নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহপাক বলেন \"ঐ ব্যক্তির কথার চেয়ে ভাল কথা কার হতে পারে যে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে এবং নেক আমল করে এবং বলে যে নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের মধ্যে একজন।\"(আল-কোরআন)

ইলিয়াস বিডি

আমি এক মুসাফির

ইলিয়াস বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

।।। মুজাকারা ।।। প্রসঙ্গঃ এতেকাফ ।।। < রমজানে এতেকাফ: নিয়ম ও শর্ত>

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:০০

এতেকাফ শব্দের অর্থ হচ্ছে অবস্থান করা,স্থির থাকা, আবদ্ধ থাকা। শরিয়তের পরিভাষায় রমজানের শেষ দশ দিন বা যেকোনো দিন দুনিয়ার সব কাজ-কর্ম তথা পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মসজিদে বা ঘরের পবিত্র স্থানে এতেকাফের নিয়তে অবস্থান করাকে এতেকাফ বলা হয়।
এতেকাফ তিন প্রকার- ওয়াজিব, মুস্তাহাব, সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। মানতের এতেকাফ ওয়াজিব। রমজানের শেষ ১০ দিন ব্যতিরেকে যত এতেকাফ করা হবে তা মুস্তাহাব। রমজানের শেষ ১০ দিনে এতেকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ কেফায়া।

এতেকাফের চারটি শর্ত : ১. মসজিদে অবস্থান করা, নারীদের জন্য ঘরে ২. নিয়ত করা ৩. বড় না পাক থেকে পাক হওয়া ৪. রোজা অবস্থায় হওয়া।

২০ রমজান সূর্যাস্তের সময় থেকে মসজিদে ইতেকাফ শুরু করতে হবে। রমজানের চাঁদ দেখার পর মসজিদ থেকে বের হবে। রোজায় মহল্লার জামে মসজিদে ইতেকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া। সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া মানে হলো, সবার পক্ষে একজন আদায় করতে হবে। না হয় পুরো এলাকাবাসীর গুনাহ হবে।

এতেকাফের ফজিলত সম্পর্কে রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রোজার শেষ ১০ দিন এতেকাফ করবে, সে ব্যক্তি দু’টি হজ ও দুটি ওমরার সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে যতদিন জীবিত ছিলেন, ততদিন রমজানের শেষ ১০ দিন মসজিদে এতেকাফ করেছেন। জীবিত থাকাকালীন কোনো রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ বাদ দেননি। (বুখারি ও মুসলিম)

রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য ও মহিমা অনুসন্ধানে প্রথম দশদিন ও মাঝের দশদিন এতেকাফ করেছি অবশেষে আমার কাছে একজন ফেরেশতা এসে বলেছেন, লাইলাতুল কদর শেষ দশকে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যারা এতেকাফ করতে চায় তারা যেন শেষ দশকে এতেকাফ করে। এতেকাফকালীন অধিক কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ, তাসবিহ, জিকির, দোয়া-দরূদ, দান-সদকা ইত্যাদি আমল করা। কারও সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ ও অনর্থক গল্প-গুজবে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। লেনদেন না করার পাশপাশি বিনা প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হওয়াও উচিত নয়।

মসজিদুল হারামে এতেকাফ করলে তা সবচেয়ে উৎকৃষ্ট এতেকাফ। তারপর মসজিদে নববীতে এবং তারপর বায়তুল মুকাদ্দাসে। তারপর উৎকৃষ্ট এতেকাফ হয় কোনো জামে মসজিদে করলে যেখানে রীতিমতো জামায়াতে নামাজ হয়। তারপর নিজের গ্রাম বা মহল্লার মসজিদে।

সৌজন্যেঃ
নিউজওয়ার্ল্ডবিডি ডট কম।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৬

ইলিয়াস বিডি বলেছেন: আরো জানতে পড়ুনঃএতেকাফ তাৎপর্য, উদ্দেশ্য ও বিধান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.