নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো অন্ধকারে যাই

সময়টা কি করে দেবে সেটা তার অধিকারী জানে, চাইলে পোকায় ধরে নষ্ট কাল ভেসে যাবে যমুনার বানে

স্বদেশ হাসনাইন

ছোট একটা ফার্মে কাজ করছি । সৌখিন লেখক । ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি । পকেটে পয়সা থাকলে এদিক ঘুরে খরচ করে ফেলি । সুনীলের লেখার ভক্ত, শামসুর রাহমানের কবিতা পড়ি। বিদেশী লেখকের মধ্যে ড্যানিয়েল স্টীলের লেখা ভাল লাগে । সবচেয়ে ঘৃণা করি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে । একাত্তর আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। ইমেইল: [email protected]

স্বদেশ হাসনাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্যরকম

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৪

আমি টের পেলাম বাথরুমের দরজা খুলতে চাইছে কেউ। সে ছাড়া বাসায় নেই কেউ। খর্খর সর্দি মাখানো কাশি ডেকে উঠে থপ থপ করে আমার কাছে আসলো। আমি ভীত হয়ে আছি। সবে মাত্র বক্ষবন্ধনীর উপর ব্লাউজচাপিয়েছি।

খোল্। আমি ভয় পাই। না। কিন্তু শব্দটা জোরে হতে চায় না। খোল, আজকে বেশি কিছু করবো না। না না। আয়নার সামনে সায়ার উপর নাভীর উপর ব্লাউজের অর্ধসমাপ্ত শরীর বুকে হাতজোড়া দিয়ে সান্ত্বনা খোঁজে। ইলেকট্রিক শব্দ হয়। অটোস্ক্রুডাইভার দরজার স্ক্রু খুলছে। স্ক্রু উঠে আসলে দরজা হ্যাচকা টানে উঠে আসে। মচ মচ করে দরজা খুলে যাচ্ছে যখন একটা উন্মত্ত পুরুষ এগিয়ে আসে। খুললি না ক্যান? আমাকে মারে না। নিচু হতেই আয়নায় গিয়ে হাতুড়িটা লাড়ে। নিজেকে বড় সুন্দরী ভাবো? হ্যা? কার জন্য?

আমি মূহূর্তে পাঁজাকোলে উঠে আসতে বাধ্য হই। আমাকে তুলে নিয়ে পাশের রুমে ছুঁড়ে ফেলে সে। না না। আমি চাই নাই। আমাকে মাফ করো।

পুরুষ একটা লাট্টুর মত একটু দুরে দাঁড়িয়ে ঘোঁ ঘোঁ শব্দ করতে থাকে। তিন দিকে দেয়াল। আমি কোথায় যাবো? দেয়ালে জমাট থাকে রূপসী ঝরণার ছবি। পাহাড়ে আটকা থাকে নরম পানিস্রোত। তোর আজাব চলবে যতদিন থাকিস, কৃতদাসের সন্তান!

আব্বা! ডাক আব্বাকে যে আমাকে দিয়ে গেছে তোকে। পালালে ফাঁসি দেব তোর। আব্বা গো। ডাক বাপকে নাইলে মাকে। ডেকে কি হবে? হাতে একটা কীটনাশক ব্যাট নিয়ে সে অপেক্ষায়। ব্যাটের ভিতর চিৎ চিৎ করে ক্ষুদ্রকীট মরে যায়।

উপরে জ্বলন্ত দুটো বাতি। একটাকে সে ব্যাটের বাড়িতে ভেঙে ফেলে। আহ!

ড্রয়ার খুলে ফেলে। হাত দিয়ে একটা মেটালিক কালার জিপো দপ করে জ্বলে। সে আরো কাছে আসছে। খসখসে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। বাহুতে থোকা থোকা পেশীর মোচড় টের পাই। এই ক্ষীণ শরীরে কি করে সইবে এসব।

দাঁত ঝিক মিক করে। আমি বিছানার ওপাশে দেয়ালে গিয়ে পিঠ দিয়ে বসে থাকি। দাঁড়াই। দেয়ালে পিষ্ট হয়ে যাবো, কিন্তু কই যাবো। বুলডোজার এসে আমাকে মাড়াবে। সে এসে লাইটার দিয়ে কাছে এসে টান করে ধরে সামনের চুল। চুলের নিচে ধরতেই একগোছ চুল পটপট করে পুড়তে থাকে। এক হাতে আগুন। অন্যহাতে আমার বুক। যদিও কাপড়ের উপর দিয়ে অশালীন ভাবে হস্তচাপ বাড়ে। সাদা বোতাম সবগুলো এখন সমর্পিত।

