নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিকরা বঁদড়ামি করবো আর আমি নিশ্চিন্তে বেহেশতে চইলা যাওয়ার ধান্দা করমু ! কক্ষনো না, বরং আমি এই কুলাংগার গুলারে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করমু, ওগো লগে জাহান্নামে ঢুকমু, ওগো আগুনের চাপাতি দিয়া কুপামু.......এর পরে আমার কইলজা ঠান্ডা হইবো।

চেংকু প্যাঁক

চেংকু প্যাঁক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যযুগীয়, রেনেসন্স ও রেনেসন্স পরবর্তী পশ্চিমা লেখকদের চৌর্যবৃত্তি

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

মধ্যযুগীয়, রেনেসন্স ও রেনেসন্স পরবর্তী পশ্চিমা লেখকদের মধ্যে মুসলিমদের সাহিত্য এবং লেখা থেকে বিভিন্ন ধারনা গ্রহণ করার ব্যাপক প্রচলন ছিল। তবে এ ধারণা বা লেখাগুলো যে মুসলিম উৎস নেওয়া এটা পশ্চিমা লেখকরা স্বীকার করতেন না।
.
যেমন দান্তের ডিভাইন কমেডি। এ বইয়ে স্বর্গ ও নরক সম্পর্কে বর্ণিত অধিকাংশ ধারণা, ইমেজারি দান্তে নিয়েছিল কিতাবুল মি’রাজ নামে একটি বই থেকে। যদিও দাবি করা হত যে বইটি ইবন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থে বর্ণিত, তবে আদতে এটি ছিল একটি মনগড়া, জাল বই। তবে বইটি মধ্যযুগে স্পেনের সুফিদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ছিল। স্পেন থেকে মধ্য ইউরোপ হয়ে এ বই ইটালিতে পৌছে। আর দান্তে ডিভাইন কমেডিতে ঢালাও ভাবে এ বই থেকে প্যারাগ্রাফের পর প্যারাগ্রাফ হুবহু উঠিয়ে দেয়।
.
কিতাবুল মি’রাজের বর্ণনাগুলোর সাথে ডিভাইন কমেডির পার্থক্য হল রোমান ক্যাথলিক বিশ্বাসের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য দান্তে চরিত্রগুলোর নাম বদলে দিয়েছিল।
.
একইভাবে পশ্চিমাদের তৈরি করা ফিলোসফি অফ হিস্ট্রি বা ইতিহাসের দর্শনের ধারণা ইবন খালদুনের রচনাবলীর উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা। ইবন খালদুন সর্বপ্রথম জাতি ও সভ্যতাগুলোর উত্থান ও পতনের পেছনে কি কি কারন কাজ করে এ নিয়ে গবেষণা করেন। সর্বপ্রথম ঐতিহাসিক দার্শনিক বলা যায় ইবন খালদুনকেই। তিনি জাতি ও সভ্যতাগুলোর উত্থান-পতনের পেছনে কিছু নিয়মের কথা বলেন। যেগুলো পরবর্তীতে ইউরোপিয়ানরা গ্রহণ করে।
.
যেমন হেগেল তার লেখায় ইবন খালদুনের কিছু ধারণা ব্যবহার করে। আর হেগেলের লেখা প্রভাবিত করে মার্ক্সকে। আধুনিক সময়ের আরনল্ড টয়েনবি এবং ফ্রান্সিস ফুকোয়ামার মতো লেখকরাও ইবন খালদুনের প্রনীত বেশ কিছু ধারণা উপর ভিত্তি করে সভ্যতা ও জাতিসমূহের ব্যাপারে নিজেদের বিশ্লেষণ তৈরি করেছে।
.
এরকম অনেক উদাহরণ আছে যেখানে পশ্চিমারা মুসলিমদের কাছ থেকে এমন অনেক ধারণা গ্রহণ করেছে, যেগুলো পরবর্তীতে তাদের চিন্তা, দর্শন ও সভ্যতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে, কিন্তু তারা কখনোই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নি।

- শায়খ ডঃ আলি আল তামিমি ফাকাল্লাহু আশরাহ
[Muslims & the Study of Future]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পশ্চিমারা জেনুইন চোর তবে মেধাবী চোর!

বৃটিশরা যেমন জালিম থেকে এখন সভ্যা! তার মডেল!!!!

আর আমরা হলাম গিনিপিগ :((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.