নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিকরা বঁদড়ামি করবো আর আমি নিশ্চিন্তে বেহেশতে চইলা যাওয়ার ধান্দা করমু ! কক্ষনো না, বরং আমি এই কুলাংগার গুলারে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করমু, ওগো লগে জাহান্নামে ঢুকমু, ওগো আগুনের চাপাতি দিয়া কুপামু.......এর পরে আমার কইলজা ঠান্ডা হইবো।

চেংকু প্যাঁক

চেংকু প্যাঁক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেয়ামত সংক্রান্ত আলোচনা (পর্ব-২)

২২ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

আগের পর্ব লেখার পরে পরের পর্ব লিখতে অনেকটা দেরি হয়ে গেল। কেয়ামত সংক্রান্ত আলোচনার জন্য প্রথমে ঠিক করছিলাম আগের পর্বের আয়াতগুলির যে কোন একটা আয়াতের উপর বিস্তারিত আলোচনা করব। আগের পর্বের আয়াতগুলির উপর চোখ বুলানোর সময় একটা সুরার নাম খুব পছন্দ হয়ে গেল, সুরা মুরসালাত, কি অদ্ভুত একটা নাম। অবশ্য কুরআনে পাকের অনেক সুরার নামই আমার কাছে অদ্ভুত মনে হয়। এবং নামের অর্থও অদ্ভুত ভাবে সুন্দর। যারা বিষয়টা খেয়াল করেন নাই তারা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

এই সুরায় কেয়ামতের দিনের একটি বিশেষত্বের কথা বলা হয়েছে। وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ "সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে"

বিস্তারিত ব্যাখ্যার আগে এই সুরার খুব ভাল একটা তিলাওয়াত যারা শুনতে চান (ইংরেজি অনুবাদ সহ), তাদের জন্য নীচের ভিডিওটা:



পাঠকদের চিন্তার সুবিধার জন্য নীচে পুরো সুরার বাংলা অনুবাদও কপি করে দিলাম

সূরা আল মুরসালাত
মক্কায় অবতীর্ণ , আয়াত সংখাঃ ৫০
----------------------------------------------
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

وَالْمُرْسَلَاتِ عُرْفًا
কল্যাণের জন্যে প্রেরিত বায়ুর শপথ, [সুরা মুরসালাত: ১]

فَالْعَاصِفَاتِ عَصْفًا
সজোরে প্রবাহিত ঝটিকার শপথ, [সুরা মুরসালাত: ২]

وَالنَّاشِرَاتِ نَشْرًا
মেঘবিস্তৃতকারী বায়ুর শপথ [সুরা মুরসালাত: ৩]

فَالْفَارِقَاتِ فَرْقًا
মেঘপুঞ্জ বিতরণকারী বায়ুর শপথ এবং [সুরা মুরসালাত: ৪]

فَالْمُلْقِيَاتِ ذِكْرًا
ওহী নিয়ে অবতরণকারী ফেরেশতাগণের শপথ- [সুরা মুরসালাত: ৫]

عُذْرًا أَوْ نُذْرًا
ওযর-আপত্তির অবকাশ না রাখার জন্যে অথবা সতর্ক করার জন্যে। [সুরা মুরসালাত: ৬]

إِنَّمَا تُوعَدُونَ لَوَاقِعٌ
নিশ্চয়ই তোমাদেরকে প্রদত্ত ওয়াদা বাস্তবায়িত হবে। [সুরা মুরসালাত: ৭]

فَإِذَا النُّجُومُ طُمِسَتْ
অতঃপর যখন নক্ষত্রসমুহ নির্বাপিত হবে, [সুরা মুরসালাত: ৮]

وَإِذَا السَّمَاء فُرِجَتْ
যখন আকাশ ছিদ্রযুক্ত হবে, [সুরা মুরসালাত: ৯]

وَإِذَا الْجِبَالُ نُسِفَتْ
যখন পর্বতমালাকে উড়িয়ে দেয়া হবে এবং [সুরা মুরসালাত: ১০]

وَإِذَا الرُّسُلُ أُقِّتَتْ
যখন রসূলগণের একত্রিত হওয়ার সময় নিরূপিত হবে, [সুরা মুরসালাত: ১১]

لِأَيِّ يَوْمٍ أُجِّلَتْ
এসব বিষয় কোন দিবসের জন্যে স্থগিত রাখা হয়েছে? [সুরা মুরসালাত: ১২]

