নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো অন্ধকারে যাই

সময়টা কি করে দেবে সেটা তার অধিকারী জানে, চাইলে পোকায় ধরে নষ্ট কাল ভেসে যাবে যমুনার বানে

স্বদেশ হাসনাইন

ছোট একটা ফার্মে কাজ করছি । সৌখিন লেখক । ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি । পকেটে পয়সা থাকলে এদিক ঘুরে খরচ করে ফেলি । সুনীলের লেখার ভক্ত, শামসুর রাহমানের কবিতা পড়ি। বিদেশী লেখকের মধ্যে ড্যানিয়েল স্টীলের লেখা ভাল লাগে । সবচেয়ে ঘৃণা করি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে । একাত্তর আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। ইমেইল: [email protected]

স্বদেশ হাসনাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রত্যাবর্তনের লিপি

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

বৃদ্ধলোকের মাথায় ছিট বলে রশিদ তার কাছে ঘেঁষতো না। তবে তার বাসার বই সংগ্রহ অসাধারণ। বয়স বাড়লে চাঁছাছোলা হয়ে যায় মানুষ। মুখের ওপর সত্যি কথা বলে ফেলে। আবরণহীন সত্যি বেদনার কারণ।

কিন্তু স্যারের সাথে দেখা করার কথা ছিল তের তারিখ।

তের তারিখ এসে যায়। বই ফেরত দেবার কথা। যখের ধনের মত একটা দুর্লভ লাইব্রেরি দখল করে রাখছে বৃদ্ধ। এদিকে দাগ তুলতে গিয়ে বিপদে পড়েছে। মলাটের পিছনে মমি ক্রেয়নে ভুত এঁকেছে। বাচ্চাদের এত বারণ করা যায়?

রফিক ফোনে বললো, স্যার! আসবো?

লোকটা বলেছিলেন, ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে যেতে হবে। সরোজের কাছে টাকার জন্য সন্ধ্যার আগে যেতে হবে। ওটা বেশি জরুরী। এই ৯টাতেই আরো দু তিন জায়গায় এপয়েনমেন্ট জট। ভদ্রলোকের স্ত্রী রশিদকে পছন্দ করেন। নিজ হাতে চা করে দেন। সাথে টোস্ট বিস্কিট দেন।গত সপ্তাহে যখন যাই। গত দিন শুনতে পেল। এই লোকটার অস্থিরতা বাড়ছে। দুরে চলে যাবেন বলে ছাতা নিয়ে বের হয়ে যান। একটা বই থাকে। যদিও বই পড়তে পারেন না। আমরা জানি উনি পাশের ঐ রাস্তা পর্যন্ত গিয়ে ফেরত আসবেন।

এগারোটায় বসার ঘরে বসে ছিল রশিদ। পাশে টিভি চলছিল। অফিস থেকে দীঘিনালায় পাঠানোর কথা রফিকদের ব্রাঞ্চের দুতিনজনকে। কি করবে? অনেক উঁচুতে একটা এপার্টমেন্টে থাকে। এটা পাল্টাতে হবে। নানান বিষয় নিয়ে ভাবছিল। এদিকে অনেক ক্ষণ ধরেই ফোন বাজছে খেয়াল করেনি। মমির হাতে ফোনটা দেখে বুঝল মেয়েটা ফোন রিসিভও করেছে খেলতে খেলতে।

রশিদ কলব্যাক করেই ওপাশ থেকে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠ শুনতে পেল। বাবা, তুমি জলদি এসো, বাসায় পুলিশ। তোমার আঙ্কেল সুইসাইড করেছে। অনেকগুলো ঘুমের বড়ি। আর একটা চিরকুট পাওয়া গেছে বিছানার পাশে।

রশিদ গিয়ে দেখেছিল মাউণ্টেনের উপর মৃত অভিযাত্রীদের মত একটা দেহ। সুইসাইড নোটে লেখা - I will be back।



