নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহপাক বলেন \"ঐ ব্যক্তির কথার চেয়ে ভাল কথা কার হতে পারে যে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে এবং নেক আমল করে এবং বলে যে নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের মধ্যে একজন।\"(আল-কোরআন)

ইলিয়াস বিডি

আমি এক মুসাফির

ইলিয়াস বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুজাকারা ।।। প্রসঙ্গঃ হজ্জ্ব ।।। হজ্জ্বের ধারাবাহিক কাজ

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৯

এক নজরে হজ্জ্বের চিত্রঃ

পবিত্র মক্কা মুকাররমা

--------------------------------------------------------------------

তারিখ
স্থান
করনীয় ইবাদত

৮ই যিলহজ্জের পূর্বের কাজ
মীকাত
(১) মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধবেন।

মক্কা
(২) কাবা ঘরে উমরার তাওয়াফ করবেন।
(৩) সাঈ করবেন।
(৪) চুল কেটে হালাল হয়ে যাবেন।

হজ্জের ধারাবাহিক কাজ

৮ই যিলহজ্জ তারউইয়্যার দিন
মিনা
নিজ বাসস্থান থেকে ইহরাম বেঁধে হজ্জের নিয়ত করে সূর্যোদয়ের পর মিনায় রওয়ানা হবেন। সেখানে যুহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজরের সালাত আদায় করবেন।

৯ই যিলহজ্জ (আরাফার দিন)
আরাফা ময়দান
(১) সূর্যোদয়ের পর আরাফাতে রওয়ানা হবেন।
(২) যুহরের প্রথম ওয়াক্তে যুহর ও আসর পড়বেন একত্রে পরপর দুই দুই রাকআত করে।
(৩) সূর্যাস্তের পর মুযদালিফায় রওয়ানা করবেন। মাগরিব-এশা সেখানেই পড়বেন।
(৪) সেখানে রাত্রি যাপন করে প্রথম ওয়াক্তে অন্ধকার থাকতেই ফজর পড়বেন।
(৫) আকাশ ফর্সা হওয়া পর্যন্ত কেবলামুখী হয়ে হাত তুলে দীর্ঘ সময় দোয়া ও মোনাজাতে মশগুল থাকবেন।
(৬) বড় জামারায় নিক্ষেপের জন্য ৭টি কংকর এখান থেকে কুড়াতে পারেন।

১০ ই যিলহজ্জ (ঈদের দিন)
মিনা
(১) বড় জামরায় ৭টি কংকর নিক্ষেপ করবেন।
(২) কুরবানী করবেন।
(৩) চুল কাটাবেন। অতঃপর ইহরামের কাপড় বদলিয়ে সাধারণ পোষাক পরে ফেলবেন।

মক্কা
(৪) তাওয়াফে ইফাদা করবেন। এদিন না পারলে এটি ১১ বা ১২ তারিখেও করতে পারবেন এবং তৎসঙ্গে সাঈও করবেন।

১১ ই যিলহজ্জ (আইয়ামে তাশরীক)
১ম দিন
মিনা
(১) দুপুরের পর সিরিয়াল ঠিক রেখে প্রথমে ছোট, মধ্যম ও এর পরে বড় জামরায় প্রত্যেকটিতে ৭টি করে কংকর নিক্ষেপ করবেন।
(২) মিনায় রাত্রি যাপন করবেন।

১২ ই যিলহজ্জ (আইয়ামে তাশরীক)
২য় দিন
মিনা
১) পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ৩টি জামরায় ৭+৭+৭=২১টি কংকর নিক্ষেপ করবেন। দুপুরের আগে কংকর নিক্ষেপ করবেন না।
(২) সূর্যাস্তের আগে মিনা ত্যাগ করবেন। তা না পারলে আজ দিবাগত রাতও মিনায় কাটাবেন।

১৩ ই যিলহজ্জ (আইয়ামে তাশরীক)
৩য় দিন
মিনা
(১) যারা গত রাত মিনায় কাটিয়েছেন তারা আজ দুপুরের পর পূর্ব দিনের নিয়মেই ৭টি করে মোট ২১ টি কংকর মারবেন। অতঃপর মিনা ত্যাগ করবেন।