না, সে প্রতিদিনকার মত ছিঁড়ে ফেলে বোতাম। একহাতে নিভন্ত লাইটার নিভে যাবার সাথে সাথে মুষ্টিবদ্ধ করে রাখে অন্তর্বাস। আমি উহ! বলে কঁকিয়ে উঠে বসে পরতেই একটা ভারী ওজন আমার উপর চেপে বসে। দ্রুতগামী আঁখমাড়াই কলের মত চিপসে যায় অন্তর্বাসের ভিতরকার কোমলাংশ। আমি ধর্ষিত হতে চাই। কিন্তু সে কখনোই খুলবে না। শুধুই্ বস্ত্রের উপরে তীব্রতা দিয়ে মারে। আমি একটা সময় না পেরে বলি। দাঁড়ান খুলে দেই।

ঠাস করে একটা চড় মুখে পড়ে। থু! খোলা জিনিস নেই না। লাগা।

মি ফের সাদা কাপ দিয়ে ঢাকতেই দানবীয় মোচড়ে আৎকে উঠি। বক্ষের কাপড়ের পেয়ালা কৃন্তন বিকৃতির শিকার। ময়দার দলার সঙ্গী হয়ে কাঁদে ওরা।মা, মাগো। শুয়ে পরা আমার মুখে লোমশ হাঁটুর ডিম গুঁজে দেয়। মা? কিসের মা? নখগুলো তীক্ষ্ণতর হয়ে আমার গলায় আঁচড়ে দেয় আর বলে চুপ বান্দি। চুলের মুঠিতে শক্ত করে ধরে সে।

আল্লাহর দোহাই, আপনার পায়ে ধরি। আমার চোখের পানি আতঙ্কে শুকিয়ে গেছে। একটা দাঁতালো শুকর আমার কোমরে কাটিং প্লায়ার্সের মত চেপে ধরে। ফের বক্ষবন্ধনিতে একটা বিশ্বকে ছোট করে তিসির দানা করে ফেলার মত হাইড্রলিক চাপ পাই। আমি ক্লান্ত হয়ে বলি, আর না আজকে। কিছুক্ষণ পর বন্ধনীর উপরের কাপড় নরম হয়ে ঘন বাদামী অংশে খামচিটা তীব্রতর হয়। আমি ধমনীতে চিলিক দেয়ার মত স্তনে বিদ্যুতের খোঁচা অনুভব করি। আহ! পান খাওয়া দাঁতে তার নিস্তার হয় না। কেন সব সাজানো বর্তনীর মত আমি। আমার এই দানবীয় অত্যাচারে একটা পুলক পাই। শরীরের একটা বাতিতে হাত রাখতে অবশ হয়ে তার মত হয়ে যেতে থাকি।

সে শৃঙ্গারিত অসুর হয়ে আমাকে শেষ করে দেবার প্রতিজ্ঞা করে। কিন্তু কিছুতেই উন্মোচিত করার আগ্রহ পায় না। আর পারি না। ছাড়েন, আমি মুখ খুলে বলি, আমি তালাক নিব।

কুত্তা তোর তালাকের এখতিয়ার দেয় নাই। কত টাকা নিয়ে বিবাহ তোর মনে নাই? পঁচিশ লাখ। ঐ টাকা এমনি দেই নাই। খাচ্চর, আমি থুতু দেই। সে মুখ কাপড়ে ঢাকে।পাতলা মশারীর মত কাপড় সেখানে দৃংশন করে। মশারীর বাইরে থেকে মশকীর দংশনের মত সেই রূপ। বাড়ির টেলিফোন কাটা। চিঠি দেবার উপায় নেই। আমি তালাবন্ধ থাকি। প্রতিদিন বস্ত্রউন্মোচন ছাড়াই এই ঘটনা ঘটে। আমাকে দরজা বন্ধ করে। বাইরে থেকে অদ্ভুত উপায়ে সে খোলে। সে হঠাৎ ফুলের বোঁটা ওভারক্লথ আটকে ধরে টেনে দীর্ঘ করে। আ! আমার শরীর দমকলে দড়ি পেঁচিয়ে ধরে হ্যাচকা টানে শিহরিত হয়ে যায়। ঘড়ি টিক টিক করে বাজে। আমি বিপর্যস্ত একটা অর্ধমৃত হরিণীর মত শুয়ে আছি মেঝেতে।

সে উঠে যাচ্ছে। সে শীতল হতে শাওয়ার নিচ্ছি।

তারপর একটানা শব্দ শুনি। মনে হয় বৈদ্যুতিক রেজরে দাঁড়ি কাটার মিষ্টি শব্দ।

আমার কাছে এসে ডাকে, বউ! বেশি ব্যথা দিলাম। মাথা ঠিক থাকে না যে কি করি?

