নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিকরা বঁদড়ামি করবো আর আমি নিশ্চিন্তে বেহেশতে চইলা যাওয়ার ধান্দা করমু ! কক্ষনো না, বরং আমি এই কুলাংগার গুলারে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করমু, ওগো লগে জাহান্নামে ঢুকমু, ওগো আগুনের চাপাতি দিয়া কুপামু.......এর পরে আমার কইলজা ঠান্ডা হইবো।

চেংকু প্যাঁক

চেংকু প্যাঁক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমানদেরকে নিজেদের উন্নতির জন্য ইসরাইলীদের কপি পেস্ট করতে হবে -এটা খুবই আপত্তি জনক কনসেপ্ট

২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

বেশ কিছুদিন হল, ইসলামী কিছু চিন্তাবিদ এক নতুন ধারার ইসলাম প্রচার করছেন। তারা বলতে চাচ্ছেন যে, মুসলমানরা খুব বোকার হদ্দ স্টূপিড আর ইসরাইলীরা খুব স্মার্ট, খুব ইনোভেটিভ, খুব ট্যালেন্টেড, খুব জ্ঞানী-গুনী। সারা দুনিয়া নাকি তারা চালায়। তারা নাকি খালী হুকুম করে, আর বাকি সবাই তা পালন করে। তাই মুসলমানদের এখন বনু ইসরাইলীকে নাকি ফলো করতে হবে। বাচ্চা গর্ভে আসলেই নাকি ইসরাইলী মায়েরা কি মাছ টাছ খায় আরও কি কি নাকি করে, আর তাতেই নাকি খুব মেধাবী মেধাবী পাংখা ইসরাইলী শিশু জন্ম নিয়ে সারা দুনিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।

আসুন, ইতিহাস থেকে বনু ইসরাইলী এবং মুসলিমদের সম্মান-মর্যাদা এবং ইনোভেটিভনেস-ট্যালেন্টনেস এগুলো একটু চেক করি।

মুসা(আ) এর সময় বনী ইসরাইলীরা সংখ্যায় মোটামুটি ১২ লক্ষ ছিল। তৎকালীন দুনিয়ার হিসেবে সংখ্যাটা নেহায়েত কম নয়। এরপর নিশ্চয় তাদের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে আনুপাতিক হারে।

কিন্তু ইসরাইলীরা কি সম্মানের সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পেরেছে? পারেনি। দেখুন কিভাবে:

ঈসা(আ) এর জন্মের ৫৩৭ বছর আগে ব্যাবীলনিয়ান কিং নেবুচাদনেজার ( বুখতে নাজার ) ইসরাইলীদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন , তিনি জেরুজালেম অধিকার করেন এবং সুলাইমান(আ) এর হাতে তৈরীকৃত প্রথম টেম্পল সম্পূর্ণ ধ্বংস করেন (যা প্রায় ৪১০ বছর টিকে ছিল)। প্রায় ৬ লক্ষ ইসরাইলীকে তার আর্মি তার নির্দেশে হত্যা করে, অন্যরা পালীয়ে যায়।

এরপর ইসরাইলীরা আবার জেরুজালেম অধিকার করে নিলে ৭০ এ.ডি. (ঈসা(আ) এর জন্মের ৭০ বছর পর) তে রোমান আর্মি জেনারেল টাইটাস জেরুজালেম দখল করেন। প্রায় দশ লক্ষ ইসরাইলী কে হত্যা করা হয় এবং কয়েক লক্ষকে দাস-দাসী বানানো হয়। তাদের সেকেন্ড টেম্পল টি তিনি ধ্বংস করেন। [প্রথম টেম্পল ধ্বংস হবার পর তারা তা রিবীল্ড করে সেকেন্ড টেম্পল তৈরী করেছিল] এরপর থেকে তারা আর ইসরাইলে জায়গা পায়নি, ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত।

ইসলামে এর ইক্যুইভ্যালেন্ট ঘটনা কি? ইক্যুইভ্যালেন্ট ঘটনা হল মক্কা-মদীনার ধ্বংস ফরেইন পাওয়ার এর হাতে, রাইট? কিন্তু মুসলমানরা সেই রসূলুল্লাহর মক্কা বিজয়ের পর গত ১৪০০ বছরে এক সেকেন্ড এর জন্য মক্কা মদীনাকে হারায়নি। ফরেইন আর্মি মক্কায় ঢুকে একটা মাছিও মারতে পারেনি।

তো ইসরাইলীরা যদি এতই পাংখা ইনোভেটিভ ট্যালেন্টেড হয়, তবে প্রায় ৫০ লক্ষ ( বা কোটি ) পপুলেশন নিয়েও ব্যবীলীয়ন কিং নেবুচাদনেজার এর আর্মিকে তারা প্রতিহত করতে পারলোনা কেন? নেবুচাদনেজার তো আর এক-দেড় লাখের বেশী সোলজার নিয়ে আক্রমন করেনি?
যেখানে মাত্র এক তৃতীয়াংশ আর্মি হলেও একটা শহর রক্ষা করা যায়, তার মানে মাত্র ৫০ -৬০ হাজার ইসরাইলী এক হলেও কিন্তু নেবুচাদনেজারকে আটকানো যেতো, কিন্তু পারলোনা তো?
তখন তাদের পাংখা পাংখা ইনোভেটিভ ট্যালেন্টেড ইসরাইলী বীরপুরুষরা কই ছিল?

একই কথা তো টাইটাস এর ক্ষেত্রে ও খাটে। তাদের পাংখা পাংখা ইনোভেটিভ ইসরাইলী রা কি করছিল যখন তাদের চোখের সামনেই সুলাইমান এর টেম্পল ভাঙ্গে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হল। তাও দুই দুই বার।

তারা নতুন কোন পদ্ধতি ইণোভেইট করতে পারলোনা কেন? যথেষ্ঠ জনবল এবং অর্থবিত্ত থাকা সত্ত্বেও?

আচ্ছা, একটু দেখেন হাদা বোকা (!!) মুসলমানদের কাহিনী। মুসলমানরা নাকি ইনোভেট করতে পারেনা, ট্যালেন্ট নাই, কালা পারে নাহ!!!

১৫০০ বছরের এত্ত কাহিনী আছে, শুধু গুরুত্বপূর্ণ কয়টা উল্লেখ করবো।

উমর বিন আল খাত্তাব(রা) এর আমলে খালীদ বিন ওয়ালীদের অধীনে প্রায় ৪০ হাজার (সবোর্চ্চ এসটিমেট) মুসলিম যোদ্ধা পারসিয়ানদের ২-৪ লক্ষ বিশাল সেনাবাহিনীর মুকাবেলা করে। এটা ছিল কাদিসিয়ার যুদ্ধ। ওই যুদ্ধ কাদিসিয়াতে(বর্তমান ইরাক) সংগঠিত হয় এবং পারসিয়ানরা পরাজিত হয়ে পালীয়ে যায়। সমগ্র ইরান এর ফলস্বরূপ মুসলমানদের হস্তগত হয়। এ যুদ্ধ শেষ না হতেই উমার(রা) খালীদকে নির্দেশ দেয় সম্পূর্ণ সেনাবাহিনী নিয়ে সিরিয়ায় চলে গিয়ে বাইজেন্টাইন(রোমান) দের মুকাবেলা করতে।

