নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহপাক বলেন \"ঐ ব্যক্তির কথার চেয়ে ভাল কথা কার হতে পারে যে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে এবং নেক আমল করে এবং বলে যে নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের মধ্যে একজন।\"(আল-কোরআন)

ইলিয়াস বিডি

আমি এক মুসাফির

ইলিয়াস বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুজাকারা ।।। রজব মাসের দো\'য়া ও আ\'মাল

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:৩২




Month of rajab | Month of rajab |Month of rajab |Month of rajab |Month of rajab |

হিজরি মাসগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ ও মহিমান্বিত মাসের নাম রজব। এ মাসের বড় বৈশিষ্ট্য হলো—এ মাস আল্লাহ প্রদত্ত চারটি সম্মানিত মাসের (আশহুরে হুরুমের) একটি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাস সম্পর্কে খুবই গুরুত্ব দিতেন। ফলে রজবের চাঁদ দেখা গেলেই তিনি কিছু বিশেষ আমল শুরু করতেন। হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, যখন রজব মাস শুরু হতো,
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন এ দোয়াটি পড়তেন—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান। অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত হায়াত বৃদ্ধি করে দিন। ’ (আলমুজামুল আওসাত, হাদিস : ৩৯৩৯)
Dua's for the Month of Rajab|Dua's for the Month of Rajab|Dua's for the Month of Rajab|

রজবের প্রথম রাতে দোয়া কবুল হয়ঃ পবিত্র হাদিস শরিফে রজবের প্রথম রাতে দোয়া কবুল হওয়ার সুসংবাদ এসেছে।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘পাঁচটি রাত এমন আছে, যেগুলোতে বান্দার দোয়া আল্লাহ তাআলা ফিরিয়ে দেন না, অর্থাৎ অবশ্যই কবুল করেন। রাতগুলো হলো—জুমার রাত, রজবের প্রথম রাত, শাবানের ১৫ তারিখের রাত, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাত। ’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৯২৭)

Fasting in the month of Rajab|Fasting in the month of Rajab|Fasting in the month of Rajab|

রজব মাসের রোজাঃ রজব মাসে রোজা রাখার ভিন্ন কোনো ফজিলত নেই। তবে হ্যাঁ, এমনিতেই নফল রোজা রাখা অনেক ফজিলতপূর্ণ আমল।
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস হাকেম ইবনে হাজার (রহ.) লিখেছেন, বিশেষভাবে রজব মাসে রোজার ফজিলত সম্পর্কে সহিহ ও আমলযোগ্য কোনো হাদিস নেই। (তাবইনুল আজার বিমা ওরাদা ফি ফজলি রজব, পৃষ্ঠা-১১)
ইসলামী শরিয়তে রোজা রাখার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ দিনগুলো ছাড়া যেকোনো দিনই নফল রোজা রাখা যায়। এর অনেক ফজিলত রয়েছে। তবে রজবের বিশেষ রোজা হিসেবে ফজিলতপূর্ণ মনে করে রোজা রাখা সুন্নত নয়। বিশেষত, রজবের রোজাকে সুন্নত ও মুস্তাহাব মনে করে নফল রোজা রাখা ঠিক নয়।

Honorable 4 months in Islam|Honorable 4 months in Islam|Honorable 4 months in Islam|

কোনো কোনো হাদিসে আশহুরে হুরুম তথা সম্মানিত চার মাসে নফল রোজা রাখার নির্দেশ রয়েছে। তাই রজব মাসও আশহুরে হুরুমের একটি মাস হিসেবে রজব মাসের যেকোনো দিন নফল রোজা রাখলে সওয়াব পাওয়া যাবে। কিন্তু রজবের কোনো নির্দিষ্ট দিন (যেমন ২৭ তারিখ) রোজা রাখা সুন্নত কিংবা মুস্তাহাব নয়। সুতরাং ২৭ তারিখে মুস্তাহাব বা সুন্নত মনে করে রোজা রাখলে তা বিদআদ হবে।


27th of Rajab|27th of Rajab|27th of Rajab|27th of Rajab|27th of Rajab|27th of Rajab|

আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে, ২৭ রজব দিনে রোজা রাখার অনেক ফজিলত। এমনকি অনেকের মধ্যে এ বিশ্বাস রয়েছে যে এই একটি রোজার ফজিলত এক হাজার রোজার সমান। এ জন্য তাকে হাজারি রোজা বলে অভিহিত করা হয়। অথচ এ রোজার ব্যাপারে সহিহ ও গ্রহণযোগ্য কোনো বর্ণনা নেই।
আল্লামা ইবনুল জাওজি, হাফেজ জাহাবি, তাহের পাটনি, আবদুল হাই লখনবি (রহ.) প্রমুখ প্রখ্যাত মুহাদ্দিস এ রোজার ফজিলতকে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলেছেন। (কিতাবুল মাওদুয়াত, ইবনুল জাওজি : ২/২০৮, তালখিসুল মাওদুয়াত, পৃ. ২০৯, তাজকিরাতুল মাওজুয়াত, পৃ. ১১৬, আলআসারুল মারুপা, পৃ. ৫৮)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.