আমি কামশরবিদ্ধ বালিহাসের মত ছটফট করে উপুর হয়ে চোখ বন্ধ হয়ে আছি। সে চুলে হাত দেয়। বলে, অনেক কষ্ট দিয়েছি তোকে? প্রতিদিনকার মত করে সে বলে, আর করবো না, প্রমিজ। আমার ব্রার উপর একটা নতুন

ব্লাউজ এনে পরিয়ে দেয়। বোতাম খুব যত্ন করে লাগিয়ে দেয়। মাঝ বোতামের উপর খুব হালকা করে চুমু দেয়। সরি। আমি নড়ে উঠে তাকে জাপটে ধরে সব ভুলে যেতাম। কিন্তু এও জানি আমি এগিয়ে গেলে সে ফিরে যাবে আগের রূপে। আমি চাইলাম ভালুকটা যেন মৃত মানুষ ভেবে আমাকে রেখে চলে যায়।

চারতলা বাড়ির মালিক সে। নিচে বড় গ্যারেজ। সর্দি লাগা গলা। ও বউ উঠে একটু চা বানায়ে দে। তোর হাতের চা না হলে আমার ভাললাগে না।

আমি এখন ভয়ে ভয়ে উঠে দাঁড়াবো। শাড়ী প্যাচ দিয়ে পরে নেব। খুব ইচ্ছে সালওয়ার কামিজে পরতে। তার ভাললাগে লাল শাড়ি দেখতে। সে সালওয়ার হেট করে। ছাগলাদের ড্রেস। টুকটুকে বউয়ের মত উদভিন্ন স্তন পেঁচিয়ে অযথা একটা লাল শাড়ি আমাকে ঢেকে নিয়ে যায়। আহা! আই এম এ প্রিটি গার্ল। সে তখুনি ভয়াবহ ভাবে কাশতে কাশতে মুখভর্তি শ্লেষ্মা তুলে নিলো। তারপর ড্রয়ার থেকে বের করে আনলো একটা প্যাকেট। ওখানে রবারের একটা ভেজা বস্তু বের হলো। মুখের অংশটা আনকোরা বেলুনের মতই। ওর মুখটা আঙুল দিয়ে চিলুমচির মত বড় করে ফেলল। তারপর কফের নীলসবুজ স্তুপ সেই বেলুনে ফেলে দিলো। এই দৃশ্যটি

আমার কাছে আর অপরিচিত না। আমি দেখবো সে স্বচ্ছ রাবারের পাত্রটাকে জানলা দিয়ে দূরে ছুঁড়ে ফেলবে। ওটা পড়বে পথে।

নাও এভরিবডি উইল নো উই আর দা বেষ্ট হ্যাপি কাপল। হো হো হো।

পথের হেঁটে যাওয়া পথিক ঈর্ষা বোধ করবে পূর্ণ কনডমটাকে দেখে।

আমি রান্না ঘরের চুলার নব ঘুরিয়ে উপরে গলা টান টান করে দম নেই। ভয়ে ভয়ে বলি, আপনার চায়ে ভুল করে দুধ বেশি হয়ে গেছে। চিনি বাড়ায়ে দিব নাকি আবার বানায়ে দেব? সে শুধু বলে তুমি যা দিবা তাই খাবো, বউ। আইলাভ ইউ।



-

ড্রাফট ১.০

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অক্ষম পুরুষের অন্যরকম সক্ষমতা আর যৌবনবতী নারীর মানিয়ে চলা, অদ্ভুত এক সম্পর্কের গল্প। দারুণ লাগলো।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০০

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: থ্যাংকস হামা।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

সাদরিল বলেছেন: প্রথম দিকে একটু বিরক্ত হয়েছি, ব্লগে এসব কি লিখতে শুরু করেছেন,কিন্তু মাঝপথে এসে গল্পটা থ্রিলার গল্পের মতো মোর নেয়।এন্ডিংটা আসলেই গল্পটাকে অন্যরকম মাত্রা দিয়েছে

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০২

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: এই গল্পটা আমার তুলনাতেই ভিন্ন রকমের। খুব শ্রদ্ধেয় একজন গল্পকার আমার সব সবগুলো গল্প থেকে বললেন এটা তার ভাললেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.