নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘর পোড়া গরু হয়েও সিঁদুরে মেঘকেই ভালবাসি।।
প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু গল্প থাকে। গল্পগুলোর উৎপত্তি মূলত তার দৈনান্দিন জীবন, ব্যক্তিগত চিন্তাধারা, পারিবারিকও সামাজিক মিথষ্ক্রিয়া, অনুভূতি, অভিজ্ঞতা, মিথ, ইতিহাস, কল্পনা শক্তি ইত্যাদির সংমিশ্রন। শুধুমাত্র এই সকল গল্পগুলির ব্যক্ত করার প্রকিৃয়া এক একজন মানুষের একেক রকম। কেউ হয়তো সে গল্পগুলি সাজিয়ে গুছিয়ে কাগজেকলমে লিপিবদ্ধ করে উপন্যাস হিসেবে আখ্যা প্রদান করে, কেউ হয়ত সেগুলিকে ঘুম পাড়ানির গল্প হিসেবে ব্যবহার করে বাচ্চাকে ঘুম পাড়ায়, আবার কেউ তাতে সুরের মাধুরী মিশিয়ে সেই গল্পটিকে গান হিসেবে প্রকাশ করে, আবার কেউ কেউ সেটাকে ছন্দের তালে তাল মিলিয়ে কবিতায় রুপান্তরিত করে, কিছু মানুষ তার গল্পগুলিকে রং তুলিতে একে জীবন্ত করে তোলে, আর কারো কারো কাছে সেটা বিবৃতি আকারেই প্রকাশ পায়।
কিছু কিছু গল্প সীমাবদ্ধতার বেড়াজালে আটকে গিয়ে নাটকীয় পরিসমাপ্তি টানতে বাধ্য হয়। কারন মানুষের প্রতিটি কার্যকালাপের একটা সীমাবদ্ধতা রয়ে গিয়েছে। মানুষের চিন্তাধারা, কল্পনা শক্তি থেকে শুরু করে দৈনান্দিন জীবন, পরিবেশ, পারিপাশ্বিকতা, আর্থ-সামাজিক ক্রীয়া সবকিছুতেই মানুষ স্বাধীন কিংবা সাবলম্বী নয়। তাই একটা সময় এসে আমরা গল্পের প্রত্যেকটি উপাদানের মাঝে সামান্জ্ঞস্যতা হারিয়ে ফেলি। গল্পগুলি তখন তার ছন্দ পতনের মাধ্যমে শুধুমাত্র খন্ড খন্ড ঘটনায় রুপ নেয়।
এভাবেই গল্পগুলি কখনো কখনো থমকে দাড়ায়। জীবনের কষাঘাতে তা কখনো মূল স্রোত গতে সরে এসে নতুন রুপ ধারন করে। তখন হয়তো সেই গল্পটির ইতি টানা সম্ভব হয়ে উঠে না। অসমাপ্ত পান্ডুলিপি হিসেবেই পড়ে রয় জীবনের খসড়া পাতায়। আর এই খসড়া পাতাগুলিই হয়তো গল্প ফুরানোর গল্প।।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৩
ন্যানো ব্লগার ইমু বলেছেন: হয়তোবা তাই। এই খসড়া পাতাগুলি থেকেই হয়তো আবার রচনা শুরু করে তার গল্প শুরুর গল্প।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্প ফুরানোর ও তৈরির গল্প এরকমই হয়