নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো অন্ধকারে যাই

সময়টা কি করে দেবে সেটা তার অধিকারী জানে, চাইলে পোকায় ধরে নষ্ট কাল ভেসে যাবে যমুনার বানে

স্বদেশ হাসনাইন

ছোট একটা ফার্মে কাজ করছি । সৌখিন লেখক । ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি । পকেটে পয়সা থাকলে এদিক ঘুরে খরচ করে ফেলি । সুনীলের লেখার ভক্ত, শামসুর রাহমানের কবিতা পড়ি। বিদেশী লেখকের মধ্যে ড্যানিয়েল স্টীলের লেখা ভাল লাগে । সবচেয়ে ঘৃণা করি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে । একাত্তর আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। ইমেইল: [email protected]

স্বদেশ হাসনাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক বিকেলের চিতায় পোড়া ছাই

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

সারা বলল ,তোমাকে অনেক ধন্যবাদ বিদ্যা , তুমি না আসলে আমি খুব অসুবিধায় পরে যেতাম !কিভাবে সামলানো সম্ভব আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না ।তোমার বাসায় একটা বাচ্চা আছে পুরুষ কেউ নেই তুমিও যে কিভাবে সামলাবে বুঝছিনা, আমি বললাম বাবা বাবাই । কারো মৃত্যু সংবাদ শুনলে হঠাৎ করে বুকের ভেতরটা শূন্য হয়ে যায় ।প্রথমে উত্তরা তারপর সাভার থেকে ইসলামপুরে যেতে অনেক টাইম লাগবে।

তা সত্যি। আমার হাজব্যান্ড ফোন করছিল। আমি বলে দিয়েছি। মাইন্ড করলে কী করার আছে কারো মৃত্যুর সাথে কিছু তুলনীয় না। আমরা অফিসের গাড়িতে, গাড়িতে আমি সারা আর ড্রাইভার ।অফিসে সবাইকে বলে বের হয়েছি সারার বাবা চট্টগ্রাম থেকে আসার পথে রোডে কোথাও হার্ট এটাক করেছে ।কিন্তু গাড়ী যাচ্ছে উত্তরার দিকে , আমি কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না আর সারার কান্না দেখে কিছু বলতে পারছিলাম না । একসময় ড্রাইভার কোন কারণে গাড়ী থামিয়ে নেমেছে । আমি সারাকে জিজ্ঞাসা করলাম বাবার লাশ কোথায় আর আমরা কোথায় যাচ্ছি ? সারা অনেক কষ্টের একটা ম্লান হাসি দিয়ে বলল লাশ সাভারে ।

আমি বললাম মানে?

সে যেন অপ্রাসঙ্গিক একা কাহিনী বলতে থাকলো ……আসলে আমার বাবার কোন দোষ নাই, মানে...মানে সেই মেয়েই বাবাকে পটিয়ে বিয়ে করেছে ।সে প্রায় কুড়ি বছর আগে ।সে মেয়ে তাদের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির দারোয়ানের মেয়ে ছিল । সেই থেকে বাবা তার ২য় স্ত্রীর কাছে থাকে, অসুখ বা কোন কারণে টাকার প্রয়োজন হলেই বাবা আমাদের কাছে আসেন ।অন্যথায় বাবা আমাদের কোন খোজ খবর নিতে চান না ।আর বাবার লাশ এখন ওখানে তার ২য় স্ত্রীর বাসায় আছে । আমার বাবা হিন্দু ছিল আর মা খ্রিষ্টান ।তবে একটা প্রশ্ন তার নাম সারা বাড়ৈ।আজ জানছি তিনি হিন্দু ।আমি তার নামের পদবী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে বলল, মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়েছেন বলে সে খ্রিষ্টান বলে মনে করে নিজেকে । বাবা কে ছিল তা তার কাছে জরুরী না।

