নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিকরা বঁদড়ামি করবো আর আমি নিশ্চিন্তে বেহেশতে চইলা যাওয়ার ধান্দা করমু ! কক্ষনো না, বরং আমি এই কুলাংগার গুলারে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করমু, ওগো লগে জাহান্নামে ঢুকমু, ওগো আগুনের চাপাতি দিয়া কুপামু.......এর পরে আমার কইলজা ঠান্ডা হইবো।

চেংকু প্যাঁক

চেংকু প্যাঁক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতবর্ষে ইসলামের অস্তিত্ব রক্ষায় গরু জবাই ও গরুর গোশতের মনস্তাত্ত্বিক ভূমিকা

১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৯

যখন ভারতবর্ষে ইসলাম ধর্মের সূচনা হয়েছিল, তখন এই ভূখণ্ডে মুসলমানরা ছিল সংখ্যায় কম, হিন্দুরা ছিল সংখ্যায় বেশি। এই সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা ছিল প্রচণ্ড হিংস্র ও অসভ্য, যা ইবনে বতুতা ও আল বিরুনীর ঐতিহাসিক বর্ণনাতে রয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন হতে পারে, এই উগ্র হিন্দুদের অভয়ারণ্যে কিভাবে তখন মুসলমান সূফী-দরবেশগণ ধর্মপ্রচার করতে পারলেন? সংখ্যায় অধিক হিন্দুরা তো পারত মুসলমানদের ছিঁড়েখুড়ে ফেলতে

এর ব্যাখা করতে গিয়ে শুরুতে আমাদেরকে হিন্দু মনস্তত্ত্ব বুঝতে হবে। হিন্দুরা যখন তাদের পূজাপার্বণ খুব ধুমধাম করে পালনের স্বাধীনতা পায়, তখনই তাদের দুঃসাহস বেড়ে যায়। যেমন হিন্দুদের ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব চৈতন্য অনেক লোক জড়ো করে বিকট শব্দে কীর্তন করত। স্থানীয় মুসলমান কাজী জনগণের অসুবিধা হওয়ার কারণে এধরণের অনুষ্ঠান বন্ধ করতে নির্দেশ দিলেন। তখনই চৈতন্য তার অনুসারীদের নিয়ে কাজীর বাড়িতে হামলা চালালো এবং অনুসারীদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করল-
“নির্যবন করো আজি সকল ভূবন”

অর্থাৎ শুধু কাজীকে নয়, পৃথিবীর সব মুসলমানকেই হত্যা করো। ঘটা করে পূজা ও কীর্তন করার মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব এটি। আর যদি হিন্দুদেরকে ঘটা করে পূজা করতে না দেয়া হয়, বিশেষ করে হিন্দুদের চোখের সামনে যদি গরু কুরবানী করা হয়, তখনই হিন্দুরা ভয়ার্ত হয়, অনুগত হয়। একারণেই হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি সহ পূর্ববর্তী সময়ের অনেক ধর্মপ্রচারক বাহির থেকে এসেও স্থানীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের মাঝে ইসলাম প্রচার করতে পেরেছিলেন, কারণ উনারা গরু কুরবানীর বিষয়টিতে জোর দিয়েছিলেন। গরু কুরবানীর মাধ্যমেই উনারা হিন্দুদেরকে অনুগত করতে পেরেছিলেন এবং হিন্দুদের মাঝে নির্বিঘ্নে চলাফেরা ও ধর্মপ্রচারের স্বাধীনতা লাভ করেছিলেন।

পরবর্তীতে ইংরেজরাও হিন্দুদেরকে অনুগত করতে এই অস্ত্র প্রয়োগ করেছিল। ব্রিটিশ আমলের শুরুর দিকে ‘ইয়ং বেঙ্গল’ ‘ব্রাহ্মসমাজ’ এসব গোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত যেসব ব্রিটিশ অনুগত হিন্দু ছিল, তারা গরুর গোশত ভক্ষণ করত। তৎকালীন ঐতিহাসিক বর্ণনাতে রয়েছে যে, ইয়ং বেঙ্গলের সদস্যরা গরুর গোশত ভক্ষণ করে ব্রাহ্মণ হিন্দুদের বাড়িতে গরুর হাড্ডি ছুঁড়ে মারত, আর প্রকাশ্যে ঘোষণা করত ‘আমরা গরু খাই’। ব্রিটিশরা এই গোষ্ঠীগুলো তৈরী করেছিল হিন্দুধর্মের সংস্কারের জন্য। কারণ হিন্দুধর্মের সংস্কারের জন্য এমন হিন্দুদের দরকার, যারা উচ্ছৃঙ্খল কিংবা হিংস্র নয়। কেবলমাত্র গরুর গোশত খাওয়ানোর মাধ্যমেই এধরণের অনুগত হিন্দু তৈরী করা সম্ভব।
আর যদি উল্টোটা হয়? যদি হিন্দুদের গরুনুভূতিকে না দমন করে সেটাকে আরো উস্কে দেয়া হয়? সেক্ষেত্রে হিন্দুর ভেতরকার সুপ্ত বানরটি প্রাণ পায়, যার ফলে মুসলমান নির্যাতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠে। সেটিই হয়েছে বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে বসবাসকারী মুসলমানদের ক্ষেত্রে। এই উত্তরপ্রদেশেই কিন্তু অবস্থিত দিল্লী-লখনৌ-আগ্রা তথা মুসলিম আমলের শাসনকেন্দ্রসমূহ। যার ফলে এখানকার মুসলমানদের সামাজিক অবস্থান ও প্রতিপত্তি অত্যন্ত বেশি ছিল, যা নিয়ে নীরদ সি চৌধুরী মন্তব্য করেছে-

