নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিকরা বঁদড়ামি করবো আর আমি নিশ্চিন্তে বেহেশতে চইলা যাওয়ার ধান্দা করমু ! কক্ষনো না, বরং আমি এই কুলাংগার গুলারে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করমু, ওগো লগে জাহান্নামে ঢুকমু, ওগো আগুনের চাপাতি দিয়া কুপামু.......এর পরে আমার কইলজা ঠান্ডা হইবো।

চেংকু প্যাঁক

চেংকু প্যাঁক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাক-ভারত যুদ্ধ এবং ইতিহাসের ইতিপাতি

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

অতীতের পাক-ভারত যুদ্ধগুলোতে নাকি সবসময় ভারত জিতেছে! কিন্তু প্রকৃত ইতিহাস কী? উদাহরণস্বরূপ অতীতে সংঘটিত পাক-ভারত যুদ্ধের কয়েকটির মূল ইতিহাস তুলে ধরছি-

১) ১৯৪৮ সালের কাশ্মীর যুদ্ধঃ কাশ্মীরের একটি বড় অংশ ভারতের হাতে রয়েছে, একারণে অনেকে ধারণা করে যে, তখন বোধহয় ভারত জিতেছিল। কিন্তু মূল ঘটনা হলো, তখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান ছিল ‘ডগলাস গ্রেসি’ নামক এক ব্রিটিশ। ব্রিটিশরা চেয়েছিল ভারত কাশ্মীর দখল করে নিক, আর ভারত থেকে ইতিমধ্যেই কাশ্মীরে সেনা পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছিল। জিন্নাহ তখন ডগলাস গ্রেসিকে নির্দেশ দেয় কাশ্মীরে পাকিস্তানী সেনা পাঠিয়ে প্রতিরোধ গড়তে, কিন্তু ব্রিটিশদের আজ্ঞাবাহী ডগলাস গ্রেসি তা মানতে অস্বীকৃতি জানায়।

তখন জিন্নাহ পাঠান উপজাতিদের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে যুদ্ধ করতে প্রেরণ করেন। ওদিকে সময়মতো পাকিস্তানী সেনাবাহিনী না পাঠানোয় ততোক্ষণে ভারতীয় সেনাবাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরের দুই-তৃতীয়াংশ অঞ্চল দখল করে নিয়েছে, কিন্তু তারপরও পাঠান মুজাহিদরা প্রতিরোধ রচনা করে কাশ্মীরের একটি অংশ পাকিস্তানের দখলে আনতে সমর্থ হয়। ঐ অংশটিকেই হলো আজকের পাকিস্তান শাসিত ‘আজাদ কাশ্মীর’। (https://goo.gl/aKyRyD)

২) ৬৫’র যুদ্ধঃ ৬৫’র যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিরোধ সত্ত্বেও পাকিস্তানী সেনাবাহিনী দখল করে নিয়েছিল কাশ্মীরের আখনুর ও জারিয়ান। তখন সিআইএ আইয়ুব খানকে পরামর্শ দেয় নিয়মিত সেনাবাহিনী কাশ্মীরের শ্রীনগরে পাঠিয়ে দিতে। পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি অনুযায়ী ওই সময় পাকিস্তানের সমরনীতি পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত ছিল মার্কিন সমর বিভাগের হাতে।

কিন্তু সিআইএ’র ইচ্ছা ছিল আইয়ুব খানকে সরিয়ে আমেরিকার দালাল পশ্চিম পাকিস্তানের গভর্নর কালাবাগের আমীর মুহাম্মদ খানকে ক্ষমতায় বসানো। তাই সিআইএ পাল্টা চালটি চাললো ভারতকে খেমকারান সেক্টর অতিক্রম করে লাহোর আক্রমণের পরামর্শ দিয়ে, যেন পাকিস্তান হেরে গেলে আইয়ুব খানের পতন ঘটে। মার্কিনিদের বিশ্বাসঘাতকতায় আইয়ুব খান পড়লো মহাসঙ্কটে। কারণ নিয়মিত সেনাবাহিনী কাশ্মীরে পাঠিয়ে দেয়ায় খেমকারান সেক্টর ছিল অরক্ষিত, যেখান থেকে ভারত ট্যাঙ্ক নিয়ে লাহোরের দিকে এগিয়ে আসছে। তখন ইপিআরের বাঙালি সৈনিকেরা ভারতীয় ট্যাঙ্ক ঠেকিয়ে দেয় বুকে মাইন বেঁধে ট্যাঙ্কের নিচে ঝাপিয়ে পড়ে। বাঙালি মুসলমানদের বীরত্বে ভারতের ৬০০ ট্যাঙ্ক লাহোরে পৌঁছানোর আগেই বিধ্বস্ত হয়।

