নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিকরা বঁদড়ামি করবো আর আমি নিশ্চিন্তে বেহেশতে চইলা যাওয়ার ধান্দা করমু ! কক্ষনো না, বরং আমি এই কুলাংগার গুলারে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করমু, ওগো লগে জাহান্নামে ঢুকমু, ওগো আগুনের চাপাতি দিয়া কুপামু.......এর পরে আমার কইলজা ঠান্ডা হইবো।

চেংকু প্যাঁক

চেংকু প্যাঁক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর এগুলো দেখে "উঁচু" জাতের রোমানরা আনন্দে হাততালি দিত.......................

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

গ্রীক সভ্যতা অনুযায়ী তাদের দেবতারা দেবীদের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হতেন। এরই মাধ্যমে জন্ম নেয়া এক জারজ সন্তান কিউপিড হল তাদের প্রেমদেবতা। তাছাড়া আফ্রোদিত, এথেনা, থেসিস সহ মোটামুটি সকল দেবীই উলংগ থাকতেন বলে তাদের মূর্তিগুলো আভাস দেয়। ইদিপাস দেব তো স্বয়ং নিজ মাতার প্রতি কামভাবে আসক্ত ছিলেন।
.
মিশরীয় সভ্যতার বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করলে সর্বাগ্রে আসবে ইনসেস্ট এর নাম। রাজপরিবারের বংশধরদের মাঝে যাতে "রাজকীয় রক্ত" বিশুদ্ধতার মানদন্ড বজায় রেখে প্রবাহিত হতে পারে এজন্যে পিতা-কন্যা, পুত্র-মাতা, ভাই-বোন এর মাঝে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলে পরবর্তী প্রজন্মকে "ডিজাইন" করা হত।
.
রোমানদেরকে জেনারালাইজ করে বলতে হলে একটা বিশেষনে এদের পরিচয় দেয়া যায়। এরা ছিল স্যাডিস্ট। এরা গবাদি পশুর মত মানুষ কেনাবেচা করত। এই দুর্ভাগা মানুষগুলোকে সিংহ বা বাঘের খাঁচায় ছেড়ে দিত। এদের নাম দিত গ্ল্যাডিয়েটর। গ্ল্যাডিয়েটররা জীবন বাচানোর জন্যে হিংস্র পশুর সাথে ধস্তাধস্তি করে অবশেষে খাদ্যে পরিনত হত আর এগুলো দেখে "উঁচু" জাতের রোমানরা আনন্দে হাততালি দিত।
.
তের-চৌদ্দ শত বছর আগে একজন লোক ছিলেন। জাযিরাতুল আরব, ইরাক, শাম, মিসর সহ আশেপাশের সুবিশাল অঞ্চলে ছিল তাঁর রাজত্ব। পিতার নাম খাত্তাব। মক্কার ক্বাবার দিকে সিজদা দিয়ে উপাসনা করতেন। হেজাযে আগত শেষ নবী (স) এর ধর্মের অনুসারী ছিলেন এই লোক। এই লোক এত বড় সাম্রাজ্যের অধিপতি হওয়া সত্ত্বেও ভিখারির ছদ্মবেশে রাত বিরাতে ঘুরে বেড়াতেন প্রজাদের অবস্থা দেখার জন্যে।
.
কখনো নিজে পিঠে করে আটার বস্তা বয়ে নিয়ে যেতেন দুখিনী মায়ের ঘরে তার ক্ষুধার্ত বাচ্চাদের জন্যে। আবার কখনো নিজের স্ত্রীকে দিয়ে প্রসববেদনায় কাতর বেদুঈন নারীর সেবা করাতেন। শোনা যায়, তাঁর সময় নাকি কতক অঞ্চলে দান-দক্ষিনা নেবার মত লোক খুঁজে পাওয়া যেত না। ন্যায়পরায়নতায় তাঁর জুড়ি মেলা ছিল ভার। তাঁর পূর্বসূরিও ছিলেন এমনই আদর্শবান, মহৎ। আর উত্তরসূরিদের মধ্যেও এসেছে এমন অসংখ্য ন্যায়পরায়ন বাদশা।
.
তবুও গ্রীসের ব্যভিচারকে ডাকবো সভ্যতা বলে, মিশরীয় নোংরামিকে ডাকব সভ্যতা বলে, রোমান বর্বরতাকে ডাকব সভ্যতা বলে। আর ইসলামকে ডাকব নেহাত সেকেলে মধ্যযুগীয় আর পশ্চাদগামী এক অচল জীবন ব্যবস্থা বলে।
.
- ইফতেখার ভাই

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৮

বীরেনদ্র বলেছেন: ভালকে ভাল এবং মন্দকে মন্দ বলতে শিখতে হবে। মিশরীয় সভ্যতা, গ্রিক সভ্যতা, বা রোমান সভ্যতার অবদানগুলোকে ভুলে গেলে তো চলবে না। মিশরীয়দের পিরামিড প্রযুক্তি, হিয়েরোগ্লিফিক্স, মমীপ্রযুক্তি ইত্যাদিকে অস্বীকার করবেন কিভাবে? এরিস্টটল সক্রেটিস, আরকিমিডিস, পীথাগোরাস, হেরোডেটাস, এরিস্টোফিনিস এদেরকে আপনি অস্বীকার ক্রবেন কিভাবে? গনতন্ত্র, দর্শন, গনিত, জ্যামিতি,চিকিৎসা বিজ্ঞান ইত্যাদিতে গ্রীকদের অবদান আপনি অস্বীকার করবেন কিভাবে? অপর দিক থেকে দেখলে গ্রীক দেবরাজ জিউসের ব্যাভীচারিতা, ক্লিওপেট্রার বহুগামীতা ইত্যাদি একইভাবে নিন্দনীয়। মুসলিমদের কথা যদি ধরি তাহলে স্পেনের কর্ডোবা বা গ্রেনাডার লাইব্রেরী, আল জাবির, ইবনে সিনা ,আল কেমী ইত্যাদির অবদানকে অস্বীকার করার ও উপায় নেই। একই ভাবে মেসো পটেমিয়া বা প্রাচীন ভারতের অবদানকেও অস্বীকার করা যাবে না।

ইসলামেরও কিন্তু খারাপ দিকও আছে। সেটাও কিন্তু আপনাকে দেখতে হবে। মুশকিল কি জানেন? ইসলামের সবকিছুই ভাল এবং এর সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না"- এই ধারনা কিন্তু ভুল। প্রশ্ন করবেন "কি কি ভুল আছে দেখান তো?" প্রথম ভুল হল "বিনা যুক্তিতে বিনা প্রমানে সবকিছুকেই ভাল মেনে নিতে হবে এটা এক বিরাট ভুল। সপমালোচনার মন নিয়ে ইসলামের ইতিহাস পড়ুন, অনেক ভুল খুজে পাবেন। আর আগে থেকেই যদি সবকিছু বিশ্বাস করে বসে থাকেন তাহলে কোনো ভুলই দেখতে পাবেন না। বরং ভুলটিকেই সঠিক প্রমান করার জন্য যুক্তি দাড় করাবেন।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আফ্রোদিতি - সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। এই দেবী নিয়ে আমার ব্যাপক আগ্রহ আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.