নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় শিক্ষক হলেও নেশায় লেখক ও পর্যটক। \'\'ভালো আদর মন্দ আদর\'\'(২০১৩) তাঁর প্রকাশিত প্রথম বই

এইযেদুনিয়া

আমার চোখে তো সকলই শোভন/সকলই নবীন,সকলই বিমল/ সুনীল আকাশ,শ্যামল কানন/বিশদ জোছনা,কুসুম কোমল/সকলই আমার মত

এইযেদুনিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকায় ডিভোর্স কমছে

১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০৫

এখন ডিভোর্স আগের চেয়ে কমেছে। গাণিতিকভাবে এটা আমি আপনাদের প্রমাণ করে দেবো।
ডিসেম্বর, ২০২০ এ প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী ঢাকায় দিনে ৩৯টা ডিভোর্স হয় অর্থাৎ প্রতি ৩৭ মিনিটে হয় ১টি ডিভোর্স।
২০২১ এ কালের কণ্ঠের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩৮ মিনিটে হয় একটি ডিভোর্স।
গতবছর হয়েছে ঢাকায় ৪০ মিনিটে ১টি! তথ্যসূত্র প্রথম আলো।
তাহলে ঢাকায় ডিভোর্স আগের চেয়ে দিন দিন কমছে, এটা প্রমাণিত। এ থেকে বোঝা যায়, ডিভোর্সের মূল যে কারণ, *বিয়ে*, ওটাই কমে গেছে!
দ্বিমত ভাই/বোনেরা স্বাগতম।

রইলো এ সংক্রান্ত আমার লেখার দুটি লিংক।

আজ দুজনার দুটি পথ.

আজ দুজনার দুটি পথ ২

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিষয়টা কি ভালো হয়েছে বলে আপনি মনে করেন?

১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:২২

এইযেদুনিয়া বলেছেন: ভালো খারাপ তো আপেক্ষিক ব্যাপার। খুন খারাবি আত্মহত্যার চেয়ে ডিভোর্স ভালো। আপনাকে আমার এই দুটি ব্লগে স্বাগতম জানাই আজ দুজনার দুটি পথ.
আজ দুজনার দুটি পথ ২
পড়ে মন্তব্য করলে খুশি হবো।

২| ১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:২২

বিষাদ সময় বলেছেন: বিয়ে কমে গেছে না extra marital relationship বেড়ে গেছে কে জানে!!!

১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫

এইযেদুনিয়া বলেছেন: তাতে তো ডিভোর্স বৃদ্ধি পাবার কথা। পড়ুন

আজ দুজনার দুটি পথ.

আজ দুজনার দুটি পথ ২

৩| ১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:




৩৭ মিনিট ৩৮ মিনিট আর ৪০ মিনিটের কমেডিটা ভালো লেগেছে :)

১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৬

এইযেদুনিয়া বলেছেন: =p~

৪| ১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন:

এ থেকে বোঝা যায়, ডিভোর্সের মূল যে কারণ, *বিয়ে*, ওটাই কমে গেছে!

এটাও মজার ছিলো। বিয়েই কমে গেছে, তাই ডিভোর্স কম :)
এভাবে চললে একসময় ডিভোর্স অনেক কমে যাবে।
লাস্ট কয়েক বছরে বাংলাদেশে যে পরিবর্তন দেখা গেছে, আগামীতে বিয়ের হার আরো কমে যাবে মনে হচ্ছে।

১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪

এইযেদুনিয়া বলেছেন: বাড়ছে হতাশা, মানসিক যন্ত্রণা, আত্মহত্যা, খুন

৫| ১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪

মিরোরডডল বলেছেন:



খুন খারাবি আত্মহত্যার চেয়ে ডিভোর্স ভালো।

আরো একটা কমেডি :)

এ কথার সাথে অবশ্যই সহমত।

যুদ্ধ বিগ্রহ না করে ডিভোর্স করে নিজে শান্তিতে থাকো, অন্যকেও থাকতে দাও।

৬| ১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:



