নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহপাক বলেন \"ঐ ব্যক্তির কথার চেয়ে ভাল কথা কার হতে পারে যে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে এবং নেক আমল করে এবং বলে যে নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের মধ্যে একজন।\"(আল-কোরআন)

ইলিয়াস বিডি

আমি এক মুসাফির

ইলিয়াস বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পড়ে দেখুন মুর্খদে জন্য তবলীগে যাওয়া জরুরী কেন?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

মুজাকারা ।।। প্রসঙ্গঃ তাবলীগে কেন যাব ।।।



ইলমের ফজিলত অপরিসীম। যদিও এ সামান্য কলম খোচায় লেখা সম্ভব নয়। তবুও একটু স্মরণ করে দেয়া ছাড়া আর কি? আল্লাহর নবী ﷺ -এর অমূল্য বাণী যদি কেহ জানে তাহলে সে বানী অপরের কাছে পৌঁছে দেয়ার তাগিদ দিয়ে নবী ﷺ বলেছেন_ 'আমার পক্ষ হতে মানুষকে পৌঁছাতে থাক, যদিও একটি মাত্র আয়াত হয়। হাদিস আবদুল্লাহ ইবনে অমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, যার উল্লেখ বুখারী শরীফে এবং মেশকাত শরীফের ১৮৮ নং হাদিসে।

ইলমের গুরুত্ব ও ফজিলত

'পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন।' (আল-কুরআন)। এ পড়ার আদেশ মহান আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন। সর্বপ্রথম ঐশীবাণী, পবিত্র আল-কুরআন মাজীদের সর্ব প্রথম আয়াতের মধ্যে মহান আল্লাহ তায়ালা প্রথমে বললেন_ 'পড়'। তারপর বললেন_ 'তোমার প্রভুর নামে।' তারপর সেই মহান প্রভুর পরিচয় তুলে ধরলেন_ যিনি সৃষ্টি করেছেন তাহলে এখানে পড়ার আদেশ হয়েছে আল্লাহর নামে। আল্লাহ কোন আল্লাহ? এর জবাবে আল্লাহ বলে দিলেন বা জানিয়ে দিলেন যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। তাহলে সৃষ্টিকারী আল্লাহ একজন হিন্দু-খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মের লোকেরা একাধিক আল্লাহতে বিশ্বাসী। তাই তাদের উদ্দেশ্যেও বললেন যে, যার সারমর্ম হলো তোমাদের প্রতিমাকে তোমাদের হাতে বানিয়েছ কিন্তু সে প্রতিমা তোমাদেরকে সৃষ্টি করে না। তাই এ জগতের সৃষ্টিকারী প্রভু, রিযিকদাতাসহ এক আল্লাহ দ্বিতীয় কোন খোদা নেই। এ আল্লাহ সর্ব শক্তিমান। তাই প্রথমে আমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে হবে। অন্য আয়াতের মাঝে আল্লাহ তায়ালা বলেন_ 'পরম দয়াময় আল্লাহ যিনি পবিত্র কুরআনের শিক্ষা দান করেছেন, মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন। তার মনের কথা ব্যক্ত ও ব্যাখ্যা করার শক্তি দান করেছেন এবং চন্দ্র-সূর্য তারই হিসেব ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপন আপন গতিতে নিয়োজিত রয়েছে এবং তারকারাজি-বৃক্ষ ও তরুলতা সবই তাঁর সেজদায় রত। (সূরা আর রহমান)। এ আয়াতের মাধ্যমে আমরা এটাই বুঝতে পারলাম যে, আল্লাহ মানুষকে কথা বলার শক্তি দান করেছেন।

