নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট একটা ফার্মে কাজ করছি । সৌখিন লেখক । ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি । পকেটে পয়সা থাকলে এদিক ঘুরে খরচ করে ফেলি । সুনীলের লেখার ভক্ত, শামসুর রাহমানের কবিতা পড়ি। বিদেশী লেখকের মধ্যে ড্যানিয়েল স্টীলের লেখা ভাল লাগে । সবচেয়ে ঘৃণা করি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে । একাত্তর আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। ইমেইল: [email protected]
মুক্ত বলল সে ভাষাটাকে বদলাতে চায়। তার অনুশোচনা কেন পুর্বপুরুষ পুরনো ধাঁচের শৃঙ্খলাকে রেখে গেলেন আমাদের জন্য!
কি ভাবে বদলাবেন, আমি ভাষার বিধাতা নই, তবু শুনি।
ঃ আমি বলতে চাই আমার বাক্যরীতিটা এর সঙ্গে মানায় না। ধরুন আমি বলতে চাইছি যা নিচ থেকে শুরু করে উপরে উঠে যাবে। লিফট দেখেছেন?
আমি মাথা নাড়তেই বলল,
এভাবেই উঠতে হয় সব কিছুতে। দপ্তরের বহুতলায়, ক্রমিক নম্বর ঠেলে ঠেলে ইশকুলের ক্লাসে, মোচড় দেয়া সিঁড়ি দিয়ে মিউজিয়ামে। আমি ওভাবে শুরু করতে পারি না। আমার কিছু কথা থাকে গল্পের ভঙ্গীমায়, কিন্তু ..
কিন্তু কি, থামাই।
পুকুর যেভাবে বুদবুদকে প্রশ্রয় দেয় দ্বিমাত্রিক জল ফুড়ে যেখানে সেখানে বের হবার, অথবা বর্ষনে অনিয়মিত বৃষ্টি নূপুর নেচে যায়, আমি পারছি না। কেননা আমাকে শুরু করতে হয় একটা দাঁড়ি থেকে আর থেমে যেতে হয় আরেকটিতে। যারা পড়ে তাদের কে শেখানো হতে পারতো ভাবনার বন্ধনী নেই। আমি যেমন খেতে খেতে হঠাৎ অনিচ্ছাতে স্মৃতির কাছে আত্মসমর্পণ করে ফেললাম। কারো কাছে বোঝাতে না পারলেও মধ্যগগনে বিজলীর উৎপাতের মত নরম মেঘটাকে কেটে ফেলে। আমি খুব বিষাদে আছি, ডাকটিকেট দেয়া চিঠি দিয়ে গেলে সেই বিষাদে যাদুকালির মত সীমিত সুখ ফুটে ওঠে। যদি পারতাম স্বেচ্ছায় মিশ্রণ ঘটতো। কিন্তু ওটা পাকস্থলীতে খাবারের রসায়ন নয়।
মুক্ত, আমরা সহজ কিছু পছন্দ করি। এজন্যই রুলটানা কাগজ দিয়ে বাল্যকাল শুরু হয়। একটা জায়গা চাই শুরু করতে। এত বড় মহাকাব্য সব সূচিপত্রের নিগড়ে হাস ফাস করে।
আমি চাই বইটাকে যদি পাল্টানো যায়! এই পাতা উল্টে মহাকাশকে অফসেট কাগজে চাপাচাপি করতে গিয়ে তাজা মাছের বদলে ড্রাইফিশ খাওয়া হচ্ছে।
আমার রক্ষণের মন তখন মুক্তকে যক্তি দেখায়।
শেষ না হলে সফল ভাবতে পারি না, মুক্ত। দেখেন নি মুক্ত মানুষের জীবন থেকে সে কি করে সংসারী হয়! ভালবাসা একটা পারফিউমের সুবাসের মত। হঠাৎ হোচট খেয়ে খোলা মাঠে থমকে দাঁড়ালেন। ভাঙা বোতল থেকে চারপাশ সুরভিত হলে, মোহগ্রস্ত হলেন। ওই প্রেম। কামের কাচ পা কেটে ফেলছে তবু ওখান থেকে নড়তে মন চাইছে না। অথচ সেই সুরভীকে নটা পাঁচটা অফিসের মত বা কোমরে বেল্টের মত প্রয়োজনীয় করে ফেলতে মানুষ একটা ছকে ফেলে দিল। কারণ মানুষ মেঘকে চায় বোতলে বন্দি করতে। বৃষ্টিকে চায় ছবিতে আটকে শীতের দুপুরে অনুভব করতে।
তা কি তাকে ভাল রাখে, মুক্ত হেসে ওঠে।
বাঁশি বাজালে তখন প্রেম আসে না। আমরা ওই নিয়মে চলি।
বহুবছর হলেও মনের দিকে মুক্ত এক কিশোর। এটাকে সে মানতে পারে না। ছবির মত যেখানে খুশি তৈরী হবে তার প্রকাশ। তার ভাবনায় কখনো দালান উঠবে, কখনো বুদ্বুদ। একটা গল্প হবে একটা বড় গ্রামের মত। সে ভাবনার ছাপাখানায় এক গল্পের ভিতর অনেক বাড়ি নির্মান করবে পাশপাশি। আমরা লাইব্রেরীর মত একই গল্পে অনেক ঘটনা নামিয়ে নিতে পারবো না। এখনো সে তত্ত্ব আসে িন। উপন্যাসের মত অযথা বিশ্লেষণ নয়, আবার গল্পের মত থেমে যাওয়া না।
আমি তাকে বলেছিলাম। বই একটা প্রযুক্তি। নতুন বইগুলোও একই রকমই।
যতক্ষণ চাওয়া আপনার এই ভাবনা ভাবনাতেই থাকবে। অর্থনীতির প্রয়োজন আর যোগানের সমীকরন।
আপনি বাক্য শব্দ ভেঙে মুক্তগল্প লিখতেই পারেন। পাঠের তৃষ্ণা জন্মার হবার আগে তাকে ওই পুকুরেই ফেলে রাখতে হবে।
-
ড্রাফট ১.০ / এভাবেই ভাবছি
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৩২
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: এবসার্ডই হয়ে গেছে ..একই বেশিই। আবসার্ডের সাথে এবসার্ড যোগ করার পর যা হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: বড় বেশি এ্যাবসার্ড লাগলো লেখাটা