ইরাকের মরুভূমি পার করে খালীদ সিরিয়ায় চলে আসেন এবং দেড় - ৩ লক্ষ বাইজেন্টাইন আর্মির মুকাবেলা করেন ইয়ারমুকের প্রান্তরে। ৬ দিনের ক্রমাগত যুদ্ধে বাইজেন্টাইনরা পরাজিত হয়ে পালীয়ে যায় এবং সমগ্র সিরিয়া মুসলমানদের হস্তগত হয়। মাত্র ৫০ বছরের মধ্য স্পেন থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত মুসলমানদের হাতে চলে আসে।

এছাড়াও ফিরাজ এর যুদ্ধে খালীদ মাত্র ১৫ হাজার সৈন্য নিয়ে বাইজেন্টাইন - পারসিয়ান জয়েন্ট আর্মির(১-৩ লক্ষ) মুকাবেলা করে ওদের পরাজিত করেন।

মুসলমানরা কি ইসরাইলীদের মতন ঘরে বসে ছিল যে কখন বাইজেন্টাইন রা বা পারসিয়ানরা আমাদের আক্রমন করবে, তখন আমরা মুকাবেলা করবো, নাকি নিজেরাই প্রি-এম্পটিভ স্ট্রাইক করেছে? ইনোভেটিভনেস কাদের বেশী?
পারসিয়ানদের হাতিকে মুকাবেলা করার জন্য মুসলমানরা এক নতুন পদ্ধতি ইনোভেইট করে, সেটা হল উটের গায়ে ঢোলা কাপড় পরিয়ে দেয়া। উট চলা শুরু করলে তা দেখে হাতি ভয় পেয়ে যেতো এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে পারসিয়ানরা উল্টা তাদের হাতির কারণেই বিপদে পড়তো।
ইয়ারমুকের যুদ্ধে মুসলমানরা পেরে উঠছিলনা, কারণ বাইজেন্টাইন রা হেভী আরমার ব্যবহার করতো এবং শক্ত লৌহবর্ম দ্বারা শরীর প্রটেক্টেড হওয়ায় এদেরকে হত্যা করা ছিল খুব কঠিন। মুসলিমদের লৌহবর্ম ছিল পাতলা এবং ফ্লেক্সিবল, তাই দুর্বল। সহজেই আক্রান্ত করা যেতো।

তো খালীদ বিন ওয়ালীদ(রা) এক নতুন বুদ্ধি ইনোভেইট করেন। তিনি বের করেন, যে মুসলিম ক্যাভালরী ( ঘোড়সওয়ার) খুব দ্রুত মুভ করতে পারে, কিন্তু বাইজেন্টাইন ক্যাভলরী খুব আস্তে মুভ করে, কারণ হেভী মেটাল বহন করার কারণে ঘোড়াগুলো এত ওজন নিতে পারেনা।

[যুদ্ধে নরমালী আগে থাকে পদাতিক ইনফ্যান্ট্রী, পিছে ক্যাভলরী, যুদ্ধ শুরু হবার কিছু পরে ক্যাভালরী একশনে যায় ]

তো যুদ্ধের শেষ দিন (৬ষ্ঠ দিন) তিনি সম্পূর্ণ মুসলিম ক্যাভালরী এক করে, মুসলিম ইনফ্যান্ট্রীর সামনে এনে বাইজেন্টাইন ইনফ্যান্ট্রীকে ডান দিন থেকে ক্যাভালরী দিয়ে আক্রমন করে বসেন। মানে বাইজেন্টাইন ইনফ্যান্ট্রী সামনে থেকে মুসলিম ইনফ্যান্ট্রীকে এবং বাম পাশ থেকে মুসলিম ক্যাভালরীকে মুকাবেলা করতে হয়। এতে বাইজেন্টাইন ইনফ্যান্ট্রী বাম দিক থেকে হঠাত করে ভেঙ্গে পড়ে এবং পুরো ইনফ্যান্ট্রী শেষ হয় যায়। [পদাতিক বাহিনীর জন্য ঘোড়সওয়ার মোকাবেলা করা খুব কঠিন, খালীদ এই এডভানটেজটা নেন, কারণ ঘোড়সওয়ারা যুদ্ধের শুরুতে কিছু সময় অলস বসে থাকে।]

বাইজেন্টাইনরা ট্র্যাপটা বুঝতে পারে একটু পরেই, কিন্তু তারা তাদের ক্যাভালরী দিয়ে মুসলিম ক্যাভালরীকে আক্রমন করতে গিয়ে দেখে , যে তাদের ক্যাভালরী দৌড়াতে পারেনা, কালা পারে নাহ (হেভী আরমার, তাই মুভমেন্ট স্লো)। তাদের ক্যাভালরী পৌঁছানোর আগেই তাদের ইনফ্যান্ট্রী শেষ হয়ে যায়। এরপর পালানো ছাড়া আর উপায় থাকেনা, সুনিশ্চিত পরাজয়। এত বড় ইনোভেশন যুদ্ধের ময়দানে কি ইসরাইলী মাছ খাওয়া মহিলার সন্তান করছিল ? জবাব চাই

[খালীদ বিন ওয়ালীদ আসলে মুসলমানদের এক দুর্বলতাকে , তাদের সবলতায় রূপ দিয়েছিলেন, শৈল্পিক সৌন্দর্য]

তাহলে দেখা গেল যেই বাইজেন্টাইন আর পারসিয়ানরা ইসরাইলীদের নাকানী চুবানী খাইয়েছে, সেই পারসিয়ানদের আর বাইজেন্টাইনদের মুসলমানরা পরাজিত করে তাদের ক্যাপিটালই দখল করে নিয়েছে। পারসিয়ানরা সম্পূর্ণ মুসলমান হয়ে গেছে আর রোমানরা থাকতে না পেরে পশ্চিমে চলে গেছে। হেহে , সম্মান কার? ইনোভেটিভ কে? ট্যালেন্ট কে?

সালাহউদ্দিন আইয়ূবী হাত্তিন এর যুদ্ধে ক্রূসেডারদের মুকাবেলা করার জন্য ট্র্যাপ ফেলেন। ক্রূসেডার রা তাদের দূর্গ হতে বের হয়ে এক শুষ্ক হাত্তিনের ময়দানে যুদ্ধ করার জন্য আসে। কিন্তু এসেই দেখে পানি নাই, সব পানি সালাহউদ্দিন বিষাক্ত করে রেখেছেন। তার উপর গনগনে রোদ। তো গরম বাড়ানোর জন্য সালাহউদ্দিন ঘাসে আগুন ধরিয়ে দেন, বাতাস ক্রূসেডারদের দিকে বইছিল।
অত্যন্ত ক্লান্ত, শ্রান্ত, তৃষ্ঞার্ত ক্রূসেডার বাহিনী সালাহউদ্দিনের বাহিনীর আক্রমনে তছনছ হয়ে যায়।
সালাহউদ্দিন কি ইসরাইলী ছিল? জবাব চাই।

তুর্কি সুলতান মুহাম্মদ রাতে টেনশনে ঘুমাতে পারতেন না। কিভাবে বাইজেন্টাইন কনস্ট্যানটিনোপল দখল করবেন এই চিন্তায়, কারণ রসূল(স) ভবিষ্যতবানী করেছেন। ঘুমের মাঝখানে জেগে উঠে হৈচৈ বাধিয়ে দিতেন।
তো কনস্ট্যানটিনোপল দখল ছিল খুব দূরুহ কারণ এর দেয়াল ছিল মাত্রাতিরিক্ত পুরু, তাই আর্টিলারী কাজ করতোনা। আর নৌপথে আক্রমন করার রাস্তা ছিল খুব সরু, তাতে লোহার চেইন বাধিয়ে বাইজেন্টাইন জাহাজ পাহারা দিতো। তুর্কি নৌফ্লীট যত শক্তিশালীই হোক, তা অতিক্রম করা ছিল অসম্ভব।
তো, সুলমান মেহমেদ এক নতুন বুদ্ধি ইনোভেইট করেন।