আমি একটুকুই জানলাম আর ভাবতে থাকলাম , এটা তো লোয়ার ক্লাস ফ্যামিলিতে হবার কথা ,আমি সারা কে যতটা জেনেছি ওদের মতো উচ্চবিত্ত ক্লাসে এটা হবার কথা না ।আমি ভাবছিলাম সারার মা আর তার বোন কে কি বলে সান্ত্বনা দেব? আমি ওদের কথা ভেবে কান্না পাচ্ছিল..ঘড়িতে দশটা কুড়ি বাজে পিতার মৃত্যুর মতো কঠিন এক অধ্যায়ে সারার কষ্ট লাঘব করতে আমি চেষ্টা করছিলাম ,তার হাতটা ধরে থাকলাম ।বললাম , সারা আপনি আমার চেয়ে বয়সে বড় বোনেরই মতই । কারো মৃত্যুতে সান্ত্বনা দেবার মতো কোন কথা আমার জানা নাই, তবুও বলি ভেঙে না পড়ে কিভাবে এখন সব সামলানো যায় তা ভাবেন । যাই হোক আমি সারা ওদের বাসায় পৌঁছলাম , ওদের বাসায় গিয়ে আমি তো অবাক হবার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। সারার মা একটা স্লিভলেস কামিজ পরে আছে যেটা ওদের জন্য স্বাভাবিক, কিন্তু আমাদের এ সমাজে এটা স্বাভাবিক না , আর তিনি কাঁদছেন না ,তার ছোট মেয়ে মিনিও কাঁদছেন না । আর আরও অবাক হলাম কোন আত্মীয় স্বজন কেউ নাই ,এমনকি সারার বরও নেই ..

সারা বলল ওর ক্ষুধা পেয়েছে ক্ষুধা নিয়ে এতদূর জার্নি করতে ও পারবে না । তাদের বাসায় রুটি মাংস ছিল, সেটা পরিবেশন করা হলো। আমি আর সারা খেয়ে নিলাম ।মা ডেকে জিজ্ঞেস করলেন কি আছে আর? বুঝতে পারি মরণের দিনেও এরা খাবারের রুচি রাখে। আমি মিলাতে পারছিলাম না কি করে এমনটা হয়? একজন পিতার মৃত্যুর পর এত স্বাভাবিক ভাবে নাস্তা খেতে পারে কেউ? এর মাঝে সারার বর এলো ব্যাংক থেকে টাকা তুলে । খাবার পর দুটো গাড়ী নিয়ে আমরা মানে সারা ও তার বর ,আমি, ওর মা , বোন সাভারের দিকে রওনা হলাম ।যেতে যেতে শুনলাম বছর দশেক আগে সারাদের একটা গার্মেন্টস ছিল। ব্যবসা মন্দা বলে এসব বিক্রি করে দেয়া হয়। গাড়িটা রয়ে গেছে। বাসাটা দেখলে বোঝা যায় তাদের পরিবারের ব্যয় ভালই হতো। আধা ঘণ্টা এভাবে কাটলো। আমি অস্থির হয়ে যাচ্ছিলাম।

আমি প্রশ্ন করে যাচ্ছি, সারা, দেরী হবে না? আর তোমার নানা কি করতেন? প্রশাসনে কাজ ছিল। পুলিশের ইনস্পেকটর হিসেবে। অনেক আগেই মারা গেছেন তিনি। আমি খুলে জিজ্ঞেস করলাম, তোমার বাবা ওখানে গেলেন কি করে? সারা এড়াতে চেয়ে বলল, আপু, গেলেই আন্দাজ হবে। বাকিটা পরে বলবো। রাস্তাটা গিয়ে উঠলো একটি বস্তি এলাকায়। এত সংকীর্ণ গলি যে গাড়ি নিতে বেশ অসুবিধা হচ্ছিল ।আমরা গেলাম সাভার ইসলামপুর , মেইন রোড থেকে অন্যের ভেতরে । রাস্তা অনেক খারাপ। গাড়িটা সরু রাস্তা দিয়ে পথ ঘুরে একটা স্যাত স্যাতে নিচুভূমিতে এসে থামলো। ইট বিছানো পথ। ময়লা নোংরা পথের ধার। হাঁটতে হল কিছুটা। রাবার পোড়ানো গন্ধ পাচ্ছিলাম। অবশ্য আমি পুরানো ঢাকায় বড় হয়েছি। ঘন বসতির রূপ আমি জানি। গন্ধ নাক দমিয়ে দিচ্ছে। রাবিশ ফেলা হয়েছে। একটা মজা পুকুরের মত। যাক গলিতে মাথা ঢুকিয়েইএকটা ধাক্কা খেলাম ,