-

ড্রাফট ০.৭



আগের ড্রাফট #০.১



লোকটার ঘরে একটা ধর্মগ্রস্থ ছিল। পরজন্মে তার অগাধ বিশ্বাস। অন্য পাশে নতুন কেনা একটা সাপ্তাহিক প্ল্যানার। সে ভালবাসতো বাঁচতে । কিন্তু আত্মহত্যায় অনিহা ছিল না। খুব ভোরের ধ্যান মগ্ন শহরে একটা বালু ফেলার ট্রাক শব্দ করে ঢুকেছিল। তখনই চিৎকার করে এই মৃত মানুষের কথা বলা হলো। ছোট গল্পের মত লোকটির মৃত্যু হত্যা বা আত্মহত্যা কিছুতেই নির্ধারিত হলো না। শুধু চিরকুটে লেখা ছিল - I will be back soon.

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: লেখাটায় ট্যাগ হিসাবে আপনি মুক্তগদ্যের কথা উল্লেখ করেছেন। মুক্তগদ্য মনে হয় না এতোটা মুক্ত হয়। লেখায় কাব্যময়তার যেমন অভাব আছে, তেমনি শব্দের গাঁথুনিও শক্ত নয়। মুক্তগদ্যে কাব্যময়তা প্রকট না, তবে একেবারেই শূন্য নয়। তবে শব্দের ব্যবহারে বেশ চাকচিক্য থাকে। যেহেতু ভালো কবিতা লিখতে পারেন, তাই চাইলে মুক্তগদ্যকেও সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন আশা করছি। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো স্বদেশ হাসনাইন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২০

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: জানি না আপনি কে তবে খুবই ভাল মন্তব্য করেছেন। এই সাহিত্য সমালোচনা বহুদিন পাই না। একটা মজা করে কথা বলি। আপনি যদি কখনো আগের মুক্তগদ্যের ট্যাগে দেখেন তবে বুঝবেন যে কবিতার মত দীর্ঘ মুক্তগদ্য পেয়েছি।
আমি আমার শুভাকাঙ্খীদের অন্যত্র বলতে শুনেছি স্বদেশ মুক্তগদ্য যা লিখেছে তা আসলে মুক্তকবিতা। কবিতা যেমন জন্মসূত্রে কোন সংজ্ঞায় পড়ে না। মুক্তগদ্যের সংজ্ঞাও জন্ম হয়েছে কিনা জানি না।
মুক্তগদ্য বলতে কি বোঝায় জিজ্ঞেস করেছি বিজ্ঞা কয়জনকে। বললো তুমি লিখা যাবা হাত থেইকা কলম না উঠলে যা কিছু আসে ..বেশি গদ্য করে ফেললে গল্প হবে। তুমি ভাললাগলে মার্সিডিস ভাললাগলে নসিমত চালাবা
। এটা হতে পারতো ছোট গল্প। ব্যখ্যা করছি না। তবে যখন লিখেছি তখন ভাললাগছিল। এটাও স্বাভাবিক এখন পড়তে গিয়ে বদলাতে ইচ্ছে হচ্ছে। আবার প্রথম ভার্শনটাও দেই। দেখুন।


২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: প্রথম ভার্সনটা পড়ে মনে হল এটা অণুগল্প। যেটা ব্লগে প্রথম প্রকাশ করেছেন, সেটাও অণুগল্পের মতোই কিন্তু ঠিক অনুগল্প না। কারণ অণুগল্প সাধারণত এতো দীর্ঘ হয় না। মুক্তগদ্য কবিতার মতো দীর্ঘ হতে পারে। তাতে কোন সমস্যা নাই। আমি বলেছিলাম লেখাটায় কাব্যিকতা একেবারেই কম ছিল। শব্দবুননে আরও দক্ষতার পরিচয় দেয়া দরকার ছিল। অনেক ধন্যবাদ স্বদেশ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.