ওদিকে কাশ্মীরের শ্রীনগর-জম্মু দখল করতে প্রস্তুত পাকিস্তান সেনাবাহিনী, ভারতের হার সুনিশ্চিত। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী তার ওস্তাদ রাশিয়ার কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরলো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিতে। রাশিয়ার চাপে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয় আইয়ুব খান, কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো হলো অসন্তুষ্ট। কারণ জেতা যুদ্ধ থেকে ফিরে আসছে পাকিস্তান। (https://goo.gl/9mqQlQ)

রাশিয়ার তাসখন্দে জুলফিকার আলী ভুট্টোকে পাঠানো হয় লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর সাথে চুক্তি করতে। হ্যান্ডশেক করার সময় সে রাগান্বিতভাবে শাস্ত্রীর হাত ধরে জোরে ঝাঁকি দিয়েছিল। তাসখন্দ চুক্তির পরদিনই (জানুয়ারি ১১, ১৯৬৬) শাস্ত্রী সেখানেই হার্টফেল করে মারা যায়। উইকিপিডিয়া অনুযায়ী, ভারত থেকে তাসখন্দে যাওয়ার সময় শাস্ত্রী ছিল সম্পূর্ণ সুস্থ। এতেই বোঝা যায় যে, তাসখন্দে শাস্ত্রীর মাথা কতোটা হেট হয়েছিল পাকিস্তানের কাছে নিজদেশের হার ঠেকাতে। (https://goo.gl/LwytWP)

৩) কারগিল যুদ্ধঃ পারভেজ মোশাররফের ইন দ্য লাইন অফ ফায়ার বইতে রয়েছে ““ভারতের স্বীকৃতি অনুসারে এ যুদ্ধে প্রায় ৬০০ জন নিহত এবং ১৫০০ লোক আহত হয়। তবে আমাদের কাছে আসা তথ্য অনুসারে প্রকৃত হতাহত সংখ্যা ভারতের স্বীকৃত হতাহতের অন্তত দ্বিগুন হবে। অপ্রত্যাশিতভাবে নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ভারতের কফিনের সংকট দেখা দেয়।”
এই যুদ্ধে যখন ভারতের হার সুনিশ্চিত, তখনই ক্লিনটনের নির্দেশে যুদ্ধ বন্ধ করে দেয় আমেরিকার দালাল নওয়াজ শরীফ। নওয়াজের এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে বিক্ষোভে ফেটে পরে সেনাবাহিনী ও মুজাহিদিনরা। যার ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে পারভেজ মোশাররফ এই নওয়াজ শরীফকে সরিয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতা হাতে নিয়েছিলেন।
কারগিল যুদ্ধে কুকুরের মতো মরার পরও ভারতীয় সৈন্যরা সেই দিনটি ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে। কি হাস্যকর তাই না! (https://goo.gl/7bvxUA)

অর্থাৎ প্রত্যেকটি যুদ্ধেই পাকিস্তানের সৈনিকেরা বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিল, কিন্তু শাসকগোষ্ঠীর দুর্বলতা ও পিছু হটার কারণে চূড়ান্ত বিজয় বারবার তাদের হাতছাড়া হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতীয় নেড়ি কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করে কৃতিত্ব নেয়ার সুযোগ পেয়েছে। আজাদ কাশ্মীরের ইতিহাস প্রমাণ করে যে, ভারতের সেনাবাহিনীকে ঠেকিয়ে দেয়ার ক্ষমতা পাকিস্তানের সিভিলিয়ানরাও রাখে।

Credit to amardesh.

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: লাভ নাই চাঁন্দুগাজী, তোমার অনেক মাল্টিই আমি চিনি, হুদাকামে কমেন্ট কর, ডিলিট খাইতেই থাকবা সমানে।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৮

রাখালছেলে বলেছেন: ধুস....কে জিতসে আর কে হারসে তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। পাক-ভারত তো ধর্মের জন্য যুদ্ধ করছে সেই কবে থেকে । হুদাই মারামারি করছে ।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: পোস্টের লেখককে ধন্যবাদ পাকিস্তানের সামরিক শক্তি সম্পর্কে আমাদের জানানোর জন্য। ভাগ্যিস এই পোস্টটি পশ্চিমা দেশ গুলা পড়তে পারছে না বাংলা না জানার জন্য তাহলে সবাই পাকিস্তানকেই একবাক্যে সুপারপাওয়ার মেনে নিত। আফসুস।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন:
============

