নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বল বীর চির উন্নত মম শির !

শাহারিয়ার ইমন

শাহারিয়ার ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গজবের কারনে ধ্বংস হয়ে যাওয়া জাতিসমূহ(১)

২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৭


পবিত্র কোরানে এসেছে আল্লাহর অবাধ্য এবং সীমা লংঘনের কারনে ধ্বংস হয়েছে বহু জাতি।

১)মাদইয়ান সম্প্রদায় : ধারনা করা হয় মাদইয়ান সম্প্রদায় ছিল বর্তমান সিরিয়ার মুয়ান নামক স্থানে। হযরত শোয়াইব (আ.) ছিলেন হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর তৃতীয় স্ত্রী কাতুরার ঘরের পুত্র মাদইয়ানের বংশধর। তিনি মাদইয়ান সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরিত হয়েছিলেন। মাদইয়ান বাসী মাপে কম দিয়ে মানুষের হক আত্মসাৎ করত। দুর্নীতি, রাহাজানি, ধর্ষন, ছিনতাই এবং মজুদদারির মত পাপাকার্যে তারা এমনভাবে লিপ্ত হল যে, এসব করা যে পাপ তা তারা ভুলে গেল।

শোয়াইব আঃ আল্লাহর প্রেরিত নবী ছিলেন এবং তিনি মাদইয়ান সম্প্রদায়ের কাছে তাওহীদের দাওয়াত দিলেন এবং তাদের ভুল শুধরাতে বললেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা, তারা উল্টা আল্লাহর নবীকে নিয়ে উপহাস ঠাট্টা শুরু করল। তারা যখন উপদেশ মানল না এবং নিজেদের না শুধরিয়ে সীমালঙ্ঘন করল তাদের জন্য তখন ভয়াবহ গজব অপেক্ষা করছিল।

কয়েক দিন তাদের অঞ্চলে প্রচন্ড- গরম পড়ল। গরমে তারা ছটফট করতে লাগল। অতঃপর কাছাকাছি একটা ময়দানের ওপর গাঢ় মেঘমালা দেখা দিল। ময়দানে মেঘের ছায়া পড়ল। শীতল বাতাস বইতে লাগল। এলাকার সবাই ওই ময়দানে উপস্থিত হলো। বলতে লাগল, এই মেঘ থেকে আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষিত হবে। কিন্তু তাদের ওপর অগ্নিবৃষ্টি শুরু করল। আর নিচের দিকে শুরু হলো প্রচন্ড- ভূমিকম্প। ফলে সবাই সেখানে ধ্বংস হয়ে গেল।

২)লুত আ: এর জাতি : এই জাতির বসবাস ছিল ইরাক এবং ফিলিস্তিনির মধ্যবর্তী স্থানে। এই জাতির কেন্দ্রীয় শহর ছিল ‘সাদুম’ নগরী। সাদুম ছিল সবুজ শ্যামল এক নগরী। কারণ এখানে পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ ছিল। ফলে ভূমি ছিল অত্যন্ত উর্বর এবং শস্যে ভরপুর। এমন প্রাচুর্যময় জীবনযাত্রা বেপরোয়া করে তোলে তাদের। শুধু তাই নয়, পৃথিবীতে তাদের মধ্যেই সর্বপ্রথম সমকামিতার প্রবণতা দেখা দেয়।
বিকৃত পাপাচারে আকৃষ্ট হয়েছিল তারা, নর নারী সংগম না করে বরং নর-নর, নারী-নারী মেলামেশা করত প্রকাশ্যে।

তাদের এই পাপাকার্য থেকে ফিরে আসার জন্য দাওয়াত দিলেন আল্লাহর নবী লূত আ: এবং আল্লাহর আদেশ নির্দেশ মানার কথা বললেন কিন্তু সেই জাতি সীমা লংঘন করল এবং আগের মতই পাপ কার্য চালিয়ে গেল গুটি কয়েক ব্যতিত৷ অত:পর তাদের উপর নেমে আসল আল্লাহর পক্ষ থেকে গজব।

লুত আ: আল্লাহর নির্দেশে তার অনুসারীদের নিয়ে শহর ত্যাগ করলেন। এক শক্তিশালী ভূমিকম্প পুরো নগরটি সম্পূর্ণ উল্টে দেয়। ঘুমন্ত মানুষের ওপর তাদের ঘরবাড়ি আছড়ে পড়ে। পাশাপাশি আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো কঙ্কর নিক্ষিপ্ত হতে থাকে। ওই মহাপ্রলয়ের হাত থেকে কেউ রেহাই পায়নি। ওই জনপদের ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান।

