নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বল বীর চির উন্নত মম শির !

শাহারিয়ার ইমন

শাহারিয়ার ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাচীন ইসলামিক বিশ্ব মেডিকেল চর্চা ; আধুনিক মেডিকেল বিজ্ঞানের অগ্রদূত । (পর্ব -১)

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১৬



সপ্তদশ শতাব্দীতে ইসলামিক বিশ্বের বৃদ্ধির ফলে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় নতুন সোনালী যুগের আর্বিভাব ঘটে। প্রাচীন সভ্যতার জ্ঞান-বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে মুসলিম ডাক্তারগন মেডিকেল বিজ্ঞানের সীমারেখার নতুন মাইলফলক উন্মচোন করেন।

সপ্তদশ শতাব্দী : ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মোহাম্মদ ( সা. ) এর ইহকাল ত্যাগের পরে ইসলাম আরব থেকে পারস্য,ফিলিস্তান, সিরিয়া, লেবানন, ইরাক এবং উত্তর আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে।

অষ্টাদশ শতাব্দী : খলিফা হারুন-অর-রশিদ বাগদাদে "হাইজ অফ উইজডম " মানে জ্ঞানের ঘর খুঁজে পান। তখনকার বিদ্বানেরা সেই জ্ঞানের ঘর থেকে প্রাচীন অনেক পান্ডুলিপি উদ্ধার করেন এবং অনেক মেডিকেল বিষয়াদি ভাষান্তর করতে সক্ষম হন।

নবম শতাব্দী : আল রাজী(Rhazes) পারস্যে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে ফিজিশিয়ান , কেমিস্ট এবং শিক্ষক । তিনি মেডিকেল বিষয়ক অনেক লেখা লেখেন যেগুলো পরে ল্যাটিন এবং গ্রীকে ভাষান্তরিত হয়।

দশম শতাব্দী : সার্জন আল-জাহরাউইয়ি (Abulcasis) করডোবায় জন্মগ্রহন করেন। তিনি বিভিন্ন মেডিকেল যন্ত্রপাতির আবিষ্কার করেন এবং প্রথম চিত্রিত করা সার্জিকাল বই লেখেন।

একাদশ শতাব্দী : বাগদাদে ইবনে সিনা (Avicenea)
''ক্যানন অফ মেডিসিন '' নামে একটি ৫ ভলিউমের বই লেখেন যাতে ওই সময়ের সমস্ত মেডিকেল জ্ঞানের উপস্থাপন করা হয়৷

দ্বাদশ শতাব্দী : ইবনে রুশদ (Averroes) জন্মগ্রহন করেন। তিনি একজন ফিজিশিয়ান , দার্শনিক এবং জ্যোতির্বিদ ছিলেন। তিনি একটি মেডিকেল এনসাক্লোপিডিয়া লিখেন যেটি ল্যাটিনে কল্লিগেট (Colliget) নামে পরিচিত।

চতুর্দশ শতাব্দী : অটোম্যান সেরেফেদ্দিন সাবুংচুওগুলো জন্মগ্রহন করেন। তিনি ছিলেন সার্জন এবং তার চিত্রিত লেখাসমূহে মুসলিম মেডিকেল বিজ্ঞানের এডভান্সড পদ্ধতি সমূহ বর্নিত হয়।

শুরুর দিকের কথা : মহানবী ( সা. ) এর বানী আরব উপদ্বীপের বাইরে ছড়িয়ে পড়ার আগে লোকাল মেডিকেল চর্চা গড়ে উঠেছিল ইসলামের মহান বানী :-
আল্লাহ বার্ধ্যক্য ব্যতীত সকল রোগের প্রতিষেধক দিয়ে রেখেছেন।

প্রাচীন ইসলামিক মেডিকেল বিজ্ঞান গড়ে উঠেছে ধর্মীয় দিক থেকে। প্রাচীন মোসপটেমিয়া, ব্যবিলন সভ্যতা থেকে জ্ঞান আরোহন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত অনেক মুসলিম বিশ্বে ইসলামিক ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিজমা(Suction Cups), মধু কিংবা অলিভ ওয়েলের প্রচলন চালু আছে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা স্বরুপ।