বড়লোক মাগী আইছে মরা সোয়ামীরে দেখতে, ক্যান আইছে। কি চায়? শোকার্ত পরিবেশে বস্তির লোকদের এধরনের কথায় আমি কি করব ভেবে পাচ্ছি না , ঘরে ঢুকতে দেখি সারার সৎ মা ইনিয়ে বিনিয়ে কাঁদছে। সারাদের দেখে একচোট ক্ষেপে উঠলো………………….।ভিতর থেকে গালি গালাজ চললো - ক্যারে? কি কারণে আইছে এরা। গাড়ি ঢুকে না বলে তে আইছে ক্যান?রাইতে আসলেও পারতো, একজন বলে। খানকির গোস্টির জন্মের দুষ। ছেলে মেয়েরা পিছনে পিছনে আসলো। লাশ রাখা চাটাইয়ে কাঁথা দিয়ে মুখ ঢাকা। মুখের চাদর তুলে দেখালো এক কিশোর ।কিশোরটি সারার সৎ ভাই। বস্তির মহিলাটি সারার সৎ মা। সে বলে যাচ্ছে, যান, উনারে দেখার কি আছে। চান্দা দিয়া অসুখের চিকস্সা করাইসি, বড় লুকের ছেমড়িরা কই আসিলি?

সারার বোন ভেজা চোখ নিয়ে বাবাকে দেখে আর ঘরের আলনা খুঁজে তার বাবার ব্যবহার্য পোশাকগুলো নিতে থাকে , সাথে তার বাবার পুরনো কিছু ছবি , আমি দেখি একটা ছবিতে তার বাবাকে নায়ক রাজ রাজ্জাক থেকেও ভাল দেখাচ্ছে । আমি বর্ণবৈষম্যের বিরোধী কিন্তু ভদ্রলোকের পাশে সারার সৎ মায়ের ময়লা চেহারা কিছুতেই মানাচ্ছিল না। । সারার মা সারার সৎ মায়ের বাজে প্রলাপে ক্ষেপে গিয়ে সারার সৎ মাায়ের গালে ঠাস করে চড় কষলেন। সারার সৎ মা ও ক্ষেপে গিয়ে হাতাহাতি শুরু করলেন। আমি নির্বিকার দাঁড়িয়ে আছি। সৌভাগ্যক্রমে বাড়ীওয়ালা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেন । একটি ভ্যান গাড়িও ঠিক করে দিলেন লাশ নিয়ে যাবার জন্য।