হিন্দুস্তানে হিন্দু মাত্রেই সভ্য বলিয়া গৃহীত হইতে চাহিলে মুসলমানী রীতি ধরিত, অর্থাৎ তাহাদের (হিন্দুদের) ভাষা হইত উর্দু-ফার্সী, পোশাক হইত আচকান ইত্যাদি, আদব-কায়দাও হইত মুসলমানসুলভ। এখন যেমন সামাজিক প্রতিষ্ঠা জন্য লোকে ‘সাহেব’ হইতে চায়, তখন তাহারা মুসলমান হইত। ইহা ছাড়া সামাজিক জীবনে বিদগ্ধ হিন্দু, মুসলমানেরই সঙ্গে মেলামেশা করিত বেশি।” (সূত্র: নির্বাচিত প্রবন্ধ, নীরদচন্দ্র চৌধুরী, পৃষ্ঠা ২২৩)

একদা হিন্দুস্তান তথা উত্তরভারতে হিন্দুরা পর্যন্ত মুসলমানদের সংস্কৃতি গ্রহণ করত সভ্য হওয়ার জন্য, আর আজকে সেই উত্তরভারতেই মুসলমানদের চতুর্থ শ্রেণীর নাগরিক বানিয়ে রেখেছে হিন্দুরা। কারণ উত্তরভারতের মুসলমানরা আপোষ করেছিল গরুর গোশতের ব্যাপারে। উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে প্রতিবছর ভারতীয় মুসলমানদের উদ্দেশ্য করে ফতোয়া দেয়া হয় যে, “হিন্দুদের দেবতা বিধায় আপনারা গরু কুরবানী করবেন না।” যার ফলে মিডিয়াতে গো-রক্ষা বাহিনী কর্তৃক যে মুসলমান পিটিয়ে মারার সংবাদগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো সবই রাজস্থান, হরিয়ানা তথা ভারতের উত্তরাঞ্চলের। ফ্রিজে গরুর গোশত রাখার অভিযোগ তুলে পিটিয়ে মারা হয়েছিল যে আখলাককে, তার বসবাস দিল্লীর উপকণ্ঠে তথা উত্তরভারতে।

অর্থাৎ মুসলমানরা যখন গরু নিয়ে আপোষে যায়, তখনই হিন্দুরা হিংস্র হয়ে উঠে। পূর্ববর্তী জামানার ওলীআল্লাহগণ যারা ভারতবর্ষে দ্বীন ইসলাম প্রচার করেছিলেন, উনারা সত্যিই অনেক জ্ঞানী ও সমঝদার ছিলেন। যে কারণে উনারা গরুর জবাই ও গরুর গোশতের এই মনস্তাত্ত্বিক দিকটি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। বর্তমান আওয়ামী সরকার চায় এদেশ ভারতের অনুগত হোক, তাই তারা ছাত্রলীগকে দিয়ে গরুর গোশত ইস্যুতে বুয়েট ও চারুকলায় অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করেছে। সুতরাং দেশ বিক্রির আওয়ামী ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করার একটি বড় হাতিয়ার হতে পারে অধিকহারে গরু জবাই তথা গরুর গোশতের ব্যাপক প্রচার। বর্তমানে এদেশে যে হিন্দুতোষণের জোয়ার বইছে, এটি ঠেকিয়ে দেয়ার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হতে পারে বিফ ফেস্টিভ্যাল, গরুর গোশত উৎসব ও হোটেলে হোটেলে গরুর গোশত রাখার জন্য সামাজিক আন্দোলন।

---দস্তার রাজদরবার

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


গরুর উপর দিয়ে যাক, ছাগল বাড়ুক।

২| ১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০১

আলগা কপাল বলেছেন: যখন শুনি এসব ঘটনা তখন কষ্ট লাগে। মুসলমানরা কোথায় ছিলো আর এখন কোথায় আছে।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

এ আর ১৫ বলেছেন: এখানে উত্তর পাবেন ক্লিক করুন .......
Please cleick here !!!!!!

৪| ১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

সবুজ২০১২ বলেছেন: হিন্দুত্ববাদীদের দ্বারা এখন দেশ চলছে, কিছুই বলার নেই শুধু চেয়ে চেয়ে এদেশের ধ্বংস দেখা ছাড়া।আল্লাহর গজব পড়ুক এইসব মুসলমান নামধারী হিন্দু শাসকদের উপর; আমিন সুম্মামিন.........

৫| ১৩ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: হায় হায় রে, মুসলমানের এই অবসিথা হইলো ক্যান রে? মাথাটা ঠুকি কোথায়, জায়গাটা দেখাইয়া দে..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.