নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হযরতজী মাওলানা এনামুল হাসান সাহেব রহঃ- বলেন, দুনিয়াতে যে পরিমাণ পুরুষ তার চেয়ে বেশি মহিলা এবং মহিলা যে পরিমাণ তার চেয়ে বেশি বাচ্চা। যদি দ্বীনের মেহনত শুধু পুরুষের উপর করা হয় অথবা শুধু পুরুষরা
দ্বীনের মেহনত করে তাহলে সমস্ত উম্মতের মধ্য হতে শুধু এক-তৃতীয়াংশের উপর মেহনত হলো।
সুতরাং আমরা যদি পুরো উম্মতকে দ্বীনের উপর আনতে চাই তাহলে পুরুষ, মহিলা এবং বাচ্চা সবার উপর
মেহনত করতে হবে। এই উম্মত ইব্রাহীম আ:-এর মিল্লাতের উপর প্রতিষ্ঠিত। এই উম্মত দুনিয়াতে প্রকাশ হয়েছে ইব্রাহীম আ: এবং তার খানদানের কুরবানীর উপর। এই উম্মত দুনিয়াতে আসার জন্য কুরবানী দিয়েছেন ইব্রাহীম আ:, মা হাজেরা আ:, ও হযরত ইসমাঈল আ:। মহিলাদের দ্বীনের মেহনতের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব প্রসঙ্গে হাজী আব্দুল মুকিত সাহেব রহ: বলেন, স্ত্রীকে সহধর্মিণী বলা হয়। এর অর্থ হলো একজন স্ত্রীলোক ধর্ম বা দ্বীনের কাজে তার স্বামীর সাহায্যকারী হবেন। স্বামী-স্ত্রীর উদাহরণ গরুর গাড়ীর দুটি চাকার মতো। যদি গরুর গাড়ীর একটি চাকা খুব বড় হয় এবং অন্য চাকাটি খুব ছোট হয় তাহলে ঐ গরুর গাড়ীটি যতোই টানা হোক-না কেন সামনের দিকে এগুবে না। বরং একই জায়গায় বৃত্তকারে ঘুরতে থাকবে। তদ্রুপ শুধু স্বামী যদি দ্বীনের মেহনত করে এবং দ্বীনের জন্য কুরবানী দেয় তবে তার দ্বীনের ফিকির ও জযবা পয়দা হবে কিন্তু তার স্ত্রীর মধ্যে যদি দ্বীনের কোন ফিকির না থাকে ও স্বামীর কুরবানীর মধ্যে সে শরীক না থাকে, তাহলে ঐ দম্পতীর অবস্থাও ঐ গরুর গাড়ীর মতো হবে। পুরুষ মেহনত করে দ্বীনকে ঘরের দরজা পর্যন্ত আনতে পারে। ঘরের ভিতর দ্বীনকে চালু করার জন্য মেয়েলোকের ফিকির ও
সহযোগীতা একান্ত প্রয়োজন। বাচ্চারা অধিকাংশ সময় মায়ের কাছেই থাকে। তাই বাচ্চাদের উপর মায়ের প্রভাবই সাধারণত বেশি থাকে। মায়ের মধ্যে যদি দা'ঈ-আনা সিফাত ও ফিকির থাকে এবং দ্বীনি মন- মানষিকতা থাকে তাহলে আশা করা যায় বাচ্চারাও দ্বীনদার হবে ইনশা'আল্লাহ।
তাই আসুন আমরা পুরুষের পাশাপাশি মহিলা ও বাচ্চাদের মাঝেও দ্বীনের মেহনতের ফিকির
করি। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সকলকে স্বপরিবারে দ্বীনের ফিকির করার তাওফীক দান করুন। আমীন।
লেখকঃ
মুহাম্মাদ এনামুল হক মাসউদ
©somewhere in net ltd.