নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিমু হবার ইচ্ছে আমার নেই, ইমু হয়েই না হয় থাকলাম।হরহামেসা খরচ হওয়া বড় নোটটগুলি না হয় হতে পারলাম না, হৃদয় নামক মাটির ব্যাংকে না হয় জমা হলাম কিছু খুচরো পয়সা হয়ে।

ন্যানো ব্লগার ইমু

ঘর পোড়া গরু হয়েও সিঁদুরে মেঘকেই ভালবাসি।।

ন্যানো ব্লগার ইমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"প্রতিভার বিকাশ"

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৫৮

সবারই মাঝে একটা সময় আসে যে বয়সটাতে হঠাৎ করেই তার মধ্যে কিছু প্রতিভার বিকাশ ঘটে। সেই সময়টাতে সে সৃজনশীল চিন্তা-ভাবনার দিকে মননিবেশ করে। হয়তো সে নিজেও বুঝতে পারে না কিভাবে এই প্রতিভা তার মাঝে আবির্ভাব হলো। অনেকটাই বলা যেতে পারে আগ্নেয়গিরির উদগীরনের মতো; যে কোন সময় যে বয়সে যে কোন পাত্রে এর প্রভাব বিদ্যমান।
সাধারনত এই সমস্ত প্রতিভার আবির্ভাব ঘটে ১৫-২৪ বছরের মধ্যে। তবে স্থান, কাল, পাত্র এবং পারিপাশ্বিকতা ভেদে এর প্রভেদ বিদ্যমান। তবে সাধারনত ১৫-২৪ বছরের মধ্যেই যেহেতু বিষয়টি লক্ষনীয়, সেহুতু আমরা এই বয়সটাকে "প্রতিভাময় বয়স" বলে আখ্যা দিতে পারি। এই বয়সটাতে সে তার ব্যক্তিত্বের মাঝে কিছু মননশীলতা ফুটিয়ে তুলতে ব্যসবত হয়ে ওঠে। কিছু সৃষ্টিকর্মের দিকে সে অত্যাধিক মাত্রায় ঝুকে পরে যার ফলাফল বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই শূণ্যের কোঠায়-ই থেকে যায়। তবে কিছু কিছু সময় কিছু কিছু ব্যক্তি বিশেষ সফলতা অর্জন করে থাকে।

বেশীরভাগ মানুষই তার মাঝে 'কলা' জিনিসটার আয়ত্ব দেখাতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন। তার মাঝে গান গাওয়া, নাচ শেখা, অভিনয় করা, বাদ্যযন্ত বাজানো, ছবি আকা, গল্প-কবিতা লেখা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সবাই চায় তার পারিপাশ্বিক অবস্থায় ভিত্তিতে তার চারপাশের সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে। বিশেষতঃ, আর কেউ মুগ্ধ হোক আর না হোক অন্তত তার বিশেষ মানুষটি কিংবা মানুষগুলিকে যেন তা অন্তত মুগ্ধ করতে পারে। তাইতো সম্ভবত একটা বয়সে সবাই কম-বেশী কিছু জিনিসের প্রতি ঝুকে পরে তার সাধনা করতে থাকে। হয়তো এ জন্যই অনেককে দেখা যায় বেসুরো কন্ঠে একমনে গান গাইতে গাইতে বিশেষ মানুষগুলির পাশ অতিক্রম করতে, মন্চ্ঞে গান, অভিনয় কিংবা নাচ দেখিয়ে সবার মাঝে সুনাম কুড়াতে, তার পাশাপাশি প্রিয় মুখটিকে আকৃষ্ট করতে। একটা বয়সে মোটামুটি সবাই ঝুকে পরি শীস বাজানো শিখতে, অথবা বঁাশি কিংবা মাউথওরগান কিনে এনে নিরলস ফু দিয়ে তা সুরেলা সুরে বাজাতে, অনেকেই গিটার কিংবা ড্রাম বাজাতে। আর কেউ কেউ রং-তুলি দিয়ে ছবি একে (অবস্য এখন ডিএসএলআর এর যুগ, সুতরাং ক্যামেরা থাকলেই হয়), আর কেউ কেউ টুকটাক কাব্য, গল্প, ছড়া, কবিতা, উপন্যাস রচনা করে। এসবের সবই হয় নির্দিষ্ট কিছু মূহূর্তে, নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের প্রভাবে।

এই সমস্ত প্রতিভাবান এক সময় নিরলস পরিশ্রম করে হাল ছেড়ে দেন। বেশীরভাগ চেষ্টাই আশানুরুপ ফল দেয় না। তাদের কার্য উদ্ধার হয়ে যাবার সাথে সাথে প্রতিভার বিকাশেরও অবসান ঘটে। আবার কেউ কেউ কেউ এই জিনিসগুলোর নেশাকে পেশাতে পরিনিত করেন। যারা সত্যিকার অর্থে সৃজনশীল, তারা একসময় সত্যি সত্যিই তারা তাদের প্রতিভা দ্বারা ক্রমেই শিল্প-এর সৃষ্টি করে যান। যারা প্রকৃতার্থেই প্রতিভাবান, তারা তাদের মননশীলতার দ্বারা সৃষ্টিকর্মের দিকে অগ্রসর হন। আর কিছু প্রতিভাবান মান্না দে-এর কফি হাউজের সেই আড্ডাটা গানটার মধ্যের 'অমল' চরিত্র ধারন করেন।

বিঃদ্রঃ মাথায় প্রতিভা নামক বিষয়টা অনেক্ষন হলো ঘুরপাক খাচ্ছিলো। তাই মনের খুশি মতো লিখলাম। আমার চিন্তাধারার সঙ্গে অন্য কারোর মিল নাও হতে পারে। সেজন্য এই অধম দায়ী নয়। :P ;) ;) B-)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫২

বাকের ভাই রিটার্ন বলেছেন: শুভ হোক আপনার ব্লগ যাত্রা।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫৭

ন্যানো ব্লগার ইমু বলেছেন: দোয়া রাখবেন :)

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:১১

খেলাঘর বলেছেন:

ব্লগে আসছেন, ভালো।

"হয়তো সে নিজেও বুঝতে পারে না কিভাবে এই প্রতিভা তার মাঝে আবির্ভাব হলো। "

-এটা হলো নবী হওয়ার লক্ষণ

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৮

এহসান সাবির বলেছেন: চালিয়ে যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.