নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বল বীর চির উন্নত মম শির !

শাহারিয়ার ইমন

শাহারিয়ার ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম কি হারিয়ে যাবেন অন্ধকারের গর্ভে?

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৬


ছবিসূত্রঃ যুগান্তর ।


ছবিটা দেখেই যদিও অনেক কিছু বোঝা যাচ্ছে । রাত ১০ টা ৫ই আগষ্ট ,২০১৮ ,ডিবি পুলিশ অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে যান তার নিজ বাসা থেকে । এই পোষ্ট লেখার পর আমাকেও ধরে নিয়ে যায় কিনা শংকায় আছি ।


কে এই শহিদুল আলম ?



বাংলাদেশের খ্যাতনামা চিত্রগ্রাহক শহিদুল আলম । শহিদুল আলমের জন্ম ঢাকায় ১৯৫৫ সালে। তাঁর বাবার নাম কাজী আবুল মনসুর এবং মায়ের নাম কাজী আনোয়ারা মনসুর। তিনি রসায়ন নিয়ে লেখাপড়া করলে পরে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে পিএইচডি করেন।

কর্মজীবন ;

১৯৮৯ সালে দৃক ফটো গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করেন শহিদুল আলম। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন দক্ষিণ এশিয়ার ফটোগ্রাফি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠশালা। তিনি ছবি মেলারও পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নেদার‌ল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ডপ্রেস ফটো প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম এশীয় হিসাবে তিনি এ সম্মান অর্জন করেন।

বিশ্বজুড়ে নানা অ্যাসাইনমেন্টের কাজে তাকে নিয়মিত নিয়োগ দিয়ে থাকে খ্যাতনামা সব প্রকাশনা।লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান তার গ্রেফতারের সংবাদে লিখেছে, নিজের চারদশকব্যপী ক্যারিয়ারে শহিদুলের ছবি নিউ ইয়র্ক টাইমস, টাইম ম্যাগাজিন ও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকসহ প্রত্যেক খ্যাতনামা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে ছাপা হয়েছে।

মাহফুজ আনাম লিখেছেন, দেশের ফটোসাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব আনয়নে আর যে কারও চেয়ে অনেক বেশি কাজ করেছেন শহিদুল আলম। তার হাতে প্রশিক্ষিত হয়েছেন শ’ শ’ ফটোসাংবাদিক। নিজের ব্যক্তিগত উদাহরণ ও অনুপ্রেরণার মাধ্যমে তিনি হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে এই পেশায় আকৃষ্ট করেছেন। আজ যে বহু বাংলাদেশি ফটোসাংবাদিক বৈশ্বিক প্রকাশনায় নিজের ছবি ছাপানো কিংবা আন্তর্জাতিক পদক লাভের বাসনা লালন করেন, তার কারণ সম্ভবত কেবল তিনিই ।

তার সবচেয়ে সফল সৃষ্টি হলো ছবি মেলা। এই আন্তর্জাতিক চিত্রপ্রদর্শনীতে বিশ্বের সব জায়গা থেকে কাজ জমা পড়ে। অংশ নিতে ঢাকায় আসেন বিশ্বের সেরা সব ফটোগ্রাফাররা। ২০০০ সালে শুরু হওয়া এই চিত্রপ্রদর্শনীর প্রথম থিম ছিল ‘যেই যুদ্ধ আমরা ভুলে গেছি।’ এটি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও গণহত্যা নিয়ে সবচেয়ে সফল চিত্রপ্রদর্শনীর একটি ।

১৯৮৩ সালে তিনি হার্ভে হ্যারিস ট্রফি জেতেন। ১৯৯৩ সালে তথ্যচিত্রের জন্য জিতে নেন মাদার জোন্স পদক। ‘৯৮-এ তিনি আন্দ্রে ফ্রাঙ্ক ফাউন্ডেশন ও হাওয়ার্ড চ্যাপনিক অ্যাওয়ার্ডস লাভ করেন। ২০১৪ সালে শিল্পকলা পদক ও ২০১৭ সালে চীনের ডালি ইন্টারন্যাশনাল চিত্রপ্রদর্শনীতে আজীবন সম্মাননা লাভ করেন। এই বছর তিনি পান লুসি ফাউন্ডেশন হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাওয়ার্ড।

চিত্রগ্রাহক হওয়ার পাশাপাশি তিনি লেখক, কিউরেটর ও অ্যাক্টিভিস্ট। ২০০৭ সালে তিনি কাশ্মীরের ভূমিকম্প নিয়ে ‘নেচার’স ফিউরি’ ও দক্ষিণ এশিয়ায় এইচআইভি/এইডস নিয়ে ‘পোর্ট্রেইট অব কমিটমেন্ট’ শীর্ষক দুটি বই লিখেন। তার লেখা বই ‘মাই জার্নি অ্যাজ অ্যা উইটনেস’ সম্পর্কে লাইফ ম্যাগাজিনের সাবেক পিকচার এডিটর জন মরিস লিখেছেন, কোনো চিত্রগ্রাহকের লেখা সর্বকালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বই এটি।


লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্গানিক কেমিস্ট্রি নিয়ে পিএইচডি আছে তার। যুক্তরাজ্যের সান্ডারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউসিএলএ) তিনি ভিজিটিং প্রফেসর। এছাড়া হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি লেকচারার ছিলেন।


কেন তাকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে ?


নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে সরকারে বিরুদ্ধে কথা বলে ইন্টারভিউ দেন আল-জাজিরা টেলিভিশনে ।

ইউটিউবে ভিডিও লিংক ।

তিনি এই সরকারকে অনির্বাচিত সরকার বলে উল্লেখ করছেন । এই সরকার মিডিয়ার উপর নিয়ন্ত্রন আরোপ করছে ,মোবাইল- ইনটারনেট অফ করে দিয়েছে । বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে , বিরোধীদলের নেতা কর্মীদের গুম করছে । প্রতিটি স্তরে ঘুস দেয়া হচ্ছে ।কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়েও কথা বলেন তিনি ,সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন সেখানে কোটা আন্দোলন নিয়ে । নিরাপদ সড়ক আন্দোলন শুধু নিরাপদ সড়ক চাই এর জন্য নয় । সরকারের এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তার বহিপ্রকাশ এই আন্দোলন ।নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে নিরীহ স্কুল বাচ্চাদের প্রতি হামলা করেছে এদেশের পুলিশ ,ছাত্রলীগ ।
সামনে জাতীয় নির্বাচন ,সুষ্ট নির্বাচন হলে সরকারের পতন হবে ,এই জন্য সরকার পুলিশ-প্রশাসন ব্যবহার করে সবাইকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে ।

উনি ভুল বা সঠিক বলেছেন কিনা এই বিষয়ে আমি মন্তব্য করবনা ,আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম ।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের করা আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তার নামে মামলা দেয়া হয়েছে এবং সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তাকে ডিবি পুলিশের আন্ডারে ।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত শনি ও রোববার ঝিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভেও আসেন আলোকচিত্রী শহীদুল আলম ।

শহীদুল আলমকে আটকের পর নির্যাতন ও রিমান্ডে পাঠানোর বৈধতা নিয়ে এবং চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ গতকাল রিট করেন।

হিদুল আলমকে ৫ আগস্ট আটকের পর নির্যাতন ও রিমান্ডে পাঠানোর বৈধতা নিয়ে এবং চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে তাঁর স্ত্রী রেহনুমা আহমেদের করা রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেওয়া হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ৭ আগস্ট হাইকোর্ট এক আদেশে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অবিলম্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে শহিদুল আলমের স্বাস্থ্যগত অবস্থার প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার আদালতে দাখিল করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ।

মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন দেখিয়ে মাহবুবে আলম বলেন, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ।

এখন আপাতত তিনি ডিবি পুলিশের হেফাজতে রিমান্ডে আছেন ।

ভবিষ্যত-এ কি হবে তা কি আন্দাজ করতে পারছেন কিছু ?







তথ্যসূত্র ;
উইকিপিডিয়া ,মানবজমিন ,প্রথম আলো





মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


পুলিশ উনাকে যেভাবে টেনে টুনে নিয়েছে, এটা বড় ধরণের ক্রাইম; উনাকে অনেক বড় লোকেরা জানেন, ফলে হারায়ে যাবেন না

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩১

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: এই সরকার তাকে নিয়ে কি করে সেটাই এখন দেখার বিষয়

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



উনার সম্বন্ধে তেমন কিছু জানতাম না; এখন পত্রিকা পড়ে, উইকি পড়ে, ইউটিউবে উনার সাক্ষাৎকার দেখে অনেক কিছু জানতে পেরেছি; উনাকে মুক্তি দেওয়া হোক। না হলে সংবিধান পরিবর্তন করে বাক স্বাধীনতাকে বন্ধ করে দেওয়া হোক X(

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: এখন বাক স্বাধীনতা তো নেই -এটা অলিখিত সংবিধান

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন:




লেখক বলেছেন- এখন বাক স্বাধীনতা তো নেই -এটা অলিখিত সংবিধান।
এরকম লেখা দেখলে চোখে শুধু বাকশাল ভাসে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: বাকশাল হতে আর কতদূর বাকি ?

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: বাংলাদেশে যতদিন প্রতিহিংসা ও নোংড়া রাজনীতির চর্চা থাকবে ততদিন এই নোংড়া রাজনীতির করালগ্রাস থেকে সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিক্ষক, ব্লগারসহ সাধারণ মানুষ কেউ রেহাই পাবে না। ক্ষমতাশীনদের মতের বাহিরে গেলেই শ্যাষ।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০০

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: স্বৈরতন্ত্র আর কি

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৭

বাকপ্রবাস বলেছেন: নেকড়ে বুঝেনা হরিণ এর মাধুর্যতা, সে বুঝে মাংসের ঘ্রাণ

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: নেকড়ের কবল থেকে উদ্ধার কি মিলবেনা ?

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

সনেট কবি বলেছেন: গুণীর সমাদর রাষ্ট্র উন্নয়নে একান্ত দরকার।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: সরকার কবে গুনীর কদর করছিল দলীয় লোক ছাড়া ?

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনামে একটা বানান ভুল আছে। আন্ধারের না হবে অন্ধকারের।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ঠিক করছি ,ধন্যবাদ ব্রাদার

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

ইফতেখারুল মবিন বলেছেন: দেশে গনতন্ত্র নেই অথচ আমাদের মুখ অনর্গল চলছে!দেশে বাক স্বাধীনতা নেই অথচ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সরকারকে ন্যাংটা করে ফেলছি!

আর বাংলাদেশে কবে গনতন্ত্র ছিলো?সবই তো লেবাস!গনতন্ত্র গরীব দেশগুলোর জন্য অভিশাপ!

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন ,গনতন্ত্র গরীব দেশে অভিশাপ । আমাদের জন্য কোনটা দরকার এখন বলে মনে করেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.