নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো অন্ধকারে যাই

সময়টা কি করে দেবে সেটা তার অধিকারী জানে, চাইলে পোকায় ধরে নষ্ট কাল ভেসে যাবে যমুনার বানে

স্বদেশ হাসনাইন

ছোট একটা ফার্মে কাজ করছি । সৌখিন লেখক । ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি । পকেটে পয়সা থাকলে এদিক ঘুরে খরচ করে ফেলি । সুনীলের লেখার ভক্ত, শামসুর রাহমানের কবিতা পড়ি। বিদেশী লেখকের মধ্যে ড্যানিয়েল স্টীলের লেখা ভাল লাগে । সবচেয়ে ঘৃণা করি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে । একাত্তর আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। ইমেইল: [email protected]

স্বদেশ হাসনাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অণুগল্প: এলার্মঘড়ি

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৮

অফিস থেকে দুপুরে বাসায় এসে ভাবলাম পনের মিনিট ঘুম দেই। মাথার কাছে ঘড়ি আছে। উপহার পাওয়া এলার্ম ক্লক।

যথারীতি ঘুম শেষে এলার্মঘড়িটা মিষ্টি টুং টাং শব্দ করে বাজলো, ভাললাগছে মধুর শব্দ, তারপর অসহনীয়! ঘড়িটার ডানে নাকের মত উঁচু বোতাম আছে। আমি সেটা চেপে দিলাম। বন্ধ হলো না। ঝাঁকি দিলাম। ফেলে দিলাম মাটিতে।

বাজতেই থাকলো।

অফিসে না গিয়ে গেলাম ওর কোম্পানীতে, এটা বন্ধ করে দেন।

কাস্টমার সাপোর্ট বলল, জনাব কবে কিনেছেন বলতে হবে। মেমো?

এলার্মটা তখনো বাজছে। শুনে বললো আমার ফর্মে লিখতে হবে কি কি কারণে বাজছে? গত কয়দিন কোথায় কোথায় ঘুমিয়েছেন তার তালিকা।

আমি তখন বললাম শুনেছেন একই নবম সিম্ফনি বাজছে। আপনার খারাপ লাগছে না? বলল এ বিষয়ে বলতে পারেন আমাদের টেকনিক্যাল বিভাগ।

এর পর অসহনীয় ঘড়িটা ফেলে দেবো। এলেন এক লোক। বিজ্ঞ সেই লোক চোখে চশমা। আধাঘণ্টা ধরে শুনলেন। বললেন, হুম, ঘড়িটা ঠিক আছে

কিন্তু ব্যবহার পদ্ধতি যে লিখেছে তার ভুল। আমি পারবো না এর সিন্ধান্ত নিতে। লোকটা চলে যাবার পর বেজেই যাচ্ছে টুং টাং। কোম্পানীর মালিকের টেবিলে গিয়ে ফেললাম এটা। আমাকে বলেন আমি কি দোষ করেছি।

কেন একটা নষ্ট ঘড়ি বেঁচে ব্যবসা করবেন? দালান বানাবেন..ব্যাংক লুট করবেন। আমি আন্দোলন করবো।

তিনি বললেন, আমি কিছুই করতে পারবো না। আমি বললাম আমি সরকারী বিভাগকে জানাবো। সরকারী বিভাগে ফোন চলে গেল ভয়েজ মেইলে।

আপনার অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হলো। আপনাকে অতি দ্রুত যোগাযোগ করা হবে ...

তখুনি জোরে জোরে কর্কশ স্বরে ফোন বাজলো।

আমি ভাবলাম সরকারী অফিসের কেউ। শুনি আমার অফিসের বস ওপাশে,

আপনি আজকে কোথায় গেলেন দশ মিনিটের কথা বলে? ঘুমিয়ে পড়েছেন?

মাথা ভোঁ ভোঁ করছে।

উঠে বসলাম।

দেখি বিছানার পাশে টুং টাং এলার্ম বাজছে। অনেকক্ষণ।

উপরে নাক চাপ দিতেই চুপ হয়ে গেল।

এত সহজ।

--

ড্রাফট ২.০



আগের ড্রাফটের ট্র্যাশে ফেলা লাইন





সময় নেই ও কথা বলো না।

তালিকায় অন্য কোন বস্তু বা মানুষ



পুরনো হয়ে গেছ বাড়ি

অপরাধী, আজ তোমায় ভেঙে ফেলা হবে

পুরনো হয়েছ তাই

হাতুড়ি ও গাঁইতি অপেক্ষায়

পুরনো তাই ইতিহাস হয়ে যাবে



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘড়িরটা জোস লাগলো।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪১

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ওটা বাড়তি লেখা। দিলাম তাকে মূল লেখা করে। থ্যাংকস।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪

তুষার কাব্য বলেছেন: প্রাচীন কে সরিয়ে নতুন রা এভাবেই জায়গা দখল করে বসে ,আবার একদিন সে'ও পুরনো হয়ে যায়...

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪২

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: একদিন সেও পুরনো হয়..ধন্যবাদ তুষার কাব্য

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮

সানজিদা হোসেন বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে অফিসে বসেই ঘুমাতে ইচ্ছা করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.