নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিকরা বঁদড়ামি করবো আর আমি নিশ্চিন্তে বেহেশতে চইলা যাওয়ার ধান্দা করমু ! কক্ষনো না, বরং আমি এই কুলাংগার গুলারে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করমু, ওগো লগে জাহান্নামে ঢুকমু, ওগো আগুনের চাপাতি দিয়া কুপামু.......এর পরে আমার কইলজা ঠান্ডা হইবো।

চেংকু প্যাঁক

চেংকু প্যাঁক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাস্যরসের পাত্রে পরিনত হচ্ছে জন বিচ্ছিন্ন বাম-ধারা

১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

গত শুক্রবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মৌলবাদ সংশ্লেষ রোধের উপায় খুঁজতে একমঞ্চে হাজির হয়েছিল দুই প্রজন্ম। বিষয়টি কিভাবে নিয়েছে জনগন ? কিভাবে নিয়েছে তরুন সমাজ ?

‘মজার সব প্রস্তবনায় ঠাসা জাফর ইকবালদের শোকসভা’ ‘একজন আলিমকে বসিয়ে টক- শোতে চতুমুর্খী সাড়শী আক্রমন’ ‘বিজ্ঞানী অজয় রায়রা মূর্তিতে কোন বিজ্ঞান খুজে পান ?’ ‘ আমাদের দেশের কলা বিজ্ঞানীরা মুক্তিযুদ্ধের যে নতুন চেতনাগুলো আবিষ্কার করেছে, সেগুলোর একটা হল সুশীলদের প্রগতিশীলতা’

এমনি সব উক্তি দ্বারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গন-মানুষ জবাব দিচ্ছেন আয়োজিত বৈঠকটির। বেশির ভাগ মানুষ বিষয়টি দেখছেন গন- বিচ্ছিন্ন জনবিরোধীদের ষড়যন্ত্রমূলক সভা হিসাবে। আসুন দেখি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গন-মানুষের প্রতিক্রিয়ার কিছু অংশ।

মুফতী সাখওয়াত হুসাইন রাজী : মুর্তিপ্রেমিদের একের পর এক শোকসভা চলছে। মাতম শেষে শোকসভা থেকে আসছে নানা প্রস্তাবনা। তবে হেফাজতের মাদরাসার পাশে ফ্রি স্কুল খোলার প্রস্তাবটি বেশ মজার এবং এতে তাদের মুখোশ খুলে গেছে। কেননা সারাজীবন তারা শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করেছে। এখন ভুল বুঝতে পেরে হেফাজতের পথে পা বাড়িয়েছে।
মিডিয়ায় আলেমদের কেন ডাকা হয়, এ নিয়েও তারা আপত্তি তুলেছে সভায়। তারা মিডিয়ায় একতরফা চেঁচামেচি করতে চায়। বকতে চায় মিথ্যার প্রলাপ। সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। ভয় পায় বাস্তবতাকে। তাইতো কাপুরুষোচিত প্রস্তাব।

মনোয়ার শামসী : হেফাজত কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক একটি সংগঠন; কাজেই হেফাজত ওহী বা রেভেলেশন এবং রেভেলেশন ভিত্তিক ট্রাডিশন বা সুন্নাহ ভিত্তিক বিশেষ জ্ঞান চর্চাকারীদের একটি ফোরাম বটে; কিন্তু তাই বলে রিজন বা র‍্যাশনালিটি ভিত্তিক বিজ্ঞান চর্চার বিরুদ্ধে তাদের কোনো অবস্থান আছে বলে আমার জানা নেই। তারা নিজেরা হয়ত আপাতত বিজ্ঞানের চর্চা করছেন না নানাবিধ ঐতিহাসিক কারণে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা বিজ্ঞান বিরোধী।

এনায়েত উল্লাহ : হেফাজতের ফ্রি মাদ্রাসার পাশে ফ্রি স্কুল করার পরামর্শও দেন জাফর ইকবাল। হেফাজতকে রুখতে প্রতিক্রিয়াশীলতার দুই প্রজন্মের একটি বৈঠকে এ প্রস্তাব আসে। বিডিনিউজ এ বৈঠকের আদ্যপান্ত প্রকাশ করেছে। মজার সব প্রস্তাবে ঠাসা সে বৈঠকটিকে এ প্রস্তাবখানাও ছিল। হেফাজতকে কেন মিডিয়ায় আনেন? এমন একটি প্রশ্নও সে বৈঠকে উপস্থিত মুন্নী সাহা এবং তার সহকর্মীবৃন্দকে লক্ষ্য করে ছিল। এর মানে হলো, তিন চার জনের বিপরীতে একজন মৌলভীকে বসিয়ে চতুর্মুখী সাড়াশি আক্রমণে পর্যুদস্ত করার প্রকল্পখানাও তাদের ভেস্তে যেতে চলেছে। হিতে বিপরীত ফল দেখা যাচ্ছে।

বৈঠকে রাজনীতির বাইরে গিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার একটা প্রস্তাব আসলেও তা গৃহীত হয়নি। কারণ এনজিওকরণ দিয়ে বেশিকিছু করা সম্ভব না। বরং রাজনীতিকেই হাতিয়ার হিসাবে ধারণ করার জোরালো দাবি আসে। বৈঠকীরা গ্রীক থেমিস অপসারণ, পাঠ্যসূচি পরিবর্তন, কওমি স্বীকৃতি প্রবৃতি বিষয় নিয়ে গভীর মনোবেদনা প্রকাশের পর এ ব্যাপারে একমত হন- এই বিষয়গুলোতে ভোটের রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নেই।

সবশেষে তারা স্বীকার করেন, তারা তরুনদের মনের ভাষা বুঝছেন না। ‘তথাকথিত’ শহুরে সভ্যতা দিয়েই এ থেকে উত্তরণ সম্ভব না। এ দেশের মাটি মানুষকে আরো কাছ থেকে দেখতে হবে। এভাবেই একটি ‘শোক সভা’র পরিসমাপ্তি ঘটে। বৈঠকের লিংক কমেন্ট বক্সে দ্রষ্টব্য আশায় আছি, মাদরাসাগুলোর মতো ধর্মীয় অনুশাসন পালনে অভ্যস্ত করানো হয় এমন ধারার ‘স্কুল-কলেজ’ এদেশে কখন দেখব?

