নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বল বীর চির উন্নত মম শির !

শাহারিয়ার ইমন

শাহারিয়ার ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথার নেই মাথা ,গরমে গায়ে কাঁথা [২] ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭



১) ইতিহাস বলে, হিটলার ছিলেন চরম মাত্রায় নৃশংস আর চরম ইহুদী বিদ্বেষী। কিন্তু এটা কি জানেন হিটলারের প্রথম ভালোবাসা ছিল এক ইহুদী তরুণীর জন্য? প্রথম বিশ্বযুদ্ধে এক ব্রিটিশ সেনা তার জীবন বাঁচিয়েছিলেন, নয়তো হিটলার সে যাত্রায় মারাই যেতেন! শুধু তাই নয় ১৯৩৯ সালে হিটলার মনোনীত হয়েছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্যও।


২) জওহরলাল নেহরু যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী তখন ক্রুশ্চেভ এসেছিলেনন ভারত সফরে।নেহেরু ক্রশ্চেভকে নিয়ে পার্টি অফিসে সংবধর্নায় যোগদান করতে বের হলেন।হঠাৎ দূর থেকে রাস্তার পাশে এক ব্যাক্তিকে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে দেখে ক্রুশ্চেভ মন্তব্য করলেন,“ইন্ডিয়ানরা দেখি একেবারে অসভ্য,রাস্তায় দাঁড়িয়েই প্রকৃতির সাড়া দিচ্ছে”।নেহেরু এতে দারুণ অপ্রস্তুত হলেন এবং প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ খুঁজতে লাগলেন।কিন্তু সেবার আর সে সুযোগ এল না।
এরপর নেহেরু গেলেন মস্কোয়।ক্রুশ্চেভ তাঁকে নিয়ে “মস্কো বেল” দেখাতে বের হলেন।অপ্রত্যাশিত ভাবে এবার নেহেরু সুযোগ পেয়ে গেলেন।রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এক ব্যাক্তি প্রস্রাব করছিলো।কিছু না বলে নেহেরু শুধু ক্রুশ্চেভের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতে লাগলেন।ক্রুশ্চেভ অত্যন্ত বিরক্ত হলেন।লোকটি কে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন কে তুমি?লোকটা বিনীতভাবে বলল, “স্যার,আমি ইন্ডিয়ান এম্বেসীর একজন কর্মচারী!”


৩) আমরা বিখ্যাত লেখক ও কবি অস্কার ওয়াইল্ডের কথা জানি। ছাত্র জীবনেই তিনি কবি হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। একদিন কবি টেমস্ নদীর ব্রিজের উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি এক যুবককে দেখলেন আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছে। তিনি তাকে ধরে ফেললেন এবং কারণ আবিষ্কার করার চেষ্টা করলেন। জানতে পারলেন বেচারা এবারও পরীক্ষায় কৃতকার্য হয় নি। ওয়াইল্ড তাকে নিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটলেন এবং বিদায়বেলায় স্বান্তনা দিয়ে বললেন,” এই তুচ্ছ কারণে আত্মহত্যা করলে লোকে তোমাকে নির্ঘাত বোকা বলবে। কারণ পরীক্ষায় উজবুকেরা এমন সব প্রশ্ন করে বসে যে, মাঝেমধ্যে বিজ্ঞরাও এর সঠিক উত্তর দিতে পারে না”।

৪) কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত যখন দারুণ অর্থকষ্টে ভুগছিলেন তখন বিদ্যাসাগর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। একদিন এক মাতাল বিদ্যাসাগরের কাছে এসে সাহায্য প্রার্থনা করলেন। বিদ্যাসাগরের সাফ সাফ জওয়াব তিনি কোন মাতালকে সাহায্য করবে রাজি নন। তখন ঐ মাতাল জানালো যে বিদ্যাসাগর তো মধুসূদনকে সাহায্য করে! কিন্তু মধুসূদনও তো মদ খায়। তখন বিদ্যাসাগরের জবাব ছিল এমন,”তুমি ওর মতো ‘মেঘনাদবধ’ কাব্য লিখে আনো। তোমাকেও সাহায্য করব।”