لِيَوْمِ الْفَصْلِ
বিচার দিবসের জন্য। [সুরা মুরসালাত: ১৩]

وَمَا أَدْرَاكَ مَا يَوْمُ الْفَصْلِ
আপনি জানেন বিচার দিবস কি? [সুরা মুরসালাত: ১৪]

وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে। [সুরা মুরসালাত: ১৫]

أَلَمْ نُهْلِكِ الْأَوَّلِينَ
আমি কি পূর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করিনি? [সুরা মুরসালাত: ১৬]

ثُمَّ نُتْبِعُهُمُ الْآخِرِينَ
অতঃপর তাদের পশ্চাতে প্রেরণ করব পরবর্তীদেরকে। [সুরা মুরসালাত: ১৭]

كَذَلِكَ نَفْعَلُ بِالْمُجْرِمِينَ
অপরাধীদের সাথে আমি এরূপই করে থাকি। [সুরা মুরসালাত: ১৮]

وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে। [সুরা মুরসালাত: ১৯]

أَلَمْ نَخْلُقكُّم مِّن مَّاء مَّهِينٍ
আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি থেকে সৃষ্টি করিনি? [সুরা মুরসালাত: ২০]

فَجَعَلْنَاهُ فِي قَرَارٍ مَّكِينٍ
অতঃপর আমি তা রেখেছি এক সংরক্ষিত আধারে, [সুরা মুরসালাত: ২১]

إِلَى قَدَرٍ مَّعْلُومٍ
এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত, [সুরা মুরসালাত: ২২]

فَقَدَرْنَا فَنِعْمَ الْقَادِرُونَ
অতঃপর আমি পরিমিত আকারে সৃষ্টি করেছি, আমি কত সক্ষম স্রষ্টা? [সুরা মুরসালাত: ২৩]

وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে। [সুরা মুরসালাত: ২৪]

أَلَمْ نَجْعَلِ الْأَرْضَ كِفَاتًا
আমি কি পৃথিবীকে সৃষ্টি করিনি ধারণকারিণীরূপে, [সুরা মুরসালাত: ২৫]

أَحْيَاء وَأَمْوَاتًا
জীবিত ও মৃতদেরকে? [সুরা মুরসালাত: ২৬]

وَجَعَلْنَا فِيهَا رَوَاسِيَ شَامِخَاتٍ وَأَسْقَيْنَاكُم مَّاء فُرَاتًا
আমি তাতে স্থাপন করেছি মজবুত সুউচ্চ পর্বতমালা এবং পান করিয়েছি তোমাদেরকে তৃষ্ণা নিবারণকারী সুপেয় পানি। [সুরা মুরসালাত: ২৭]

وَيْلٌ يوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে। [সুরা মুরসালাত: ২৮]

انطَلِقُوا إِلَى مَا كُنتُم بِهِ تُكَذِّبُونَ
চল তোমরা তারই দিকে, যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে। [সুরা মুরসালাত: ২৯]

انطَلِقُوا إِلَى ظِلٍّ ذِي ثَلَاثِ شُعَبٍ
চল তোমরা তিন কুন্ডলীবিশিষ্ট ছায়ার দিকে, [সুরা মুরসালাত: ৩০]

لَا ظَلِيلٍ وَلَا يُغْنِي مِنَ اللَّهَبِ
যে ছায়া সুনিবিড় নয় এবং অগ্নির উত্তাপ থেকে রক্ষা করে না। [সুরা মুরসালাত: ৩১]

إِنَّهَا تَرْمِي بِشَرَرٍ كَالْقَصْرِ
এটা অট্টালিকা সদৃশ বৃহৎ স্ফুলিংগ নিক্ষেপ করবে। [সুরা মুরসালাত: ৩২]

كَأَنَّهُ جِمَالَتٌ صُفْرٌ
যেন সে পীতবর্ণ উষ্ট্রশ্রেণী। [সুরা মুরসালাত: ৩৩]

وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে। [সুরা মুরসালাত: ৩৪]

هَذَا يَوْمُ لَا يَنطِقُونَ
এটা এমন দিন, যেদিন কেউ কথা বলবে না। [সুরা মুরসালাত: ৩৫]

وَلَا يُؤْذَنُ لَهُمْ فَيَعْتَذِرُونَ
এবং কাউকে তওবা করার অনুমতি দেয়া হবে না। [সুরা মুরসালাত: ৩৬]

وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে। [সুরা মুরসালাত: ৩৭]

