নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সবসময় অজানাকে জানার চেষ্টা করি, আর লেখালেখি থেকে পড়তেই বেশী পছন্দ করি

ইমদাদুল্লাহ

আমি মুসলমান, মুসলিম হিসেবে আমি গর্বিত

ইমদাদুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পশ্চিমা মিডিয়ার কারসাজি

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৪

আজ-কাল মিডিয়াতে বিশেষ ভাবে পশ্চিমা ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো ফলাও করে এক চুটিয়াভাবে প্রচার করছে যে সিরিয়ান শরণার্থীরা ইউরোপের দিকে ছুটে চলছে, আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এসব শরণার্থীদের জায়গা দেয়া নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে, কোন দেশ কি পরিমাণ জায়গা দেবে নাকি একেবারই দিবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি অপ র দিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো কে নিরব দেখতে পায়, বিশেষকরে আরব দেশগুলো কে, দৈনিক সংবাদ পত্র, টিভি, ফেইসবুক, টুইটারও অন্যান্য সামাজিক সাইট গুলো অন করলেই একই খবর নজরে আসে,
আসলেই কি এটাই বাস্তবতা নাকি অন্য কিছু (?)মাঝে মধ্যে হলুদ মিডিয়ার কারণে আমরা বিবেকহারা হয়ে যায়,যার কারণে নানা জনে হরেক রকমের মন্তব্য করি না জেনে না বুঝে ই, বিশেষভাবে মুসলিম যুব সমাজের এক হীনমন্যতা কাজ করে আরবরা মুসলমান হয়ে মুসলমান ভাইদের কে আশ্রয় দিতে পারে না, তো ইউরোপের খিষ্টানরা কিভাবে তাদের জায়গা দিবে, আসলে এটা ভাবনার বিষয়,
হায়রে দুনিয়া কোথায়, কোন জগতে বাস করি!!!!
এবার আসুন দেখি আরবরা সিরিয়ান শরণার্থীদের কোন আশ্রয় দিয়েছে কিনা একটু খোঁজ খবর নিই, আমরা তুরস্ক, মিসর, জর্ডান, লেবানন, ইয়ামান, ওমান, আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার বাহরাইন যাব না শুধুমাত্র সৌদি-আরবের সংবাদ দিব আপনাদের কে,
২৫ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে সৌদি।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে সৌদি আরব এ পর্যন্ত আড়াই মিলিয়ন (২৫ লাখ) সিরীয় নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরীয় শরণার্থীদের সৌদি আরব আশ্রয় দিচ্ছে না- আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এবং সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনার প্রক্ষিতে শনিবার এ দাবি করেছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সৌদি প্রেস এজেন্সিকে (এসপিএ) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত আড়াই মিলিয়ন (২৫ লাখ) সিরিয়ান নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছে সৌদি আরব। তাদের মধ্যে কয়েক লাখ ইতোমধ্য সৌদি আরবের আক্বামা (রেসেডেন্সি পারমিট) পেয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, সৌদি আরব সিরীয় শরণার্থীদের মর্যাদা এবং নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তাদেরকে শরণার্থী ক্যাম্পে না রাখার নীতি গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই আমাদের সিরিয়ান ভাই-বোনদের জন্য তাদের দূঃখের দিনে কী করছি তা বলে বেড়াতে চাইনি। সৌদি আরব সিরিয়ার এই সমস্যাকে ধর্মীয় ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। ফলে ভুক্তভোগীদের কষ্ট লাগবে আমরা কী করছি তা বুক ফুলিয়ে বলতে বা মিডিয়া কভারেজ পেতে আমরা আগ্রহী নয়।
তবে মিডিয়াতে সিরিয়া ইস্যুতে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে যেসব প্রচার হচ্ছে তাকে ‘ভুল এবং বিভ্রন্তিকর তথ্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ওই কর্মকর্তা এসপিএকে বলেন, আমরা এখন সঠিক তথ্য এবং পরিসংখ্যান তুলে দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
তিনি জানান, ২০১১ সালের পর থেকে সৌদি আরব ২৫ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে কোনো শরণার্থী ক্যাম্প ছাড়াই তাদের জন্য কাজ এবং থাকার ব্যবস্থা করেছে। সৌদিতে থাকার এবং ইচ্ছামতো যে কোন জায়গায় যাতায়াত করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েক লাখকে ইতোমধ্যে বৈধ রেসিডেন্সি পারমিট দেয়া হয়েছে। বৈধ রেসিডেন্সি পারমিটের অধীনে তারা কাজ করার, বিনা টাকায় চিকিৎসা সেবা পাওয়া এবং স্কুল-কলেজে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।
২০১২ সালে জারি করা একটি রাজকীয় আদেশেই এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল বলেও কর্মকর্তা জানান। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এর পর থেকে সৌদিতে ১ লাখের বেশি সিরিয়ান শিক্ষার্থী সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করছে। এর বাইরেও অন্যান্য দেশে আশ্রয় নেয়া সিরিয়ানদের জন্য সব সময় মানবিক সহায়তা প্রদান করছে সৌদি সরকার। ক্যাশ এবং পণ্য দ্রব্যের মাধ্যমে পাঠানো সেসব সহায়তার আর্থিক পরিমাণ ৭০০ মিলিয়ন ডলার। এটি চলতি বছরের মার্চে তৃতীয় বিশ্বমানবিক সহায়তা প্রার্থনা সম্মেলনে এ তথ্য দেয়া হয়। সূত্র: আল জাজিরা।নিউজঃদ্যা বিএনএন টুয়েন্টি ফোর ডটকম

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫

ইমদাদুল্লাহ বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.