যে কারণে কনস্ট্যানিনোপলবাসী একরাতে দেখতে পায়, যে সরু নৌপথের আশে পাশে আলোর ঝলকানি দেখে যাচ্ছে আর কিছু আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। পরদিন সকালে প্রায় শখানেক তুর্কি জাহাজ কনস্ট্যানটিনোপলের পাশের সমুদ্রে ঢুকে পড়েছে। সেখান থেকেই কনস্ট্যানটিনোপল খেলায় হেরে গেল। খেলা পারলো নাহ।

আসলে ওই সরু নৌপথ বাইপাস করে পাহাড় সমৃদ্ধ ভূমির উপর দিয়ে প্রায় ৭০ টি জাহাজ আগের দিন রাতে সুলতান মুহাম্মদের বাহিনী নিয়ে গিয়েছিল শহরটির দোরগোড়ায়। বাইজেন্টাইন জাহাজ কোন কাজে আসেনি।
এই সুলমান মেহমেদ কি ইসরাইলী ছিল? জবাব চাই

পারছে ইসরাইলীরা? সুলমান মেহমেদ, সালাহউদ্দিন, বা খালীদ বিন ওয়ালীদের মতন কোন ইনোভেটর জন্ম দিতে? পারেনাই। (সুলতান কুতুজ, বাইবার্স, হাইরেদ্দিন বারবারোসা, তারিক বিন যিয়াদ, নূরুদ্দিন এর কথা বললাম না, লজ্জা পাবেন।)

আসলে ইসরাইলীরা যা পারছে, তা হল, শত শত বছর ধরে সুদের ব্যবসা করে, ব্যাংকিং করে টাকা জমিয়ে, ওই টাকা ফরেইন পাওয়ারগুলোর পিছনে ইনভেস্ট করতে। আমেরিকা-ব্রিটেনের পলিটিশিয়ানদের লবীইং করে হাতে পায়ে ধরে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করছে। বেশীদিন হয়নাই ১৯৪৮ সালে। এটা কি সম্মান হলো?

মুসলমানরা কারো হাতে পায়ে ধরে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেনাই, সুদের ব্যবসা করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেনাই। কাউকে শোষণ করা নাই।

অতিরিক্ত আমোদ-প্রমোদ করতে গিয়ে মুসলমানরা গত দুশো বছরে একটু পিছিয়ে পড়েছিল, কিন্তু তাই বলে তো আর মক্কা-মদীনা হারায় নি, তাই বলে তো আর নিজ ভূমি থেকে উৎখাত হয়ে দেশে দেশে উদ্বাস্তু হয়ে ইভেন এক মাসও ঘুরতে হয়নি, রাইট?
মাত্র ৭০ বছরেই ইসলাম আবার ফিরে আসছে, মুসলিম দেশগুলো টেকনোলজীতে অনেক এডভান্সড হয়ে গেছে, অর্থনীতিতে উন্নত হয়েছে। অথচ এটা করতে অন্যদের ৪০০ বছর লেগেছিল। উত্থান পতন তো ইতিহাসের নিয়ম। তাই এটা তো দোষের কিছুনা।

আর এত ইনোভেটিভ যারা, তাদের প্রায় ২০০০ বছর কেন সারা ইউরোপে পালিয়ে বেড়াতে হল? পাংখা ট্যালেন্ট তখন কই ছিল? হিটলার যখন ধরে ধরে............. থাক আর শেষ করলাম না।

তাই সারাদিন ইসরাইলীদের এত প্রশংসা কেন? আর মুসলমানদের এত বদনাম কেন? ইসরাইলী মিডিয়ার উপর এত আস্থা কেন? মুসলিমদের সাথে তো তাদের কোন তুলনাই হয়না।

তারা নাকি কি কি সিলিকন ওয়াদী করে, কি নাকি হাইটেক স্টার্ট আপ তারা, কি সব নাকি আয়রণ ডোম টোম করে উল্টাই ফেলছে… রাইট?
….
----এইসব হল ভুং ভাং চাপা। আসলে ইসরাইল ছোট্ট একটা দেশ, আম্রিকা তাকে বছরে ৩-৪ বিলিয়ন ডলার দেয়, সব টেকনোলজী দেয়। কপি করে পেস্ট করে, আর কিছুনা। এতই যদি ইনোভেটিভ হইতো, তাহলে ক. মাইক্রোসফট , খ. এপল, গ. এমাজন, ঘ. উবার ঙ. ইউটিউব --গত ১৫ বছরের এইসব ওয়ার্ল্ড রিনাউন্ড ইনোভেশন সব তো তেল আবীব থেকে আসতো, আম্রিকা থেকে আসে কেন? এক পাইছে ফেইসবুকরে তা নিয়ে এত নাচার কি আছে ভাই? এইটাও তো পিউর আমেরিকান প্রডাক্ট। আর আয়রন ডোম মাত্র ২০-২৫ ভাগ ক্ষেত্রে কাজ করে। খুব নিম্ন মানের রকেট রেও তাই এত ভয়। হেহে

--- আমেরিকা রে ইনোভেটিভ বললে মানি, কিন্তু ইসরাইল ? ব্লাড টেস্ট কইরা দেখেন তো, এলকোহল কি পরিমানে বেশী আছে নাকি?

=-=-> ইসরাইলী লবী আইপ্যাক নাকি খুব শক্তি শালী, আমেরিকা চালায়্ তারা, সারা দুনিয়া চালায় !!
----- আগে গত ১২ বছর ঠিক তাই মনে করতাম। তবে এখন যা বুঝি, তাহল তারা শক্তিশালী, কিন্তু যত গর্জে, তত বর্ষে না। শুধু মাত্র আমেরিকার ইসরাইল রিলেটেড পলিসি ওরা ডিক্টেইট করে। কিন্তু সারা দুনিয়ায় আমেরিকান পলিসি ওদের কথামতন হয়না। গতবার তো ওবামার সাথে তাদের সম্পর্ক যথেষ্ঠ খারাপ ছিল। আমরা আননেসেসারী তাদের ভয় পাই। সারা দুনিয়া, আমেরিকা-রাশা-চায়না-ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন-ব্রিটেন-জাপান, সবাই মিলেঝুলে চালায়, কেউ কারো থেকে কম না। ইসরাইল এরও শেয়ার আছে এবং প্রভাব আছে, কিন্তু সব তারাই চালায়, এটা সর্বৈব মিথ্যা। খুব অল্প পরিমান চালায় তারা, স্পেশালী ইসরাইল রিলেটেড ফরেইন পলিসির ক্ষেত্রে তাদের প্রভাব আছে যেটা স্বাভাবিক।

==--==--তাইলে ইসরাইলে যে এত সাইন্টিস্ট, ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার বেশী? এত সুনাম।

-------ব্রিটিশ ফুটবল-ক্রিকেট টীমের মতন আরকি, সব সুনাম মিডিয়ায় কিন্তু খেলতে গেলে কালা পারেনাহ। আসলে তারা সুদের টাকা জমাইয়া এডুকেশনে ইনভেস্ট করছে, এই আরকি। আর ১৬০০-২০০০ এ্‌ই সময়ে তারা তো ইউরোপে ছিল, তাই ইউরোপীয়ান টেকনোলজী মুসলিমদের আগে পেয়ে গেছে। আর মাইনরিটি হওয়ায়, পারসিকিউটেড হওয়ায় খুব জীবন বাজী রেখে নিজেদের একটু ডেভেলপড করছে, এই আরকি। এই জন্য একটু বেশী সাইন্টিস্ট থাকতে পারে। কিন্তু তার মানে এইনা, যে বনু ইসরাইলীরা জাতিগতভাবে বেশী মেধাবী। বরং মেধায় দুনিয়ার সব এথনিকাল নেশনই প্রায় সমান। যে ডেভেলপ করতে চায়, সে টাইম এবং মানি ইনভেস্ট করলে ডেভেলপ করতে পারে, এই আরকি।