২০০১ সালে ভারতীয় পার্লামেন্টে জংগি হামলার পর ভারতীয় সরকার ক্ষিপ্ত হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সৈন্য সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতের মিলিটারি ডিপ্লয়মেন্ট পরিকল্পনা কিভাবে কাজ করে তা বুঝা যায় ফোর্স মোবিলাইজেশনে এক মাস সময় লেগে যাওয়ায় পর। এটা নিয়ে ভারতের ভিতরে এবং বাইরে অনেক সমালোচনা হওয়ার পর ভারতীয়রা কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন নামে নতুন একটা ডকট্রিন প্রনয়ন করে। ভবিষ্যতে যেকোন পাকিস্তান ভিত্তিক আগ্রাসনের প্রতিউত্তরে হঠাৎ করে খুব কম সময়ের মধ্যে পাকিস্তানের বর্ডার পার হয়ে পাক আর্মির উপর কঠিন ভাবে লিমিটেড লেভেলে একটা প্রচন্ড আঘাত হানার পরিকল্পনা করা হয়, যাতে পাকিস্তানকে যথেষ্ট শাস্তিও দেয়া যায় এবং ব্যপারটা আবার পারমানবিক এসকেলেশন পর্যন্তও না গড়ায়। অনেকটা গর্তের ভিতর থেকে সাপের ছোবলের মত আরকি। যদিও ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর এই ডক্ট্রিনের বাস্তবায়ন দেখা যায় নাই।

কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন নিয়ে অনেকদিন পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্তা ব্যক্তিরা "কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন" বলে কোন জিনিসের অস্তিত্ব নাই বলে মিথ্যাচার করলেও ২০১৭ সালে ভারতের আর্মি চিপ জেনারেল রাওয়াত বিষয়টা স্বীকার করে নেন।

কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন নিয়ে ভারতে এবং ভারতের বাইরে অনেক আলোচনা দেখতে পাওয়া যায়। ভারতে নিযুক্ত মার্কিন দূত তিমোথি জে রোমারের একটা লিক হওয়া বার্তা থেকে জানা যায় কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন নাকি "a mixture of myth and reality" এবং বেসিক্যালি জিনিসটা সম্ভবত ভারত সরকারের একধরণের ফাঁপড়।

কিন্তু পাকিস্তান "কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিনকে" খুব সিরিয়াসলি নেয় এবং এর জবাবে অনেকগুলি কাউন্টার মিজার ডেভলপ করে। তার মধ্যে ২০১০ সালকে ট্রেনিং ইয়ার হিসাবে ঘোষনা করা হয় এবং পুরো বছর ধরে কোল্ড স্টার্টের বিরুদ্ধে কিভাবে আক্রমনাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে তার প্রশিক্ষন এবং অনুশিলন চলে (large-scale joint-military exercise, Azm-e-Nau–III)। এছাড়াও পাকিস্তানিরা সর্ট রেন্জ নিউক্লিয়ার ক্যাপাবল ট্যাকটিকাল মিজাইল সিসটেম "নাসের" ডেভলপ করে। যাতে ভারতীয় ফোর্সের অগ্রসরমান বড় একেকটা আর্মর্ড কলামকে একটা করে মিজাইল মেরে মাটিতে গেড়ে ফেলা যায়। ট্রাক মাউণ্টেড নাসের সিসটেম হল স্যুট-এন্ড-স্কুট ক্যপাবল। রেন্জ ৬০ কিলোমিটার এবং হাইলি এক্যুরেট। এছাড়াও পাকিস্তান থ্রেট ম্যাট্রিক্স নামে একটা ডাটাবেইজ প্রোগ্রাম হাতে নেয় যার সাহায্যে মিলিটারি, নিউক্লিয়ার, টেররিজম, সাইবার এবং ইকনমি এই পাঁচটা প্রাসপেকটিভে সিমেট্রিক এবং এসিমেট্রিক থ্রেট এনালাইসিস করা যায় এবং সেই অনুযায়ি কাউন্টার-মেজার নেওয়া যায়। পশ্চিমা মিডিয়া বিষয়টি যখন জানতে পারে তখন একে পাকিস্তানের পলিসির জন্য "paradigm shift" হিসাবে আখ্যায়িত করে। যদিও পাকিস্তানিরা বিষয়টিকে এতটা ক্রেডিট দিতে রাজি নয়।

যাই হোক, ভবিষ্যত যুদ্ধ পরিকল্পনার কোন বিষয় এডাপ্ট করা এবং ইফেকটিভলি সেটাকে বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে ভারত এবং পাকিস্তানের কাজকর্মের পার্থক্যটা কিরকম, সেটা কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন এবং তার জবাবে পাকিস্তানের উপরোক্ত কার্যক্রম বিশ্লেষন করলে কিছুটা বুঝতে পারবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.