নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিকরা বঁদড়ামি করবো আর আমি নিশ্চিন্তে বেহেশতে চইলা যাওয়ার ধান্দা করমু ! কক্ষনো না, বরং আমি এই কুলাংগার গুলারে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করমু, ওগো লগে জাহান্নামে ঢুকমু, ওগো আগুনের চাপাতি দিয়া কুপামু.......এর পরে আমার কইলজা ঠান্ডা হইবো।

চেংকু প্যাঁক

চেংকু প্যাঁক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চট্টগ্রাম কারাগারে চলছে বন্দি বেচা-কেনার ‘নিষ্ঠুর’ বাণিজ্য!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩০

মামুনুল হক চৌধুরী : হাটের গরুর মতো দেখে-শুনে; রীতিমতো নিলামে দর হাঁকিয়ে- চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে চলছে বন্দি বেচা-কেনা! কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ‘কেনার’ পর তাদেরই সহযোগিতায় বন্দিদের উপর চলে অমানবিক নির্যাতন! উদ্দেশ্যে একটাই- বন্দির স্বজনদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করা। বছরের পর বছর কারাগারের ওয়ার্ড মেট ও রাইটাররা- এ নিষ্ঠুর বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

সম্প্রতি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া ও চট্টগ্রামের আদালতগুলোতে হাজিরা দিতে আসা একাধিক বন্দি অভিযোগ করে এসব তথ্য জানিয়েছেন একুশে পত্রিকাডটকমের কাছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারাগারের অভ্যন্তরের এই অমানবিক নির্যাতনের কথা বন্দির মুখে শুনে হতবাক হয়ে যান কারাগারে দেখতে যাওয়া স্বজনরা। এরপর বন্দিকে নির্যাতন থেকে বাঁচাতে চাহিদা অনুযায়ী কারাগারে টাকা ‘সরবরাহ’ করেন বন্দির স্বজনরা।

অভিযোগ রয়েছে- কারা ফটকে বন্দি বিক্রির নির্দিষ্ট টাকার ‘দর’ থেকে একটি ভাগ মাস শেষে পৌছে যায় কারা কর্তৃপক্ষ থেকে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পকেটে। নির্দিষ্ট দরের অতিরিক্ত আদায় হওয়া টাকায় কারা অভ্যন্তরে চলে ওয়ার্ড মেট ও রাইটারদের বিলাসী জীবন যাপন। এমনকি এ আয় থেকে কারাগারের বাইরে পরিবারের আর্থিক জোগানও দিচ্ছেন তারা। এ আয় দিয়ে পরিবারের জন্য গাড়ি, বাড়ি ক্রয় করছেন কেউ কেউ।

কারাগারের অভ্যন্তরের অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য পেতে গত ৯ আগস্ট কারাগার থেকে পতেঙ্গার মিসবাহ উদ্দিন আহমেদ মাসুদ, ১১ আগস্ট চকবাজারের বিজয় কুমার দাশ, ১৭ আগস্ট হাটহাজারীর রঞ্জন কুমার দাশ, ৮ সেপ্টেম্বর হালিশহরের রনি দাশসহ অর্ধশতাধিক মুক্তি পাওয়া বন্দি ও বিচারাধীন মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে আসা একাধিক বন্দিসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন এই প্রতিবেদক।

তাদের দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘমেয়াদী সাজাপ্রাপ্ত দাগি কয়েদীরা লাখ টাকার বিনিময়ে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে ওয়ার্ড মেটের দায়িত্ব ‘কিনে’ নেন। একইভাবে বিচারাধীন মামলার হাজতী আসামিরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ওয়ার্ড রাইটারের দায়িত্ব ‘কিনে’ নেন কারা কর্তৃপক্ষ থেকে।

প্রতিদিন আদালতের মাধ্যমে নতুন নতুন বন্দি আসে কারাগারে। কারা ফটকে প্রবেশের পর তাদের নাম, ঠিকানাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য কারাবিধি অনুসারে রেজিস্টারে লেখা হয়। এসময় কারাগারের বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা মেট ও রাইটাররা ওৎ পেতে দাঁড়িয়ে থাকেন। মামলার ধরন, পোশাক পরিচ্ছদ দেখে দায়িত্বরত কারা কর্মকর্তাদের ইশারায় ‘দর’ দিয়ে এসব বন্দি কিনে নেন তারা। পরে বন্দিদের উপর অমানবিক নির্যাতন করে স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। পরে ওই টাকা থেকে সংশ্লিষ্ট কারা কর্মকর্তাদের অংশ পরিশোধ করার পর বাকী টাকা ভোগ করেন তারা।

মুক্তি পাওয়া বন্দি রঞ্জন কুমার দাশ বলেন, ‘আমি একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর কারাগারে যাই। ওই দিন আমাকে মেঘনা ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড মেট ১২’শ টাকায় ক্রয় করে নেন। কিন্তু পূর্ব পরিচিত আমার এক রাজনৈতিক নেতার সহযোগিতায় আমি ওই দিনই ওয়ার্ড পরিবর্তন করেছিলাম। ফলে আমাকে কোনো টাকা পরিশোধ করতে হয়নি। পরে জানতে পারি ৬শ’, ১২শ’, ১৮শ’ ও ২৪শ’ টাকা- চার ধাপে দর হাকিয়ে বন্দি বেচা-কেনা হয়। কিন্তু কেনার পর ওয়ার্ড মেট ও রাইটাররা বন্দিকে ওয়ার্ডে নিয়ে গিয়ে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় ক্রয় করেছে উল্লেখ করে ওই টাকা আদায় করার জন্য নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে টাকা আদায় হওয়ার পর যখন তারা বুঝতে পারে ওই বন্দি থেকে টাকা আর আদায় হবে না, তখন তাকে অন্য ওয়ার্ডে বিক্রি করে দেন। ফলে টাকা আদায়ে ফের শুরু হয় নির্যাতন।’

হালিশহর এলাকার রনি দাশ নামের এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গেলে তাকে কিনে নিয়ে যান যমুনা ওয়ার্ডের ওয়ার্ড মেটরা। এরপর তাকে নির্যাতন করে ৬ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এরপর যমুনা ১২নং ওয়ার্ডে বিক্রি করে দিলে সেখানে টাকা আদায়ের জন্য শুরু হয় নির্যাতন। গত ৮ আগস্ট মুক্তি পেয়ে এই প্রতিবেদককে এসব কথা জানিয়েছেন রনি দাশ।

৯ আগস্ট মুক্তি পাওয়া বন্দি মিসবাহ উদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, কারাগারে প্রবেশের দিন পদ্মা-৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড মেট ঝিনুক তাকে ‘কিনে’ নিয়ে যান। এরপর তার ক্রয় মুল্য ১৫ হাজার টাকা দাবি করে তা আদায়ের জন্য শুরু করা হয় শারীরিত ও মানসিক নির্যাতন। জামিনে বের হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার টাকা স্বজনদের মাধ্যমে পরিশোধ করেন তিনি।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে রোববার রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়।

এসময় বন্দি কেনা-বেচার নামে বাণিজ্য ও টাকার জন্য বন্দিদের নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে কোনো জবাব না দিয়েই মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

এরপর আরও দুইবার ফোন করা হলেও তাতে সাড়া দেননি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

- See more at: Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২২

ঢাকাবাসী বলেছেন: মহা দুর্ণীতির দেশে এসব তো মামুলি। ঘুষের টাকাটা বহুত উপর পর্যন্ত যায়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.