هَذَا يَوْمُ الْفَصْلِ جَمَعْنَاكُمْ وَالْأَوَّلِينَ
এটা বিচার দিবস, আমি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে একত্রিত করেছি। [সুরা মুরসালাত: ৩৮]

فَإِن كَانَ لَكُمْ كَيْدٌ فَكِيدُونِ
অতএব, তোমাদের কোন অপকৌশল থাকলে তা প্রয়োগ কর আমার কাছে। [সুরা মুরসালাত: ৩৯]

وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে। [সুরা মুরসালাত: ৪০]

إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي ظِلَالٍ وَعُيُونٍ
নিশ্চয় খোদাভীরুরা থাকবে ছায়ায় এবং প্রস্রবণসমূহে- [সুরা মুরসালাত: ৪১]

وَفَوَاكِهَ مِمَّا يَشْتَهُونَ
এবং তাদের বাঞ্ছিত ফল-মূলের মধ্যে। [সুরা মুরসালাত: ৪২]

كُلُوا وَاشْرَبُوا هَنِيئًا بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
বলা হবেঃ তোমরা যা করতে তার বিনিময়ে তৃপ্তির সাথে পানাহার কর। [সুরা মুরসালাত: ৪৩]

إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنينَ
এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। [সুরা মুরসালাত: ৪৪]

وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে। [সুরা মুরসালাত: ৪৫]

كُلُوا وَتَمَتَّعُوا قَلِيلًا إِنَّكُم مُّجْرِمُونَ
কাফেরগণ, তোমরা কিছুদিন খেয়ে নাও এবং ভোগ করে নাও। তোমরা তো অপরাধী। [সুরা মুরসালাত: ৪৬]

وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে। [সুরা মুরসালাত: ৪৭]

وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ ارْكَعُوا لَا يَرْكَعُونَ
যখন তাদেরকে বলা হয়, নত হও, তখন তারা নত হয় না। [সুরা মুরসালাত: ৪৮]

وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে। [সুরা মুরসালাত: ৪৯]

فَبِأَيِّ حَدِيثٍ بَعْدَهُ يُؤْمِنُونَ
এখন কোন কথায় তারা এরপর বিশ্বাস স্থাপন [সুরা মুরসালাত: ৫০]


=====================================================

চল তোমরা তিন কুন্ডলীবিশিষ্ট ছায়ার দিকে, [সুরা মুরসালাত: ৩০]

উপরের বোল্ড করা অংশের আলোচনায় তাফসিরের কিতাবে লিখে: কাফের বা মিথ্যা আরোপকারী তিন প্রকারের হয়
১। মুশরিক
২। নাস্তিক
৩। মুনাফিক

তিন প্রকারের কাফেরের জন্য তিনটা কুন্ডলি বিশিষ্ট ছাঁয়া বের হবে, এই ছায়াগুলি তাদেরকে কোন শান্তি দিবে না, বরং বড় বড় অট্টালিকার সমান জ্বলন্ত কয়লার পিন্ড এই কুন্ডলিগুলো থেকে তাদের উপর নিক্ষেপ করা হবে। মাটিতে পড়ার পর এইগুলি টুকরা টুকরা হয়ে ছড়িয়ে পড়বে, টুকরাগুলি একেকটি কালচে পিতাভ বর্ণের উটের মত হবে। এখনকার দিনে মুসলমানদের অনেক শহরের উপর কাফেররা সাদা ফসফরাস সহ বিভিন্ন ধরণের থার্মোবারিক বোমা ইত্যাদি নিক্ষেপ করে মাইলের পর মাইল ধ্বংস করে দেয়।



অসহায় নারী শিশু বৃদ্ধ জনসাধারণ কাফেরদের ভাষায় "কো-ল্যাটেরাল ড্যামেজ" এর শিকার হয় বিধায় তাদের কিছু করার নাই। মুসলিম নামধারী মুনাফিকরা এগুলি দেখেও না দেখার ভান করে, বরং এইসব বিষয় নিয়ে কেউ কথা বলতে গেলে বিভিন্ন ট্যাগ মেরে তাদেরকে হতোদ্দম করে দেয়।

ওয়েল, কো-ল্যাটেরাল ড্যামেজের শিকার তিন প্রকারের কাফেররাও হবে, এবং হতে থাকবে লম্বা সময়ের জন্য।

وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে। [সুরা মুরসালাত: ৪৯]

(চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.