পিনাকী ভট্টাচারিয়া : ‘হেফাজতে ইসলামটা কী? এটা কওমি মাদ্রাসার একটি সংগঠন। বাংলাদেশে গরিব মানুষ আছে, তাদের সন্তানদের লেখা পড়ার সুযোগ নেই। তারা লিল্লাহ মাদ্রাসায় দিয়ে দেন। কারণ সেখানে থাকা-খাওয়া ফ্রি এবং লেখাপড়াও হয়। আমাদের দেশে এটা কেন তৈরি হয়েছে। কারণ আমরা তাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করতে পারিনি।’ জাফর ইকবাল
কওমি মাদ্রাসা যে জাফর ইকবালের স্কুলের চাইতে পুরনো সেই খেয়াল উনার নাই। মাদ্রাসা টোল মক্তব আর পাঠশালাই আমাদের আদি শিক্ষা ব্যবস্থা। স্কুল কলেজ তো অনেক পরের কথা। জাফর ইকবালদের আধুনিক শিক্ষার ঠেলায় আর সব গেছেগা, খালি মাদ্রাসা টিকে আছে। টিকে আছে কারণ তার উপনিবেশ বিরোধি লড়াইয়ের গৌরবের ইতিহাস আছে, জনসম্পৃক্ততা আছে। সেই কারণেই তারা বুঝেছিলো থেমিস কী? থেমিস আসলে কী সিগনিফাই করে? কওমি ধারার কারো এটা চিনে নিতে কষ্ট হয়নি এইটা উপনিবেশিকতার প্রতীক। রুখে দাড়িয়েছিলো তারা।

জাফর ইকবালেরা যতই মাথা চুলকান এই কওমি মাদ্রাসা থাকবে তাদের এন্টি কলোনিয়াল লড়াইয়ের ঐতিহ্য নিয়ে আপনাদের আধুনিকতার মননের দুর্গে তারা বারেবারে আঘাত করবে।

ওমর আলী আশরাফ : আমাদের দেশের কেলা বিগ্যানিরা মুক্তিযুদ্ধের যে নতুন চেতনাগুলো আবিষ্কার করেছে, সেগুলোর একটা হল সুশীলদের প্রগতিশীলতা। এটা নিয়ে তারা রাজনীতিতে নতুন বাজি ধরছে। নতুন এইজন্য, সুশীলরা একূল ওকূল- সব কূল হারিয়ে এখন দিশেহারা। তাদের কথায় যখন আওয়ামী সরকার হেফাজতের ১৮ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদেরকেও ক্র‍্যাকডাউনে পিটিয়েছে, তখন আনন্দে তারা মিষ্টি বিতরণ করেছিল।

“আমরা মনে করি, তাঁর (সুলতানা কামাল) ওপর আক্রমণ মানে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ।”
এটা বলে সুশীলরা নতুন কোন চেতনা আবিষ্কার করে তার অস্তিত্ব জানান দিতে চাচ্ছে? এই দেশের মুক্তিযোদ্ধা কি কেবল সুলতানা কামালই ছিলেন? মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশরা কই যাবেন? মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কয়জন সেক্যুলারপন্থী ছিলেন? তারা যদি অবাধ ব্যভিচার, মূর্তি সংস্কৃতির জন্য যুদ্ধ করেছেন হয়, বাকিরা তো করেছেন মসজিদ মাদরাসা পর্দা আর কৃষক মজুর বাঙালিদের শান্তির জন্যে। সুশীলরা কেন তাদের আট দশজনের চেতনা বাকি সকল মুক্তিযোদ্ধার ওপর চাপাবেন?
আচ্ছা, উন্নতি কি অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশায়, নাকি নতুন এপার্টমেন্ট তৈরিতে? উন্নত দেশগুলো যেখানে শিল্প, বাণিজ্য, নির্মাণ, প্রযুক্তি, রাস্তাঘাট, যোগাযোগব্যবস্থা, প্রশাসনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উন্নয়ন ঘটায়, আমাদের প্রগতিশীলরা সেখানে মূর্তি স্থাপনা, বিজাতীয় সংস্কৃতি আর ব্যভিচারে উন্নতি ও প্রগতিশীলতা খোঁজে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৯

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: আমাদের দেশের কিছু ভন্ড তথাকথিত বুদ্ধিজীবী্র মুখোশ পড়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যেভাবে নীচে নামিয়েছে তা বর্ণনার যোগ্য না।
সহজ কথায় এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ইসলামের বিপরীতে দাড় করিয়েছে। এদেরকেই সবার আগে বিচারের আওতায় আনা উচিত।

২| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৪

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: যারা আল্লাহকে অসম্মান করে তাদের সম্মানও আল্লাহ রাখেন না।
মাত্র কয়েক বছর আগেও যারা জনগণের শ্রদ্ধার পাত্র ছিল তাদেরকে নিয়েই এখন সবাই ঠাট্টা করে।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

আবদুল মমিন বলেছেন: বুদ্ধিজীবী যারা বুদ্ধি বিক্রি করিয়া জীবিকা নির্বাহ করিয়া থাকে । যেমন গরু বাজারের দালাল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.