নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিকরা বঁদড়ামি করবো আর আমি নিশ্চিন্তে বেহেশতে চইলা যাওয়ার ধান্দা করমু ! কক্ষনো না, বরং আমি এই কুলাংগার গুলারে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করমু, ওগো লগে জাহান্নামে ঢুকমু, ওগো আগুনের চাপাতি দিয়া কুপামু.......এর পরে আমার কইলজা ঠান্ডা হইবো।

চেংকু প্যাঁক

চেংকু প্যাঁক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেঁচে থাকতে হবে, দ্বীন বেচে হলেও!

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৯


.
মক্কার মুশরিকদের নির্যাতন মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছালে অনেক মুসলিম অনুমতিক্রমে তৎকালীন হাবশা/আবিসিনিয়া এবং বর্তমান ইথিওপিয়ায় পাড়ি জমান। ওখানে তাঁরা নিরাপদেই ছিলেন। একসময় তাঁদের কাছে খবর পৌঁছে, মক্কার লোকেরা ইসলাম গ্রহণ করেছে! শুনে অনেকে পুনরায় মক্কায় ফিরে এসে দেখেন, এটা গুজব। পুনরায় মক্কা প্রবেশে কেউ কেউ মুশরিক আত্মীয়ের আশ্রয় গ্রহণ করেন। তখন রীতি ছিল, কেউ যখন কাউকে জনসম্মুখে নিরাপত্তার ঘোষণা দিত, অন্যরা নিরাপত্তাপ্রাপ্তকে বিরক্ত করত না। এটাকে খুবই গুরুত্ব দেয়া হত। প্রয়োজনে রক্ত ঝরবে কিন্তু নিরাপত্তাদাতাকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। অনেকটা বর্তমানে ভিনদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণের মত।
.
সাহাবী উসমান ইবনে মায'উন রদ্বিয়াল্লহু তা'আলা আনহু হিজরত হতে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করে ওয়ালিদ ইবনে মুগীরার আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন। পরে যখন দেখলেন, অন্যান্য সাহাবীগণ মুশরিকদের নির্যাতনের শিকার তখন বললেন; আমার সঙ্গী-সাথী আর দ্বীনি ভায়েরা আল্লাহর রাস্তায় এরকম নির্যাতিত হবে আর আমি একজন মুশরিকের আশ্রয়ে নির্যাতন হতে বেঁচে থাকব এবং তাঁদের সামনে নিরাপদে ঘুরে বেড়াব, আল্লাহর কসম! আমি এটাকে নিজের জন্য বিরাট ত্রুটি মনে করি!
.
একথা বলে তিনি ওয়ালিদের নিকট গেলেন এবং তার আশ্রয় তাকে ফিরিয়ে দেয়ার কথা বললেন। ওয়ালিদ জানতে চাইল, তার কওমের কেউ তাঁকে নির্যাতন করেছে কিনা? উসমান ইবনে মায'উন রাঃ বললেন, না! বরং আমি আল্লাহর আশ্রয়ই বেছে নিচ্ছি। তাঁর আশ্রয় ভিন্ন অপরের আশ্রয়ে থাকা আমি পছন্দ করছিনা।
.
ওয়ালিদ তাঁকে ঘোষণাটা মসজিদুল হারামে গিয়ে দিতে বলেন যেরুপ ওয়ালিদ তাঁকে প্রকাশ্যে আশ্রয়ের ঘোষণা দিয়েছিল। উসমান রাঃ তদ্রুপ করে সেখান থেকে বেরিয়ে কবি লাবীদ ইবনে রাবীয়ার মজলিসে বসে পড়েন।
.
লাবীদ আবৃত্তি করছিল,
"ওহে! আল্লাহ ছাড়া আর সবই মিথ্যা!"
উসমান রাঃ বললেন, তুমি সত্য বলেছ।
লাবীদ পরের চরণ উচ্চারণ করল,