অতঃপর
মক্কা
দেশে ফেরার পূর্বে বিদায়ী তাওয়াফ করবেন।
-----------------------------------------------------------
**মক্কা মদীনায় হাজী সাহেবানদের করনীয় **
********************************************************
সব সময় জিকর , কোরান তেলাওয়াত , তাওয়াফ বেশী করা দুরুদ শরীফ বেশী পডা , বাজে আলাপ না করা, এখানে এসে সংসারের চিন্তা না করে আখেরাতের সফলতার কথা মাথায় রাখা , গিবত শেকায়েত থেকে বিরত থাকা , আর নিজের জন্য ,সংসারের সকলের জন্য , সকল বন্ধুবান্ধব ও সকল মুসলমানের জন্য বিশেষ ভাবে দোয়া করা , বারংবার দোয়া করা , তওবা করা , বেশী বেশী নফল নামাজ পডা ইত্যদি, আর৫ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে হারাম শরীফে পড়া কারন সেখানে ১ রাকাতে ১ লক্ষ রাকাত নামাজের ছওয়াব , তাই ১ ওয়াক্তে ৪ রাকাতে ৪ লক্ষ রাকাতের ছাওয়াব, যা এক জন মানুষের সারা জিন্দেগীর তথা ৬০ বৎসর হায়াতের নামাজের প্রায় ৩ চতুর্থাংশের সমান
যেমন-----
দৈনিক =========== ১৭ রাকাত ফরজ নামাজ
মাসিক ======= ১৭*৩০ = ৫১০ রাকাত
বৎসর ========= ৫১০*১২ =৬১২০ রাকাত
জিন্দেগীতে =====
৬০ বৎসর বয়স হলে নাবালিগী বাদে ৪৫ বৎসর এর নামাজ = ৬১২০*৪৫ বৎসর = ২৭৫৪০০ রাকাত
আর মক্কার হারাম শরীফে শুধু মাত্র এক ওয়াক্ত নামাজের ৪ রাকাতে ছওয়াব চার লক্ষ রাকাত সমতুল্য
যা একজন মানুষের সারা জিন্দিগীর নামাজের চেয়েও বেশী ,
আবার মদীনার মসজিদে নববীতে এক রাকাতে ১০০০ হাজার রাকাতের ছওয়াব পাওয়া যায় ,
ছোবহানাল্লাহ .তাহলে একমাত্র হতভাগারাই হারাম শরীফের পাশে আবস্হান করা সত্বেও মসজিদে হারামে না গিয়ে নিজ বাসায় একা একি নামাজ আদায় করেন ৷

**পরামর্শ **
*********************************************************
১৷ হারাম শরীফে যথা সম্ভব আজানের ১ঘন্টা/আধাঘন্টা আগে যাওয়া, নতুবা বিতরে জায়গা পাবেন্না,দেরীতে আসলে জায়নামাজ আবশ্যই সাথে আনবেন ৷
২৷ পেটে বা প্রস্রাবের সমস্যা থাকলে পানি ও খাওয়া দাওয়া কন্ট্রোল করুন ,
৩ ৷ জুতা সেন্ডেল পলিথিন করে সাথেই রাখুন ৷
৪৷ মানুষের চলাচল রাস্তা এডিয়ে বসুন ৷
৫৷ সাথিদের ফোন নং ,মোয়ালি্লমের ফোন সাথেই রাখুন ৷
৬৷হারাম শরীফের প্রবেশ পথ তথা গেইট নং খেয়াল রাখুন ৷যাতে আসা যাওয়ায় পথ ভূলে না যান ৷
৭ ৷ সাথী/ তাবু/হোটেল হারিয়ে ফেললে অযথা ঘূরা ঘূরি না করে অধৈয্য না হয়ে নিজের সাথে থাকা কার্ড নিরাপত্তা কর্মিদের দেখান ,
৮৷সাথীদের কয়েক জনের নাম্বর রাখুন
৯৷ যে কোন সময় সফরের দিন তারিখ ও সময় ভাল করে জেনে নিন ৷
১০৷ কংকর নিক্ষেপের সময় তাডা হুডা না করে , ধীরস্হীর ভাবে সূযোগ বুঝেই অগ্রসর হউন ৷
লেখক কে ভূলবেননা আপনাদের দোয়ার মধ্যে ,
দোয়াই কামনা

আল্লাহ সকলকে হজ্বে মাবরুর নছীব করুন । আমিন

সৌজন্যেঃ মুজাকারা ।।। প্রসঙ্গঃ হজ্জ্ব ।।। হজ্জ্বের ধারাবাহিক কাজ

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: ইশ কবে যে হজ্জ্ব করার সৌভাগ্য হবে আমার। চমৎকার ও উপকারী পোস্ট

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৭

ইলিয়াস বিডি বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে হজ্জ্বে মাবরুর নসীব করেন ।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৯

ইলিয়াস বিডি বলেছেন: আরো পোষ্ট গুলো দোখতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.