লেখক বলেছেন: বাড়ছে হতাশা, মানসিক যন্ত্রণা, আত্মহত্যা, খুন

এগুলোর জন্য অবশ্য বিয়ে বা ডিভোর্স মেইন কারণ না।
ব্যক্তিগত সম্পর্কের চেয়েও কিছুটা দেশের ওভারঅল পরিস্থিতি, অনেকটা পারিপার্শ্বিক অবস্থার চাপ, কিছুটা কারণ মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, বাকিটা হচ্ছে কম্পিটিটিভ জীবনের সাথে মানিয়ে চলতে অপারগতা, এ সবকিছু মিলিয়েই এই হতাশা বিষন্নতা। অস্থির জীবন।


১৯ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২

এইযেদুনিয়া বলেছেন: পারিবারিক প্রশান্তি যে ব্যক্তি,সাজামিক জীবনে কী গুরুত্বপূর্ণ! জীবন জটিল হয়েছে, মানুষের জীবনে প্রেম নাই, তাই।

৭| ১৯ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমার আসলে খারাপ লাগছে কাজী আর ডিভোর্সের উকিলদের জন্য । বিয়ে না হলে তো এদের দফারফা হয়ে যাবে !!

বিয়ে কমে যাওয়াতে কী কী ঘটতে পারে এই নিয়ে একটা পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা যায় না
??

১৯ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২২

এইযেদুনিয়া বলেছেন: পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যেই এই পোস্টের জন্ম

৮| ১৯ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:



বিয়ে কমে যাওয়াতে কী কী ঘটতে পারে এই নিয়ে একটা পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা যায় না
??


অবশ্যই যায়। নির্ব শুরু করবে, বাকিরা সেটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে :)

১৯ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২১

এইযেদুনিয়া বলেছেন: আমার মূল পোস্টে দেখুন লিংক রয়েছে, এই লখাটা দুটো অনেক খেটেখুটে করেছিলাম বহু বছর আগে। সেখানে লিভ টুগেদারের ইংগিত করেছিলাম, দেখবেন। পড়ে মন্তব্য করলে খুশি হবো।

১৯ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

এইযেদুনিয়া বলেছেন: দ্রুত কমিটি গঠন করা হোক।

৯| ১৯ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

মিরোরডডল বলেছেন:



লেখক বলেছেন: পারিবারিক প্রশান্তি যে ব্যক্তি,সাজামিক জীবনে কী গুরুত্বপূর্ণ! জীবন জটিল হয়েছে, মানুষের জীবনে প্রেম নাই, তাই।

এ কথায় যুক্তি আছে, পরিবারে শান্তি না থাকলে জীবন অসহনীয়।
এখানে মানুষের প্রেম নেই বলতে শুধু সম্পর্ক না, সব ধরণের প্রেমকে বোঝায়, কাজের প্রতি প্রেম, দায়িত্ববোধ নিষ্ঠা, দেশের প্রতি প্রেম, যে যেই জায়গায় আছে সেখানে থেকে সে কতটা ভালোবেসে তার কাজটা করছে এটা ইম্পরট্যান্ট।

অন্য পোষ্টগুলো সময় করে পড়বো।

১৯ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

এইযেদুনিয়া বলেছেন: অবশ্যই ।আপনাদের মন্তব্য আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

১০| ১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইরে! তাহলে উকিলবাবুদের তো সর্বনাশ দেখছি। যাইহোক মানুষের মধ্যে সহনশীলতা বেড়েছে বলতেই হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অপর একটি বিষয় পরকীয়া একটা স্ট্যাটাস হয়ে গেছে। বিবাহিত পুরুষ বা নারীদের মধ্যে একটা ব্যধির পর্যায়ে পৌঁছেছে।

