নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘর পোড়া গরু হয়েও সিঁদুরে মেঘকেই ভালবাসি।।
প্রত্যেকটা মানুষের কিছু অভিভূত করার ক্ষমতা থাকে। সেই অভিভূত ক্ষমতার বলে তার চারপাশে একটা রহস্যময়তার সৃষ্টি করতে পারে। একটি সম্পর্কের মধ্যে কিছু রহস্যময়তা থাকতেই হবে। মূলত, রোমান্সের অপর নাম রহস্যময়তা। বিশেষত, নারী-পুরুষ উভয়ই চায় তার প্রিয় মানুষটি তাকে সবসময় নতুন কিছু করে দেখাক, একটু তাক লাগিয়ে দিক। আর এই তাক লগানোটাই হচ্ছে রোমান্স। আমার মতে 'ভালোবাসা' এবং 'রোমান্স' শব্দদুটি কখনোই এক হতে পারে না। দুইটি শব্দ মূলত একটি সম্পর্কের দুটি ধাপ বা পর্যায়কে নির্দেশ করে। একটি সম্পর্ককে আমার এক খুটি দইয়ের সাথে তুলনা করতে পারি, যেখানে দইয়ের উপরের অংশটা হচ্ছে রহস্যময়তা অথবা রোমান্স, আর নিচের অংশটা হচ্ছে ভালোবাসা।
একটি সম্পর্ক টিকে থাকার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে 'তাক লাগানো'। যখনি এই তাক লাগানো বেপারটা হারিয়ে যেতে থাকবে তখন থেকেই ভালোবাসাটা অনেকটাই তরকারী ছাড়া সাদা ভাতের মতো মনে হবে। অনেকেই বলে যে ভালোবাসা কখনো ফুরায় না, কিংবা কমেও যায় না। হ্যা কথাটা সত্য। ভালোবাসা ব্যাপারটা স্থীতিশীল কিন্তু ভালোলাগা কিংবা রোমান্স গতিশীল, পরিবর্তনীয়।
রোমান্স মূলত প্রনয়ের প্রথম ধাপ, কাছের মানুষটিকে অভিভূত করার পদ্ধতি, তার চারপাশটা ঘিরে একটা রহস্যময়তার জাল সৃষ্টি করে রাখা, তাকে ঘোর লগানোর নামই সম্ভবত রোমান্স। প্রতিদিন রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে থাকা, মাঝ রাতে বাড়ির সামনে গিয়ে দোখা করা, গোলাপ হাতে অভিভাধন, পিছনে পিছনে ছোটা, চিরকূট বিনিময়, প্রিয় মানুষটিকে ঘিরে গান, কবিতা, কাব্য চর্চা, রাতভর জেগে গল্প করা ইত্যাদি যা একটা প্রনয়ের প্রথমেই বেশী হয়ে থাকে এবং একটা সময় সেগুলো ক্রমেই কমে যেতে থাকে এবং সম্পর্কটা অন্যদিকে মোড় নেয়। সম্পর্কের এই বাকটা থেকেই অন্য ধাপের শুরু যেখানে আর রহস্যময়তার ব্যাপারগুলো আস্তে আস্তে কমতে থাকে। একটা সময় সেগুলো পূর্বের ঘটনাগুলি 'পুরান কাসুন্দি'তে রুপ নেয়। তখন মনে হয় কোথাও একটা শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। হয়তোবা সম্পর্কটি আগের মতো নেই। ভালোবাসা কমে গেছে কিংবা অন্যকিছুতে কেউ একজনের ভালোলাগা শুরু হয়েছে। এভাবেই রহস্যহীনতার অনুপুস্থিতে সন্দেহের জন্ম নেয়। আর একটা সময় সম্পর্ক এসে কিছু গতানুগতিক কথা-বার্তায় পৌছায়। যেমনঃ কি করো? খাইছো কি না? কখন ঘুমাবা? ইত্যাদি। আসলে প্রাকৃতিক জীব হিসেবে আমরা সবাই সৃষ্টি থেকেই রহস্যময়তা পছন্দ করি। একবার বিরিয়ানী খেয়ে অভ্যস্ত হলে আর সাদা ভাত ভালো লাগে না। সবাই দইয়ের উপরের অংশটাই খেতে চায়। কিন্তু দইয়ের উপরের অংশটা কিন্তু খুব বেশি ু থাকে না সেটাও আমাদের মাথায় রাখা উচিৎ।।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪৬
ন্যানো ব্লগার ইমু বলেছেন: এই সব গাজাখুরি হাইপথিসিস আমার ছাড়া আর কার হতে পারে বলেন??
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই গুলো কি আপনার হাইপোথিসিস?