নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘর পোড়া গরু হয়েও সিঁদুরে মেঘকেই ভালবাসি।।
আজ সকালবেলা থেকেই সবার মাঝে কমবেশী উত্তেজনা কাজ করছিল একটা বিষয় নিয়ে। আর তা হচ্ছে আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্থানের খেলা। খেলা আমরা দেখেছি সুতরাং খেলার ফলাফল আমরা সবাই জানি। এ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আজ আমাদের সবার ফেসবুক ওয়াল ভর্তি বিজয়েরর উচ্ছাস। এটাই স্বাভাবিক।
বিকেল থেকে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে নানা রকম আলোচনা, সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছিল আজকের খেলা নিয়ে। এটাও স্বাভাবিক। কারন আমরা অনেক আশাবাদী আমাদের দলকে নিয়ে। তবে একটা বিষয় কেমন যেন মেনে নিতে পারছিলাম না। অনেকেই দেখলাম যারা আফগান ক্রিকেট টিমকে "তালেবান" বা "জঙ্গিবাদ" দল হিসেবে অপবাদ দিয়ে চলছেন।
ক্রিকেটপ্রেমীদের কম-বেশী সবারই জানা যে, আফগানিস্থান দলটির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচনা খুব বেশী দিনের নয়। এইতো ২০০০ সালে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রিকেট খেলার অনুমোদন পেল। অনেক বছর আগেও সব রকম খেলার উপর তালিবানরা নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছিলো। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তারা ক্রিকেট খেলছে। এর মানে তারা তালিবানি নিয়ম-কানুন অমান্য করেই মেঠে নেমেছে খেলতে। এর মানে এই নয় যে, তারা তালিবানদের অনুসারী এবং তালিবানদের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রিকেট খেলতে এসেছে এবং পাশাপাশি সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ প্রচারে এসেছে।
শোনা যায় যুদ্ধ বিস্ধস্ত এ দলটির খেলোয়াড়রা নাকি বোর্ড থেকে তেমন কোন বরাদ্দ পায় না। অনেকটাই স্পন্সরদের উপর নির্ভরশীল এ দলটি। প্রাকটিসের জন্যও পর্যাপ্ত মাঠের ব্যবস্থা নেই তাদের। প্রচন্ড প্রতিকূলতার ভিতর দিয়ে তারা যে আজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের নামটা তুলে ধরতে পেরেছে একটি যুদ্ধবিধস্ত দেশের শান্তিদূত হিসেবে এজন্য তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকা দরকার বলে মনে করি। একটা কথা না বললেই নয়, আমাদের বাংলদেশ বিশ্ব মহলে অনেকটাই পরিচিত কিন্তু আজকের এই বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের জন্যই। তালিবানি শাসন, নিয়ম, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে, জীবনের ঝুকি নিয়ে খেলতে এসে, শান্তির দূত হিসেবে নিজেদের প্রচার করতে এসে আমাদের মতো কিছু ক্রিকেটপ্রেমীর নিকট যদি "জঙ্গীবাদী" "সন্ত্রাসবাদী" তালিবানী" দল হিসেবে তাদেরকে অপবাদ শুনতে হয় তবে তার জন্য জয়ের গৌরব নিয়ে বুক ফুলিয়ে চলার জায়গাটা সমালোচনার দরুন ক্ষুণ্ণ হয়ে যায় মানবিক দিকটা বিবেচনায়। তালিবানরা দোষ করতে পারে, সেজন্য কি আফগান ক্রিকেট টিমকে তার অপবাদ দেওয়া হবে? পরিশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের একটা কথা দিয়েই শেষ করছি। মুক্তিযুদ্ধের পর অনেক যুদ্ধ অপরাধী তার পাপকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়েছিল। তখন তাদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর একটাই বানী ছিল "আবার বাঙ্গালী হয়ে যাও।" একটা নবীন দলের প্রতি আমাদের অসৌজন্যমূলক আচরন-ই বুঝায় আমরা এখনো প্রকৃত বাঙ্গালী হয়ে উঠতে পারিনি। যে মানবতা বঙ্গবন্ধুর মাঝে ছিল, সেই চেতনায় আজও আমরা উজ্জিবীত হতে পারিনি।।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩১
ন্যানো ব্লগার ইমু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আমার চিন্তার সাথে আপনার মতের মিল থাকার জন্য :-)
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
সঠিক মনোভাব
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩২
ন্যানো ব্লগার ইমু বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০২
নবাব চৌধুরী বলেছেন: ভালো বলেছেন,ধন্যবাদ এভাবে ভাবার জন্য।