নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিমু হবার ইচ্ছে আমার নেই, ইমু হয়েই না হয় থাকলাম।হরহামেসা খরচ হওয়া বড় নোটটগুলি না হয় হতে পারলাম না, হৃদয় নামক মাটির ব্যাংকে না হয় জমা হলাম কিছু খুচরো পয়সা হয়ে।

ন্যানো ব্লগার ইমু

ঘর পোড়া গরু হয়েও সিঁদুরে মেঘকেই ভালবাসি।।

ন্যানো ব্লগার ইমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বেরোবিঃ ভাই সম্পর্কের ইতিকথা"

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪০

কিছুই আর বলার নেই। বলতেও ইচ্ছা করছে না। এমন একটা নোংরা জায়গায় এসে পড়েছি যে নিজেকে এখন অনেক বড় আবুল মনে হচ্ছে। যেখানে ছাত্ররা হামলার শিকার হলে তা নিয়ে কারোর চিন্তা হয় না বরং তারা পরিচিতি পায় "দালাল" হিসেবে। হামলার বর্নণা ভিকটিম বললে বিশ্বাস হয় না, হয় মিথ্যাচার। ছাত্রদের উপর হামলা এটা কিছু নয়, মিথ্যাচারের জন্য মানববন্ধন হয়। গত পরশু মুনেম একটা পোষ্ট দিয়েছিল। সেখানে সে বলেছিল 'বেরোবির ছাত্ররা ভাই ভাই এটা একটা কৌতুক , হলে চুদিরভাই হতে পারে'। আজ মনে হচ্ছে ছেলেটা মিথ্যা বলেনি। ছাত্ররা খারাপ হতে পারে, স্যাররা তো না। সুতরাং শিক্ষার্থীরা মার খেয়েছে, ওরা দালাল, ওরা চুদিরভাই; আর স্যাররা মিথ্যা বলে মিডিয়ায় ফোকাস হয়েছে, মানববন্ধন করছে, তাতে যোগ দেয়া নৈতিক দ্বায়িত্ব, কারন স্যাররা দুলাভাই। একজন নিরীহ মানুষকে বাচাতে গিয়ে হয়ে গেলাম দালাল। কি মজা! কি মজা! এতদিন শিক্ষক আর ভিসিকে দোষারোপ করেছি। গত ৪ তারিখের ঘটনার পর বুঝে গেছি দোষ আসলে কার। দোষ শিক্ষকেরও নয়, ভিসি স্যারেরও নয়, দোষ আসলে আমাদের সাধারন শিক্ষার্থীর। পাশে দাড়াতে না পাড়লে আক্ষেপ নেই তোমাদের প্রতি, কিন্তু আক্ষেপ এই জন্য যে উপহাস করে চুদিরভাই বানিয়ে ছেড়ে দাও তোমারই কোন বন্ধু, বড় কিংবা ছোট ভাই যদি কিছু একটা উদ্দ্যোগ নেয়। আসলে সবটুকু দোষ শিক্ষার্থীদের।

যখন জনৈক শাহজাহান গিয়েছিল শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে, তখন পাশে এসে তোমরা দাড়াতে পারোনি, বরং উপহাস করেছ। যদি সেই রাতে হুমকি শুনে উঠে রুমে চলে যেত, তবে পরেরদিন সকালে সে হত নাটকবাজ। তার হুমকি শুনে তার নিরাপত্তায় এগিয়ে এসে রাতে যখন আমরা মার খেলাম, তখন দুইজন শিক্ষক বাচাতে এসে মার খেল তখন তারা হয়ে গেল পরিপূর্ণ নাটকবাজ। কেন তোমরা সেটাকে নাটক না বলে পরের দিন সকাল থেকে ঐখানে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে অনশনে বসতে পারলে না? কেন সেখানে শিক্ষকদের বসার সুযোগ করে দিলে? তা না করে তো তোমরা মানবন্ধন করতে গেলে। চুদিরভাইররা বেশি বেড়েছিল, মার খেয়েছে। এখন তারা হয়েছে হলুদ দলের দালাল।

আর ভালো লাগে না। নোংরা রাজনীতি নিয়ে ফালাফালি করতে বা চেচামেচি করতে ভালো লাগে না। বিশ্ববিদ্যালয়েরর জলান্জ্ঞলি হোক, বলতে যাবো না, শুনতেও যাবো না। কাদের নিয়ে চিল্লাবো? যাদের রক্তের মধ্যে মিশে আছে আন্দোলন, যারা পূর্বের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে, যারা আন্দোলনের শপথ বাক্য পাঠ করেছে, তারাই করুক আন্দোলন, তারাই শান্তি ডেকে আনুক। তারাই কর্মসূচি দিক, তারাই ফেসবুকীয় রাজনীতি করুক, ঝড় তুলুক সততা, ঐক্যবদ্ধতা আর শান্তির বাস্তবায়ন নিয়ে। আমরা এখনো অনভিজ্ঞ। অভিজ্ঞ ব্যাক্তিরাই না হয় আবারো ক্যাম্পাসের শান্তি ফিরিয়ে আনুক, যেমনটি ফিরিয়েছিল জলিলীয় যুগে। আবারো তারা জলিলীয় যুগের ন্যায় দেশমাতৃকার শপথ করে মাঠে নামুক। আমরাও চাই শান্তি। খুব অপেক্ষায় আছি সেইসব মানুষের হস্তক্ষেপেরর, যারা ফেসবুকে ক্যাম্পাস নিয়ে ঝড় তুলে যাচ্ছেন। যারা ক্যাম্পাস নিয়ে এতো ভাবেন, এতো ভালোবাসেন যারা বেরোবিকে, তারাই না হয় কথা বলুক।

আজ বিকেলে আর্গনের রুমে গিয়ে ওর ল্যাপটপে গত আন্দোলনের সময়কার কিছু ভিডিও দেখলাম। আজ যাদের মাথা ব্যাথা, যারা কাম্পাসকে ভালোবাসেন, যারা ক্যাম্পাসকে নিয়ে ভাবেন, সেই সমস্ত বুদ্ধিজীবি গত আন্দোলনেও ছিলেন কান্ডারীর ভূমিকায়। আজ যারা নীতিবাক্য শুনাচ্ছে, তারা পূর্বের আন্দোলনেও সেরকমই কিছু নীতিবাক্য শুনিয়েছিল, সেদিনও তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছিল তাই না? ইজন্ট ইট এ্যা ফান? যারা আজ ঝড় তুলছেন ফেসবুকে, ঠিক ২ বছর আগেও এমনটি ঝড় তারা তুলেছেন। এ তো নতুন কিছু নয়। তারা হয়তো গিনিপিগ হতে পারে, বেরোবির ৪৭২৬ জন শিক্ষার্থীকে করতে পারে, ইমরানকে পাড়বে না। না। ইমরান গিনিপিগ না। কখনো হতেও চায় না। মানুষগুলিকে তো ভুলিনি, ভুলতে পারি না। যাদের হাত ধরে জীবনের সুন্দর দিনগুলিতে পচন ধরেছে, যারা এই ছাত্রজীবনকে ছত্রাকের জীবনে পরিনিত করেছে তাদের প্রনোদনায় কিভাবে আবার?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনারা পড়ালেখা করবেন না, এটা সবাই বুঝে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.