নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিকরা বঁদড়ামি করবো আর আমি নিশ্চিন্তে বেহেশতে চইলা যাওয়ার ধান্দা করমু ! কক্ষনো না, বরং আমি এই কুলাংগার গুলারে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করমু, ওগো লগে জাহান্নামে ঢুকমু, ওগো আগুনের চাপাতি দিয়া কুপামু.......এর পরে আমার কইলজা ঠান্ডা হইবো।

চেংকু প্যাঁক

চেংকু প্যাঁক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক ৫ মিনিটেই মানচিত্র থেকে মুছে যাবে পাকিস্তান, হুঁশিয়ারি ভারতের

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

19 Sep, 2016

কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ১৭ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় গোটা ভারতই এখন উত্তাল প্রায়। এমতাবস্থায় পাকিস্তানে পাল্টা হামলা চালানোরও হুমকি দেয়া হচ্ছে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পাকিস্তানকে ‘দ্ব্যর্থহীন জবাব’ দিতে হামলা চালানোয় সরকারের অনুমোদন চাইছে ভারতের সেনাবাহিনী।

এদিকে পাকিস্তানকে মাত্র ৫ মিনিটেই উড়িয়ে দেয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেছে ভারতের পরমাণু বিশেষজ্ঞ দল।

তারা বলেছে, দিল্লিকে যেমন পাকিস্তান উড়িয়ে দিতে পারে, ঠিক তেমনই মাত্র ৫ মিনিটে গোটা পাকিস্তানকেই উড়িয়ে দিতে পারে ভারত। এমনই পাল্টা হুমকি দিলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

কাশ্মীরে ১৭ সেনা নিহতের মাত্র একদিন আগে গত শনিবার পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান বলেছিলেন, ‘চাইলেই আগামী ৫ মিনিটে পরমাণু হামলা চালিয়ে দিল্লিকে উড়িয়ে দিতে পারি।’

আব্দুল কাদিরের দেয়া হুমকির পর দিনই কাশ্মীর কাণ্ডে ঘটনায় ভারতের পক্ষ থেকে এই পাল্টা জবাব দেয়া হলো।

ভারতের হাতে যেসব পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র এখন রয়েছে, পৃথিবীর বিশাল অংশ তার পাল্লার মধ্যে। অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ৬০০০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে পরমাণু হামলা চালাতে সক্ষম। অর্থাৎ পাকিস্তানের কোনও অংশই ভারতের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রগুলির পাল্লার বাইরে নয়।

ইসলামাবাদ, লাহৌর, মুলতান, করাচি, রাওয়ালপিন্ডি, পেশোয়ার, কোয়েটা— পাকিস্তানের এই গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি ভারত থেকে মোটেই খুব দূরে নয়। ওয়াগা সীমান্ত থেকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহৌর মাত্র ২১ কিলোমিটার দূরে। রাজধানী ইসলামাবাদের দূর্ত ৩৭৪ কিলোমিটারের মতো। আর মুলতান, কোয়েটা, পেশোয়ার, করাচি, রাওয়ালপিন্ডির মতো পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিন পাকিস্তানের শহরগুলির দূরত্ব ভারত থেকে মেরেকেটে ৭৫০-৮০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ ভারতের স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলিই পাকিস্তানের সিংহভাগ ছাই করে দিতে পারে।

দূরবর্তীতম কোনও প্রান্তে আঘাত হানতে চাইলে মিডিয়াম রেঞ্জ বা মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রই যথেষ্ট। আইআরবিএম বা আইসিবিএম-এর মতো বিশাল বিশাল পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার দরকারই পড়বে না ভারতের।

আব্দুল কাদিরের দেয়া বক্তব্যের পর ভারত ৫ মিনিটে গোটা পাকিস্তানকেই মানচিত্র থেকে মুছে দিতে পারে- এই হুঁশিয়ারিটি হয়তো সেই পাক পরমাণু বিজ্ঞানীকেই মনে করিয়ে দিলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের উরিতে সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে আত্মঘাতি হামলা চালায় কাশ্মীরের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠি। এতে ১৭ ভারতীয় সেনা এবং ৪ আত্মঘাতি নিহত হয়। ভারত সরকারের দাবি, ওই হামলার পেছনে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে।

কাশ্মীরে গত প্রায় দুই মাস ধরে সহিংস বিক্ষোভ চলছে এবং এতে ৮৬ জন কাশ্মীরি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এর আগে কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরে ছররা গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া এক স্কুল ছাত্রের মৃতদেহ পাওয়ার পর পুরো রাজ্যজুড়ে জারি করা হয়েছে কঠোর সান্ধ্য আইন।

সেখানে লোকজনের চলাফেরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর এ যাবতকালের সবচেয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। কাশ্মীরে সম্প্রতি এক স্বাধীনতাকমী নেতাকে গুলি করে হত্যার পর সেখানে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে আবারও ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভারত ও পাকিস্তান একে অন্যকে হুমকি দেবে, উড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাবে। কিন্তু বাস্তবে কেউ কারো ওপর পরমানু অস্ত্র প্রয়োগ করবে না। কারণ তারা ভালো করেই জানে যে এই কাজ করলে দুই দেশেরই অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে। সংশ্লিষ্ট অন্য দেশগুলোও পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস হয়ে যাবে। এই দুটি দেশ বড় জোর কারগিল বা শিয়াচেন যুদ্ধের মতো কনভেনশনাল যুদ্ধ শুরু করতে পারে। কিন্তু কখনোই পারমানবিক যুদ্ধ নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.