যারা নিজেদের ক্যাপিটাল ফরেইন দখল মুক্ত রাখতে পারেনা, পর্যাপ্ত জনবল ও অর্থ থাকার পরেও, তারা কিভাবে মেধাবী হয়? যারা প্রায় ৭০০ পুরুষ জিন্দা থাকা সত্ত্বেও যুদ্ধ করতে এগিয়ে আসেনা, বরং আত্ম সমর্পন করে সব মাথা হারায়, তারা কিভাবে ইনোভেটিভ হয় (বনু কুরাইজা, মদীনা, আহযাবের যুদ্ধের পর)? যারা মুহাম্মদ(স) আগমনী বার্তা পেয়ে, তাকে কাছে পেয়েই বিরোধিতা করে সবকিছু হারিয়ে উৎখাত হতে হয়, তারা কিভাবে ট্যালেন্টেড হয়? এগুলো তো অহংকার (যা স্টূপিডিটি থেকে আসে’) তার নিদর্শন। এগুলো তো মূর্খতার নিদর্শন।

তাদেরকে বড়জোর ধূর্ত, কূটনা বলা যেতে পারে, কিন্তু ইনোভেটিভ, ট্যালেন্টেড, ইনটেলিজেন্ট ???!!! রিয়েলী? মুসলমান আছেন তো?

ওয়াশীংটন বেকে বসলে ‘সাকুতে তেলআবীব‘ হইতে তো এক মাসও লাগবেনা, বুঝেন?

উন্নতির জন্য নিজের দোষত্রূটি জানা আবশ্যক, এটা সত্য। মুসলমানরা ভুল করলে তা মুসলমানদেরকে জানতে হবে, একনলেজ করতে হবে, নাহলে শুধরাবে কিভাবে? আত্মসমালোচনা দরকার আছে।

কিন্তু এখন আত্মসমালোচনার নামে কিছু কিছু নেগেটিভ মাইন্ডেড মুসলমান সারাদিন ইসলামকে এক্সাজেরেট ওয়েতে ক্রিটিসাইজ করতে থাকেন । সেই সাথে ইসরাইলীদের প্রশংসায় মহামুগ্ধ হন। এটা আসলে আত্মপ্রবঞ্চনা। মুসলমানদেরকে নিজেদের উন্নতির জন্য ইসরাইলীদের কপি পেস্ট করতে হবে -এটা খুবই আপত্তি জনক কনসেপ্ট। যদিও তাদের কথায় কিন্তু এটাই মনে হয়। বরং দুরাবস্থা কাটানোর জন্য সঠিক ভাবে ইসলামকে মেনে চলা এবং জাগতিক বিষয়ে জ্ঞান লাভ করাই যথেষ্ঠ । ইসরাইলকে কপি পেস্ট করে সুদের টাকা দিয়ে আমেরিকার হাত পা টিপে ইসলাম প্রতিষ্ঠাই কি আপনারা চান? সেটাই কি আপনাদের কথায় মনে হচ্ছে না?

বাঘের বাচ্চা যখন বলে : ভেড়া খুব ইনোভেটিভ , কি সুন্দর ইনোভেটিভ ওয়েতে ঘাস খাচ্ছে? আহা আমি যদি খেতে পেতাম? কি সব ছাই পাতা মাংস খাই…. তখন কেমন লাগে বলেন তো?

@রেজাউল ভাই, ফেসবুক

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২৬

এম আর তালুকদার বলেছেন: ভাই লিখে যান তবুও যদি আমাদের ঘুম ভাঙে !!!