"যা কিছু নি'আমত, সবই ধ্বংসশীল!"
উসমান ইবনে মায'উন রদ্বিয়াল্লহু তা'আলা আনহু বললেন, তোমার কথা মিথ্যা। জান্নাতের নি'আমত কখনোই ধ্বংস হবেনা।
.
বিষয়টা নিয়ে মজলিস উত্তপ্ত হয়ে উঠল। একজনের সাথে হযরত ইবনে মায'উনের রাঃ চরম বিতন্ডা আরম্ভ হল। এক পর্যায়ে লোকটি উঠে তাঁর চোখে এমন জোরে আঘাত করল, চোখটি নষ্ট হয়ে গেল।
.
কাছে বসেই ওয়ালিদ ইবনে মুগীরা ঘটনা প্রত্যক্ষ করছিল। সে বলল, হে ভাতিজা! তোমার এ অবস্থা নাও হতে পারত। তুমি তো এক সুরক্ষিত আশ্রয়ে ছিলে।
উসমান রাঃ বললেন, বরং তুমি উল্টো বলছ। আমার ভাল চোখটিরও প্রয়োজন, আল্লাহর রাস্তায় অপর চোখটির যে অবস্থা হয়েছে, অনুরুপ হওয়া। (অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় ভাল চোখটিও নষ্ট হয়ে যাওয়া।) আমি যাঁর আশ্রয়ে আছি, হে আবদে শামস! তিনি তোমার চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী, অনেক ক্ষমতাবান!
.
ওয়ালিদ বলল, ভাতিজা, ইচ্ছা হলে আস পুনরায় আমার আশ্রয় গ্রহণ কর।
উসমান ইবনে মায'উন রদ্বিয়াল্লহু তা'আলা আনহু বললেন, "আমার প্রয়োজন নেই!"
*সীরাতে ইবনে হিশাম।
--------
টিকে থাকতে বর্তমানেও নিরাপত্তা গ্রহণ করতে হয়, প্রকাশ্যে বা গোপনে। কিন্তু অপর দ্বীনি ভাইয়ের নির্যাতনে সে সহমর্মিতা, আত্মমর্যাদা আর জাগেনা। এখন নিয়ম হল, নিজে কোনমতে ভাল থাকা। অপর ভাইয়ের কি হল সেটা দেখার বিষয় নয়। জালিমের সাথে তাল মিলিয়ে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাই এখন বড় ব্যাপার।
.
সফলতার সংজ্ঞাও এখন পাল্টে গেছে। এখন সবচে বড় সফলতা হল বেঁচে থাকা, যেকোন মূল্যে বেঁচে থাকা। যদিও তা গরু-ছাগলের মতও হয়। এবং নির্যাতিত না হওয়া। শুধু পাশ কাটাতে হবে, নির্যাতিত হওয়া যাবেনা। নির্যাতিত হওয়া মানেই লোকটা বিফল।
.
এমনকি কেউ আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হলে বলা হয়, অল্পবয়সে আবেগ দেখাতে গিয়ে মারা পড়লো। নিজের জীবনটাই বরবাদ করলো! অর্থাৎ বেঁচে থাকতে হবে যেকোন সুরতে যদিওবা দৈনিক জুতাপেটা হতে হয়।
.
কেউ জুলমের শিকার হয়ে জেলে গেল, বলা হয়, মানা করেছিলাম। বেশি বুঝতে গেছিল।
--------
আমরা মুহাম্মাদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসারী, সাহাবাদের অনুকরণে। তাঁদের সফলতার, ত্যাগের, দ্বীনের এক মাপকাঠি, এক পদ্ধতি ছিল। আমরা সুবিধাজনক সময়ে, সুবিধাজনক স্থানে তা আলোচনাও করি কিন্তু বাস্তবিক জীবনে তার উল্টা আচরণ করি, উল্টোটা বলি। এখানে তা অচল।
.
বেঁচে থাকতে হবে, দ্বীন বেচে হলেও।
কোনক্রমেই প্রকাশ্য মজলুম হওয়া যাবেনা।
যদিও গোপনে কানমলা খাই

Courtesy - 'Nijam Uddin'

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.