হাদিস শরীফের দিকে আমরা লখ্য করলে দেখতে পাবো রাসুলুল্লাহ ﷺ ইলমের কতটুকু গুরুত্ব প্রদান করেছেন-মেশকাত শরীফের ২০৭ নং হাদিসে ইবনে মাজাহ শরীফ থেকে সংগ্রহীত হাদিসে এসেছে হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলিয়াছেন; এলেম তলব করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ। এলেম কোন এলেম এ এলেম হচ্ছে দ্বীনি এলেম। দ্বীনের জ্ঞান তলব করা যেমন_ আল্লাহ রাসূল, ফেরেশতা, পরকাল, কবর, হাশর, নামাজ, রোযা, হজ্জ, যাকাত, তাহারাতসহ ইসলামের প্রয়োজনীয় বিষয়ে ইলম তলব করা ফরয। ইলমে দ্বীনের গুরুত্ব যদি আমরা অনুধাবন করি তাহলে দেখা যাবে একজন মুসলমানের ইলমে দ্বীন তাদের জীবনের প্রতিটি ৰেত্রে বিদ্যমান। এৰেত্রে আমি ইলমকে দুই ভাগে ভাগ করি। (১) ইলমে দ্বীন (২) ইলমে দুনিয়া। ইলমে দ্বীন বলতে দ্বীনের জ্ঞান। আর ইলমে দুনিয়া বলতে দুনিয়াতে জীবন-যাপনের জন্য যে সকল বিদ্যার প্রয়োজন, যেমন ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিসহ দুনিয়াবী কাজ-কর্ম। এখানে ইলমে দুনিয়া তলব করা হারাম নয়। তবে হারাম কাজের জ্ঞান শিৰা করাও হারাম। ইলমে দুনিয়া তলব করে সে হিসেবে চলতে গেলে দেখতে হবে সে যেন দুনিয়ার না হয়ে পড়ে। সকল ৰেত্রে ইলমে দ্বীনের গুরুত্ব অপরিসীম।

ইলমের ফজিলত এবার আলোচনা করি। ইলমের ফজিলত অপরিসীম। যদিও এ সামান্য কলম খোচায় লেখা সম্ভব নয়। তবুও একটু স্মরণ করে দেয়া ছাড়া আর কি? আল্লাহর নবী ﷺ -এর অমূল্য বাণী যদি কেহ জানে তাহলে সে বানী অপরের কাছে পৌঁছে দেয়ার তাগিদ দিয়ে নবী ﷺ বলেছেন_ 'আমার পক্ষ হতে মানুষকে পৌঁছাতে থাক, যদিও একটি মাত্র আয়াত হয়। হাদিস আবদুল্লাহ ইবনে অমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, যার উল্লেখ বুখারী শরীফে এবং মেশকাত শরীফের ১৮৮ নং হাদিসে।

আল্লাহ তায়ালা তাঁর কল্যাণ কামনা করেন তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। আর এ জ্ঞানের মালিক হচ্ছেন আল্লাহ তায়ালা আর রাসুলুল্লাহ ﷺ হচ্ছেন সে জ্ঞান বণ্টনকারী। এ প্রসঙ্গে হাদিসে উল্লেখ_ হযরত মুআবিয়া (রাঃ) বলেন_ রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা যার কল্যাণ কামনা করেন, তাকে দিনের সুষ্ঠু জ্ঞান দান করেন এবং আমি হচ্ছি বণ্টনকারী আর দান করেন আল্লাহ। (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)

অন্যত্র বর্ণিত আছে_ হযরত আবদুলস্নাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন_ একজন ফকীহ (আলেম) শয়তানের পৰে হাজার আবেদন অপেৰাও মারাত্মক। (তিরমিজী ও ইবনে মাজাহী)

হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন এলেম তলব করা প্রত্যেক মুসলমানের পৰে ফরজ এবং অপাত্রে এলেম স্থাপনকারী যেন শূকরের গলায় জহরত, মুক্তা বা স্বর্ণ স্থাপনকারী। (ইবনে মাজাহ)

এ হাদিসের মাঝে অপাত্রে ইলম স্থাপন-এর অর্থ হচ্ছে বেয়াদব কায়দায় যারা তারা ঐ শূকরের মত যার গলায় স্বর্ণের হার পরানো হবে। আর শূকর যেমন স্বর্ণের হারের মর্যাদা বুঝবে না ঠিক তেমনি এ জাতীয় মানুষও তাই। ইলেম অর্জনকারীর ফজীলত অফুরনত্দ। নিম্নে আরো কতেক হাদিস উল্লেখ করা হলো_ হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি এলেম অনুসন্ধানে বের হয়েছেন সে আল্লাহর রাস্তায় রয়েছে যে পর্যন্ত না সে প্রত্যাবর্তন করবে। (তিরমিজী ও দারেমী)।

