আট বিলিয়ন মানুষের জন্য একটাই সাধারণ রেসিপি রেখেছে, সেই " কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসুন", রেসিপি।

বাংলাদেশে অনেক দক্ষ, যোগ্য, শিক্ষিত, মেধাবী তরুণই কাজ করতে আগ্রহী নয়। কারণ এখানে কাজের পরিবেশ নেই, যোগ্য ব্যক্তির মূল্যায়ন নেই, অদক্ষ মূর্খ সুযোগসন্ধানীদের জয়জয়কার চারিদিকে। তাই মেধাবী তরুণরা তাদের কমফোর্ট জোন খুঁজে নিয়েছে ১ম বিশ্বের দেশগুলোতে। সেখানেও কাজের চ্যালেঞ্জ রয়েছে, কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ বরং কাজের গুণগত মানকে আরো বাড়িয়ে দেয়। এখন সেইসব প্রবাসী তরুণেরা কোন যুক্তিতে তাদের কমফোর্ট জোন ত্যাগ করে এই ডিসকমফোর্ট জোনে ফিরে আসবে? এটা তো ঠিক তৈলাক্ত বাঁশের বানরের অংকের মতো একটি জোন, যেখানে দুই হাত উপরে উঠলে তিনহাত নিচে নেমে যেতে হয়!

আদিম যুগের মানুষের কথা ভাবি, তারা নিজেদের কমফোর্ট জোনের জন্য গুহা খুঁজে নিয়েছে। এরপর আরো উন্নত কমফোর্ট জোন তৈরি করেছে আগুনের ব্যবহার শিখে, ঘর বানাতে শিখে। যতই মানুষ উন্নত হয়েছে, ততই সে এক কমফোর্ট জোন থেকে আরেক উন্নত কমফোর্ট জোনের দিকে এগিয়ে গেছে। মোটিভেশনাল স্পিকাররা যে মুখস্থ বুলি আওড়ায়, তারা কি ভেবে দেখে না, মানুষ মূলত আরো উন্নত কমফোর্ট জোন খুঁজে বেড়ায়! সেই কমফোর্ট জোনের জন্যই স্ট্রাগল করছে প্রতিনিয়ত। মানুষ কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসতে নয়, বরং একটা কমফোর্ট জোনের জন্যই আরো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। একটা জন্ম কেটে যায় এই কমফোর্ট জোনের সন্ধানে। সেখানে "কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসুন", এমন বুলি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।

২৬ ফেবরুয়ারি, ২০২৩

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সুন্দর ভাবনা। কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসা টাফ, ঘুরেফিরে মানুষ কমফোর্ট জোনেই ঢুকে যায়।

১৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৭

এইযেদুনিয়া বলেছেন: কি যে এক দুষ্ট চক্র!

২| ১৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


কমফোর্ট জোন থাকে ইগোর ভিতরে,বের হয়েও বের হবার সম্ভাবনা কম।

১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫

এইযেদুনিয়া বলেছেন: ইগোর সাথে সম্পর্কটা কেমন। একটু ব্যাখ্যা করুন প্লিজ।

৩| ১৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: একমত।

১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫

এইযেদুনিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি আমার এলামনাই।

৪| ১৯ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:১৫

অপু তানভীর বলেছেন: আমি নিজের কমফোর্ট জোন থেকে কখনই বের হতে চাই না । মাঝে সাজে বের হতেই হয় তবে আবারও টুপ করে ঢুকে পড়ি । এই যেমন কদিন আগে প্রায় দেড় মাস বাইরে থাকতে হয়েছিলো । আবার এখন নিজের কোম্ফোর্ট জোনের ভেতরে চলে এসেছি ।

১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬

এইযেদুনিয়া বলেছেন: অতিরিক্ত কমফোর্ট জোনে থাকা আবার মানুষকে অলস, কর্মবিমুখ করে তোলে মনে হয়। কাজের বৈচিত্র থাকে না।

৫| ১৯ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: মোটিভেশনাল স্পিকারেরা হুদাই চিল্লায়। তাদের চিল্লানিতে আজ পর্যন্ত কারো কোনো দিন উপকার হয় নাই।

১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১৭

এইযেদুনিয়া বলেছেন: বুদ্ধিমান লোকদের জন্য মোটিভেশনাল স্পিকার লাগে না।

৬| ১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:




একটা কাজের প্রোডাক্টিভিটি তখনই ভালো হবে যখন আমি তার মাঝে কমফোর্ট ফিল করবো।
If I don't feel comfort what I'm doing, then how can I input my best to get the most output!

কমফোর্ট জোন মানেই লেইড ব্যাক না।
নিজের কমফোর্ট জোনে থেকে বেস্ট এফোর্ট দিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানোর মাঝেই সাকসেস।
এফোর্ট দিতে অনেক সময় অনেকে আলসেমি করে।
একটু বেশি দিলেই ভাবে কমফোর্টের বাইরে চলে যাচ্ছে, which is wrong.

অনেকে নিজের এবিলিটি সম্পর্কে অবগত না।
sometimes we have to push ourselves harder to see how far we can go.
কনফিডেন্ট হলে কমফোর্ট জোনে থেকেও বহুদূর যাওয়া যায় ।
I strongly believe self-motivation is the best motivation.

১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৮

এইযেদুনিয়া বলেছেন: জ্বি, এটাই বলতে চাইছিলাম। তবে কেউ কেউ কমফোর্ট জোনে অলস হয়ে যায়, নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারে না। তাই বায়ু পরিবর্তন করতে হয় বৈ কি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.