লাশ সারা দেরই নিয়ে যাওয়া লাগবে কারণ সারার সৎ মায়েদের সামর্থ্য নাই যে, লাশের চিতায় পোড়ানোর ব্যবস্থা করবে । বলা বাহুল্য সারারা লাশ নেবার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে পারে নি , আমাকে বলেছিল আমারও চেনাজানা কেউ নেই। কারণ আমি গন স্বাস্থ্যে কাজ করেছি আগে। সেটা ছেড়ে এসেছি অনেকদিন আগে । লাশ নিয়ে যেতে হবে সাভার নবীনগর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য । আমাদের সাথে পুরুষ বলতে দু'জন, ড্রাইভার আর সারার বর । সারার সৎ মায়ের ঘরে ২ ছেলে একজন সুবল চন্দ্র বয়স আনুমানিক কুড়ি, সকাল ৮ টায় খবর পেয়ে এখন বেলা ১টায় চিটাগাং থেকে সাভার এসে পৌছাতে পারে নাই , অন্য জনের বয়স ১০ বছর । ড্রাইভার গাড় চালাবে সারাকে সারার বর সামলাবে, লাসের সাতে কে যাবে? ভ্যানওলা লাশ একা নেবেনা ,সে বলল," হিন্দু লাশ, পথ ঘাটে ভয় আছে। একলা যাবো না" । সারা আমার কাছে এসে বলল, বিদ্যা ভ্যান ওয়ালাকে ঠিকানা দিয়ে দেই।

কে যাবে সাথে? তুমি যাও, তোমার না বাবা।

না আমি যাবো না।

থাক! লাশের সাথে যাওয়ার দরকার নাই। কিন্তু কেন?

মাকে দেখতে হবে। সে সিক ফিল করছে। তাই বলে এভাবে আটকে থাকবে? আমার বোধগম্য হয় না। সারার কাছে পরে ডিটেইল শুনেছিলাম লোকটির সাথে সারার মায়ের প্রেমের বিয়ে। বাড়ির দারোয়ানের মেয়ের সাথে সম্পর্ক বিবাহে গড়ায়। সারার মা মেয়েটিকে বহিষ্কার করে। তার স্বামী সেই দারোয়ানের মেয়ের সঙ্গে সাভারে চলে আসে। লোকটিকে নিয়ে কিছু জানার উপায় নেই। তবে সে দারিদ্র অবস্থায় বস্তিতে বসবাস করেছে। সে কি সুখ পেয়েছিল সে? সারা কে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম। সে বলেছিল, আব্বা একটা ভাল মানুষ কিন্তু তারে যাদু করেছে এই শয়তান মাতারি। আব্বারে আসতে দেয় নাই। পানি পড়া খাওয়ায়ে বশ করাইসে। তার সাথে কেউ যাওয়া দরকার। বিদ্যা আপা, আপনে যাবেন সাথে? আমি কিছু না চিন্তা করেই বললাম আমি যাব ।ভ্যানগাড়ি বাড়িটি থেকে বের হবার সময় সারার সৎ মা অথবা তার ভাই কেউ আসেনি লাস এগিয়ে দিতে।যাক আমি কিছু ভাববার ক্ষমতা বোধহয় হারিয়ে ফেলছি..লাশ নিয়ে গণস্বাস্থ্যে রওনা দিলাম ।আমি ভর দুপুর বেলায় শববাহী ভ্যানে বসেছিলাম। ভ্যান ওলা বলতে থাকলো ..আপনার বেশ সাহস , মেয়েদের এত সাহস ঠিক না ,আপনি যদি লাশের সাথে না আসতে চাইতেন আমি লাশ নিয়ে আসতাম না ..আমি কিছু না বলে তাকে সারার বাবার জীবিত থাকাকালীন সময়ের কথা জানতে চাইলাম ।উনি কতদিন ধরে সিক ? কি করতেন সারাদিন ?

আমি অবাক হচ্ছিলাম সারার বাবা ঢাকা ভার্সিটির মতো যায়গা থেকে অনার্স মাস্টার্স করে এই বস্তিতে কি করে দিনাতিপাত করছিলেন। ভ্যানওয়ালা বলল “সারাদিন তেমন কিছু করতো না সকালে উঠে ভেলা ১০ টা ১১টা পর্যন্ত খবরের কাগজ পড়তো , এলাকার লোকজনদের সাথে তেমন মিশতো না । তরকারী বেচতো দিনের অন্য সময়।