৫) হিটলার ছোটবেলা একবার দুষ্টামি করে তার বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বলল তাকে জার্মানীর প্রেসিডেন্ট বলে মিছিল দিলে সবাইকে মিষ্টি খাওয়াবো ।তো সবাই মিলে হিটলারকে জার্মানির প্রেসিডেন্ট বলে মিছিল দিল ।পরে কথামত হিটলার তাদের সবাইকে একটা মিষ্টির দোকানে নিয়ে গেল এবং সবাইকে মিষ্টি খাওয়ালো ।সবাইকে মিষ্টি খাওয়ানোর পর হিটলার দোকানের বিলনা দিয়ে চলে যাচ্ছে এমন সময় দোকানদারহিটলারকে মিষ্টির বিল দিতে বলল ।
হিটালার বিল না দিয়ে বলল :আমি জার্মানীর প্রেসিডেন্ট আমার কি বিল দিতে হয় ?
দোকানদার বলল : কে বলেছে তুমি জার্মান প্রেসিডেন্ট ?
তখন হিটলার বলল
দেখলেন না সবাই আমাকে জার্মানীর প্রসিডেন্ট বলে মিছিল দিয়েছে ।
এসব বলে সে বিল না দিয়ে চলে গেল ।

৬) “টেকচাঁদ ঠাকুর” ছদ্মনামে পরিচিত প্যারীচাঁদ মিত্র বিখ্যাত ধনী দেবনারায়ণ দে’র মেয়ের বিয়েতে গেছেন। দেনা-পাওনার কথাবার্তা চলছে। প্যারীচাঁদ বাবু পাত্র পক্ষের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য বারবার দেবনারায়ণ দে কে অনুরোধ করতে লাগলেন। এমন অনুরোধ শুনে দেব বাবু বললেন, “আপনি তো বেশ লোক মশাই, আমাকেই শুধু দিয়ে যেতে বলছেন?” প্যারীচাঁদ তখন কৌতুক করে বললেন,” আপনি দেবেন না তো কে দেবে? আপনার আগে ‘দে’ পরেও ‘দে’। সুতরাং আপনাকেই দিতে হবে”।

৭) এক জনসভায় চার্চিলের বক্তৃতা শুনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের এক মহিলা বিরক্ত হয়ে বলে ফেললেন-'যদি আপনি আমার স্বামী হতেন,তাহলে আমি আপনাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলতাম।'
চার্চিল একথা শুনতে পেয়ে তার দিকে ফিরে হেসে বললেন- “ম্যাডাম ! সেক্ষেত্রে আপনি আমার স্ত্রী হলে আমি নিজেই বিষ খেয়ে মরে যেতাম!”

৮) ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরির জন্য বঙ্কিমকে ভাইভা দিতে হল। তাকেও যথারীতি বাংলার উপরে পরীক্ষা দিতে হল তবে সেখানে পরীক্ষক একজন জাত ইংরেজ। প্রথমেই তিনি বঙ্কিমকে প্রশ্ন করলেন, “ওয়েল! বলতে পারো, হোয়াট দ্য ডিফারেন্স বিটুইন বিপড অ্যান্ড আপড?” বঙ্কিম বাবু হেসে বলেছিলেন,” অবশ্যই, একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলছি। পদ্মায় একবার স্টিমারে করে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ শুরু হল ঝড়। সেটা হল বিপদ। আর এই যে আজ আমাকে একজন বাঙালি হয়ে তোমার মত ইংরেজের কাছে বাংলা ভাষার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে- এটা আপদ।”

