নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিকরা বঁদড়ামি করবো আর আমি নিশ্চিন্তে বেহেশতে চইলা যাওয়ার ধান্দা করমু ! কক্ষনো না, বরং আমি এই কুলাংগার গুলারে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করমু, ওগো লগে জাহান্নামে ঢুকমু, ওগো আগুনের চাপাতি দিয়া কুপামু.......এর পরে আমার কইলজা ঠান্ডা হইবো।

চেংকু প্যাঁক

চেংকু প্যাঁক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেকালে শান্তিনিকেতনে "........." যেভাবে করা হত ;)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

"... তখনকার শান্তিনিকেতন বলতে বোঝায় : একদিকে আমের বাগান - অন্য দিকে শালের বন, তার মাঝখানে বেশ খানিকটা ফাঁকা জায়গা। সেখানে ছিল লম্বা বারো-চোদ্দটা চালাঘর, সবই খড়ের ছাউনি। তারই মধ্যে কয়েকখানা কোঠাঘরও ছিল; সেখানে শিক্ষকরা থাকতেন সপরিবারে। একটা মাঝারী চালাঘরে আমরা থাকতাম কয়েকজন - সেইখানেই একটা তক্তপোষে আমার সিট হয়েছিল। সেখানে যারা ছিল, তারা সবাই অল্পবয়স্ক। সেজদা'র সিট হলো অন্য ঘরে। আমাদের ঘরে তত্ত্বাবধায়করূপে একজন শিক্ষকও থাকতেন।

ছোটবেলা থেকেই পালঙ্কে নরম বিছানায় শোওয়া অভ্যাস। আর এ রকম পরিবেশেও কখনও শুইনি - লম্বা করিডরের মতন ঘর - জানালার ফাঁক দিয়ে শীতের কনকনে হাওয়া ঢুকছে - শক্ত তক্তপোশ, সুতরাং প্রথমদিন খুবই অসুবিধা বোধ করেছিলাম। কিন্তু সমস্ত দিনের ক্লান্তির পর শোওয়া মাত্রই ঘুমিয়ে পড়লাম।

অঘোরে ঘুমাচ্ছি, হঠাৎ মনে হলো কে যেন আমায় ঠেলছে আর বলছে, "ওঠ, ওঠ, মাঠে যাবার ঘন্টা পড়ে গেছে।" প্রচন্ড শীতে কাঁপতে কাঁপতে কোন রকমে উঠে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, এত রাত্রে মাঠে কেন? ছেলেটি জবাব দিল, রাত কোথায় ! ওই তো ফরসা হয়ে এসেছে। এই সময়েই তো মাঠে যেতে হয় - এখানে তো পায়খানা নেই।

এতক্ষণে বুঝলাম মাঠে যাবার অর্থ।

ছোটবেলা থেকেই বাথরুমে যাওয়া অভ্যাস; মাঠে যেতে হবে শুনে আমার চক্ষু স্থির। কিন্তু নিরূপায়। অগত্যা অন্য ছেলেদের সঙ্গে আমাকে মাঠেই যেতে হলো॥"

- মধু বসু / আমার জীবন ॥ [ বাক্-সাহিত্য (কলিকাতা) - এপ্রিল, ১৯৬৭ । পৃ: ১৫-১৬ ]

কর্টেসি: কাইকাউস

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:১৫

প্রোলার্ড বলেছেন: ২০১৬/১৭ সালেও যদি ভারতবর্ষের ৫০% এরও বেশী উন্মুক্ত টয়লেট ব্যব হার করে তাহলে আজি হতে শত বর্ষ আগে কত ভাগ ব্যবহার করিত?

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: তারা এই উন্মুক্ত টয়লেট রেখেই সারা বিশ্বে নিজেদের কে যে ভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে এটা নিয়েও ভাবা উচিৎ। জ্ঞ্যান বিজ্ঞান বিনোদন সমরবিদ্যা কথায় নেই তাদের উপস্থিতি। সেই তুলনায় আমরা কি পারলাম ভাবতেই মন খারাপ হয়ে যায়।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১২

প্রামানিক বলেছেন: ১৯৮৩ সালে ভারতের জলপাইগুড়ি কোচবিহার গিয়েও এই অবস্থা দেখেছি।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: রবিবাবু ও মুজতবা আলীও যাইতেন কিনা জাতি ঝানতে চায় ! :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.