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

এ আর ১৫ বলেছেন: এইটাও ফেসবুক থেকে কপি এন্ড পেস্ঠ------

পৃথিবীতে ইহুদীদের মোট সংখ্যা দেড় কোটির মত।
একটি মাত্র ইহুদী রাষ্ট্র – ইসরাইল।
ইসরাইলে ইহুদীর সংখ্যা ৫৪ লাখ, অবশিষ্ট প্রায় এক কোটি ইহুদী সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে।
এর মধ্যে আমেরিকাতে ৭০ লাখ, কানাডাতে ৪ লাখ আর ব্রিটেনে ৩ লাখ ইহুদী থাকে।
ইহুদীরা মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ২%, আর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২%।
অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদী!
কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে ঢাকা শহরের কাছাকাছি হলেও বিশ্বে ইহুদি সম্প্রদায় থেকে যুগে যুগে বেরিয়ে এসেছে অসংখ্য প্রতিভাবান ব্যক্তি।
প্রধান ধর্মগুলোর পর পৃথিবীতে যে মতবাদটি সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলেছে সেই কমিউনিজমের স্বপ্নদ্রষ্টা কার্ল মার্কস ইহুদি সম্প্রদায় থেকে এসেছেন।
বিশ্বের মানুষকে মুগ্ধ করে রাখা যাদু শিল্পি হুডিনি ও বর্তমানে ডেভিড কপারফিল্ড এসেছেন একই কমিউনিটি থেকে।
এসেছেন আলবার্ট আইনস্টাইনের মত বিজ্ঞানী, যাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলা হয় আর প্রফেসর নোয়াম চমস্কি – র মত শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক যাকে প্রদত্ত ডক্টরেটের সংখ্যা আশিটির ও বেশি।
এর অন্যতম কারণ সাধারণ আমেরিকান রা যেখানে হাইস্কুল পাশকেই যথেষ্ট মনে করে সেখানে আমেরিকান ইহুদীদের ৮৫% বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া।
আর আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমনঃ ওআইসি-র ৫৭টি দেশে বিশ্ববিদ্যালয় আছে পাঁচ হাজারের মত, আর এক আমেরিকাতেই বিশ্ববিদ্যালয় আছে প্রায় ছয় হাজার এর কাছাকাছি।
ওআইসি ভুক্ত দেশগুলোর একটা বিশ্ববিদ্যালয়ও যেখানে The World University Ranking সাইট এর প্রথম ১০০টা বিশ্ববিদ্যালয়েরর মধ্যে স্থান পায়নি, সেখানে প্রথম একশোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে আমেরিকার ৪৫টা বিশ্ববিদ্যালয়। (প্রথম দশটার মধ্যে সাতটা)
যেখানে প্রথম ২০০ র মধ্যে ওআইসি-ভুক্ত ৫৭ টি মুসলিম দেশের একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে তুরস্কের Bogazici University (১৯৯ তম)
সেখানে আমেরিকার বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ২০% স্টুডেন্টস ইহুদী সম্প্রদায় থেকে আসা।
আমেরিকান নোবেল বিজয়ীদের মোটামুটি ৪০% ইহুদী অর্থাৎ নোবেল বিজয়ী প্রতি চার থেকে পাঁচ জনের একজন ইহুদী।
আমেরিকার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসররা ইহুদী।
আমেরিকার উত্তর পূর্ব উপকূলের ১২ টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়কে এক সাথে আইভি লীগ বলা হয়।
২০০৯ সালের ১টি জরিপে দেখা গেছে আইভি লীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক'জন ভিসি-ই ইহুদী।
হতে পারে ইহুদীরা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ, কিন্তু আমেরিকান রাজনীতিতে তাদের প্রভাব একচেটিয়া। আমেরিকার ১০০ জন সিনেটরের ১৩ জন ইহুদী।
এর চেয়ে ভয়ংকর তথ্য হল ইহুদীদের সমর্থন ব্যতীত কোন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হতে পারেনা, কোন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেনা।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব যতখানি- আমেরিকান রাজনীতিতে ইহুদীদের প্রভাব তার চেয়েও অনেক অনেক বেশি।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচনী ফাণ্ড বা তহবিল সংগ্রহ একটা বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ। বারাক ওবামা বা ক্লিনটন নিজের টাকায় প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না। ডোনেশান এবং পার্টির টাকায় তাদের নির্বাচনী ব্যয় মিটাতে হয়েছে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ফাণ্ড দাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে – AIPAC – America Israel Public Affairs Committee. ::
আমেরিকার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকগুলো ইহুদীদের দখলে। ফলে আমেরিকার কেউ চাইলেও এদের কিছু করতে পারবে না। বরং জুইশ কমিউনিটি বা ইহুদি সম্প্রদাকে হাতে না-রাখলে ক্ষমতায় টেকা যাবে না। এসব কারণে শুধু জুইশ কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্টে প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যেতে হয়।
আমেরিকার রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে মূলতঃ কর্পোরেট হাউজগুলো। তারা প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত বানাতে পারে, এবং প্রেসিডেন্টকে সরাতে পারে। এসব কর্পোরেট হাউজগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় এদের মালিক কিংবা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কম্পানিগুলোর মূল দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা চীফ এক্সজিকিউটিভ অফিসার, সিইও হলেন ইহুদী কমিউনিটির মানুষ।
এই কথা মাইক্রোসফটের ক্ষেত্রে যেমন সত্য তেমনি জাপানিজ কোম্পানি সনির আমেরিকান অফিসের জন্যও সত্য। প্রায় অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদে জুইশ আমেরিকানরা কাজ করছেন। জুইশ কমিউনিটির ক্ষমতাধর বিলিয়নেয়াররা মিলিতভাবে যে-কোনো ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারেন।
মিডিয়া জগতে যদি আপনি তাকান তাহলে দেখবেন;
CNN, AOL, HBO, Cartoon Network, New line cinema, Warner Bross, Sports illustrated, People - Gerald Levin – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
ABC, Disney Channel, ESPN, Touchstone pictures - Michael Eisner – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
Fox Network, National Geographic, 20th century Fox Rupert Murdoch – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
Top 4 famous Newspapers of USA & their editors
New York Times – Arthur Sulzberger
New York Post – Rupert Murdoch
Washington Post – K.M. Graham
Wall street journal – Robert Thomson
সব কয়টি খবরের কাগজ ই ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
আপনার প্রিয় মিডিয়া ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা Mark Zuckerberg পর্যন্ত একজন ইহুদী।
ইরাকের বিরুদ্ধে আমেরিকার আগ্রাসনকে সাধারণ আমেরিকানদের কাছে বৈধ হিসেবে চিত্রায়িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ফক্স নিউজ। বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া মুগলরুপার্ট মারডকের নিয়ন্ত্রণাধীন এরকম প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই জুইশদের সমর্থন দিয়ে এসেছে। রুপার্ট মারডকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সারা বিশ্বের ১৮৫ টি পত্রপত্রিকা ও অসংখ্য টিভি চ্যানেল। বলা হয় পৃথিবীর মোট তথ্য প্রবাহের ৬০% ই কোন ন কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ করে রুপার্ট মারডকের The News Corporation.
টিভি চ্যানেলগুলোর মধ্যে এবিসি, স্পোর্টস চ্যানেল, ইএসপিএন, ইতিহাস বিষয়ক হিস্টৃ চ্যানেলসহ আমেরিকার প্রভাবশালী অধিকাংশ টিভি-ই ইহুদিরা নিয়ন্ত্রণ করছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।
আমেরিকায় দৈনিক পত্রিকা বিক্রি হয় প্রতিদিন কমপক্ষে ৫৮ মিলিয়ন কপি। জাতীয় ও স্থানীয় মিলিয়ে দেড় হাজার পত্রিকা সেখানে প্রকাশিত হয়। এসব পত্রিকাসহ বিশ্বের অধিকাংশ পত্রিকা যে নিউজ সার্ভিসের সাহায্য নেয় তার নাম দি এসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি (AP)। এ প্রতিষ্ঠানটি এখন নিয়ন্ত্রণ করছেন এর ইহুদি ম্যানেজিং এডিটর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল সিলভারম্যান। তিনি প্রতিদিনের খবর কী যাবে, না-যাবে তা ঠিক করেন।
আমেরিকার পত্রিকাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী তিনটি পত্রিকা হলো নিউইয়র্ক টাইমস্ , ওয়াল ষ্টৃট জার্ণাল এবং ওয়াশিংটন পোষ্ট। এ তিনটি পত্রিকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইহুদিদের হাতে।
ওয়াটারগেট কেলেংকারীর জন্য প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলো ওয়াশিংটন পোষ্ট। এর বর্তমান সিইও ডোনাল্ড গ্রেহাম ইহুদি মালিকানার তৃতীয় প্রজন্ম হিসেবে কাজ করছেন। উগ্রবাদী ইহুদী হিসেবে তিনি পরিচিত। ওয়াশিংটন পোষ্ট আরও অনেক পত্রিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে আর্মিদের জন্যই করে ১১টি পত্রিকা। এই গ্রুপের আরেকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত। টাইম এর পরে বিশ্বের দ্বিতীয় প্রভাবশালী এই সাপ্তাহিক পত্রিকাটির নাম নিউজউইক।
আমেরিকার রাজনৈতিক জগতে প্রভাবশালী নিউইয়র্ক টাইমস্-এর প্রকাশক প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ইহুদিরা হয়ে আসছেন। বর্তমান প্রকাশক ও চেয়ারম্যান আর্থার সালজবার্গার প্রসিডেন্ট ও সিইও রাসেল টি লুইস এবং ভাইস চেয়ারম্যান মাইকেল গোলডেন সবাই ইহুদি।
বিশ্বের অর্থনীতি যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের নিয়ন্ত্রণ করে ওয়াল ষ্টৃট জার্নাল। আঠার লাখেরও বেশী কপি চলা এই পত্রিকার ইহুদি প্রকাশক ও চেয়ারম্যান পিটার আর কান তেত্রিশটিরও বেশী পত্রিকা ও প্রকাশনা সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রিয় পাঠক, এবার প্রশ্ন হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ৩২টা দেশের ৩২ × ২৩ জন খেলোয়াড়ের কতজন ইহুদী???
উত্তর হচ্ছে – একজন ও না।
অথবা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৬টা দেশের ১৬ × ১৫ জন খেলোয়াড়ের কতজন ইহুদী????
যদি প্রশ্ন করা হয় পৃথিবীর বেস্ট ১০০ জন ফুটবলারের কতজন ইহুদী? কিংবা পৃথিবীর বেস্ট ১০০ জন ক্রিকেটারের কতজন ইহুদী?
উত্তর হচ্ছে – একজন ও না।
কেন??????
বছরের কিছু সময় টি টুয়েন্টি আর ফ্ল্যাশ মব, কিছু সময় আইপিএল আর চিয়ার্স লিডার, কিছু সময় ফিফা বিশ্বকাপ বা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ, বাকি সময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ আর স্প্যানিশ প্রিমিয়ার লীগ বা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ নিয়ে ব্যস্ত থাকা আমাদের মনের মধ্যে কী কখনো এই প্রশ্ন আসেনা?
ক্যামনে আসবে ভাই, পয়লা বৈশাখ, পয়লা ফাল্গুন, চৈত্র সংক্রান্তি, থার্টি ফার্স্ট আছেনা? এত এত কাজের ভিড়ে এই ধরণের হাইপোথিটিকাল চিন্তা মাথায় আসবে ক্যামনে? হ্যাঁ, আসেনা বলেই আমি আপনি বসবাসের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে অযোগ্য শহরের বাসিন্দা, এই প্রশ্নগুলো আমাদের আসেনা বলেই আমরা এমন একটা দেশের এমন
একটা জাতির একজন – যে দেশের নাম নেইমার মেসিরা শুনেই নি, যে দেশকে ভিক্ষুকের দেশ হিসেবে পৃথিবী চিনে, কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে চিনে মজুর আর কাজের বুয়ার দেশ হিসেবে, যে দেশটি আন্তর্জাতিক ভাবে টানা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের রেকর্ড গড়ে।
আমার লেখার এটুকু পড়েই অনেকের উত্তর শোনার গরজ থাকার কথা না, তবু উত্তরটা দিয়ে দেই, কেন ইহুদীরা ফুটবল ক্রিকেটে এত পিছিয়ে।
একটা ফুটবলের ব্যাস হয়ত ২০ – ৩০ সে.মি. বা একটা ক্রিকেট বলের ব্যাস আর ও কম হয়ত ১০ – ১২ সে.মি.
ইহুদীরা বিশ্ববাসীকে ১০ – ৩০ সেন্টিমিটারের এই ফুটবল ক্রিকেটের বল নিয়ে ব্যস্ত রেখে ১২৮০০ কিলোমিটার ব্যাসের বেশ বড় একটা ফুটবল নিয়ে খেলছে – আর এই বড় ফুটবলটাই হচ্চে পৃথিবী।
[Collected]

৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

কানিজ রিনা বলেছেন: খুব ভাল লাগল, আসলে ইহুদীরা জেগে
উঠেছে আমেরিকার ছত্রছায়ায় আমেরিকা
ইসরাইল হাত মিলে থাকে মুসলমানদের দমন
করার জন্য। সয়তানের বাসা আমেরিকা ও
ইসরাইল।
হিটলার ইহুদের নির্বংশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু
কিছু ভুল নীতি হিটলার হেড়ে গেছে। যদি
জিততে পারত পৃথিবী আজ অন্যরুপে সাজতো
ইহুদীরাদের বুদ্ধি সয়তানের বুদ্ধি। এইজন্য ওরা
বিশ্বের কাছে এক সময় কোনঠাসা ছিল।
আমেরিকা ইসরাইলি ইহুদীদের নিজের স্বার্থে
ব্যবহার করে। টেকনলজিতে কিছুটা আগালেও
চীন জাপান রাশিয়ার কাছে ইসরাইলরা কিছুনা।
ধন্যবাদ ভাল উদাহরন দেবার জন্য শুভকামনা।

৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: মুসলিমরা তাদের অতিত ইতিহাস ভুলে, বিলাসিতার মাঝে নিমজ্জিত হয়েছে, যার ফলে আজ তাদের এই দূরাবস্থা।

সৌদিয়ানদের অবস্থা দেখেন না? সব কিছুর জন্য তার আমেরিকার মুখাপেক্ষী!

২১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: আজকের মুসলমান!!....
- ইংল্যান্ডে, ইউরোপে পড়তে চায়!
- আমেরিকায় কাজ করতে চায়!
-ইংরেজীতে কথা বলতে চায়!
-চাইনিজ খাবার, ইতালিয়ান পিৎজা, রাশিয়ান সালাড খেতে চায়!
- ইউরোপে ছুটি কাঁটাতে চায়!
- ইংলিশ মুভি, ইন্ডিয়ান মুভি দেখতে চায়!
-ইন্ডিয়ান, ওয়েস্টার্ন গান শুনতে চায়!
- প্রেম করতে চায়, অবাধ মেলামেশা লুতুপুতু সব করতে চায়!
- স্মার্ট জব, বিশাল ফ্লাট, গাড়ী- বাড়ীর মালিক হতে চায়!
অথচ.... শেষ জীবনে!
- মক্কায় মরতে চায়!
- জান্নাতে বাস করতে চায়!

৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: সব সেক্টরেই মুসলিম রা পিছিয়ে পড়েছে ! মেধা থাকা সত্বেও মুসলিমরা তাদের অতিত ইতিহাস ভুলে, বিলাসিতার মাঝে নিমজ্জিত হয়েছে, নিজেদের মধ্যে হানাহানি করে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে !

৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

এ আর ১৫ বলেছেন: আরেকটা কপি এন্ড পেষ্ঠ
========================
ঈহুদিরা শক্তিশালী এবং মুসলমানেরা শক্তিহীন কেন?
পৃথিবীতে ইহুদির সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লক্ষ। এই জনসংখ্যায় প্রতি ১ জন ইহুদীর জন্য মুসলমানের সংখ্যা ১০০ জনের ও বেশী। অথচ ইহুদীরা মুসলমানদের তুলনায় শক্তিশালী, কেন?
আলবার্ট আইনস্টাইন ছিলেন ইহুদী। টাইম ম্যাগাজিনের নির্বাচনে নির্বাচিত শতাব্দীর সেরা মানব “ সিগমন্ড ফ্রয়েড” ছিলেন ইহুদী সিগমন্ড ফ্রয়েড কে বলা হয়ে থাকে “ সাইকোএনালিসিসের জনক” কার্ল মার্কস, পল স্যামুয়েলসন , মিল্টন ফ্রয়েডম্যান এরা সবাই ছিলেন ইহুদী।
অনান্য উল্লেখযোগ্য ইহুদী যারা সমগ্র মানব কল্যানে নিবেদিত ছিলেন এবং তাদের অবদান হল-
বেঞ্জামিন রুবিন(Benjamin Rubin ) প্রতিরোধক ভ্যাক্সিনের সুচ আবিস্কার, জোনাস সক ( Jonas Salk ) পোলিও ভ্যাক্সিনের উদ্ভাবক। এলার্ট সেবিন- Alert Sabin মুখে খাওয়ার পোলিও প্রতিরোধক ভ্যাক্সিনের উদ্ভাবক। গারট্রুড এলিওন Gertrude Elion রক্ত ক্যান্সারের ঔষধ আবিস্কার, বারুখ ব্লুমবার্গ (Baruch Blumberg )- হেপাটাইটিস বি’র প্রতিষেধক আবিস্কার, পল আরলিখ-( Paul Ehrlich) সিফিলিসে ঔষধ আবিস্কার, এলি মেচনিকফ(Elie Metchnikoff ) সংক্রামক রোগের উপর নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। বার্নার্ড কাজ (Bernard Katz) স্নায়ু এবং মাংশপেশীর উপর নোবেলজয়ী, এনড্রু শ্যালী (Andrew Schally) এন্ডোক্রাইনোলজী’র উপর নোবেলজয়ী, আরন বেক-( Aaron Beck)- কগনিটিভ থেরাপী- মানসিক ব্যাধি চিকিৎসার উপায়। গ্রেগরী পিনকাস- Gregory Pincus জন্ম নিরোধক বড়ি
জর্জ ওয়াল্ড (George Wald) মানব চক্ষুর উপর কাজের জন্য নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী,স্ট্যানলী কোহেন. (Stanley Cohen) ভ্রুনবিদ্যায় embryology নোবেলজয়ী, উইলেম কলফ(Willem Kolff ) কিডনী ডায়ালাইসিস যন্ত্রের আবিস্কারক।
নোবেল পুরস্কারের ১০৫ বছরের ইতিহাসে নোবেলজয়ী ইহুদীর সংখ্যা-১৮০, মুসলমানের সংখ্যা- ৩।
ইহুদীরা এত শক্তিশালী কেন?
স্টানলী মেজর (Stanley Mezor ) মাইক্রোপ্রসেসিং চিপসের আবিস্কারক, (micro-processing chip.) লিও সিলার্ডLeo Szilard পারমানবিক শক্তির “ চেইন রিয়্যাক্টরের এর উদ্ভাবক the first nuclear chain reactor; পিটার শুলজ (Peter Schultz) অপটিক্যাল ফাইবার কেবল the optical fibre cable; চার্লস এডলার Charles Adler – ট্রাফিক লাইট traffic lights; বেনো স্ট্রস Benno Strauss – ইস্পাত stainless steel; ইসাডর কিস- Isador Kisee - সবাক চলচিত্র sound movies; এমিল বার্লিনার Emile Berliner – টেলিফোন মাইক্রোফোন telephone microphone and চার্লস গিনসবার্গ Charles Ginsburg – ভিডিও টেপ রেকর্ডার videotape recorder.
ব্যাবসা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ইহুদীরা -
র‍্যালফ লরেন Ralph Lauren- পোলো (Polo), লেভী স্ট্রস Levis Strauss লেভী’স জিনস(Levi's Jeans), হাওয়ার্ড শুলজ Howard Schultz স্টারবাক (Starbuck's) , সের্গেই ব্রিন Sergey Brin গুগল(Google), মাইকেল ডেল ( Michael Dell ) ডেল কম্পিউটার (Dell Computers),ল্যারি এলিসন Larry Ellison (Oracle),
প্রশাসনিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ইহুদীরা- হেনরী কিসিঙ্গার (Henry Kissinger) এবং ম্যাডলিন অলব্রাইট (Madeleine Albright) আমেরিকার প্রাক্তন পররাস্ট্র মন্ত্রী (American Foreign Secretary) ) ম্যাক্সিম লিটভিনভ(Maxim Litvinov)- রাশিয়ার পররাস্ট্র মন্ত্রী (USSR Foreign Minister), ডেভিড মার্শাল David Marshal সিঙ্গাপুরের মুখ্যমন্ত্রী, বেঞ্জামিন ডিজরেলী Benjamin Disraeli বৃটিশ রাস্ট্রনায়ক ও লেখক (British statesman and author), পিয়েরে মেনডেস (Pierre Mendes )-ফরাসী প্রধানমন্ত্রী (French Prime Minister), মাইকেল হাওয়ার্ড(Michael Howard )- বৃটিশ স্বরাস্ট্রমন্ত্রী (British Home Secretary),.
মানব কল্যানে দাতা হিসেবে ইহুদী- জর্জ সরস- পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞানের উন্নয়নে যিনি দিয়েছেন ৪০০ কোটি ডলারের ও বেশী, ওয়াল্টার এনেনবার্গ জ্ঞান সাধনার উন্নয়ন কল্পে দিয়েছেন ২০০ কোটি ডলার।
হলিউডের প্রতিষ্ঠাতা একজন ইহুদী। হলিউডের অনেক অভিনেতা,অভিনেত্রী পরিচালক, ইহুদি।
আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটনের এক উল্ল্যেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হল আমেরিকান ইজরায়েলী পাবলিক এফেয়ার্স কমিটি American Israel Public Affairs Committee, or AIPAC.। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন পৃথিবী গোল পরদিন আমেরিকান কংগ্রেসে ইজরায়েলী প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আইন পাশ করা হবে ‘ পৃথিবী গোল”
এ যাবত কালের সবচে’ বেশী ইন্টেলিজেন্স কোশেন্ট বা আই কিউ(২৫০-৩০০) ছিলেন একজন ইহুদী, উইলিয়াম জেমস সিডিস(William James Sidis)
প্রশ্নঃ- ইহুদীরা এত শক্তিশালী কেন?
উত্তরঃ- শিক্ষা
পৃথিবীতে মুসলমানের সংখ্যা ১৪০ কোটির ও বেশী, এই সংখ্যা হিন্দুদের বা বৌদ্ধদের দ্বিগুন, পৃথিবীতে প্রতি পাঁচজনের একজন মুসলমান, অথচ মুসলমানদের এমন দুরবস্থা কেন?
অর্গানাইজেশান অফ ইসলামিক কান্ট্রি’জ বা ও আই সি’র সদস্য সংখ্যা ৫৭, ঐ দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা মোট ৫০০ , প্রতি ৩০ লক্ষ লোকের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়, অথচ আমেরিকাতে প্রতি ৫৭,০০০ লোকের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় , প্রতিবেশী দেশ ভারতেই রয়েছে ৮,৪০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়।২০০৪ সালের সাংহাইয়ের জিয়াও টং বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের র‍্যাঙ্কিং এ মুসলিম দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছিল না।
ইউ এন ডি পি’র সুত্র অনুসারে খৃস্টান দেশ গুলোতে শিক্ষার হার ৯০ শতাংশের ও বেশী ১৫টি খৃস্টান দেশে শিক্ষার হার ১০০% আর মুসলিম দেশগুলোতে তা ৪০ শতাংশ এবং কোন মুসলমান দেশে ১০০% শিক্ষার হার নেই। খৃস্টান বিশ্বে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ নিয়েছেন শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশ সেখানে মুসলিম বিশ্বে তা ২%।
মুসলিম বিশ্বে প্রতি ১০ লক্ষ জনের জন্য রয়েছেন ২৩০ জন বিজ্ঞানী সেখানে আমেরিকাতে রয়েছেন ৪,০০০ জন। সমগ্র আরব বিশ্বে মোট গবেষকের সংখ্যা ৩৫,০০০ এবং প্রতি ১০ লক্ষ লোকের জন্য রয়েছে ৫০জন কারিগর বা টেকনিসিয়ান খৃস্টান বিশ্বে প্রতি ১০ লক্ষ জনের জন্য টেকনিসিয়ান-১০০০ জন।গবেষনার পেছনে খৃস্টান বিশ্ব যেখানে খরচ করে জি,ডি,পি’র ৫% সেখানে মুসলিম বিশ্বে তা ০ .২%।
পাকিস্তানে প্রতি ১০০০ জনের জন্য রয়েছে ২৩টি সংবাদপত্র সেখানে সিঙ্গাপুরে তা ৩৬০টি। বৃটেনে প্রতি ১০ লক্ষ জনের জন্য রয়েছে ২০০০টি টাইটেলের বই সেখানে মিশরে তার সংখ্যা মাত্র ২০।
উচ্চ প্রযুক্তি’র পন্য রফতানী জ্ঞান বিজ্ঞানের সূচক। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তা ১%, সৌদি আরব, কুয়েত, মরক্কো, আলজেরিয়া ইত্যাদির ক্ষেত্রে তা .৩% এবং সিঙ্গাপুরে তা ৫৮%।
৫৭টি ও আই,সি দেশের জি,ডি,পি, ২ ট্রিলিয়ন সেখানে আমেরিকার ১২ ট্রিলিয়ন, চীনের ৮ ট্রিলিয়ন, জাপান ৩.৮ ট্রিলিয়ন, ভারত- ১.৭৫ ট্রিলিয়ন, জার্মানী ২.৪ ট্রিলিয়ন।( purchasing power parity basis).
সৌদি আরব, আরব আমীরাত, কুয়েত এবং কাতার মিলে উৎপাদন করে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের পন্য( বেশীর ভাগ তেল) সেখানে স্পেনের তা ১ ট্রিলিয়নের উপরে, পোল্যান্ডের ৪৮৯ বিলিয়ন এবং থাইল্যান্ডের তা ৫৪৫ বিলিয়ন।
সমস্ত কিছুর কারন কি শিক্ষার অভাব নয়?
বিঃদ্রঃ - ব্লিৎস পত্রিকা ৮ই জানুয়ারী ২০১০ সংখ্যা থেকে অনুদিত। লেখক ডঃ ফারুক সালীম । লেখাটার শেষের কয়েক লাইন অনুবাদ করতে সাহস পাই নি। এ পরিবর্তনের কারন হল পরিপূর্ন অনুবাদ অনেকের কাছে সুখকর হবে না এবং ফারুক সালীমের পরিবর্তে আমার উদ্দেশ্যে”বানী” বর্ষিত হবে এমনকি ধড়ের উপরের মাথাটাও হারাতে পারি।