লুত (আ.)-এর জাতির ধ্বংসস্থলটি বর্তমানে ‘বাহরে মাইয়েত’ বা ‘বাহরে লুত’ নামে খ্যাত। এটি ডেড সি বা মৃত সাগর নামেও পরিচিত। ফিলিস্তিন ও জর্দান নদীর মধ্যবর্তী স্থানে বিশাল অঞ্চলজুড়ে নদীর রূপ ধারণ করে আছে এটি। জায়গাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ নিচু। এর পানিতে তেলজাতীয় পদার্থ বেশি। এতে কোনো মাছ, ব্যাঙ, এমনকি কোনো জলজ প্রাণীও বেঁচে থাকতে পারে না। এ কারণেই একে ‘মৃত সাগর’ বলা হয়।

সাদুম উপসাগরবেষ্টিত এলাকায় এক ধরনের অপরিচিত উদ্ভিদের বীজ পাওয়া যায়, সেগুলো মাটির স্তরে স্তরে সমাধিস্থ হয়ে আছে। সেখানে শ্যামল উদ্ভিদ পাওয়া যায়, যার ফল কাটলে তার মধ্যে পাওয়া যায় ধুলাবালি ও ছাই।

এখানকার মাটিতে প্রচুর গন্ধক পাওয়া যায়। এই গন্ধক উল্কাপতনের অকাট্য প্রমাণ। ১৯৬৫ সালে ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধানকারী একটি আমেরিকান দল ডেড সির পার্শ্ববর্তী এলাকায় এক বিরাট কবরস্থান দেখতে পায়, যার মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি কবর আছে। এটি থেকে অনুমান করা হয়, কাছেই কোনো বড় শহর ছিল। কিন্তু আশপাশে এমন কোনো শহরের ধ্বংসাবশেষ নেই, যার সন্নিকটে এত বড় কবরস্থান হতে পারে। তাই সন্দেহ প্রবল হয়, এটি যে শহরের কবরস্থান ছিল, তা সাগরে নিমজ্জিত হয়েছে।

সাগরের দক্ষিণে যে অঞ্চল রয়েছে, তার চারদিকেও ধ্বংসলীলা দেখা যায়। জমিনের মধ্যে গন্ধক, আলকাতরা, প্রাকৃতিক গ্যাস এত বেশি মজুদ দেখা যায় যে এটি দেখলে মনে হয়, কোনো এক সময় বিদ্যুৎ পতনে বা ভূমিকম্পে গলিত পদার্থ বিস্ফোরণে এখানে এক ‘জাহান্নাম’ তৈরি হয়েছে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মরণের স্বাধীনতা চাই।

২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৩

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: আল্লাহর কাছে বেশি করে দুয়া করুন

২| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আর আমরা এখন করোনা দিয়ে ধ্বংস হব। উইঘুরে নির্যাতন, অস্ট্রেলিয়ায় উট হত্যা সহ নানারকম অন্যায় কাজ মানুষ করেছে।

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৮

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া উপায় নেই

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

১। বান্দার সীমাহীন পাপের শাস্তি আল্লাহর গজব (১ম পর্ব)

২। বান্দার সীমাহীন পাপের শাস্তি আল্লাহর গজব (২য় পর্ব)

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৫

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: জি দেখেছি

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: গজবে ধওংস হবে শুধু মাত্র মুসলমানরা। তাদের জন্যই দুনিয়ায়তে গজব আসে।

৩০ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: মুসলমানদের জন্য নয়, অবাধ্য অত্যাচারী সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা ২বার এসেছে। ঠিক করে দিন।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ। ঠিক করে দিয়েছি

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সমকামীতা কতোটা গর্হিত কাজ ! যার জন্য গজব নেমে এসেছে।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: হ্যা খুবই গর্হিত কাজ

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

সোনালি কাবিন বলেছেন: সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সমকামীতা কতোটা গর্হিত কাজ ! যার জন্য গজব নেমে এসেছে


সেলিম সাহিব, ইরানে কি সমকামিতা হচ্ছে নাকি ওরা অযু না করেই নামাজ পড়ছে ?

৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ইরানে বেশিরভাগ শিয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.