চিত্র ; হিজমাপদ্ধতি

৬২২ খ্রিস্টাব্দে মহানবী (সা .) এর মদিনায় হিজরতের বছরে ইসলামিক ক্যালেন্ডার চালু হয়। এর দুই শতাব্দী পর তাঁর উত্তরসূরী খলিফারা ইসলামিক রাজত্ব পূর্বে ইরান এবং ভারত, পশ্চিমদিকে আফ্রিকা এবং ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। সাথে সাথে আরব্য মেডিসিন এসব এলাকায় প্রবেশ লাভ করে,ঐসব এলাকার শাসনকর্তারাও বাইরের সংস্কৃতির জ্ঞান আরোহন করতে আগ্রহী হয় বিশেষ করে গ্রীক এবং রোমান সংস্কৃতি মিশরে এবং তার পূর্বে গৃহীত হয়৷ তারা দর্শন, প্রযুক্তি, মেডিসিন একসাথে বলা হয় প্রাচীন যুগের বিজ্ঞান নিয়ে চর্চা করে।

ইসলামিকে মেডিসিনে পশুপাখির অংগপ্রতংগ প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এমন নজির পাওয়া যায়। এরকম চিকিৎসা ব্যবস্থার অংকিত পান্ডুলিপি পাওয়া গেছে বেশ সংখ্যক। যেমন চতুর্দশ শতাব্দীতে লেখা "The usefulness of Animals " বইটি লিখেছেন সিরিয়ান বিদ্বান ইবনে আল দুরাইহিম। ইবনে সিনা পাখির ডানা, কবুতরের রক্ত, গাধার লিভার দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করেছেন এরকম লিখেছেন।

সাপ : ভাইপারকে প্রথমে চামড়া খুলে শুকানো হত, পরে এর ছাই ভিনেগারের সাথে মেশানো হত। এই পেস্ট অর্শ্ব এবং এরিসিপেলস (এক প্রকার ত্বকের ইনফেকশন) রোগ সারাতে ব্যবহার হত।

(সূত্র : Snake miniature, 14th century edition, from Marvels of Creation, by al-Qazwini)

এছাড়াও খরগোশ, উট, সারস, ঘোড়ার বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন রকম রোগ সারাতে ব্যবহার করা হত।

ইসলামের রাজত্ব বৃদ্ধির সাথে সাথে, যেসব শহর গ্রীক বিজ্ঞানের চর্চা হত এবং মুসলমানদের আয়ত্তে এসেছিল সেখানে বিজ্ঞানের আলো আরো বেশি বিচ্ছুরিত হয়েছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া এবং আধুনিক তুর্কি। পূর্বদিকের ইসলামিক সীমানায়, পারস্যের গন্দেশাপুর গ্রীক মেডিসিন এবং বিদ্বানদের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছিল যখন ৫২৯ খ্রিস্টাব্দে বিদ্বানরা মাইগ্রেট হওয়া শুরু করে, এর পিছনে কারন ছিল এথেন্সে সম্রাট জাস্টিনাইন জ্ঞান বিজ্ঞানের একাডেমি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। মুসলিম বিদ্বানেরা যারা গন্দেশাপুরে ছিল তারা এই সু্যোগে সেখানে নতুন করে জ্ঞান বিজ্ঞানের আলোর কেন্দ্র তৈরি করতে সংকল্পবদ্ধ হয়েছিল।

Translated From History Magazine (National Geographic)।

কপিরাইট সংরক্ষিত ।














মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: হিজিবিজি হিজিবিজি---

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০১

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: আপনার কাছে ত হিজিবিজিই লাগবে

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: 1ম ছবিটিতে তো আরবি লেখা নেই। মনে হচ্ছে ভয়নিচ ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর মতো কোন বইয়ের পাতা।

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩২

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: এটা ভয়েচ ম্যানুস্ক্রিপ্ট নয়,প্রাচীন মিশরিয় বইয়ের পাতা হবে

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


খলিফা হরুনর রশীদের আমলের ডাক্তারের কি ঢাকা মেডিক্যাল থেকে পাশ করেছিলো?

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৩

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ইসলাম নিয়ে কোন লেখা লিখলেই আপনার চুলকানি বেড়ে যায়, এলার্জির ঔষদ খাবেন ঠিক হয়ে যাবে

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১০

সোনালি কাবিন বলেছেন: রাত ৮:০৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


খলিফা হরুনর রশীদের আমলের ডাক্তারের কি ঢাকা মেডিক্যাল থেকে পাশ করেছিলো?
আপনার মন্তব্য লিখুন.

:-B :-B

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৪

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: আপনি কি চাঁদগাজীর বেতন ভুক্ত চাকর নাকি, যার কমেন্টের উত্তর আপনাকে বলতে হবে। ওদভোদ পাব্লিক

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪২

সোনালি কাবিন বলেছেন: তুই কি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীনাকি। কখনো দেখস নাই বা জানস নাই,যে মতের মিল হইতে পারে। তোর বাপের ব্লগ নাকি?

