নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট একটা ফার্মে কাজ করছি । সৌখিন লেখক । ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি । পকেটে পয়সা থাকলে এদিক ঘুরে খরচ করে ফেলি । সুনীলের লেখার ভক্ত, শামসুর রাহমানের কবিতা পড়ি। বিদেশী লেখকের মধ্যে ড্যানিয়েল স্টীলের লেখা ভাল লাগে । সবচেয়ে ঘৃণা করি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে । একাত্তর আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। ইমেইল: [email protected]
আমার পাশে একজন ছিলেন তিনি জীবিত সন্তান চান না। মৃতদেহ সনাক্তকরতে এসেছেন।
চোখ জুড়ে একটাই প্রশ্ন, ময়মুনারে দেখেছেন?
কখন মানুষ স্বজনের ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে?
স্তুুপীকৃত হাহাকার আর ক্রন্দনের ভিতর যদি কিছু মিল পেয়ে যায়।
অপেক্ষারতদের চোখ ঢুকে গিয়েছিল কোটরের ভিতর,
ন্যুজ হয়ে, বসে, একটানা হাতুড়ি দিয়ে দালান ভাঙার শব্দে
একই জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসেছিল,
কেউ রব দিয়েছে আরেকজন!
চুলের কাটিন, মুখের উপরটা দেখে চিনতে পেরেছে তাকে,
আর তখনই প্রবল ঈর্ষায় হতাশ হয়েছে বাকিরা,
কতটা আশাবাদী হলে যা কিছু একটা উদ্ধার হয়েছে তাতেই মিল খুঁজে পায় স্বজনেরা,
আমি সে দৃশ্য ভাবতে চাই না।
আমি সে দৃশ্য ভাবতে চাই না।
আমি ভাবতে চাই না,
বরং দাবার ছকের মত বেওয়ারিশ মাটিচাপা হলেই হতো,
গোপনে সব সরিয়ে নেয়া হলেই হতো।
দাবার ঘরে গুটিদের সাজানো হয়
নিজেরা মরে রাজাদের বাঁচিয়ে রাখতে,
এখানে যারা আসতো প্রত্যেকেই বিশ্বস্ত থেকেছে আমৃত্যু,
বাইরে থেকে গেটটা তালা দেয়া, এভাবে মানুষ খুন হয়েছে
বার বার মনে করিয়ে দিতে চাই না।
আমরা কি জন্মসূত্রে কারো স্বজন নই?
কারো কোলে বড় হইনি। আবার কাউকে কোলে ধরে বড় করি,
মানুষ হলে আমরা এভাবে মানুষকে তুচ্ছ করতে পারতাম না,
কিন্তু সেই আকাঙ্খিত সাম্য! হায় সাম্য!
আমাদের চাওয়া এখন সন্ধ্যায় জীবন্ত ফিরে আসার মধ্যে সীমিত।
উপার্জনক্ষম ছেলেটি ভাল একটা ছবি রেখে যায় বাড়ির সদস্যদের কাছে। আবার কবে ছবি দেখে সনাক্ত করতে যেতে হবে।
কিছু বদলায় নি..
এখনো সকাল হতেই সারিবদ্ধ শ্রমিক বের হয়,আরেকটি বিপদ হবার আগ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন ইমারতে ওরা কাজ করে যায় ওরা।
-
ড্রাফট ১.২
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
আমি অপদার্থ বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই ব্যাপারটা আমরা ভুলে যাব, খুনিরা ঘুরে বেরাবে সগর্বে, কেউ কিচ্ছুটি করবে না। হতাশ লাগে খুব মাঝেমাঝে।
৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:৫৭
আহসান জামান বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই ব্যাপারটা আমরা ভুলে যাব, খুনিরা ঘুরে বেরাবে সগর্বে, কেউ কিচ্ছুটি করবে না। হতাশ লাগে খুব মাঝেমাঝে।
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:১১
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: লেখায় আলাদা একটা টান অনুভব করলাম, এমন খুনিদের বিচার হউক সেটাই চাই। দারুন অনুভূতির প্রকাশ।
৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
এহসান সাবির বলেছেন: আমি সে দৃশ্য ভাবতে চাই না।
আমি সে দৃশ্য ভাবতে চাই না।
আমি কিছুই ভাবতে চাই না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই ব্যাপারটা আমরা ভুলে যাব, খুনিরা ঘুরে বেরাবে সগর্বে, কেউ কিচ্ছুটি করবে না। হতাশ লাগে খুব মাঝেমাঝে।