নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিকরা বঁদড়ামি করবো আর আমি নিশ্চিন্তে বেহেশতে চইলা যাওয়ার ধান্দা করমু ! কক্ষনো না, বরং আমি এই কুলাংগার গুলারে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করমু, ওগো লগে জাহান্নামে ঢুকমু, ওগো আগুনের চাপাতি দিয়া কুপামু.......এর পরে আমার কইলজা ঠান্ডা হইবো।

চেংকু প্যাঁক

চেংকু প্যাঁক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের পূর্ব সীমান্তে চীনা সামরিক মহড়া

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৯

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে ভারতের পূর্ব সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি শিবির স্থাপনের পর সেখানে অতিক্তি সেনা বৃদ্ধি করে রণ-মহড়া দিচ্ছে চীন। উত্তর-পূর্বের রাজ্য অরুণাচল ‘দখলের’ লক্ষ্যে চায়না পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সীমান্তে রণ-মহড়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আসামের প্রভাবশালী দৈনিক ‘অসমীয় প্রতিদিন’।



পত্রিকাটির খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত যখন সমরকৌশল তৈরিতে ব্যস্ত তখন চীনের সৈন্য অরুণাচল সীমান্তে শিবির স্থাপন করে যুদ্ধের প্রস্তুতি চালানোর বিষয়টি ভারতের উত্তর-পূর্বের জন্য চরম হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের এই তৎপরতার কারণে আসামের আকাশে ভারতীয় বিমান বাহিনী যুদ্ধবিমানের মহড়া দিচ্ছে।



অসমীয় প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, চীনের সেনা অরুণাচলের আনজাও জিলার প্লাম নামের স্থানে শিবির স্থাপনের ঘটনায় ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে।



ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্রের বরাতে পত্রিকাটি লিখেছে, আনজাওর চাংগালাম চার্কোলর থেকে মূল নিয়ন্ত্রণরেখার দুরত্ব ৯৪ কিলোমিটার। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে চীনা সেনা নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ৪৫ কিলোমিটার এগিয়ে এসে প্লামে অস্থায়ী শিবির স্থাপন করে। আনকি চাংগালাম থেকে ৫২ কিলোমিটার দূরত্বে ভারতের সেনার টহলরত দল চীনা সেনার সঙ্গে মুখোমুখিও হয়েছিল।



আসামের টিভি চ্যানেল ‘প্রতিদিন টাইম’ এর এক খবরে বলা হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় চীনা সেনারা সড়ক ও ব্রীজ নির্মাণ করে ব্যাপক সমরসজ্জা শুরু করেছে। চাংগালাম থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরত্বে চীনা সেনার এমন উপস্থিতি অরুণাচলের প্রতি হুমকিস্বরুপ বলে মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর চীনের সীমান্ত এলাকায় ডামাইত নামক স্থানে ভারত ও চীনা সেনারা পতাকা বৈঠক করে। ওই বৈঠকে চীনা সেনার অনুপ্রবেশ করা অঞ্চল ভারতকে ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং অস্থায়ী শিবির স্থাপন করা অঞ্চল চীনের ভেতরে বলে বলে দাবি করে চীন।



প্রতিদিন টাইমের খবরে বলা হয়, ভারত-চীন সেনার এই বিরোধে অরুণাচলের পূর্ব সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে আগামী ১ অক্টোবর চীনা সেনার অনুপ্রবেশ নিয়ে দুই দেশ বৈঠক করবে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়কে গোয়েন্দারা জানালেও কেন্দ্রীয় সরকার এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি।



প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের উরি সেনা ক্যাম্পে হামলায় ১৯ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় পাক-ভারত যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ভারত পাকিস্তানকে একঘরে করার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতে পাকিস্তানের হামলা চলানোর আশঙ্কায় ভারত প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরইমধ্যে রাশিয়ার সেনা পাকিস্তানের সেনার সঙ্গে যৌথ মহড়ার বিষয়টি নিয়ে ভারতের জন্য চরম অস্বস্তির বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। একই সঙ্গে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে চীন পাকিস্তানের পাশে থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত চায়না হাইকমিশনারের এ ঘোষণা এবং অরুণাচলে শিবির স্থাপন করে চীনা সেনার রণ-মহড়ার বিষয়টি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি হিসেবে দেখছে ভারত। সর্বপরি ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে চীন-রাশিয়ার ভূমিকা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করবে নাকি সে প্রশ্নও উঠেছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০২

আদর্শ সৈনিক বলেছেন: ভালো হইছে, রেন্ডিয়া দুই দিক দিয়ে মারা খাউক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.