নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো অন্ধকারে যাই

সময়টা কি করে দেবে সেটা তার অধিকারী জানে, চাইলে পোকায় ধরে নষ্ট কাল ভেসে যাবে যমুনার বানে

স্বদেশ হাসনাইন

ছোট একটা ফার্মে কাজ করছি । সৌখিন লেখক । ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি । পকেটে পয়সা থাকলে এদিক ঘুরে খরচ করে ফেলি । সুনীলের লেখার ভক্ত, শামসুর রাহমানের কবিতা পড়ি। বিদেশী লেখকের মধ্যে ড্যানিয়েল স্টীলের লেখা ভাল লাগে । সবচেয়ে ঘৃণা করি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে । একাত্তর আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। ইমেইল: [email protected]

স্বদেশ হাসনাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রওনকের লেখা

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২২

আমাকে রওনক কিছু স্বরচিত লেখা দিয়েছিল। যতদূর মনে আছে সেটা তার শেষ লেখা না। আমি খুঁজে পাচ্ছি না একটাও। আগেও দিয়েছিল এবং তারও আগে পরে লেখা কিছু পদ্য গদ্য ।পাঠক হিসেবে আমি ভাল। দেরাজের ভেতর শীর্ষেন্দু, টেবিলে বিনয়, অপলার পাহাড়ি কথন, কৃষণের রোটি কাপড়া.. তারপরও হাতে লেখা কাগজে যা দিয়েছিল আমি পড়েছিলাম। রওনক আমার বন্ধু। বন্ধু বলেই আমাকে গিলতে হতো। উলুখাগড়ার বনের মত তার ছন্নছাড়া লেখা। অবশ্য এটুকু বুঝেছি এটা কোন রমণীকে নিয়ে লেখা। ভালবাসি ভালবাসি দশ লক্ষবার লিখলে কবিতা আর থাকে না।
বাকি যা কিছু বাজে শব্দের সমারোহ। ঢেঁড়স বরবটি সেদ্ধ করে কাগজে লেপে দিলেও তার দিকে তাকাতে ইচ্ছে হয় - কিন্তু রওনক! না, কি বলবো। ভাল না লাগলেও আমাদের বলতে হয় ভাল। অনেকটা আত্মীয় স্বজনের কন্যাদের চেহারা কদাকার বেঢপ হলেও তাদের মুখের উপর অসুন্দরী বলা যায় না।
রওনক মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। পুতুলের সহসা মৃত্যুর পর ডাক্তার বলেছিল সে অত্যাধিক ভালবাসতো তার বউকে। আর খুব ভালভাবে ফিরবে না। জগতের রহস্য এমন কেন? আজ কেন যেন রওনকের কবিতা পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে। সারা বাড়ি তন্ন তন্ন করে রওনকের লেখা একটা কবিতা পেলাম না। এরকম তো কতই হয় মানুষ পড়তে দেয়। আমি হু হা করে ফেলে রাখি। রওনক ভাল নেই। আমিও কবিতাকে না পেয়ে ভাল থাকছি না

-
ড্রাফট ১.০

মানুষের মন তারে সব দিয়ে চাও
নগন্য সে ভাবিবে সোনা রূপা টাও
সেধে দিলে ভালবাসা অবজ্ঞাটা পাও
হীরা মোতি মণি মালা নিমেষে উধাও
মানুষেরে কষ্ট দিয়ে ঠেলে দিলে দূরে
পাখি হয়ে লক্ষ মাইলে আসিবে সে উড়ে
সেধে দেয়া সুখে তার তুচ্ছ লেগে যায়
হারানোর পরে সে বক্ষ চাপড়ায়

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সেধে দেয়া সুখে তার তুচ্ছ লেগে যায়
হারানোর পরে সে বক্ষ চাপড়ায়


বুকে ধাক্কা লাগলো।

ড্রাফট অংশ করুণ লাগলো।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: অনেক থ্যাংকস।
আমিও দেখছি বেশি করুণ করে ফেলছি সব। করুণ সুর গুলোই কখনো বেশি স্পর্শ করে থাকে।
একটা হ্যাপি এণ্ডিং এর কিছু খুঁজে পাই কিনা দেখি।

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের করুণতম গানগুলোই মধুরতম অনুভূতির জন্ম দেয়। শেকস মামা কি এটাই বলেছিলেন না? অনুবাদটা খুব সুন্দর করেছি কিন্তু ;)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ভালই .. মামার অনুবাদ ভাগ্নের চেয়ে কে আর বেশি করতে পারে। আমার অনুবাদ হলে ঐ দিল্লীর চিড়িয়াখানায় বাঘকে মামা ডাকার মত করুণ হতো।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৩৫

ডি মুন বলেছেন:

সেধে দিলে ভালবাসা অবজ্ঞাটা পাও
হীরা মোতি মণি মালা নিমেষে উধাও


চমৎকার ++++

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: থ্যাঙ্কস ডি মুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.