১১| ১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:১৩

শার্দূল ২২ বলেছেন: মহাজাগতিক কে দেয়া আপনার পুরনো পোষ্টটাও পড়লাম, মাথার মধ্যে এই বিষয়ে এত কিছু এক সাথে এসে গেছে যে কোথা থেকে শুরু করবো আমি বুঝতে পারছিনা। তবে মনে হচ্ছে আপনার এখানে আমার এই যাবৎ কাল করা মন্তব্যের মধ্যে এই বিষয়ে মন্তব্যের পরিধি অনেক বড় হবে, বানান দিয়ে আমার ভাবনা গুলোকে ছোট করে দেখবেননা আশা করি। আমি যেই পরিস্থিতিতে মন্তব্যে করি সেখানে একবার টাইপ করে না পড়েই সেন্ড করতে হয় সময়ের অভাবে।

আসছি...

২৪ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

এইযেদুনিয়া বলেছেন: পোস্টের লিংক কিন্তু একটা নয়, দুইটা ছিলো। খেয়াল করেছেন?

১২| ২০ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:৪৩

শার্দূল ২২ বলেছেন: ছোট্ট একটা পরিসংখ্যান দিয়ে শুরু করি, বাংলাদেশের সব চেয়ে ডিভোর্চ বেশি হয় চাঁদপুর। যেখানে গত ২০২১ এ ৮০ পার্সেন্ট ডিভোর্চ ছিলো যারা পরিবার ব্যাতিত বিয়ে করেছে তাদের। গত ২০২২ এ শুধু ঢাকা সিটিতে তে ডিভোর্চ হয়েছে ১৩ হাজারের উপরে। তার মধ্যে প্রায় ৯ হাজার এর মত তালাক আসছে নারী থেকে।

আমি আমার মন্তব্যে প্রায় বলে থাকি পুরোনো মানে সেকেলে আমাকে টানে বেশি। যত সুখ সুন্দর আমি দেখি সব কিছু পুরোনোর মধ্যে বেশি পাই, আমার আব্বু নাকি আমার আম্মুকে দেখেছে বাসর ঘরে। আমার আব্বুর চোখে আমার আম্মু হলো ঐশ্বরীয়া রায়। আমার আব্বুর সীমাব্ধতা আব্বুকে বহু নারী দর্শন থেকে বিরত রেখেছে। তাই আমার আব্বু জানতোনা নারী কত রুপ গুন সৌণ্দর্য্য হতে পারে বা থাকতে পারে। এখনো বহাল তবিয়তে ওনারা ভালোবেসে হেসে হেসে ফেশেঁ আছেন একে অন্যের সাথে।

কেন নারী থেকে বেশি ডিভোর্স আসে? এর কারণ নারী বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আল্লাদি হয় আবেগী হয়, কেয়ার খোঁজে। প্রায়োরিটি খোঁজে। খুব হাতে গোনা নারী আছে যারা বৈষয়িক হয়। মানে ধন সম্পদ নিয়ে মাথা ঘামায়। যেই নারি সম্পদ লোভী হয় সেই পুরুষের জীবন নরক। ঐ পুরুষ দিনে দশবার মরে। যেই মরা কবরে নিয়ে যায় সেটা না। এই মরা ঝুলিয়ে রাখে বুক চেপে ধরে। আজকে নারীর দোষ নিয়ে বলবোনা, আজকে নারী ভুল নিয়ে বলি।আর পুরুষ যখন তার স্বত্তা থেকে বেড়িয়ে যায় সেটা কত ভয়ংকর হয় সেটাও বলবো পরে।