৯) আমরা সকলেই কম বেশি অবগত যে, যে সকল সাহিত্যিক তাদের জীবদ্দশায় খুব খ্যাতি পেয়েছিলেন তার মধ্যে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অন্যতম। তিনি ‘চরিত্রহীন’ লিখে বেশ বাহবা পেয়েছিলেন। বহুদিন পর এক বন্ধুর সাথে শরৎবাবুর দেখা। বন্ধু তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন। তখন শরৎবাবু তাকে বললেন,” কি হে, চিনতে পারছ না? আমি শরৎ।” বন্ধুটি চিনতে পেরেও রসিকতার ছলে তাকে বললেন,” কোন্ শরৎ? আজকাল তো সাহিত্যাঙ্গনে দু’জন শরৎচন্দ্র দেখা যায়।” শরৎবাবু মুচকি হেসে বললেন,”আমি ‘চরিত্রহীন’ শরৎ।”


১০) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন গেছেন ময়মনসিংহে তাঁর গ্রামের বাড়ি বেড়াতে।গ্রামের এক মুরব্বি দেখা করতে এসে জয়নুলকে বললেন, “কিরে তুই নাকি বড় শিল্পী হইছস?দে তো আমার ছাতিটায় নাম লেইখ্যা?”জয়নুল আবেদীন খুব যত্ন করে এবং সময় নিয়ে ছাতায় নাম লিখে দিলেন।প্রায় সঙ্গে সঙ্গে এ ঘটনা রাষ্ট্র হয়ে গেল গ্রামময়।ব্যস,আর যায় কোথায়,গ্রামের প্রায় সবাই যার যার ছাতা নিয়ে হাজির।আর শিল্পাচার্য কি করবেন,অসীম ধৈর্যের সাথে প্রায় সবার ছাতাতেই নাম লিখে দিয়েছিলেন সেবার

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পড়লাম, জানলাম, হাসলাম, উপভোগ করলাম।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৭

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: আপনি তো লিজেন্ড ,এতগুলো কাজ এত কম সময়ে করতে পারেন ।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: সব পুরনো বিষয়। জানা এবং পড়া।
আমি নিজেই হয়তো সামুতে এসব নিয়ে লিখেছি।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১০

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: সবগুলো কালেক্টেড

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১০

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: উপভোগ্য

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৫

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম রাজ ভাই

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভালো সংগ্রহ...

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৯

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: আপনার নিক নেইমটা কিন্তু দারুন

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জানা হলো।
বিষয় মন্দ নয়।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২২

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫১

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: বেশ! বেশ!


সোজা প্রিয়তে....

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৭

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: এত পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দারুণ কালেকশন। ২ নাম্বারটা পড়ে হাসবো, না কাঁদবো, ভাবছিলাম, তবে বলা যায়- বিস্মিত।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৮

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ইন্ডিয়ান বলে কথা !

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


২ নং, ও ৪নং প্রথমবার শুনলাম, ফান

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৮

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: আপনার প্রথমবার শোনা ,এও কি সম্ভব ?

৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০২

ঢাকার লোক বলেছেন: সুন্দর কালেকশন !
৫ নম্বরে হিটলারের দোকানদারকে মিষ্টির দাম না দিয়ে চলে যাওয়াটাকে কৌতুক মনে করার মানসিকতাকে সুস্থ বলা কঠিন !

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৯

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: এটা হিটলারের জীবনের একটা মজার কাহিনী হিসেবে দেখেন

১০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কয়েকটা আগেও কোথাও পড়েছিলাম।
তবে কিনা ভাল জিনিস বারবার পড়তেও ভাল লাগে। ভাল খাবার যেমন ভাল লাগে বারবার, এমনকি প্রতিদিন খেলেও।

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১০

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: যি এগুলো ইন্টারনেটে অহরহ পাবেন

১১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! বেশ বেশ বেশ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১০

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: বেশতো !

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কয়েকটা আগেও পড়া ছিল। তবু বেশ ভালো লাগলো। বড় মানুষদের সেন্স অফ হিউমারও বড় হয়।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: তা মনে হয় সঠিক বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.