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এ আর ১৫ বলেছেন- ইহুদীদের বিশাল গুন গান করছেন যা সম্পূণ ভাবে পড়েতে ব্যপক ধৈর্যের প্রয়োজন। তারপরও ধৈয্য ধরে অনেকটাই পড়লাম। আসলে চাকরদের চাকরী করার জন্য অনেক জ্ঞান অর্জন করা লাগে আর মালিকদের চাকরদের তদারকীর জন্য যতটুকু জ্ঞান দরকার ততটুকুই প্রয়োজন। আমি আল কোরআনের একটি আয়াত আপনাকে শোনায় । আয়াতটি ইহুদী ও নাছারাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে।
তাহারা যদি তাওরাত, ইন্জীল ও তাহাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তাহাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহা প্রতিষ্ঠিত করিত, তাহা হইলে তাহারা তাহাদের উপর ও পদতল হইতে আহার্য লাভ করিত। তাহাদের মধ্যে একদল রহিয়াছে যাহারা মধ্যপন্থী; কিন্তু তাহাদের অধিকাংশ যাহা করে তাহা নিকৃষ্ট। সুরা মায়েদা আয়াত-৬৭

লক্ষ্য করুন, আয়াতটিতে বলছে তাওরাত ইঞ্জিল যদি প্রতিষ্ঠিত করতো তবে তাদের উপর আসমান বা মহাজগৎ থেকে এবং পদতল হতে রিজিক লাভ করিতো। এ আর ১৫, আপনি কি বুঝতে পেরেছেন আয়াতটিতে আল কোরআন কি বলছে? পদতল বলতে খনিজ সম্পদ। অথাৎ মাটির নীচ থেকে খনিজ হতে উদগত আহার্য। যা ইহুদী নাছারাদের দেওয়া হয় না কারন তারা তাওরাত ইঞ্জল প্রতিষ্টিত করে নাই। আপনি লক্ষ্য করুন বিশ্বের বেশিরভাগ খনিজ সম্পদ মুসলিমদের দখলে। আর খনিজের কারনে এখনও মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ। এমনকি ওরা উপর থেকে অথাৎ আকাশ থেকে কিছুই আহার্য পাবেনা। মুসলিমরা সেই রিযিক পাবে। আমেরিকানরা মহাকাশ গবেষনা শুরু করলো আর শেষ করবে মুসলিমরা। আরো জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত হলেই মহাবিশ্ব দখল মুসলিমরাই করতে পারবে।

চাকর বাকরের জ্ঞান অর্জন দেখে হা-হুতাশ করার কিচু নেই। মুসলিমদের ন্যায় নীতি শিখতে হবে।

তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হইয়াছে; তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান কর, অসৎকাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর উপর বিশ্বাস কর। কিতাবীগণ যদি ঈমান আনিত তবে তাহাদের জন্য ভাল হইত। তাহাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক মু'মিন আছে; কিন্তু তাহাদের অধিকাংশ সত্যত্যাগী। সুরা আল ইমরান আয়াত-১১১
মুসলিমদের সততা শিখতে হবে। এই সততাই তাকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসাবে। ইহুদীদের মধ্য থেকে একটি গ্রুপ মুসলিমদের সাথে এক হবে অচিরেই। যারা আল্লার হেদায়েত প্রাপ্ত।

দয়া করে আমাদের ইহুদীদের মতো হতো শিখিয়েন না। আমরা আমাদের মতো হতে চাই। তবে জ্ঞান বিজ্ঞান সেটা যারই হোক ভালো কিছু গ্রহণ করতে দোষ নেই।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

প্রোলার্ড বলেছেন: সুরা ফাতেহাতেই বলা আছে যে ইহুদীরা অভিশপ্ত । তাদেরকে ফলো করলে অভিশপ্ত হয়ে যাব।

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

নতুন বলেছেন: পরিক্ষায় শুধুই পাশের জনের খাতা দেখে প্রথম হওয়া যায়না।

কিন্তু আপনার বন্ধুরা কি কি করে ভালো ফলাফল করছে সেটা অবশ্যই জানা দরকার এবং তা থেকে ভালো প্রক্টিসগুলি করা দরকার।

কিন্তু আপনি যদি শুধুই ১৪০০ বছর আগে ঢিলাকুলুক ব্যবহার করতেন বলে এখনো ৪০ কদম ঢিলাকুলুক নিয়ে হাটবেন আর কাশি দেবেন সেটা খুবই প‌্যাথেটিক...

সেরা হতে হলে অন্যদের থেকে আলাদা কিছু করতে হবে...তার জন্য চাই সামনের দিকে তাকিয়ে ভাবনা যাতে নতুন কিছু খুজে বের করা যায়.

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হে মু'মিনগণ! তোমরা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিও না, তাহারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেহ তাহাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিলে সে তাহাদেরই একজন হইবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিম সম্পদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। এবং যাহাদের অন্তঃকরণে ব্যাধি রহিয়াছে তুমি তাহাদেরকে সত্বর তাহাদের সঙ্গে মিলিত হইতে দেখিবে এই বলিয়া, ‘আমাদের আশংকা হয় আমাদের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটিবে।' হয়তো আল্লাহ বিজয় অথবা তাঁহার নিকট হইতে এমন কিছু দিবেন যাহাতে তাহারা তাহাদের অন্তরে যাহা গোপন রাখিয়াছিল তজ্জন্য অনুতপ্ত হইবে। ---সুরা মায়েদা আয়াত-৫২, ৫৩

মুসলিমদের একটি অংশ যে ইহুদী নাছারাদের সাথে মিলিত হবে সেটা আল কোরআন জানতো। কারন তারা তাদের ভাগ্য বিপর্যয় হবে বলে সন্দেহবাতিকতায় এই জঘন্য কাজটি করবে। যেমন সৌদি আরব ইসরাঈলের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে ইরানের ভয়ে। এটা যে কতটা বেঈমানী যা বুঝলো না। বুঝবে! মুসলিম বিশ্বের রাজাকার বলে একসময় প্রতিষ্ঠিত হবে এই সৌদি আরব।

নতুন বলেছেন: কিন্তু আপনি যদি শুধুই ১৪০০ বছর আগে ঢিলাকুলুক ব্যবহার করতেন বলে এখনো ৪০ কদম ঢিলাকুলুক নিয়ে হাটবেন আর কাশি দেবেন সেটা খুবই প‌্যাথেটিক...


নতুন, ভয় পাবেন না। ইসলাম কে আধুনিকরণ করতে আসছে ইসা (আঃ)। আরো আধুনিক আরো উন্নত চিন্তা সমৃদ্ধ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.