পুরুষ সমাজের প্রতিযোগীতায় পড়ে অন্ধ হয়ে যায় অসৎ হয়ে যায়, সন্তানের চাহিদার মুখে একটা পিতার অসহায়ত্ব অনেক বড় শাস্তি , এই শাস্তি থেকে রেহাই পেতে পুরুষ হয়ে যায় যন্ত্র। ঘরে ফিরলে সে নারী কালো চোখ আর কালো দেখেনা, ঘোলাটে হয়ে যায়। নারী চোখের ইশারাকে মনে হয় গুলিশ্তানের রেড লাইট ট্রাফিক সিগন্যাল।বাকা হাসির মধ্যে চাঁদ না দেখে ছাদে উঠে বিড়ি টানাকেই বেশি আলোকিতো ভাবে। এমন অবস্থায় সারদিন একা একা থাকা নারীটির অসহায়ত্ব চোখে পড়ার মত। সে ঝুকে যায় মিডিয়াতে। নানা এপস এ অথবা পরিচয় হয়ে যায় আশে পাশে কোন বেকার বাহুবলির সাথে। ঐ ছেলের অফুরন্ত সময়। ঘরের খবর না রাখলেও পরের বউটা কেমন আছে কখন আসবে কি ভালোবাসে কি বাসেনা। চাঁদনি সন্ধ্যা রজনী গন্ধায় গন্ধময় করে তুলে ঐ পরের বউএর আশাপাশ। নারীটি ভাবতে থাকে ইশ আমার বর টা কেন এই বাহুবলীর মত হলোনা, কেন সে এই বাহুবলীর মত ভাবেনা রোম্যান্টিক হলোনা,।
আর আমরা পুরুষরা এক আজব চিড়িয়া। যত মানবতা আমরা পরের গার্ল ফ্রেন্ড আর পরের বউ এর জন্য বুঝি। প্রচন্ড ব্যস্ততায় বা অবহেলায় পুরুষটি যা জেনেও করতে পারেনি বা দিতে পারেনি বা নারিটি আদায় করতে জানেনি সেসব আজ নারীটি পাচ্ছে এই বেকার অফুরন্ত সময়ের বাহুবলির কাছে। সোস্যাল মিডিয়ার কল্যাণে নারীটি দেখছে এক সাথে অনেক গুলো পুরুষ। কারো চোখ সুন্দর কারো মুখ কারো লোমশ বুক কারো ভয়েস কারো বডি। আর বেরসিক বিধাতা কোন ভাবেই এক সাথে এত গুন একটা মানুষের মধ্যে দেননা।নারীর চাহিদার সিমানা বাড়িয়ে বেড়িয়ে আসে সিমানা ছেড়ে। ঐ বাহুবলী কে নিয়ে যখন বাস্তবতায় আসে তখন হয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

আরেক দিকে আরেক দম্পত্তি প্রচন্ড ভালোবেসে বিয়ে করা মানুষটির বদলে যাওয়া দেখতে দেখতে নিজেই কখন বদলে গেছে টের পায়নি। কেন বিয়ের আগের প্রেম আর পরের প্রেমে পরিমান কমতে থাকে, কেন বিশ্বাস উঠে যায়।?

ধরে নিলাম ভালোবাসতে বা একে অন্যকে জানতে জানাতে সময় লাগে ১০ বছর। কোন এক কাপল বিয়ের আগে ৫ বছর প্রেম করলো মোবাইলে অনলাইনে অথবা টেক্সটে। টেক্সটিং বা ভয়েসে কথার মনের বা ভাবনার ইমোশন ১০০ ভাগ তুলে ধরা যায়না, লেখে বা বলে একভাবে কিন্তু মানে দাড়ায় অন্যভাবে। আমরা যখন সামনা সামনি কথা বলি তখন ভয়েস সাথে সাথে আমাদের ফেইস এক্সপ্রেশানটাও দেখা যায়। যে কোন কঠিন কথা বলে হেসে দিলেই তা সহজ হয়ে যায়। সুতরাং বুঝা না বুঝার ভুল বুঝার মধ্যে দিয়ে তারা পার করে ফেলে ৫ বছর। এই সময়ে অনেক মন্দ লাগা কমিটমেন্ট ব্রেক সহ একটা মানুষের স্বাভাবিক কিছু মন্দ দেখে ফেলার সুযোগ হয়ে যায়। হয়তো দেখা করতে এসে কোন কথা কাটাকাটির মধ্যে চলে যেতে হলো দুজন দুজনের বাসায়, রাতভর কষ্ট তিক্ততা নিয়ে চোখে ঘুম। ৫ বছরের প্রেমের সুখের সাথে কিছু কষ্ট দুঃখ তাদের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে নিয়ে বিয়ে করে। তাদের হাতে বাকি আছে আর ৫ বছর। এই বছর তারা এক সাথে থাকে কিন্তু পুর্বের তিক্ত অভিজ্ঞতা তাদের সব বিষয়ে অস্থির করে রাখে, সহনশীলতা অতটা থাকেনা যতটা প্রেমের শুরুতে থাকে। এই শুরুটা যদি বিয়ে শুরতে পেতো তাহলে ওরা একে অন্যকে আরো গভীর সময় দিতে পারতো বুঝতো । পাশাপাশি থাকার একটা গুন আছে, সেই গুন আর সময় নিয়ে তারা একটা মজবুত সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারতো। তারা একে অন্যের দোষ গুন মেনে নিতে শিখতো, এর পর একটা সময় সন্তান । মানুষ অভ্যাসের দাস, সহ্য করে নিতে পারা না পারাই হলো মানুষের ধর্ম। আর এভাবেই আমাদের সমাজে প্রেম গুলো বিয়েতে গিয়েও ঝড়ে পড়ে যায়।