বসে আছি। দুপুর বেলা মাথার উপর রোদ। আমি ঘামছিলাম। কিছুটা পথ বিশ্বরোড দিয়ে এসে ইটবিছানো পথে উঠলো। অনাদরে পড়ে থাকা নরেন্দ্র নাথের শরীর কাপড়ে মোড়ানো।

লাশ গণস্বাস্থ্যে নেবার পর সেখানে প্রসেসিংএর সময় বেলা ৩টা বাজে , মানে আবার খাবার সময় গণস্বাস্থ্যের ক্যানটিনে খাবারের অর্ডার দেয়া হল ,যে যার মতো করে খেলাম । নামলো ঝুম বৃষ্টি অকারণে অসময়ে । এখন মৃতদেহ নিয়ে ধামরাই যাওয়া হবে সৎকার করার জন্য , যথারীতি আবারো ভ্যান এবং সঙ্গী আমি ।

তারপর আবারও ভ্যান চললো। তিন চারটে শালিক রোদ গড়ানো বিকেলে বসে আছে। চিতায় যাবার আগে সবুজ ঝোপের যখন যাচ্ছে ভাঙা পথে ঝাঁকি এমন যেন মৃতদেহটি নড়ে চড়ে উঠলো। আমি কানের কাছে শুনছিলাম সারার কথা, যাদু টোনা করেছে আব্বারে। যাদুগ্রস্ত মানুষ। নিম্ন মধ্যবিত্তের চিতার সামনে দাঁড়িয়ে। আগুনের শিখা তারল্য নিয়ে জ্বলছিল। লেলিহান কমলা জিহ্বা নেড়ে খেয়ে নিচ্ছিল নরেনকে। মানবদেহ পোড়ানোয় একটা বিদঘুটে গন্ধ আসার কথা । চন্দন কাঠ হলে অভিজাত বৃক্ষের সৌরভে ঢেকে রাখা যায় ! সহায়ক জ্বালানী হিসেেব সুগন্ধি ঘৃতের ব্যবস্থা হয় নি। অপরিশোধিত কেরোসিন তেলের গন্ধ বাতাস ভারী করছে। তবে অসহনীয় নয় ।লাশ পোড়ানের সময় পর্যন্ত তার ছেলে সারার ভাই এসে পৌছাতে পারে নাই । লাশ পোড়ানো হল হিন্দু রীতিতে ,মুখে আগুন দিল তার খ্রিস্টান মেয়েটি ।আজব পৃথিবী।

নরেন্দ্রর সায়াহ্নের পরিচয় এক সবজি-বিক্রেতার। বৌ বাজারে রুগ্ন মানুষটি চটের উপর ঢেঁড়স পটল এসব বিছিয়ে বসে থাকতো। অসুস্থ শরীরে তাকে দেখে ক্রেতাদের খুব একটা ভ্রুক্ষেপ হতো না। তার চেহারা বাজারের লোকজন মনে করবে না। এরকম কয়েক ডজন সবজি-ওয়ালা বসে। তবে লোকটিকে দেখে অভ্যস্ত যারা তাদের কথা ভিন্ন। বলা হয় শেষ ভাল যার সব ভাল। একই নিয়মে শেষ মন্দ হলে কি হবে? নরেন্দ্রর জন্য খুব এমন খরচ হয় নি। দুঃস্থ পিতৃমাতৃহীন কিশোরের মত পুড়ছিল সে যখন, আমি মনে মন বলছি, বিদায় এককালের বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় ছাত্র। বিদায় টেরিকাটা চুলের নায়োকোচিত তরুণ, বিদায় বিচিত্র এক মানুষ। সবজি-ওয়ালা। দুই বউ। তিন সন্তান। এই তার জীবনের সারাংশ। বাতাস বইছিল। পাখিরা কইছির মিচির ডাকছিল এই দিনেও পাখিরা ডাকে



-

ড্রাফট ২.০

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.