নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিমু হবার ইচ্ছে আমার নেই, ইমু হয়েই না হয় থাকলাম।হরহামেসা খরচ হওয়া বড় নোটটগুলি না হয় হতে পারলাম না, হৃদয় নামক মাটির ব্যাংকে না হয় জমা হলাম কিছু খুচরো পয়সা হয়ে।

ন্যানো ব্লগার ইমু

ঘর পোড়া গরু হয়েও সিঁদুরে মেঘকেই ভালবাসি।।

ন্যানো ব্লগার ইমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"একজন খোলাবাড়ির মানুষ ও একটি ওভারকোট"

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

কিছুই হবে না আমাকে দিয়ে। কিচ্ছু না। আজ পর্যন্ত কি শিখলাম? বড়ই গর্ধভ থেকে গেলাম যে। নিজেকে নিয়ে খুব আফসোস হয় মাঝে মাঝে। কোন একটা কাজ "দক্ষতা" -এর সহিত শিখতে পারলাম না। কাউকে আজ পর্যন্ত বুক ফুলয়ে বলতে পারলাম না যে আমি এই কাজটাতে অন্তত দক্ষ। হোক সেটা খেলধুলা, পড়াশুনা, কথা বলায়, সাহসীকতায়, মারামারিতে, ভদ্রতায়, বিনয়ী কিংবা বেয়াদোবিতে। কোনটাতেই "দক্ষ" শব্দটা যুক্ত করতে পারলাম না। সবকিছুতেই মাঝামাঝি অবস্থানেই পড়ে রইলাম।

যা হোক যে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে গিয়ে 'দক্ষতা' নামক অবস্তুটি নিয়ে ভাবনার উদয় হলো, সেটা হচ্ছে আমার ভাষাগত অর্জন। ২০০৬ সাল থেকে বলিউড এবং হলিউডের ফ্লিম দেখে আসছি। আজ পর্যন্ত একটা হিন্দি বা ইংলিশ লাইন পরিপূর্নভাবে ধরে যথার্থ মানেটা করতে পারি না। আজ পর্যন্ত কারোর সাথে whatsup, guyz কিংবা what's the ফুচকা/ hell/ holly shit/cow/bull অথবা dude টাইপের কথা বলতে পারলাম না। বলতে ভয় লাগে। কারন খোলাবাড়ির মানুষ যদি শীত নিবারনের জন্য ওভারকোট পড়ে তাহলে যেমন লাগে, ঠিক আমার মুখে এই জাতীয় শব্দগুলি হয়তো এমনটাই লাগবে। যেখানে আজ পর্যন্ত বাংলাটাই শিখতে পারলাম না, যেটা জন্মের পর থেকে ব্যবহার করে আসছি। শব্দ চয়নে এখনও ভুল করি, লেখার মধ্যে যে মাতৃভাষায় আমার হাজারটা ভুল হয় সেখানে ইংরেজী কিংবা হিন্দিতে কিভাবে whatsup guyz অথবা কিয়া খবর হ্যায় তুমহারা বলি?

আমার ছোট বোনটা হিন্দি মুভি দেখে হিন্দি শিখতে না পেরে শেষ পর্যন্ত হিন্দি শেখার বই কিনেছিল। একদিন বইটা ওর ড্রয়ারে পেয়ে একটু মন মতো থাপড়াইতে লাগলাম। তারপরেও সে শেষ পর্যন্ত হিন্দি শিখেই ছেড়েছে। সে যদি হিন্দি না শিখে ইংরেজী শেখার একটা বই কিনত তাহলে হয়ত অনেক কাজে লাগত।

আজকাল আবার নতুন একটা ট্রেন্ড এসেছে। সেটা হল কলকাতার আর্ট ফ্লিম। জানিনা জিনিসটা আসলে কি। নিম্ন শ্রেণীর মস্তিস্ক হওয়ায় কাহিনীর আগা-মাথা কিছুই ধরতে পারি না। যতটুকু বুঝি শুধু তার মাঝে নাগরিক কিছু অযথা পেচাল, যে পেচালটা অযথাই বিরক্তিকর। বিরক্তিকর এই অর্থে বলছি যে, ভাষাটা পরিপূর্ন জগাখিচুড়ি মিশ্রিত। যেখানে সাম বাংলা কিছু ইংলিশের আধুনিক সমন্বয়। আর ইহাই নাকি বর্তমানে বুঝধার মানুষদের বিনোদন। হয়তো মস্তিস্কের পরিধি ছোট হওয়া সেই বিনদোনটা মাথায় ধরে না। যাই করুক না কেন আর্ট ফ্লিম তো মানুষ খাচ্ছে। সেটাই হচ্ছে কথা।

ফেসবুকের সুবাদে একজন ইন্ডিয়ান এবং একজন নেপালি বন্ধুর সাথে চ্যাটিং হত। যেহুতু হিন্দি বা নেপালি-তে দক্ষতা প্রায় শূন্যের পাশাপাশিই, আর ইংরেজীতে তো অসামান্য দক্ষতা আছেই, তাই কষ্ট করে হলেও তাদেরকে আমার মনের কথাগুলো বুঝানোর চেষ্টা করতাম ভাংগা ভাংগা ইংরেজী ভুল বাক্যের মাধ্যমে। তাদের নিকট থেকে হিন্দি এবং নেপালি শেখার চেষ্টা করলাম, যা হিন্দিতে 'তুমহারা নাম কিয়া হ্যায়?' আর নেপালিতে 'টিমারো নাম কে হো?' এর মাঝেই সীমাবদ্ধ থেকে গেল। এর বেশি আর আগানো সম্ভব হল না। তখনি প্রথম উপলব্ধি করত পারলাম বাংলাটা কত সহজ!! কত সহজে আমি আমার মনের অনুভূতিগুলোকে ভাষায় রুপদান করতে পারি। কত সুন্দর আমার মাতৃভাষা। এমনি কি আর আমার ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছিল এই মধুরতম ভাষার জন্য? এত আবেগ দিয়ে তো আর কোন ভাষায় অনুভূতিগুলোকে প্রকাশ করতে পারি না। How are you? অথবা তুম আচ্ছি হো তো? এর চেয়ে কেমন আছ তুমি? বললে কথাটা কতবেশী আবেগী হয় সেটা আর কেউ বুঝতে পারুক না পারুক আমি পারি। নাড়ির সম্পর্ক ত্যাগ করে সামাজিক হতে চাই না। বাংলা মা তোমায় অনেক ভালোবাসি।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১০

জুন বলেছেন: হাউ কাম :-* আপতো কোন ল্যাঙ্গুয়েজই ভালো করে শিখতে পার্লেন্না ।
ইয়ে তো বড়ি আজিব বাত হ্যায় ভাইয়া B:-)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

ন্যানো ব্লগার ইমু বলেছেন: ভাইয়া মেই তো থোড়া থোড়া হিন্দি এন্ড ইংরেজি লারর্ন করেছি দ্যাট আই ক্যান সে অর রাইট । :প :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.