আসছি.....



২৪ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২

এইযেদুনিয়া বলেছেন: মূল্যবান মতামতের জন্য শুকরিয়া

১৩| ২০ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দুনিয়া, পোস্টটা সিলি মনে হয়েছে আমার কাছে। এর আগে আপনার একটা পোস্ট পড়েছিলাম, তার প্রেক্ষিতে এ কথাটা বললাম। প্লিজ টেক ইট ইজি।

তবে শার্দূল ২২ এর কমেন্ট তা কাভার করে দিয়েছে :)

২৪ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

এইযেদুনিয়া বলেছেন: এটা তো সিলি পোস্টই। সব সময় কি ভারি ভারি পোস্ট দিবো না কি? অত বোকা আমি নই।

১৪| ২০ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪

ধুলো মেঘ বলেছেন: বিয়ে কমেনি। আমি জীবনে অবিবাহিত মানুষ খুবই কম দেখেছি। অবশ্য ডিভোর্সি দেখেছি আরো কম। আমার আশেপাশের মানুষ সব সময়ে খুব ব্যস্ত থাকে। তাই পরকীয়া করার সুযোগ খুব কম। আমার দুলাভাইয়ের পিএসকে দেখে আমি ক্রাশ খেয়ে গিয়েছিলাম। আপাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এত সুন্দরী পিএস দুলাভাইয়ের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করে, তোমার সন্দেহ হয়না? আপার উত্তর ছিল, "দুই টাকার পিএসের জন্য যদি সে কোটি টাকার বউ হারায় - তবে আমার কোন আপত্তি নেই"

আসলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিশ্বাসের উপরে কোন দামী জিনিস হয়না।

২৪ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

এইযেদুনিয়া বলেছেন: বিশ্বাস থাকা ভালো। তবে বিশ্বাস নিয়ে কাউকে খেলতে দেবেন না।

১৫| ২০ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ডিভোর্স সব দেশে সব সমাজে বাড়বে, যে অস্থির সময় এসেছে বর্তমানে।

১৬| ২০ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ডির্ভোস শব্দটা আমি ভীষন ভয় পাই।

১৭| ২০ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

বিষাদ সময় বলেছেন: আমার প্রথম মন্তব্যের উত্তরে যা বলেছেন মোটের উপর তা ঠিক। কিন্তু আমি যে দৃষ্টিকোন থেকে কথাটি বলেছিলাম সেটা ব্যাখ্যা না করলে অনেকের কাছে মন্তব্যকারীকে নির্বোধ মনে হবে সে কারণেই ফিরে আসা।