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৩

সোনালি কাবিন বলেছেন: সোনালি কাবিন বলেছেন: তুই কি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীনাকি। কখনো দেখস নাই বা জানস নাই,যে মতের মিল হইতে পারে। তোর বাপের ব্লগ নাকি?

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৪

মাহিরাহি বলেছেন: নাস্তিকদের ইগনোর করুন।

তর্কে যাবেন না।

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৯

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: জি

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নাস্তিকদের ইগনোর করুন।

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২০

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ঠিক বলেছেন

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলিম মনিষীদের অবদানতো বলতে গেলে আমরা ভুলেই গেছি । আপনি সংক্ষেপে কয়েক জনের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেছেন দেখে ভাল লাগল ।
এখানে এই মন্তব্যের ঘরে অতি সংক্ষেপে চিকিসা বিজ্ঞানের জনক হিসাবে বহুল পরিচিত ইবনে সিনার সম্পর্কে কিছু কথা বলা হল ।তাঁর পুরো নাম আল শাইখ আল বাইম আবু আলী আল হাসান ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে সিনা আল বুখারী। তার পিতার নাম আব্দুল্লাহ মাতার নাম সিতারা বিবি। তিনি ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে বুখারার ( বর্তমান উচবেকিস্থান) আফসানা তে জন্মগ্রহণ করেন । আবু আলী হাসান ইবনে সিনা ৯৮০ থেকে ১০৩০ সময়কালে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সেরা চিকিৎসক, গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, এবং দার্শনিক । তাকে সর্ববিদ্যায় পারদর্শী হিসাবে আখ্যায়িত করা যায় । তাঁকে একই সাথে ইরান, তুরস্ক আফগানিস্তান এবং রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা জাতীয় জ্ঞানবীর হিসেবে দাবি করে । তার মূল অবদান ছিল চিকিৎসার মেডিসিন শাস্ত্রে। তিনি হলিষ্টিক মেডিসিনের প্রনেতা- যেখানে একই সঙ্গে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্বিক যোগসুত্রকে বিবেচনায় রেখে রোগীর চিকিৎসা করা হতো । তিনিই প্রথম মানব চক্ষুর সঠিক এ্যানাটমী করেন। যক্ষা রোগ নিয়ে তিনি অভিমত দেন যে যক্ষা একটি ছোয়াচে রোগ ।অবশ্য তাঁর পরের পশ্চিমা চিকিৎসকগণ এটা প্রত্যাখান করলেও পরবর্তী সময়ে তা সঠিক বলে প্রমাণিত হয় । তিনিই প্রথম মেনিনজাইটিস কে ব্যাখ্যা করেন ।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী ইবনে সিনা অসংখ্য অবদান রেখেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানে । তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর পাঁচ খণ্ডের কানুনগো ফিততিব নামে বিশ্বকোষ রচনা করেন । চিকিৎসা শাস্ত্রে তার অবদান এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ যে
প্রায় ১৯ শতকের প্রথমভাগ পর্যন্ত প্রায় ৭০০ বছর ধরে তার লিখিত বইগুলো অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ সহ ইউরোপের নামি দামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুরুত্ব সহকারে পড়ানো হত । মধ্যযুগীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভিত রচনায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিসেবে সম্মান করা হয়ে থাকে । তিনি কানুন অফ মেডিসিন যে গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত বই হিসেবে গণ্য করা হয়।

তার "ট্রিটিস অব মিনারেলস" আরেকটি উল্লেখযোগ্য অবদান। ইবনেসিনা তাঁর বইগুলোতে বিভিন্ন ঔষধের বর্ণনা করেছেন যেমন সালফার ঔষধ, সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবন , ক্যালসিয়াম পলিসালফাইড, কপার ও সোনার ভস্মীকরণ , সালফারের তরলীকরন , সাদা সালফারের প্রস্তুতি প্রভৃতি । জীবদ্দশাতেই একজন সফল চিকিৎসক হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন । ১০৩৭ সালে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ইবনে সিনা ইন্তেকাল করেন।পারস্যের বর্তমান ইরানের হামাদানে তাঁকে কবর দেয়া হয় ।

ইন্টার নেট জুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এমন অনেক ইতিহাস খ্যাত মুসলিম মনিষীদের নাম যা জনসমক্ষে আসেনা তারা অবহেলিতই থেকে যান । খুশী হলাম চিকৎসাবিজ্ঞানের ভীত রচনাকারী কতক বিশ্ব বিখ্যাত মুসলিম মনিষিদের নিয়ে এখানে একটি মুল্যবান লেখা তুলে ধরার জন্য।

শুভেচ্ছা রইল

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২১

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.