হযরত সাখবারা আযদী (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি এলেম তলব করবে তার জন্য উহা তার পূর্ববর্তী (সগীরা) গুনাহ সমূহের কাফফারা হয়ে যাবে। (তিরমিজী ও দারেমী)।

হযরত আবু সায়ীদ (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, মুমিন কখনও ইলেম শ্রবণে তৃপ্তি লাভ করতে পারে না যে পর্যনত্দ না তাহার পরিনাম বেহেশত হয়। (অর্থাৎ, সে আমরণ এলেম তলব করে আর ইহা তাকে বেহেশতে নিয়ে পৌঁছায়) (তিরমিজী শরীফ) মেশকাত শরীফ, হাদিস নং- ২১১।

হযরত হাসান বসরী (রঃ) হতে মুসালসাল রূপে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন যার মৃত্যু এসে পৌঁছেছে এমন অবস্থায় যখন সে ইসলামকে জিন্দা করার উদ্দেশ্যে ইলেম তলবে মশগুল আছে, বেহেশতে তাহার ও নবীদিগের মধ্যে মাত্র এক ধাপের পার্থক্য থাকবে। (অর্থাৎ সে নবীদিগের অতি নিকটে থাকবে। (দারেমী শরীফ)

হযরত ওয়াসেলা ইবনে আসকা (রঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি ইলেম তলব করেছে এবং উহা লাভ করতে পেরেছে তার জন্য দুইগুণ পারিশ্রমিক (সওয়াব) রয়েছে। আর যদি উহা লাভ করতে না পেরেও থাকে তাহলেও তার জন্য একগুণ পারিশ্রমিক রয়েছে। (অর্থাৎ, চেষ্টার সওয়াব) দারেমী শরীফ। মেশকাত শরীফ, হাদিস নং- ২৩৬

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাতের কিছু সময় ইলেমের আলোচনা করা (এবাদতে) পূর্ণ রাত্রি জাগরণ অপেৰা উত্তম, দারেমী।

হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ -কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা আমার নিকট ওহী পাঠিয়েছেন, যে ব্যক্তি ইলেম তলবের উদ্দেশ্যে কোনপথ অবলম্বন করবে, তার জন্য আমি জান্নাতের পথ সহজ করে দিব এবং যে ব্যক্তির দুই চক্ষু আমি নিয়ে গিয়েছি, তাকে এর পরিবর্তে আমি জান্নাত দান করবো। এবাদত অধিক হওয়া অপেৰা ইলেম অধিক হওয়া উত্তম। দ্বীনের (তথা ইলেম ও আমলের) আসল হচ্ছে শোবা-সন্দেহের জিনিস হতে বাঁচিয়ে থাকা। (বায়হাকী শো আবুল ঈমান)

ইলমের গুরুত্ব অপরিসীম যা আমরা অত্র লেখায় সামান্যতম অনুমেয় করা গেল এবং ইলেমের ফজীলত ও অত্যাধিক। তবে ইলেমের পাহারাদার তারাই হলেন আলেমরা। আর আল্লাহ তায়ালা ও আলেমের ব্যাপারে বলেন যে, আলেমরা আমাকে বেশি ভয় করে। আল্লাহ তায়ালাও আলেমদের মর্যাদা দিয়েছেন। ইলমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আদব। কেননা আদবের মাধ্যমে অনেক কিছু অর্জন করা যায়। আর বেয়াদবির কারণে জীবনের সকল বিষয় বরবাদ হয়ে যাবে।

অবশেষে বলব, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আলেমদেরকে বেশি পরিমাণে মহব্বত করার তৌফিক দান করুক।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৬

ইলিয়াস বিডি বলেছেন: যারা প্রচলিত তাবলীগ জামাত করেন তাদের কাছে প্রশ্ন=০১: কেউ আজেবাজে মন্তব্য করবেন না। শুধু দলীলভিত্তিক উত্তর দরকার এর জবাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.