আপনার লেখাগুলো পড়লাম। এবার আমার ব্যাখ্যাটি আমি বলি। আশা করি ভুল হলে শুধরে দেবেন। বিয়ে একটা সোশাল কন্ট্রাক্ট.. কিন্তু্ এই কন্ট্রাক্ট এর টার্মস এন্ড কন্ডিশনস গুলো সুনির্দষ্ট নয় ফলে এগুলো পাত্র, শ্রেণী বা কাল ভেদে ভিন্ন হতে থাকে। আপনার লেখাই যার প্রতিফলন আছে। বিয়েটা যুগের সাথে সাথে অনেক শ্রেণিতেই এখন সোশাল কন্ট্রাক্ট থেকে কন্ট্রক্ট এর পর্যায়ে চলে গেছে। হয়তো বিয়ের শুরুটা হয় অনেক রকম আবেগ,আশা-আকাঙ্খা দিয়ে কিন্তু সেটা অনেক শ্রেণীতেই শেষ হতে বেশী সময় লাগে না। তারপর বিভিন্নভাবে চেষ্টা চলে বিয়েটা টিকিয়ে রাখার। এখানে কয়েকটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে-

১) আমাদের এক সহপাঠি যার আচার আচরণ একটু অস্বাভাবিক লাগতো । পরে জানতে পারলাম তার স্বামীর আপনার কেস-৩ এর ঘটনা। যেহেতু স্বামী সমাজে প্রতিষ্ঠিত তাই তিনি চাননি ডিভোর্স। অনেক দেন দরবার শেষে তাদের মধ্য একটা বোঝাপাড়া হয় যে স্ত্রীকে তিনি দু একজন ব্যাক্তির সাথে সম্পর্ক রাখতে দিবেন আর স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিবে না।

২) আমার পরিচিত এক বড় বোন যার বিয়ে হয় প্রেম করে। পরে বুঝা যায় ঐ বোন কোন দিন মা হতে পারবে না। অপরদিকে বোনের স্বামীর স্বভাব চরিত্র ভাল না। পরে তাদের মধ্যে বোঝাপড়া হয় তিনি স্বামীর স্বভাব ওভার লুক করবেন, তার পরিবর্তে সংসারটা টিকে থাকবে।

৩) বিভিন্ন চিত্র তারকারা একাধিক সম্পর্কের পর এক সময় বাধ্য হয়ে বিয়ে করেন। বিয়ে করার কদিনের মধ্যেই শুরু হয় আবার নানা কাহিনী। তারপর এক ছাদের নিচে থেকে দুজন দুজগতে কাটান, এর ফলে তাদের ঐ বিবাহ বন্ধনটা কিছুটা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

৪) প্রচুর টাকার মালিক বা সমাজের প্রভাবশালী অনেকেরই স্ত্রীর বাইরে একাধিক মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখতে দেখা যায় যা স্ত্রীও জানেন। স্ত্রী স্বামীর টাকা ভোগ করেন তার পরিবর্তে স্বামীকে এ ব্যাপারে ছাড় দেন।

৫) আমার কথা হয়েছিল এক ভারতীয় আইনজীবীর সাথে । তার বক্তব্য অনুযায়ী ভারতের বহু কাপল extra marital relationship কে মেনে নিয়েছে। সারাদিন স্বামী বা স্ত্রী তার কর্মক্ষেত্রে কি করলো কেউ সে ব্যাপারে মাথা ঘামাায় না, দিন শেষে এক ছাদের নিচে বসবাস করে। তার মতে না হলে ডিভোর্সের মাত্রা আরো বেশি হতো।

আমাদের সমাজেও এখন এ ধরণের মেনে নেয়ার হার বাড়ছে। আবেগের পরিবর্তে এখন আনেকেই মিউচুয়াল বেনিফিট কে প্রাধান্য দিচ্ছেন।

আশা করি আমি আমার যুক্তি কিছুটা পরিষ্কার করতে পেরেছি। দীর্ঘ্য মন্তব্য করায় দুঃখিত। ধন্যবাদ।

২৪ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫

এইযেদুনিয়া বলেছেন: জ্বী, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। যুক্তিগুলো গ্রহণীয়। এরকম ঘটাও বিচিত্র নয়। এখন অনেকেই ওপেন রিলেশনে বিশ্বাসী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.